নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিদেশ ভ্রমণের টিকিট দিলে আমলারা অনেক কিছু স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত থাকেন বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, আমলাদের পরিবারসহ বিদেশ ভ্রমণের টিকিট দিলে তাঁরা অনেক কিছু স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত থাকেন।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের আনোয়ার হোসেন মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে পরমাণুবিজ্ঞান গবেষণার সম্ভাবনা, সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ফরহাদ মজহার এ কথা বলেন। বাংলাদেশের সচেতন বিজ্ঞানী সমাজ ও ভাববৈঠকি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
পরাশক্তিগুলো এখন আমলাতন্ত্রের মাধ্যমে দেশের নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আশির দশক পর্যন্ত দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে সামরিক অংশগ্রহণ থাকত। কিন্তু এখন পরাশক্তিগুলো বিভিন্ন এজেন্সি ও প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে এই নিয়ন্ত্রণ চূড়ান্ত করে। আমলাদের পরিবারসহ বিদেশ ভ্রমণের টিকিট দিলে তাঁরা অনেক কিছু স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত থাকেন।’
ফরহাদ মজহার আরও বলেন, জনগণের অর্থে বিদেশে গিয়ে সরকারি আমলাদের করা পিএইচডির প্রায়োগিক ক্ষেত্র কোথায়? প্রশাসন সম্পর্কে ধারণা নিতে পিএইচডির প্রয়োজন হলে তাঁরা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সেটা করতে পারেন। যে রাষ্ট্র স্বাধীনভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিচর্চা গড়ে তুলতে পারে না, তাদের সার্বভৌমত্ব অর্থহীন। আধুনিক রাষ্ট্রকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হলে পরমাণু ও বিজ্ঞানচর্চায় স্বাধীনতার বিকল্প নেই। ৫৪ বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশের মানুষকে এই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বহুবার জীবন দিতে হয়েছে।
ফরহাদ মজহার আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে হবে। জ্ঞান উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়াতে এখনো মনোযোগী হওয়া যায়নি। এটা খুবই দুঃখজনক। রাষ্ট্রকে শক্তিশালী করতে পরমাণু শক্তি কমিশনের স্বায়ত্তশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা জরুরি। এখানকার বিজ্ঞানীদের গবেষণা কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা দেওয়া জরুরি। জানি না, প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেশ কতটা নিরাপদ। কারণ, জনগণের কাছে প্রধান উপদেষ্টাকে জবাবদিহি করার মতো কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি।’
এ কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক বলেন, গত ৮ আগস্ট পুরোনো সংবিধানের অধীনে উপদেষ্টারা শপথ গ্রহণ করায় চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস হয়ে গেছে। ছাত্ররা যে নতুন সংবিধানের কথা বলছেন, সেটা অর্জিত হলে সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের স্বাধীনতা ফিরে পাবে। এ সময় তিনি পরমাণু শক্তি কমিশনের উত্থাপিত ১১ দাবির প্রতি সমর্থন জানান।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন বলেন, পরমাণু শক্তি কমিশনের আগের সেই জৌলুশ এখন মলিন হয়ে গেছে। পাশের দেশ ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের জৌলুশ দূর থেকেও বোঝা যায়। পরমাণু শক্তি কমিশনের নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকাকে বিস্ময়কর বলে মন্তব্য করে অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন আরও বলেন, এই অন্যায়ের প্রতিবাদ আরও আগেই হওয়া উচিত ছিল। ভারত ও পাকিস্তানের পরমাণু কমিশন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর অধীনে থাকে। বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান মন্ত্রণালয়ের অধীনে থেকে সফল হতে পারেনি। কারণ, সরকারি কর্মকর্তারা শুধু সার্টিফিকেট (সনদ) চেনেন।
আলোচনায় আরও অংশ নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য দেন কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম সাইফুল্লাহ। আরও উপস্থিত ছিলেন সভার প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ রোমেল, পরমাণু শক্তি কমিশনের অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক ফারিয়া নাসরীন প্রমুখ।
সভায় পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে ১০টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে চেয়ারম্যান ও চার সদস্যসংবলিত একটি পূর্ণাঙ্গ কমিশন গঠন করা, কমিশনের নিউক্লিয় তথ্যের সুরক্ষা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয় সৃষ্ট বিভিন্ন সফটওয়্যারে তথ্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতা দূর করা, কমিশনকে আর্থিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া, মালিক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সঙ্গে ‘বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি’ সম্পাদিত করা, কমিশনের সব অস্থায়ী পদ স্থায়ী করা, নতুন পথ সৃজন ও সমধর্মী প্রতিষ্ঠানের মতো সুযোগ-সুবিধা যেমন—গৃহনির্মাণ/ ফ্ল্যাট ক্রয় ঋণ, রেশন ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সুদমুক্ত ঋণ ও গাড়িসেবা নগদায়ন সুবিধা চালু করা, ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অবমাননাকর অবস্থান উন্নীত করা ইত্যাদি।
বিদেশ ভ্রমণের টিকিট দিলে আমলারা অনেক কিছু স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত থাকেন বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, আমলাদের পরিবারসহ বিদেশ ভ্রমণের টিকিট দিলে তাঁরা অনেক কিছু স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত থাকেন।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের আনোয়ার হোসেন মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে পরমাণুবিজ্ঞান গবেষণার সম্ভাবনা, সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ফরহাদ মজহার এ কথা বলেন। বাংলাদেশের সচেতন বিজ্ঞানী সমাজ ও ভাববৈঠকি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
পরাশক্তিগুলো এখন আমলাতন্ত্রের মাধ্যমে দেশের নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আশির দশক পর্যন্ত দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে সামরিক অংশগ্রহণ থাকত। কিন্তু এখন পরাশক্তিগুলো বিভিন্ন এজেন্সি ও প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে এই নিয়ন্ত্রণ চূড়ান্ত করে। আমলাদের পরিবারসহ বিদেশ ভ্রমণের টিকিট দিলে তাঁরা অনেক কিছু স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত থাকেন।’
ফরহাদ মজহার আরও বলেন, জনগণের অর্থে বিদেশে গিয়ে সরকারি আমলাদের করা পিএইচডির প্রায়োগিক ক্ষেত্র কোথায়? প্রশাসন সম্পর্কে ধারণা নিতে পিএইচডির প্রয়োজন হলে তাঁরা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সেটা করতে পারেন। যে রাষ্ট্র স্বাধীনভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিচর্চা গড়ে তুলতে পারে না, তাদের সার্বভৌমত্ব অর্থহীন। আধুনিক রাষ্ট্রকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হলে পরমাণু ও বিজ্ঞানচর্চায় স্বাধীনতার বিকল্প নেই। ৫৪ বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশের মানুষকে এই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বহুবার জীবন দিতে হয়েছে।
ফরহাদ মজহার আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে হবে। জ্ঞান উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়াতে এখনো মনোযোগী হওয়া যায়নি। এটা খুবই দুঃখজনক। রাষ্ট্রকে শক্তিশালী করতে পরমাণু শক্তি কমিশনের স্বায়ত্তশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা জরুরি। এখানকার বিজ্ঞানীদের গবেষণা কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা দেওয়া জরুরি। জানি না, প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেশ কতটা নিরাপদ। কারণ, জনগণের কাছে প্রধান উপদেষ্টাকে জবাবদিহি করার মতো কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি।’
এ কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক বলেন, গত ৮ আগস্ট পুরোনো সংবিধানের অধীনে উপদেষ্টারা শপথ গ্রহণ করায় চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস হয়ে গেছে। ছাত্ররা যে নতুন সংবিধানের কথা বলছেন, সেটা অর্জিত হলে সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের স্বাধীনতা ফিরে পাবে। এ সময় তিনি পরমাণু শক্তি কমিশনের উত্থাপিত ১১ দাবির প্রতি সমর্থন জানান।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন বলেন, পরমাণু শক্তি কমিশনের আগের সেই জৌলুশ এখন মলিন হয়ে গেছে। পাশের দেশ ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের জৌলুশ দূর থেকেও বোঝা যায়। পরমাণু শক্তি কমিশনের নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকাকে বিস্ময়কর বলে মন্তব্য করে অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন আরও বলেন, এই অন্যায়ের প্রতিবাদ আরও আগেই হওয়া উচিত ছিল। ভারত ও পাকিস্তানের পরমাণু কমিশন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর অধীনে থাকে। বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান মন্ত্রণালয়ের অধীনে থেকে সফল হতে পারেনি। কারণ, সরকারি কর্মকর্তারা শুধু সার্টিফিকেট (সনদ) চেনেন।
আলোচনায় আরও অংশ নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য দেন কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম সাইফুল্লাহ। আরও উপস্থিত ছিলেন সভার প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ রোমেল, পরমাণু শক্তি কমিশনের অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক ফারিয়া নাসরীন প্রমুখ।
সভায় পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে ১০টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে চেয়ারম্যান ও চার সদস্যসংবলিত একটি পূর্ণাঙ্গ কমিশন গঠন করা, কমিশনের নিউক্লিয় তথ্যের সুরক্ষা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয় সৃষ্ট বিভিন্ন সফটওয়্যারে তথ্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতা দূর করা, কমিশনকে আর্থিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া, মালিক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সঙ্গে ‘বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি’ সম্পাদিত করা, কমিশনের সব অস্থায়ী পদ স্থায়ী করা, নতুন পথ সৃজন ও সমধর্মী প্রতিষ্ঠানের মতো সুযোগ-সুবিধা যেমন—গৃহনির্মাণ/ ফ্ল্যাট ক্রয় ঋণ, রেশন ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সুদমুক্ত ঋণ ও গাড়িসেবা নগদায়ন সুবিধা চালু করা, ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অবমাননাকর অবস্থান উন্নীত করা ইত্যাদি।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিদেশ ভ্রমণের টিকিট দিলে আমলারা অনেক কিছু স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত থাকেন বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, আমলাদের পরিবারসহ বিদেশ ভ্রমণের টিকিট দিলে তাঁরা অনেক কিছু স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত থাকেন।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের আনোয়ার হোসেন মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে পরমাণুবিজ্ঞান গবেষণার সম্ভাবনা, সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ফরহাদ মজহার এ কথা বলেন। বাংলাদেশের সচেতন বিজ্ঞানী সমাজ ও ভাববৈঠকি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
পরাশক্তিগুলো এখন আমলাতন্ত্রের মাধ্যমে দেশের নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আশির দশক পর্যন্ত দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে সামরিক অংশগ্রহণ থাকত। কিন্তু এখন পরাশক্তিগুলো বিভিন্ন এজেন্সি ও প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে এই নিয়ন্ত্রণ চূড়ান্ত করে। আমলাদের পরিবারসহ বিদেশ ভ্রমণের টিকিট দিলে তাঁরা অনেক কিছু স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত থাকেন।’
ফরহাদ মজহার আরও বলেন, জনগণের অর্থে বিদেশে গিয়ে সরকারি আমলাদের করা পিএইচডির প্রায়োগিক ক্ষেত্র কোথায়? প্রশাসন সম্পর্কে ধারণা নিতে পিএইচডির প্রয়োজন হলে তাঁরা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সেটা করতে পারেন। যে রাষ্ট্র স্বাধীনভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিচর্চা গড়ে তুলতে পারে না, তাদের সার্বভৌমত্ব অর্থহীন। আধুনিক রাষ্ট্রকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হলে পরমাণু ও বিজ্ঞানচর্চায় স্বাধীনতার বিকল্প নেই। ৫৪ বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশের মানুষকে এই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বহুবার জীবন দিতে হয়েছে।
ফরহাদ মজহার আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে হবে। জ্ঞান উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়াতে এখনো মনোযোগী হওয়া যায়নি। এটা খুবই দুঃখজনক। রাষ্ট্রকে শক্তিশালী করতে পরমাণু শক্তি কমিশনের স্বায়ত্তশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা জরুরি। এখানকার বিজ্ঞানীদের গবেষণা কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা দেওয়া জরুরি। জানি না, প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেশ কতটা নিরাপদ। কারণ, জনগণের কাছে প্রধান উপদেষ্টাকে জবাবদিহি করার মতো কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি।’
এ কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক বলেন, গত ৮ আগস্ট পুরোনো সংবিধানের অধীনে উপদেষ্টারা শপথ গ্রহণ করায় চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস হয়ে গেছে। ছাত্ররা যে নতুন সংবিধানের কথা বলছেন, সেটা অর্জিত হলে সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের স্বাধীনতা ফিরে পাবে। এ সময় তিনি পরমাণু শক্তি কমিশনের উত্থাপিত ১১ দাবির প্রতি সমর্থন জানান।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন বলেন, পরমাণু শক্তি কমিশনের আগের সেই জৌলুশ এখন মলিন হয়ে গেছে। পাশের দেশ ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের জৌলুশ দূর থেকেও বোঝা যায়। পরমাণু শক্তি কমিশনের নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকাকে বিস্ময়কর বলে মন্তব্য করে অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন আরও বলেন, এই অন্যায়ের প্রতিবাদ আরও আগেই হওয়া উচিত ছিল। ভারত ও পাকিস্তানের পরমাণু কমিশন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর অধীনে থাকে। বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান মন্ত্রণালয়ের অধীনে থেকে সফল হতে পারেনি। কারণ, সরকারি কর্মকর্তারা শুধু সার্টিফিকেট (সনদ) চেনেন।
আলোচনায় আরও অংশ নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য দেন কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম সাইফুল্লাহ। আরও উপস্থিত ছিলেন সভার প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ রোমেল, পরমাণু শক্তি কমিশনের অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক ফারিয়া নাসরীন প্রমুখ।
সভায় পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে ১০টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে চেয়ারম্যান ও চার সদস্যসংবলিত একটি পূর্ণাঙ্গ কমিশন গঠন করা, কমিশনের নিউক্লিয় তথ্যের সুরক্ষা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয় সৃষ্ট বিভিন্ন সফটওয়্যারে তথ্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতা দূর করা, কমিশনকে আর্থিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া, মালিক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সঙ্গে ‘বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি’ সম্পাদিত করা, কমিশনের সব অস্থায়ী পদ স্থায়ী করা, নতুন পথ সৃজন ও সমধর্মী প্রতিষ্ঠানের মতো সুযোগ-সুবিধা যেমন—গৃহনির্মাণ/ ফ্ল্যাট ক্রয় ঋণ, রেশন ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সুদমুক্ত ঋণ ও গাড়িসেবা নগদায়ন সুবিধা চালু করা, ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অবমাননাকর অবস্থান উন্নীত করা ইত্যাদি।
বিদেশ ভ্রমণের টিকিট দিলে আমলারা অনেক কিছু স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত থাকেন বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, আমলাদের পরিবারসহ বিদেশ ভ্রমণের টিকিট দিলে তাঁরা অনেক কিছু স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত থাকেন।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের আনোয়ার হোসেন মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে পরমাণুবিজ্ঞান গবেষণার সম্ভাবনা, সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ফরহাদ মজহার এ কথা বলেন। বাংলাদেশের সচেতন বিজ্ঞানী সমাজ ও ভাববৈঠকি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
পরাশক্তিগুলো এখন আমলাতন্ত্রের মাধ্যমে দেশের নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আশির দশক পর্যন্ত দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে সামরিক অংশগ্রহণ থাকত। কিন্তু এখন পরাশক্তিগুলো বিভিন্ন এজেন্সি ও প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে এই নিয়ন্ত্রণ চূড়ান্ত করে। আমলাদের পরিবারসহ বিদেশ ভ্রমণের টিকিট দিলে তাঁরা অনেক কিছু স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত থাকেন।’
ফরহাদ মজহার আরও বলেন, জনগণের অর্থে বিদেশে গিয়ে সরকারি আমলাদের করা পিএইচডির প্রায়োগিক ক্ষেত্র কোথায়? প্রশাসন সম্পর্কে ধারণা নিতে পিএইচডির প্রয়োজন হলে তাঁরা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সেটা করতে পারেন। যে রাষ্ট্র স্বাধীনভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিচর্চা গড়ে তুলতে পারে না, তাদের সার্বভৌমত্ব অর্থহীন। আধুনিক রাষ্ট্রকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হলে পরমাণু ও বিজ্ঞানচর্চায় স্বাধীনতার বিকল্প নেই। ৫৪ বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশের মানুষকে এই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বহুবার জীবন দিতে হয়েছে।
ফরহাদ মজহার আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে হবে। জ্ঞান উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়াতে এখনো মনোযোগী হওয়া যায়নি। এটা খুবই দুঃখজনক। রাষ্ট্রকে শক্তিশালী করতে পরমাণু শক্তি কমিশনের স্বায়ত্তশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা জরুরি। এখানকার বিজ্ঞানীদের গবেষণা কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা দেওয়া জরুরি। জানি না, প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেশ কতটা নিরাপদ। কারণ, জনগণের কাছে প্রধান উপদেষ্টাকে জবাবদিহি করার মতো কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি।’
এ কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক বলেন, গত ৮ আগস্ট পুরোনো সংবিধানের অধীনে উপদেষ্টারা শপথ গ্রহণ করায় চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস হয়ে গেছে। ছাত্ররা যে নতুন সংবিধানের কথা বলছেন, সেটা অর্জিত হলে সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের স্বাধীনতা ফিরে পাবে। এ সময় তিনি পরমাণু শক্তি কমিশনের উত্থাপিত ১১ দাবির প্রতি সমর্থন জানান।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন বলেন, পরমাণু শক্তি কমিশনের আগের সেই জৌলুশ এখন মলিন হয়ে গেছে। পাশের দেশ ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের জৌলুশ দূর থেকেও বোঝা যায়। পরমাণু শক্তি কমিশনের নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকাকে বিস্ময়কর বলে মন্তব্য করে অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন আরও বলেন, এই অন্যায়ের প্রতিবাদ আরও আগেই হওয়া উচিত ছিল। ভারত ও পাকিস্তানের পরমাণু কমিশন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর অধীনে থাকে। বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান মন্ত্রণালয়ের অধীনে থেকে সফল হতে পারেনি। কারণ, সরকারি কর্মকর্তারা শুধু সার্টিফিকেট (সনদ) চেনেন।
আলোচনায় আরও অংশ নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য দেন কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম সাইফুল্লাহ। আরও উপস্থিত ছিলেন সভার প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ রোমেল, পরমাণু শক্তি কমিশনের অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক ফারিয়া নাসরীন প্রমুখ।
সভায় পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে ১০টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে চেয়ারম্যান ও চার সদস্যসংবলিত একটি পূর্ণাঙ্গ কমিশন গঠন করা, কমিশনের নিউক্লিয় তথ্যের সুরক্ষা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয় সৃষ্ট বিভিন্ন সফটওয়্যারে তথ্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতা দূর করা, কমিশনকে আর্থিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া, মালিক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সঙ্গে ‘বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি’ সম্পাদিত করা, কমিশনের সব অস্থায়ী পদ স্থায়ী করা, নতুন পথ সৃজন ও সমধর্মী প্রতিষ্ঠানের মতো সুযোগ-সুবিধা যেমন—গৃহনির্মাণ/ ফ্ল্যাট ক্রয় ঋণ, রেশন ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সুদমুক্ত ঋণ ও গাড়িসেবা নগদায়ন সুবিধা চালু করা, ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অবমাননাকর অবস্থান উন্নীত করা ইত্যাদি।
জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত, এমনকি বর্তমান সময় পর্যন্ত দলটির কারণে যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, কারও কোনো ক্ষতি হয়ে থাকে তার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে কোয়ালিশন অব বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশনের (কোবা) উদ্যো
৩০ মিনিট আগেবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং ইসির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া উপস্থিত রয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ মাহদীকে জামিয়া কোরআনিয়া অ্যারাবিয়া লালবাগ মাদ্রাসার শিক্ষক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ‘এনসিপি নাস্তিকদের সংগঠন’—এ কারণ দেখিয়ে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে অভিযোগ করেছেন তিনি।
১৩ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর পুনর্গঠনের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)। সেই ঘোষণা এবার বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আদর্শিক এই ছাত্রসংগঠন নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। সে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে সংগঠনটির
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত, এমনকি বর্তমান সময় পর্যন্ত দলটির কারণে যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, কারও কোনো ক্ষতি হয়ে থাকে তার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে কোয়ালিশন অব বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশনের (কোবা) উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই অবস্থান ব্যক্ত করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা নিয়ে বর্তমান আমীর বলেন, ‘এই অ্যাপলজি আমরা মিনিমাম তিনবার দিয়েছি। প্রফেসর গোলাম আজম সাহেব দিয়েছেন, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী সাহেব দিয়েছেন এবং আমি নিজে দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাত্র কিছুদিন আগেই এটিএম আজারুল ইসলাম সাহেব যখন ফ্রি হলেন জেল থেকে, তখন আমি বলেছি শুধু ৭১ নয়,৪৭ সাল থেকে শুরু করে জামাতে ইসলামীর দ্বারা কেউ যদি কোনো কষ্ট পান, কারও কোনো ক্ষতি হয়ে থাকে—আমি সব ব্যক্তি এবং সংগঠনের পক্ষে নিঃশর্তে আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই। আপনারা আমাদের ক্ষমা করে দেবেন।’
জামায়াতের আমীর বলেন, ‘আজকের দিন পর্যন্ত আমরা ভুল করি নাই—এই কথা বলব কীভাবে? আমরা মানুষ, আমাদের সংগঠন একটা মানুষের সংগঠন। আমাদের ১০০টার মধ্যে ৯৯টা সিদ্ধান্ত সঠিক হলেও একটা তো বেঠিক হইতে পারে! সেই বেঠিক একটা ডিসিশনের জন্য আমার জাতির তো কোনো ক্ষতি হতে পারে। তাহলে সে ক্ষেত্রে আমার কোনো ডিসিশনে জাতির ক্ষতি হলে আমার মাফ চাইতে অসুবিধাটা কোথায়?’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘এখন মাফ চাওয়ার পরে বলে যে, এই ভাষায় চাইলে হবে না, ওই ভাষায় চাইতে হবে। বিনা শর্তে মাফ চাইলাম, কোনো শর্তও দিলাম না। তারপর আর বাকি থাকল কোনটা—এটা তো বুঝি না। আজ আবার একদম প্রকাশ্যে বলে গেলাম—৪৭ থেকে শুরু করে আজকে ২০২৫ সালের ২২ অক্টোবর, আটটা ১১ মিনিট মিনিট পর্যন্ত আমাদের দ্বারা যে যেখানে যত কষ্ট পেয়েছেন আমরা বিনা শর্তে তাদের কাছে মাফ চাই।’
জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত, এমনকি বর্তমান সময় পর্যন্ত দলটির কারণে যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, কারও কোনো ক্ষতি হয়ে থাকে তার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে কোয়ালিশন অব বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশনের (কোবা) উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই অবস্থান ব্যক্ত করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা নিয়ে বর্তমান আমীর বলেন, ‘এই অ্যাপলজি আমরা মিনিমাম তিনবার দিয়েছি। প্রফেসর গোলাম আজম সাহেব দিয়েছেন, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী সাহেব দিয়েছেন এবং আমি নিজে দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাত্র কিছুদিন আগেই এটিএম আজারুল ইসলাম সাহেব যখন ফ্রি হলেন জেল থেকে, তখন আমি বলেছি শুধু ৭১ নয়,৪৭ সাল থেকে শুরু করে জামাতে ইসলামীর দ্বারা কেউ যদি কোনো কষ্ট পান, কারও কোনো ক্ষতি হয়ে থাকে—আমি সব ব্যক্তি এবং সংগঠনের পক্ষে নিঃশর্তে আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই। আপনারা আমাদের ক্ষমা করে দেবেন।’
জামায়াতের আমীর বলেন, ‘আজকের দিন পর্যন্ত আমরা ভুল করি নাই—এই কথা বলব কীভাবে? আমরা মানুষ, আমাদের সংগঠন একটা মানুষের সংগঠন। আমাদের ১০০টার মধ্যে ৯৯টা সিদ্ধান্ত সঠিক হলেও একটা তো বেঠিক হইতে পারে! সেই বেঠিক একটা ডিসিশনের জন্য আমার জাতির তো কোনো ক্ষতি হতে পারে। তাহলে সে ক্ষেত্রে আমার কোনো ডিসিশনে জাতির ক্ষতি হলে আমার মাফ চাইতে অসুবিধাটা কোথায়?’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘এখন মাফ চাওয়ার পরে বলে যে, এই ভাষায় চাইলে হবে না, ওই ভাষায় চাইতে হবে। বিনা শর্তে মাফ চাইলাম, কোনো শর্তও দিলাম না। তারপর আর বাকি থাকল কোনটা—এটা তো বুঝি না। আজ আবার একদম প্রকাশ্যে বলে গেলাম—৪৭ থেকে শুরু করে আজকে ২০২৫ সালের ২২ অক্টোবর, আটটা ১১ মিনিট মিনিট পর্যন্ত আমাদের দ্বারা যে যেখানে যত কষ্ট পেয়েছেন আমরা বিনা শর্তে তাদের কাছে মাফ চাই।’
বিদেশ ভ্রমণের টিকিট দিলে আমলারা অনেক কিছু স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত থাকেন বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, আমলাদের পরিবারসহ বিদেশ ভ্রমণের টিকিট দিলে তাঁরা অনেক কিছু স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত থাকেন।
২১ মে ২০২৫বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং ইসির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া উপস্থিত রয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ মাহদীকে জামিয়া কোরআনিয়া অ্যারাবিয়া লালবাগ মাদ্রাসার শিক্ষক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ‘এনসিপি নাস্তিকদের সংগঠন’—এ কারণ দেখিয়ে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে অভিযোগ করেছেন তিনি।
১৩ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর পুনর্গঠনের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)। সেই ঘোষণা এবার বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আদর্শিক এই ছাত্রসংগঠন নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। সে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে সংগঠনটির
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বৈঠকটি শুরু হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং ইসির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া উপস্থিত রয়েছেন।
সিইসির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বৈঠকটি শুরু হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং ইসির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া উপস্থিত রয়েছেন।
সিইসির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
বিদেশ ভ্রমণের টিকিট দিলে আমলারা অনেক কিছু স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত থাকেন বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, আমলাদের পরিবারসহ বিদেশ ভ্রমণের টিকিট দিলে তাঁরা অনেক কিছু স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত থাকেন।
২১ মে ২০২৫জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত, এমনকি বর্তমান সময় পর্যন্ত দলটির কারণে যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, কারও কোনো ক্ষতি হয়ে থাকে তার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে কোয়ালিশন অব বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশনের (কোবা) উদ্যো
৩০ মিনিট আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ মাহদীকে জামিয়া কোরআনিয়া অ্যারাবিয়া লালবাগ মাদ্রাসার শিক্ষক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ‘এনসিপি নাস্তিকদের সংগঠন’—এ কারণ দেখিয়ে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে অভিযোগ করেছেন তিনি।
১৩ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর পুনর্গঠনের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)। সেই ঘোষণা এবার বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আদর্শিক এই ছাত্রসংগঠন নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। সে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে সংগঠনটির
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ মাহদীকে জামিয়া কোরআনিয়া অ্যারাবিয়া লালবাগ মাদ্রাসার শিক্ষক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ‘এনসিপি নাস্তিকদের সংগঠন’—এ কারণ দেখিয়ে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে অভিযোগ করেছেন তিনি।
আশরাফ মাহদী দেওবন্দ ঘরানার ইসলামি চিন্তাবিদ ও ইসলামী ঐক্যজোট নেতা এবং লালবাগ মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মরহুম মুফতি ফজলুল হক আমিনীর নাতি।
উল্লেখ্য, লালবাগ মাদ্রাসার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুরের জামাতা ছিলেন মরহুম মুফতি ফজলুল হক আমিনী। হাফেজ্জী হুজুরের ইন্তেকালের পর ১৯৮৭ সালে তিনি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও শায়খুল হাদিসের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি ওই মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস ছিলেন।
অন্যদিকে মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী দাবি করেছেন, মাদ্রাসায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ‘খুনোখুনির’ পরিস্থিতি তৈরির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
চাকরি থেকে অব্যাহতির বিষয়ে আজ ফেসবুকে একাধিক পোস্ট দেন আশরাফ মাহদী। একটি পোস্টে তিনি বলেন, ‘লালবাগ মাদরাসা থেকে আমাকে অব্যাহতির সংবাদ পেলাম। কারণ হিসেবে বলা হলো, এনসিপি নাস্তিকদের সংগঠন। আজ দুপুরে লালবাগ মাদরাসার মজলিশে শুরা সদস্য মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ সাহেব আমাকে ফোনকলে জানালেন, গত সোমবার (২০ অক্টোবর) জরুরি মজলিসে শুরার বৈঠকে আমাকে মাদরাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ফোনকলে এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন আশরাফ মাহদী। মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ফোনে মাহদীকে বলেন, ‘তুমি এনসিপি করো। এনসিপি নাস্তিকদের সংগঠন। এটা করা জায়েজ নাই। মাদ্রাসার কোনো শিক্ষক এনসিপি করতে পারে না।’
অন্যদিকে মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী এই অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেছেন। তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘এনসিপিকে আলেম-ওলামাদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে নিজের অসৎ উদ্দেশ্য পূরণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে সে (আশরাফ মাহদী)। লালবাগ জামিয়া থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার সঙ্গে এনসিপির প্রসঙ্গ নেই। এ বিষয়ে রেজুলেশন (রেজল্যুশন) খাতা বিদ্যমান রয়েছে এবং আশা করা যায়, অচিরেই মজলিসে শুরা বিষয়টি জনসম্মুখে উপস্থাপন করবেন।’
মুফতি সাখাওয়াত আরও লেখেন, ‘মূলত ফ্যাসিস্টদের দোসর ফয়জুল্লাহ-আলতাফ গংদের সঙ্গে আঁতাত করে বড় কাটারা ও লালবাগ মাদ্রাসায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও খুনাখুনির পরিস্থিতি তৈরির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় ছাত্র-জনতা তার বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে। পরবর্তীতে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার মাধ্যমে মাদ্রাসার পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। অবশ্য আগে থেকেই ছাত্রদের পড়াশোনায় খেয়ানত অর্থাৎ ক্লাসে অনুপস্থিতিসহ মাদ্রাসার নিয়ম-কানুন লঙ্ঘনের বেশ কয়েকটি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে জমা আছে।’
মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী আরও লিখেছেন, ‘গত কয়েক মাস ধরেই সে ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এই প্রক্রিয়ায় সে কখনো এনসিপির নাম ব্যবহার করে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে, যা এনসিপির নেতৃবৃন্দ অবগত আছেন।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ মাহদীকে জামিয়া কোরআনিয়া অ্যারাবিয়া লালবাগ মাদ্রাসার শিক্ষক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ‘এনসিপি নাস্তিকদের সংগঠন’—এ কারণ দেখিয়ে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে অভিযোগ করেছেন তিনি।
আশরাফ মাহদী দেওবন্দ ঘরানার ইসলামি চিন্তাবিদ ও ইসলামী ঐক্যজোট নেতা এবং লালবাগ মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মরহুম মুফতি ফজলুল হক আমিনীর নাতি।
উল্লেখ্য, লালবাগ মাদ্রাসার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুরের জামাতা ছিলেন মরহুম মুফতি ফজলুল হক আমিনী। হাফেজ্জী হুজুরের ইন্তেকালের পর ১৯৮৭ সালে তিনি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও শায়খুল হাদিসের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি ওই মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস ছিলেন।
অন্যদিকে মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী দাবি করেছেন, মাদ্রাসায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ‘খুনোখুনির’ পরিস্থিতি তৈরির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
চাকরি থেকে অব্যাহতির বিষয়ে আজ ফেসবুকে একাধিক পোস্ট দেন আশরাফ মাহদী। একটি পোস্টে তিনি বলেন, ‘লালবাগ মাদরাসা থেকে আমাকে অব্যাহতির সংবাদ পেলাম। কারণ হিসেবে বলা হলো, এনসিপি নাস্তিকদের সংগঠন। আজ দুপুরে লালবাগ মাদরাসার মজলিশে শুরা সদস্য মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ সাহেব আমাকে ফোনকলে জানালেন, গত সোমবার (২০ অক্টোবর) জরুরি মজলিসে শুরার বৈঠকে আমাকে মাদরাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ফোনকলে এনসিপিকে ‘নাস্তিকদের সংগঠন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন আশরাফ মাহদী। মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ফোনে মাহদীকে বলেন, ‘তুমি এনসিপি করো। এনসিপি নাস্তিকদের সংগঠন। এটা করা জায়েজ নাই। মাদ্রাসার কোনো শিক্ষক এনসিপি করতে পারে না।’
অন্যদিকে মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী এই অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেছেন। তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘এনসিপিকে আলেম-ওলামাদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে নিজের অসৎ উদ্দেশ্য পূরণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে সে (আশরাফ মাহদী)। লালবাগ জামিয়া থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার সঙ্গে এনসিপির প্রসঙ্গ নেই। এ বিষয়ে রেজুলেশন (রেজল্যুশন) খাতা বিদ্যমান রয়েছে এবং আশা করা যায়, অচিরেই মজলিসে শুরা বিষয়টি জনসম্মুখে উপস্থাপন করবেন।’
মুফতি সাখাওয়াত আরও লেখেন, ‘মূলত ফ্যাসিস্টদের দোসর ফয়জুল্লাহ-আলতাফ গংদের সঙ্গে আঁতাত করে বড় কাটারা ও লালবাগ মাদ্রাসায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও খুনাখুনির পরিস্থিতি তৈরির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় ছাত্র-জনতা তার বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে। পরবর্তীতে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার মাধ্যমে মাদ্রাসার পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। অবশ্য আগে থেকেই ছাত্রদের পড়াশোনায় খেয়ানত অর্থাৎ ক্লাসে অনুপস্থিতিসহ মাদ্রাসার নিয়ম-কানুন লঙ্ঘনের বেশ কয়েকটি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে জমা আছে।’
মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী আরও লিখেছেন, ‘গত কয়েক মাস ধরেই সে ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এই প্রক্রিয়ায় সে কখনো এনসিপির নাম ব্যবহার করে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে, যা এনসিপির নেতৃবৃন্দ অবগত আছেন।’
বিদেশ ভ্রমণের টিকিট দিলে আমলারা অনেক কিছু স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত থাকেন বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, আমলাদের পরিবারসহ বিদেশ ভ্রমণের টিকিট দিলে তাঁরা অনেক কিছু স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত থাকেন।
২১ মে ২০২৫জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত, এমনকি বর্তমান সময় পর্যন্ত দলটির কারণে যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, কারও কোনো ক্ষতি হয়ে থাকে তার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে কোয়ালিশন অব বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশনের (কোবা) উদ্যো
৩০ মিনিট আগেবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং ইসির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া উপস্থিত রয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর পুনর্গঠনের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)। সেই ঘোষণা এবার বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আদর্শিক এই ছাত্রসংগঠন নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। সে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে সংগঠনটির
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর পুনর্গঠনের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)। সেই ঘোষণা এবার বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আদর্শিক এই ছাত্রসংগঠন নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। সে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে সংগঠনটির ধরনও।
এনসিপি ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সূত্রে জানা গেছে, সংগঠনটির নতুন নাম হতে যাচ্ছে জাতীয় ছাত্রশক্তি। আদর্শিক সংগঠন থেকে এনসিপির সহযোগী ছাত্রসংগঠন হিসেবে কাজ করবে এটি।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের জাতীয় সমন্বয় সভা। এ সভায় নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহসহ এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। সভায় সংগঠনের নতুন নাম, কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক কমিটি এবং রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের জাতীয় সমন্বয় সভার আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব মহির আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমাদের সারা দেশের কমিটিগুলোর মধ্যে আলোচনা হচ্ছিল। গতকাল মঙ্গলবার আমাদের সাধারণ সভা হয়। সেখানে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের পুনর্গঠন নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত এসেছে।’
সংগঠনের নতুন নামের বিষয়ে মহির আলম বলেন, নতুন নাম হিসেবে জাতীয় ছাত্রশক্তি ও বাংলাদেশ ছাত্রশক্তি—এই দুটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে জাতীয় ছাত্রশক্তির পক্ষে সমর্থন বেশি।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সমন্বয় সভায় কেন্দ্রীয় কমিটিসহ অন্তত চারটি কমিটির ঘোষণা আসবে। নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি সর্বোচ্চ ১০১ সদস্যবিশিষ্ট হতে পারে। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটকে ‘বিশেষ শাখা’ হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে।
কেন্দ্রীয় সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার ও সদস্যসচিব জাহিদ আহসান।
কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বে আরও থাকতে পারেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব মহির আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব সিয়াম, কেন্দ্রীয় সহমুখপাত্র ফারদিন হাসান, ঢাবির যুগ্ম আহ্বায়ক লিমন আহসান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক তাহমীদ আল মুদ্দাসসির।
২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক ও গণঅধিকার পরিষদের ছাত্রসংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আখতার হোসেনের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি। জুলাই অভ্যুত্থানে এই সংগঠনের নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সব কমিটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়। পরে সংগঠনের কয়েকজন নেতা মিলে গঠন করা হয় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। জুলাই অভ্যুত্থানের বড় শক্তি হলেও ডাকসুসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফলাফলে এই সংগঠন-সমর্থিত নেতাদের ভরাডুবি হয়। তখনই সংগঠনটি পুনর্গঠনের দাবি ওঠে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর পুনর্গঠনের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)। সেই ঘোষণা এবার বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আদর্শিক এই ছাত্রসংগঠন নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। সে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে সংগঠনটির ধরনও।
এনসিপি ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সূত্রে জানা গেছে, সংগঠনটির নতুন নাম হতে যাচ্ছে জাতীয় ছাত্রশক্তি। আদর্শিক সংগঠন থেকে এনসিপির সহযোগী ছাত্রসংগঠন হিসেবে কাজ করবে এটি।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের জাতীয় সমন্বয় সভা। এ সভায় নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহসহ এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। সভায় সংগঠনের নতুন নাম, কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক কমিটি এবং রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের জাতীয় সমন্বয় সভার আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব মহির আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমাদের সারা দেশের কমিটিগুলোর মধ্যে আলোচনা হচ্ছিল। গতকাল মঙ্গলবার আমাদের সাধারণ সভা হয়। সেখানে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের পুনর্গঠন নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত এসেছে।’
সংগঠনের নতুন নামের বিষয়ে মহির আলম বলেন, নতুন নাম হিসেবে জাতীয় ছাত্রশক্তি ও বাংলাদেশ ছাত্রশক্তি—এই দুটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে জাতীয় ছাত্রশক্তির পক্ষে সমর্থন বেশি।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সমন্বয় সভায় কেন্দ্রীয় কমিটিসহ অন্তত চারটি কমিটির ঘোষণা আসবে। নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি সর্বোচ্চ ১০১ সদস্যবিশিষ্ট হতে পারে। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটকে ‘বিশেষ শাখা’ হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে।
কেন্দ্রীয় সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার ও সদস্যসচিব জাহিদ আহসান।
কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বে আরও থাকতে পারেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব মহির আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব সিয়াম, কেন্দ্রীয় সহমুখপাত্র ফারদিন হাসান, ঢাবির যুগ্ম আহ্বায়ক লিমন আহসান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক তাহমীদ আল মুদ্দাসসির।
২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক ও গণঅধিকার পরিষদের ছাত্রসংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আখতার হোসেনের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি। জুলাই অভ্যুত্থানে এই সংগঠনের নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সব কমিটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়। পরে সংগঠনের কয়েকজন নেতা মিলে গঠন করা হয় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। জুলাই অভ্যুত্থানের বড় শক্তি হলেও ডাকসুসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফলাফলে এই সংগঠন-সমর্থিত নেতাদের ভরাডুবি হয়। তখনই সংগঠনটি পুনর্গঠনের দাবি ওঠে।
বিদেশ ভ্রমণের টিকিট দিলে আমলারা অনেক কিছু স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত থাকেন বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, আমলাদের পরিবারসহ বিদেশ ভ্রমণের টিকিট দিলে তাঁরা অনেক কিছু স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত থাকেন।
২১ মে ২০২৫জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত, এমনকি বর্তমান সময় পর্যন্ত দলটির কারণে যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, কারও কোনো ক্ষতি হয়ে থাকে তার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে কোয়ালিশন অব বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশনের (কোবা) উদ্যো
৩০ মিনিট আগেবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং ইসির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া উপস্থিত রয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ মাহদীকে জামিয়া কোরআনিয়া অ্যারাবিয়া লালবাগ মাদ্রাসার শিক্ষক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ‘এনসিপি নাস্তিকদের সংগঠন’—এ কারণ দেখিয়ে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে অভিযোগ করেছেন তিনি।
১৩ ঘণ্টা আগে