নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে আবারও তারুণ্যের সমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি। যথারীতি দলটির তিন সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল এবারও এসব সমাবেশের আয়োজন করবে। আগামী ৭ মে চট্টগ্রাম থেকে বিভাগীয় শহরের তারুণ্যের এই সমাবেশের যাত্রা শুরু হবে। তারুণ্যের সমাবেশকে সামনে রেখে সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠন তিনটি যৌথ সভা ডেকেছে বলে জানা গেছে।
সূত্র বলছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও নির্বাচনের দিনক্ষণের ঘোষণা না আসায় এখন পর্যন্ত স্বস্তি ফেরেনি বিএনপিতে। সরকারের একেক সময়ে একেক বক্তব্যে বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছে, যাতে করে আগামী নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার হলেও এখন পর্যন্ত কোনো আশার আলো দেখছেন না দলের নীতিনির্ধারকেরা। এ অবস্থায় সরকারকে চাপে রাখতে নানা করণীয় নিয়ে পরিকল্পনা করছেন তাঁরা।
এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ব্যানারে ভিন্ন মাত্রার কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখানেই যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে তরুণদের নিয়ে এ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়।
স্থায়ী কমিটির এমন সিদ্ধান্তের পর তিন সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকমান্ডের নির্দেশ পেয়ে কর্মসূচির দিনক্ষণ চূড়ান্তে দফায় দফায় বৈঠক করেন তাঁরা। কর্মসূচির খসড়া তৈরি করে হাইকমান্ডের কাছে পাঠানো হয়। জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে কর্মসূচির দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়।
এর আগে ২০২৩ সালের জুনে দেশের ৬টি বিভাগীয় শহরে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে তারুণ্যের সমাবেশ হয়। ‘তরুণ প্রজন্ম দেব ভোট, ভোটের জন্য যুদ্ধ হোক’—এ স্লোগানে অনুষ্ঠিত সমাবেশ তরুণদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। তৎকালীন সরকারের নানা বাধাবিঘ্ন উপেক্ষা করে সমাবেশ সফল হয়।
তবে এবার প্রেক্ষাপট একেবারেই ভিন্ন। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নির্বাচন আদায় করাই এখন বিএনপির বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত ওই নির্বাচনকে সামনে রেখেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা। তাঁরা বলছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আট মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়নি। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে ঐকমত্য গড়তে সমমনাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এখান থেকে সরকারকে বার্তা দেওয়া হবে—দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত এবং তারা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। এর মধ্য দিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যাবে। এরই অংশ হিসেবেই তারুণ্যের সমাবেশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দলটির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বলেন, ‘সমাবেশের মধ্য দিয়ে তরুণদের কাছে নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হবে। অন্যদিকে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে সংগঠনগুলোতে ছোটখাটো যেসব বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে, তারও লাগাম টানা সহজ হবে। এসব সমাবেশের মধ্য দিয়ে নেতা-কর্মীদের ব্যস্ত রাখা গেলে এরই মধ্যে অপবাদ আর অপকর্মের যেসব অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে উঠেছে, সেখান থেকে দূরে রাখা যাবে। এতে সংগঠনগুলোতে সাংগঠনিক গতিশীলতাও বাড়বে।’
এদিকে তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রতিটি সাংগঠনিক জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা হচ্ছে। সারা দেশের সব ইউনিট নেতাদের সঙ্গেও ধারাবাহিক বৈঠক করছেন তিন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে আবারও তারুণ্যের সমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি। যথারীতি দলটির তিন সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল এবারও এসব সমাবেশের আয়োজন করবে। আগামী ৭ মে চট্টগ্রাম থেকে বিভাগীয় শহরের তারুণ্যের এই সমাবেশের যাত্রা শুরু হবে। তারুণ্যের সমাবেশকে সামনে রেখে সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠন তিনটি যৌথ সভা ডেকেছে বলে জানা গেছে।
সূত্র বলছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও নির্বাচনের দিনক্ষণের ঘোষণা না আসায় এখন পর্যন্ত স্বস্তি ফেরেনি বিএনপিতে। সরকারের একেক সময়ে একেক বক্তব্যে বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছে, যাতে করে আগামী নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার হলেও এখন পর্যন্ত কোনো আশার আলো দেখছেন না দলের নীতিনির্ধারকেরা। এ অবস্থায় সরকারকে চাপে রাখতে নানা করণীয় নিয়ে পরিকল্পনা করছেন তাঁরা।
এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ব্যানারে ভিন্ন মাত্রার কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখানেই যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে তরুণদের নিয়ে এ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়।
স্থায়ী কমিটির এমন সিদ্ধান্তের পর তিন সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকমান্ডের নির্দেশ পেয়ে কর্মসূচির দিনক্ষণ চূড়ান্তে দফায় দফায় বৈঠক করেন তাঁরা। কর্মসূচির খসড়া তৈরি করে হাইকমান্ডের কাছে পাঠানো হয়। জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে কর্মসূচির দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়।
এর আগে ২০২৩ সালের জুনে দেশের ৬টি বিভাগীয় শহরে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে তারুণ্যের সমাবেশ হয়। ‘তরুণ প্রজন্ম দেব ভোট, ভোটের জন্য যুদ্ধ হোক’—এ স্লোগানে অনুষ্ঠিত সমাবেশ তরুণদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। তৎকালীন সরকারের নানা বাধাবিঘ্ন উপেক্ষা করে সমাবেশ সফল হয়।
তবে এবার প্রেক্ষাপট একেবারেই ভিন্ন। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নির্বাচন আদায় করাই এখন বিএনপির বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত ওই নির্বাচনকে সামনে রেখেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা। তাঁরা বলছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আট মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়নি। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে ঐকমত্য গড়তে সমমনাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এখান থেকে সরকারকে বার্তা দেওয়া হবে—দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত এবং তারা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। এর মধ্য দিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যাবে। এরই অংশ হিসেবেই তারুণ্যের সমাবেশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দলটির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বলেন, ‘সমাবেশের মধ্য দিয়ে তরুণদের কাছে নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হবে। অন্যদিকে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে সংগঠনগুলোতে ছোটখাটো যেসব বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে, তারও লাগাম টানা সহজ হবে। এসব সমাবেশের মধ্য দিয়ে নেতা-কর্মীদের ব্যস্ত রাখা গেলে এরই মধ্যে অপবাদ আর অপকর্মের যেসব অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে উঠেছে, সেখান থেকে দূরে রাখা যাবে। এতে সংগঠনগুলোতে সাংগঠনিক গতিশীলতাও বাড়বে।’
এদিকে তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রতিটি সাংগঠনিক জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা হচ্ছে। সারা দেশের সব ইউনিট নেতাদের সঙ্গেও ধারাবাহিক বৈঠক করছেন তিন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় দলটির কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। গোপালগঞ্জে হামলার ঘটনা প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করি নাই ফ্যাসিবাদী পতিত শক্তি গোপালগঞ্জে হোক আর যেখানে হোক, গণ-অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে ফের লংমার্চ করার কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দ্রুত বিচার না করলে গোপালগঞ্জে আমরা শিগগির লংমার্চ করব। এবার গোপালগঞ্জকে আওয়ামী লীগ ও মুজিববাদমুক্ত করে ফিরে আসব।’ এ ছাড়া তিনি গোপালগঞ্জে সাধারণ মানুষকে হেনস্তা না করার
৪ ঘণ্টা আগেসরকারের নির্লিপ্ততা এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতায় সারা দেশে মবোক্রেসির রাজত্ব হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা জুলাই ছাত্র গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত করেছিলাম ডেমোক্রেসির জন্য। আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি, চেয়েছিলাম ডেমোক্রেসি, হয়ে যাচ্ছে মবোক্রেস।’
৪ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গোপালগঞ্জ ও পুরো বাংলাদেশকে মুজিববাদী সন্ত্রাস ও ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত করবে বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, গোপালগঞ্জের প্রতিটি ঘরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পতাকা উড়বে। তিনি আরও বলেন, তাঁরা আবারও গোপালগঞ্জ যাবেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেসবুকে দেওয়া এক পো
৬ ঘণ্টা আগে