নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দায়িত্ব পালনে নানা দিক থেকে বাধা আসায় বিরক্ত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন—এমন কথা চাউর হওয়ার পর থেকেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ নড়াচড়া শুরু হয়েছে। গত শনিবার থেকে একের পর এক রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। তাঁদের প্রায় সবাই প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে অনুরোধ করেছেন। সেই সঙ্গে জুলাই হত্যাযজ্ঞের বিচার ও সংস্কার কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সুস্পষ্ট একটি রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এখন সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, সে দিকে দৃষ্টি সবার।
বিরাজমান অস্থিরতার মধ্যে গত শনিবার বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল রোববারও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন তিনি। এসব বৈঠক থেকে সরকারপ্রধানের কাছে নিজেদের বক্তব্য উত্থাপন করেছে দলগুলো। বৈঠকে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দাবি করেছে বিএনপি। শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দলের নেতাদের বৈঠকের পর গতকাল রোববার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে।
জামায়াতে ইসলামী প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে সরকারের প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন চেয়েছে। এক্ষেত্রে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় উল্লেখসহ রোডম্যাপ চেয়েছে দলটি। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে শনিবারের বৈঠক শেষে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ দিলেই সব অনিশ্চয়তা কেটে যাবে। আমরা দুটি বিষয় স্পষ্ট করার কথা বলেছি।
এক. নির্বাচনটা কখন হবে? আর আপনি যে নির্বাচনের সময় দিয়েছেন, তার মধ্যে জনগণের কোনো ভোগান্তি না হয়ে একটা কমফোর্টেবল টাইমে নির্বাচনটা হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। দুই. আমরা বলেছি, নির্বাচনের আগে সংস্কার এবং বিচারের দৃশ্যমানপ্রক্রিয়া যাতে জনগণ দেখতে পারে।’
অন্য দিকে এনসিপির পক্ষ থেকে বরাবরের মতো নির্বাচনের চেয়ে সংস্কার ও জুলাই গণহত্যার বিচারের দিকে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় প্রধান উপদেষ্টা যে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, সেই দায়িত্ব সম্পন্ন করেই যেন তিনি যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। এ বিষয়ে তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল রোববার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি), নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় গণফ্রন্ট, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, এবি পার্টি, বাসদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টিসহ বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। এসব দলের পক্ষ থেকেও বৈঠকে সরকারকে তার কর্মপরিকল্পনা বিশেষ করে সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাওয়া হয় বলে জানা গেছে।
এদিকে অস্থির পরিস্থিতিকে শান্ত করতে নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করার তাগিদ এলেও এ বিষয়ে সহসাই সিদ্ধান্ত নেওয়া সরকারের জন্য কঠিন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আরও নিবিড় আলোচনার দরকার বলে মনে করছেন তাঁরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার যদি ডিসেম্বরকে ধরে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে, সেটা একটা পক্ষের দিকে যাবে। আবার সংস্কার ও বিচারে গুরুত্ব দিয়ে যদি নির্বাচন নিয়ে বিলম্বের কথা বলে, সে ক্ষেত্রে সরকার অন্যপক্ষের বিরাগভাজন হবে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি সহজ করতে সরকারের সঙ্গে দলগুলোর আরও নিবিড় আলোচনা হওয়া দরকার বলে মনে করছেন সাব্বির আহমেদ। ওই আলোচনার মধ্য দিয়ে সবাইকে একটা জায়গায় এনে এরপর সরকারকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলছেন তিনি।
দায়িত্ব পালনে নানা দিক থেকে বাধা আসায় বিরক্ত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন—এমন কথা চাউর হওয়ার পর থেকেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ নড়াচড়া শুরু হয়েছে। গত শনিবার থেকে একের পর এক রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। তাঁদের প্রায় সবাই প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে অনুরোধ করেছেন। সেই সঙ্গে জুলাই হত্যাযজ্ঞের বিচার ও সংস্কার কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সুস্পষ্ট একটি রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এখন সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, সে দিকে দৃষ্টি সবার।
বিরাজমান অস্থিরতার মধ্যে গত শনিবার বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল রোববারও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন তিনি। এসব বৈঠক থেকে সরকারপ্রধানের কাছে নিজেদের বক্তব্য উত্থাপন করেছে দলগুলো। বৈঠকে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দাবি করেছে বিএনপি। শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দলের নেতাদের বৈঠকের পর গতকাল রোববার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে।
জামায়াতে ইসলামী প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে সরকারের প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন চেয়েছে। এক্ষেত্রে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় উল্লেখসহ রোডম্যাপ চেয়েছে দলটি। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে শনিবারের বৈঠক শেষে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ দিলেই সব অনিশ্চয়তা কেটে যাবে। আমরা দুটি বিষয় স্পষ্ট করার কথা বলেছি।
এক. নির্বাচনটা কখন হবে? আর আপনি যে নির্বাচনের সময় দিয়েছেন, তার মধ্যে জনগণের কোনো ভোগান্তি না হয়ে একটা কমফোর্টেবল টাইমে নির্বাচনটা হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। দুই. আমরা বলেছি, নির্বাচনের আগে সংস্কার এবং বিচারের দৃশ্যমানপ্রক্রিয়া যাতে জনগণ দেখতে পারে।’
অন্য দিকে এনসিপির পক্ষ থেকে বরাবরের মতো নির্বাচনের চেয়ে সংস্কার ও জুলাই গণহত্যার বিচারের দিকে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় প্রধান উপদেষ্টা যে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, সেই দায়িত্ব সম্পন্ন করেই যেন তিনি যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। এ বিষয়ে তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল রোববার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি), নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় গণফ্রন্ট, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, এবি পার্টি, বাসদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টিসহ বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। এসব দলের পক্ষ থেকেও বৈঠকে সরকারকে তার কর্মপরিকল্পনা বিশেষ করে সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাওয়া হয় বলে জানা গেছে।
এদিকে অস্থির পরিস্থিতিকে শান্ত করতে নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করার তাগিদ এলেও এ বিষয়ে সহসাই সিদ্ধান্ত নেওয়া সরকারের জন্য কঠিন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আরও নিবিড় আলোচনার দরকার বলে মনে করছেন তাঁরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার যদি ডিসেম্বরকে ধরে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে, সেটা একটা পক্ষের দিকে যাবে। আবার সংস্কার ও বিচারে গুরুত্ব দিয়ে যদি নির্বাচন নিয়ে বিলম্বের কথা বলে, সে ক্ষেত্রে সরকার অন্যপক্ষের বিরাগভাজন হবে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি সহজ করতে সরকারের সঙ্গে দলগুলোর আরও নিবিড় আলোচনা হওয়া দরকার বলে মনে করছেন সাব্বির আহমেদ। ওই আলোচনার মধ্য দিয়ে সবাইকে একটা জায়গায় এনে এরপর সরকারকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলছেন তিনি।
জাতীয় নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হলে রাজনৈতিক দলগুলো ও বিনিয়োগকারী উভয়ই প্রস্তুতি নিতে পারবে। আজ রোববার (২৫ মে) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিক
৯ ঘণ্টা আগেআমিরে শরীয়ত মাওলানা আবু জাফর কাশেমী ও মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম নেতৃত্বাধীন কমিটি অনুমোদন দিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের একটি অংশ। আজ রোববার (২৫ মে) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে দলটির এই অংশের নেতারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে
১০ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় দফায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল-সংগঠনের নেতারা। আজ রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যার পর থেকে এই নেতারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে আসতে থাকেন।
১০ ঘণ্টা আগেতারেক রহমান বলেন, দেশের জনগণ সরকারের করুণার পাত্র নয়। সরকার অবশ্যই জনগণের ন্যায্য দাবি মানতে ও শুনতে বাধ্য। এখানে সরকারের মান-অভিমান কিংবা রাগ-বিরাগের কোনো সুযোগ নেই।
১১ ঘণ্টা আগে