নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে বেশ কয়েকটি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে দুর্ভিক্ষের লক্ষণ দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, এমনটা হলে কেউই রেহাই পাবে না; অন্যদিকে হাততালি দেবে পতিত ফ্যাসিস্টরা।
আজ শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জিয়া পরিষদের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুসের রোগমুক্তি কামনায় দুস্থদের জায়নামাজ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান। জিয়া পরিষদ অনুষ্ঠানটির আয়োজক।
দেশের অর্থনীতিতে ‘করুণ’ অবস্থা চলছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘অসংখ্য গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মানুষ কর্মহীন হচ্ছে। মানুষ যদি খাবার কিনতে না পারে, তাহলে দুর্ভিক্ষের আলামত তৈরি হবে। এই আলামত তৈরি হলে কেউই রেহাই পাবে না। আর হাততালি দেবে ওই পতিত ফ্যাসিস্টরা।
‘এটা শুধু মুখের কথা নয়। সামনে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে দেশে দুর্ভিক্ষ হয় কি না, তা এখন মানুষের মনে-মনে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবকে আমরা সবাই সমর্থন করে যাচ্ছি। কিন্তু এটাও তো ঠিক, দুর্ভিক্ষের আলামত যদি আমরা দেখতে পাই, শুনতে পাই, তাহলে তো জনগণ আমাদের ছেড়ে দেবে না।’
জনগণের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে বৃহত্তর আদর্শের জন্য লড়াই করছে। মানবিক মর্যাদা, সাম্য, ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করছে। আমরা আইনের শাসনের জন্য লড়াই করছি, যার জন্য দরকার চিরায়ত গণতন্ত্র, প্রকৃত গণতন্ত্র, খাঁটি গণতন্ত্র। এটা বৃহত্তর আদর্শের লড়াই, যেখানে জনগণের মালিকানা জনগণ ফিরে পাবে। সেই মালিকানা আটকে রাখা তো বড় ধরনের ফ্যাসিবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া।’
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চলমান সংস্কার আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, ‘আলোচনায় বিএনপির পক্ষ থেকে সংস্কারবিরোধী কোনো কথা বলা হয়নি। সংস্কারের পক্ষেই বলা হয়েছে। সবাই যে সংস্কারের কথা বলছেন, বিএনপির ৩১ দফায় তার প্রায় সবই আছে।’
জুলাই সনদকে এনসিপি সংবিধানের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করার যে দাবি জানিয়েছে, তার সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জুলাই সনদের অনেক বিষয় বিএনপি গ্রহণ করেছে। কিন্তু এটি সংবিধানের মূলনীতির মধ্যে নিতে হবে কেন? যুগে যুগে দেশে দেশে আরও সংস্কার হবে। সংস্কার কোনো পর্বতমালার মতো স্থির বিষয় নয়। সংস্কার একটি গতিশীল ব্যাপার। সমাজ ও রাষ্ট্রে যখন যেটির প্রয়োজন হবে, গণতন্ত্রের স্বার্থে, রাষ্ট্রের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে তখনই সংস্কার করে সেই আইন প্রণয়ন করতে হবে। এটাই তো গণতান্ত্রিক সংবিধানের নিয়ম।
‘কিন্তু এটাকে মূলনীতির মধ্যে নিতে হবে, ‘‘আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন’’—এসব কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। কেন জনগণকে এভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে? এটা না করে আমরা বলেছি, জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফেরত দেন—এটাই সবচেয়ে বড় কাজ। এটাই গত ১৬ বছর শেখ হাসিনা বন্ধ করে রেখেছিলেন, দরজায় খিল দিয়ে রেখেছিলেন। সেই বন্ধ দরজা আমাদের এখন খুলতে হবে। সেটি খোলার জন্য জনগণকে ফিরিয়ে দিতে হবে ক্ষমতা। অর্থাৎ, তাদের মনোনীত সরকার গঠন করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, জিয়া পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম, মহাসচিব এমতাজ হোসেন প্রমুখ।
জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে বেশ কয়েকটি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে দুর্ভিক্ষের লক্ষণ দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, এমনটা হলে কেউই রেহাই পাবে না; অন্যদিকে হাততালি দেবে পতিত ফ্যাসিস্টরা।
আজ শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জিয়া পরিষদের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুসের রোগমুক্তি কামনায় দুস্থদের জায়নামাজ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান। জিয়া পরিষদ অনুষ্ঠানটির আয়োজক।
দেশের অর্থনীতিতে ‘করুণ’ অবস্থা চলছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘অসংখ্য গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মানুষ কর্মহীন হচ্ছে। মানুষ যদি খাবার কিনতে না পারে, তাহলে দুর্ভিক্ষের আলামত তৈরি হবে। এই আলামত তৈরি হলে কেউই রেহাই পাবে না। আর হাততালি দেবে ওই পতিত ফ্যাসিস্টরা।
‘এটা শুধু মুখের কথা নয়। সামনে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে দেশে দুর্ভিক্ষ হয় কি না, তা এখন মানুষের মনে-মনে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবকে আমরা সবাই সমর্থন করে যাচ্ছি। কিন্তু এটাও তো ঠিক, দুর্ভিক্ষের আলামত যদি আমরা দেখতে পাই, শুনতে পাই, তাহলে তো জনগণ আমাদের ছেড়ে দেবে না।’
জনগণের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে বৃহত্তর আদর্শের জন্য লড়াই করছে। মানবিক মর্যাদা, সাম্য, ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করছে। আমরা আইনের শাসনের জন্য লড়াই করছি, যার জন্য দরকার চিরায়ত গণতন্ত্র, প্রকৃত গণতন্ত্র, খাঁটি গণতন্ত্র। এটা বৃহত্তর আদর্শের লড়াই, যেখানে জনগণের মালিকানা জনগণ ফিরে পাবে। সেই মালিকানা আটকে রাখা তো বড় ধরনের ফ্যাসিবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া।’
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চলমান সংস্কার আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, ‘আলোচনায় বিএনপির পক্ষ থেকে সংস্কারবিরোধী কোনো কথা বলা হয়নি। সংস্কারের পক্ষেই বলা হয়েছে। সবাই যে সংস্কারের কথা বলছেন, বিএনপির ৩১ দফায় তার প্রায় সবই আছে।’
জুলাই সনদকে এনসিপি সংবিধানের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করার যে দাবি জানিয়েছে, তার সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জুলাই সনদের অনেক বিষয় বিএনপি গ্রহণ করেছে। কিন্তু এটি সংবিধানের মূলনীতির মধ্যে নিতে হবে কেন? যুগে যুগে দেশে দেশে আরও সংস্কার হবে। সংস্কার কোনো পর্বতমালার মতো স্থির বিষয় নয়। সংস্কার একটি গতিশীল ব্যাপার। সমাজ ও রাষ্ট্রে যখন যেটির প্রয়োজন হবে, গণতন্ত্রের স্বার্থে, রাষ্ট্রের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে তখনই সংস্কার করে সেই আইন প্রণয়ন করতে হবে। এটাই তো গণতান্ত্রিক সংবিধানের নিয়ম।
‘কিন্তু এটাকে মূলনীতির মধ্যে নিতে হবে, ‘‘আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন’’—এসব কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। কেন জনগণকে এভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে? এটা না করে আমরা বলেছি, জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফেরত দেন—এটাই সবচেয়ে বড় কাজ। এটাই গত ১৬ বছর শেখ হাসিনা বন্ধ করে রেখেছিলেন, দরজায় খিল দিয়ে রেখেছিলেন। সেই বন্ধ দরজা আমাদের এখন খুলতে হবে। সেটি খোলার জন্য জনগণকে ফিরিয়ে দিতে হবে ক্ষমতা। অর্থাৎ, তাদের মনোনীত সরকার গঠন করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, জিয়া পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম, মহাসচিব এমতাজ হোসেন প্রমুখ।
দখল, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ সব ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা, দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা—কোনো কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছে না। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের হুঁশিয়ারি, সাংগঠনিক বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের অপকর্ম অব্যাহত রয়েছে। এ নিয়ে দেশজুড়ে জনমনে ক্ষোভ...
৩ ঘণ্টা আগেদেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটির পক্ষ থেকে এসব ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও বিচার দাবি করা হয়েছে। একইসঙ্গে দলটি জানিয়েছে, রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
৮ ঘণ্টা আগেকারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিল না, তা বিবেচনায় নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সত্যিকারভাবে খুঁজে বের করতে হবে কারা বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আজ, গতকাল, গত পরশু বা ৫০ বছর আগে বাংলাদেশের মানুষের..
৮ ঘণ্টা আগেমিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ডসহ কয়েকটি ঘটনার দ্রুত তদন্ত এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সরকারকে আহ্বান জানাব, অতিদ্রুত তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় জাতি আপনাদের ক্ষমা করবে না।’
৮ ঘণ্টা আগে