নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতির কারখানায় পরিণত করা হলে সরকার অ্যাকশনে যাবে বলে সতর্ক করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ রোববার তেজগাঁওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদ, অপরাজনীতির কারখানায় পরিণত করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। সেই রকম হলে সরকারকে অ্যাকশনে যেতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সব অপকর্ম-অন্যায়ের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর জিরো ট্রলারেন্স। সেই নীতিতে আমরা এগিয়ে চলেছি। বুয়েটে আবরার হত্যাকাণ্ডে আমরা ছাড় দেইনি। আজকে আমি রাজনীতি করি, সেখানে বুয়েটে যেতে পারব না—এটা কোন ধরনের আইন? এটা কোন ধরনের নীতি?’
২০১৯ সালে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে। এরপর ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে গত বুধবার রাতে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম চালান।
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা অবস্থায় বুয়েটে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, দপ্তর সম্পাদকসহ অনেকের প্রবেশের ঘটনার পর থেকে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীরা শনিবার দ্বিতীয় দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন। তাঁরা ছয় শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কারের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দাবি তুলে ধরেছেন। রোববার বিক্ষোভ না করলেও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন চলছে। আর ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ করছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা হয়। এতে চট্টগ্রামের নেতাদের উদ্দেশে নির্বাচন নিয়ে নির্দেশনা দেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সামনে উপজেলা নির্বাচন। নেত্রীর নির্দেশনা জানেন। আপনাদের প্রস্তাব ছিল কোনো প্রার্থী না দেওয়ার। আপনাদের খুব দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। একেক জনের একেক রকম কথাবার্তা দলকে বিভ্রান্ত করে। যা খুশি বলে দিবেন? এটা তো আওয়ামী লীগ নয়, ফ্রি স্টাইলে কথা বললে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকলে নেত্রী যে উদ্দেশ্যে নির্বাচন করতে চান, সেটা বাস্তবায়িত হবে। নিজের ওপরে ছেড়ে দিলাম।’
কাদের বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগের নেতারা চায়ের দোকানে বসে দলের বিরুদ্ধে কথা বলে। এ ধরনের নেতাদের পরিহার করতে হবে। উপজেলা নির্বাচনে ফ্রি-ফেয়ার ভোট হবে, জনগণ যাকে ভোট দেওয়ার দেবে। এখানে আপনারা ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না।’
তিনি বলেন, মঈন খানের মতো নেতারা আজকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলেন। বিএনপির নেতাদের কেউ বলেন গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার, আবার কেউ বলেন ভারতের পণ্য বর্জন। বিএনপির সব ইস্যু নির্বাচনে মার খেয়েছে। এখন তাদের নতুন ইস্যু ভারতবিরোধী।
বিএনপি মিথ্যাচার করছে দাবি করে কাদের বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতা ছেড়ে যায়, তখন বাংলাদেশের রির্জাভ ছিল সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার। এখন তারা আমাদের রির্জাভ নিয়ে কটাক্ষ করে। এখন আমাদের রির্জাভ ২১ বিলিয়ন ডলারের ওপরে।’
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, অর্থবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান,দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপদপ্তর সায়েম খান প্রমুখ।
ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতির কারখানায় পরিণত করা হলে সরকার অ্যাকশনে যাবে বলে সতর্ক করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ রোববার তেজগাঁওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদ, অপরাজনীতির কারখানায় পরিণত করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। সেই রকম হলে সরকারকে অ্যাকশনে যেতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সব অপকর্ম-অন্যায়ের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর জিরো ট্রলারেন্স। সেই নীতিতে আমরা এগিয়ে চলেছি। বুয়েটে আবরার হত্যাকাণ্ডে আমরা ছাড় দেইনি। আজকে আমি রাজনীতি করি, সেখানে বুয়েটে যেতে পারব না—এটা কোন ধরনের আইন? এটা কোন ধরনের নীতি?’
২০১৯ সালে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে। এরপর ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে গত বুধবার রাতে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম চালান।
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা অবস্থায় বুয়েটে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, দপ্তর সম্পাদকসহ অনেকের প্রবেশের ঘটনার পর থেকে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীরা শনিবার দ্বিতীয় দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন। তাঁরা ছয় শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কারের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দাবি তুলে ধরেছেন। রোববার বিক্ষোভ না করলেও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন চলছে। আর ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ করছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা হয়। এতে চট্টগ্রামের নেতাদের উদ্দেশে নির্বাচন নিয়ে নির্দেশনা দেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সামনে উপজেলা নির্বাচন। নেত্রীর নির্দেশনা জানেন। আপনাদের প্রস্তাব ছিল কোনো প্রার্থী না দেওয়ার। আপনাদের খুব দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। একেক জনের একেক রকম কথাবার্তা দলকে বিভ্রান্ত করে। যা খুশি বলে দিবেন? এটা তো আওয়ামী লীগ নয়, ফ্রি স্টাইলে কথা বললে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকলে নেত্রী যে উদ্দেশ্যে নির্বাচন করতে চান, সেটা বাস্তবায়িত হবে। নিজের ওপরে ছেড়ে দিলাম।’
কাদের বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগের নেতারা চায়ের দোকানে বসে দলের বিরুদ্ধে কথা বলে। এ ধরনের নেতাদের পরিহার করতে হবে। উপজেলা নির্বাচনে ফ্রি-ফেয়ার ভোট হবে, জনগণ যাকে ভোট দেওয়ার দেবে। এখানে আপনারা ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না।’
তিনি বলেন, মঈন খানের মতো নেতারা আজকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলেন। বিএনপির নেতাদের কেউ বলেন গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার, আবার কেউ বলেন ভারতের পণ্য বর্জন। বিএনপির সব ইস্যু নির্বাচনে মার খেয়েছে। এখন তাদের নতুন ইস্যু ভারতবিরোধী।
বিএনপি মিথ্যাচার করছে দাবি করে কাদের বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতা ছেড়ে যায়, তখন বাংলাদেশের রির্জাভ ছিল সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার। এখন তারা আমাদের রির্জাভ নিয়ে কটাক্ষ করে। এখন আমাদের রির্জাভ ২১ বিলিয়ন ডলারের ওপরে।’
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, অর্থবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান,দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপদপ্তর সায়েম খান প্রমুখ।
একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর প্রভাবাধীন হয়ে অন্তর্বর্তী সরকার আগামী বছরের এপ্রিল মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে—এমন অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। দলটি এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিতে রাজি নয়, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে বরাবরের মতো অনড় অবস্থান ব্যক্ত করেছে।
৮ ঘণ্টা আগেএপ্রিল মাসের প্রতিকূল আবহাওয়া, পাবলিক পরীক্ষা, এবং এর আগে রোজার কারণে সবমিলিয়ে নির্বাচনের জন্য কতটা অনুকূল ও বাস্তবসম্মত হবে—সে ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে গণসংহতি আন্দোলন। আজ শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের ভাষণের প্ররিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলটি এক প্রেস বিবৃতিতে এমনটি জানায়।
১৪ ঘণ্টা আগেজাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণে জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। আজ শুক্রবার (৬ জুন) এক প্রেস বিবৃতিতে তিনি এমনটি জানান।
১৫ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে ‘নির্বাচনের রোডম্যাপ’ ঘোষণা করায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (৬ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি এই সন্তোষ প্রকাশ করেন।
১৫ ঘণ্টা আগে