Ajker Patrika

পঞ্চদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে: গণতন্ত্র মঞ্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পঞ্চদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে: গণতন্ত্র মঞ্চ

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সংসদীয় কমিটির সিদ্ধান্ত বদলে দিয়ে, আদালতের রায় অমান্য করে পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে দেশের সমস্যাগ্রস্ত নির্বাচনী ব্যবস্থাকে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। 

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ‘সংবিধানের দোহাই দিয়ে একতরফা নির্বাচন সংবিধান সম্মত নয়’-শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেছেন মঞ্চের নেতারা। 

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘যে রায়ের কথা বলে আওয়ামী লীগ যুক্তি দেয় সেই রায়ের বিস্তারিত অংশে বলা হয়েছিল, আগামী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর একক সিদ্ধান্তে সংসদীয় কমিটির সিদ্ধান্ত এবং আদালতের রায় বিকৃত করে পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে সমস্যাগ্রস্ত নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।’ 

জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ‘সংবিধান একটা চিন্তার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা নিজেদের সুবিধামতো সংবিধান পরিবর্তন করেছে।’ 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একটাই ধান্দা। তারা কোনো নীতি কথা শুনবেনা। কারণ তারা সকল নীতি বর্জন করেছে, ব্যাংকগুলো খালি করেছে। আগামীতে নির্বাচনে গুন্ডা-হোন্ডা সবই যাবে, তারপর বিদেশিদের দেখাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে।’ 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘সংবিধানের দোহাই দিয়ে এখন সরকার বলছে নির্বাচন তাদের অধীনেই হবে। আওয়ামী লীগের এখন যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, তাদের যদি রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকে তাহলে একদিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা চালু করতে পারে। কিন্তু সরকার এখন আরেকটা নীল নকশার নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে। আর তাদের সাহায্য করছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন।’ 

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘নাগরিকদের ভোটের অধিকার সংবিধান দিয়েছে। কিন্তু সরকার তার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনগণের সংবিধান সম্মত এই অধিকার পদদলিত করছে।’ 

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেন, ‘আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেনি। প্রধানমন্ত্রী তখন মিথ্যাচার করেছিলেন। আদালত এখানে ভূমিকা নিতে পারত কিন্তু নেয়নি। একতরফা কোনো নির্বাচন হতে পারে না। সিলেকশন হতে পারে। ইলেকশন মানেই অনেকগুলো পক্ষ থাকতে হবে।’ 

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘সংবিধানে বলা হয়েছে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে সরকার নির্বাচিত হবে। এই সরকার জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের নির্বাচিত নয়। তাই এই সরকারি অসাংবিধানিক, অবৈধ। সংবিধান মেনেই এই সরকারকে চলে যেতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত