Ajker Patrika

‘বিএনপির গণ-অনশনের সময় খাবারের দোকানগুলোতে ভালো বেচাবিক্রি হয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২১, ২১: ৫৩
‘বিএনপির গণ-অনশনের সময় খাবারের দোকানগুলোতে ভালো বেচাবিক্রি হয়েছে’

খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার দাবিতে বিএনপির গণ-অনশনের সময় নয়া পল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনের খাবারের দোকানগুলোতে ভালো বেচাবিক্রি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে একটি অভিজাত হোটেলে বিশ্ব টেলিভিশন দিবস উপলক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-অ্যাটকো আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি। 

মন্ত্রী বলেন, বিএনপির উদ্দেশ্য বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য ভালো করা নয়, তারা চায় বেগম জিয়া সব সময় অসুস্থ থাকুক। তাহলে তারা সব সময় বলতে পারবে তাঁকে বিদেশ পাঠাতে হবে। তারা বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করছে, যেটি অনভিপ্রেত। 

এর আগে অ্যাটকো আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় বিশ্ব টেলিভিশন দিবস প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অনেকের ঘরে টেলিভিশন না থাকলেও দেখা যায় চায়ের দোকানে বসে টেলিভিশনে নাটক, সিনেমা দেখছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি মানুষের জীবনের ওপর টেলিভিশনের একটা প্রভাব আছে। পুরো টেলিভিশন শিল্পটা জীবন গঠনে ভূমিকা রাখবে। টেলিভিশন জীবন, সমাজ, দেশ গঠনে এবং রাষ্ট্রকে লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য টেলিভিশন কাজ করবে, এটিই বিশ্ব টেলিভিশন দিবসে আমার প্রত্যাশা।’ 

টেলিভিশন শিল্পের উন্নয়নে সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপগুলো নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে সম্প্রচারের জন্য বিদেশি চ্যানেলকে আইন অনুযায়ী ক্লিন ফিড পাঠাতে হবে। বাংলাদেশের কেউ কেউ বিদেশি চ্যানেলগুলোর ফিড ক্লিন করার দায়িত্ব নেওয়ার চেষ্টা করছে। এর প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। কারণ, আইন অনুযায়ী ক্লিন ফিড পাঠানো বিদেশি চ্যানেলগুলোরই দায়িত্ব। তারা নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পাঠায়, সেখানে বাজার অনেক ছোট। আর আমাদের দেশে পাঠাবে না, আমরা দায়িত্ব নিয়ে ক্লিন ফিড করব, তার প্রয়োজন নেই। 

‘দেশে টেলিভিশনগুলোর রেটিং বা টিআরপি একটা সংস্থা করত, অন্যান্য দেশে কীভাবে করা হয়, বিশেষ করে ভারতে কীভাবে করা হয় অনেকগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা একটা সিদ্ধান্তে এসেছি এবং সহসা এতে শৃঙ্খলা আনব,’ বলেও জানান তিনি। 

গোলটেবিল আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান, সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম, প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নিজামুল হক, তথ্য কমিশনের চেয়ারম্যান মরতুজা আহমদ, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান মাহমুদসহ আরও অনেকে। এ ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেলের মালিকেরা এই আলোচনায় অংশ নেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অ্যাটকোর সভাপতি ও মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী। পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন অ্যাটকোর সিনিয়র সহসভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত