নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না, যেন রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ পায়।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে পেশাজীবীদের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘বর্তমানে সংস্কার এবং নির্বাচনকে দৃশ্যত যেভাবে মুখোমুখি করে ফেলা হয়েছে, এটি নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক। যাঁরা সংস্কার শেষ করার পর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলছেন, তাঁদের উদ্দেশে বলতে চাই, যেটি শেষ হয়ে যায়, সেটি সংস্কার নয়। কারণ, সংস্কার কখনো শেষ হয় না। সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ‘সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না—যেন রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ পায়। পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের হাতে এখনো রাষ্ট্র থেকে লুণ্ঠন করা, জনগণের পকেট থেকে লুণ্ঠন করা হাজার হাজার কোটি টাকা রয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়ার অর্থ সারা দেশে ঘাপটি মেরে থাকা পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া।’
তারেক রহমান বলেন, স্থানীয় নির্বাচন আগে করা মানে পতিত স্বৈরাচারকে রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেওয়া। রাজনৈতিক অঙ্গনে গৌণ ইস্যুকে মুখ্য ইস্যু বানাতে গিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে সংশয় সৃষ্টি করা হয়েছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রে সিভিল সোসাইটি ও পেশাজীবীরা দুর্বল থাকলে দেশ ভালোভাবে চলতে পারে না। রাজনীতি একটি ঘর হলে বুদ্ধিজীবীরা তার খুঁটি। বিগত সময়ে আয়নাঘরসহ ফ্যাসিবাদের অপশাসনের দীর্ঘ সময় এ বুদ্ধিজীবীদের একটা বড় অংশ তাদের দোসরে পরিণত হয়েছিল।
এর আগে, এই ইফতার মাহফিলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচনসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত ভোটের আয়োজনই শ্রেয়। গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ সুগম করতে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে, যেন এ পথ সুগম হয়।
তারেক রহমান বলেন, ‘আবেগের মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান করা যাবে না। আমাদের বাস্তববাদী চিন্তা করতে হবে, ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে হবে।’
আওয়ামী অপশাসনের বিলুপ্তিতে স্বস্তি প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের এই পেশাজীবী সমাবেশ এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। আনন্দের এ জন্যই যে, আমরা অনেক দিন পর প্রায় ১৫ বছর পর একটা মুক্ত পরিবেশে, ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে আমরা এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করতে পেরেছি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ, অর্থনীতিবিদ ও ঢাবি শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, যুগান্তর সম্পাদক আবদুল হাই সিকদার, যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমান, লাবিব গ্রুপের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আলমগীর, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সদস্য ড. সুকোমল বড়ুয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমাদ, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন প্রমুখ। এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও খবর পড়ুন:
রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না, যেন রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ পায়।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে পেশাজীবীদের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘বর্তমানে সংস্কার এবং নির্বাচনকে দৃশ্যত যেভাবে মুখোমুখি করে ফেলা হয়েছে, এটি নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক। যাঁরা সংস্কার শেষ করার পর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলছেন, তাঁদের উদ্দেশে বলতে চাই, যেটি শেষ হয়ে যায়, সেটি সংস্কার নয়। কারণ, সংস্কার কখনো শেষ হয় না। সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ‘সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না—যেন রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ পায়। পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের হাতে এখনো রাষ্ট্র থেকে লুণ্ঠন করা, জনগণের পকেট থেকে লুণ্ঠন করা হাজার হাজার কোটি টাকা রয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়ার অর্থ সারা দেশে ঘাপটি মেরে থাকা পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া।’
তারেক রহমান বলেন, স্থানীয় নির্বাচন আগে করা মানে পতিত স্বৈরাচারকে রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেওয়া। রাজনৈতিক অঙ্গনে গৌণ ইস্যুকে মুখ্য ইস্যু বানাতে গিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে সংশয় সৃষ্টি করা হয়েছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রে সিভিল সোসাইটি ও পেশাজীবীরা দুর্বল থাকলে দেশ ভালোভাবে চলতে পারে না। রাজনীতি একটি ঘর হলে বুদ্ধিজীবীরা তার খুঁটি। বিগত সময়ে আয়নাঘরসহ ফ্যাসিবাদের অপশাসনের দীর্ঘ সময় এ বুদ্ধিজীবীদের একটা বড় অংশ তাদের দোসরে পরিণত হয়েছিল।
এর আগে, এই ইফতার মাহফিলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচনসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত ভোটের আয়োজনই শ্রেয়। গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ সুগম করতে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে, যেন এ পথ সুগম হয়।
তারেক রহমান বলেন, ‘আবেগের মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান করা যাবে না। আমাদের বাস্তববাদী চিন্তা করতে হবে, ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে হবে।’
আওয়ামী অপশাসনের বিলুপ্তিতে স্বস্তি প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের এই পেশাজীবী সমাবেশ এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। আনন্দের এ জন্যই যে, আমরা অনেক দিন পর প্রায় ১৫ বছর পর একটা মুক্ত পরিবেশে, ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে আমরা এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করতে পেরেছি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ, অর্থনীতিবিদ ও ঢাবি শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, যুগান্তর সম্পাদক আবদুল হাই সিকদার, যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমান, লাবিব গ্রুপের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আলমগীর, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সদস্য ড. সুকোমল বড়ুয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমাদ, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন প্রমুখ। এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও খবর পড়ুন:
একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর প্রভাবাধীন হয়ে অন্তর্বর্তী সরকার আগামী বছরের এপ্রিল মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে—এমন অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। দলটি এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিতে রাজি নয়, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে বরাবরের মতো অনড় অবস্থান ব্যক্ত করেছে।
৯ ঘণ্টা আগেএপ্রিল মাসের প্রতিকূল আবহাওয়া, পাবলিক পরীক্ষা, এবং এর আগে রোজার কারণে সবমিলিয়ে নির্বাচনের জন্য কতটা অনুকূল ও বাস্তবসম্মত হবে—সে ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে গণসংহতি আন্দোলন। আজ শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের ভাষণের প্ররিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলটি এক প্রেস বিবৃতিতে এমনটি জানায়।
১৫ ঘণ্টা আগেজাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণে জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। আজ শুক্রবার (৬ জুন) এক প্রেস বিবৃতিতে তিনি এমনটি জানান।
১৫ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে ‘নির্বাচনের রোডম্যাপ’ ঘোষণা করায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (৬ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি এই সন্তোষ প্রকাশ করেন।
১৫ ঘণ্টা আগে