Ajker Patrika

বহিষ্কারেও নেতাদের পিছু হটাতে পারছে না বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ মে ২০২৪, ১০: ১৫
Thumbnail image

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় নতুন করে আরও ৬১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এ নিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় মোট ১৩৮ জনকে বহিষ্কার করল দলটি। এভাবে বহিষ্কারের তালিকা দীর্ঘ হলেও নির্বাচন থেকে কোনোমতেই সরানো যাচ্ছে না বিএনপির নেতাদের। তৃতীয় ধাপের নির্বাচনেও দলটির অনেক নেতা প্রার্থী হচ্ছেন বলে জানা গেছে।

চলতি বছর চার ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন। ৮ ও ২১ মে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দলের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রথম ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৭৭ জনকে আগেই বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় গতকাল শনিবার ৬১ জনকে বহিষ্কার করে দলটি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাঁদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৯ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ১৬ জন। দলের ১০টি সাংগঠনিক বিভাগ থেকেই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির নেতারা। এদের মধ্যে রংপুরের ১১ জন, রাজশাহীর ৫ জন, বরিশালের ৩ জন, ঢাকার ৬ জন, ফরিদপুরের ২ জন, ময়মনসিংহের ৬ জন, সিলেটের ১৫ জন, চট্টগ্রামের ৫ জন, কুমিল্লার ২ জন এবং খুলনা বিভাগের ৬ জন রয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

২৯ মে তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলায় নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনেও বিএনপির অন্তত অর্ধশত নেতার প্রার্থী হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে অন্তত ২৫ জন চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন বলে জানা গেছে।

দলীয় সূত্র বলছে, তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে কারা অংশ নিয়েছেন, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের মতো তাঁদের পরণতিও একই হবে। যদিও এ বিষয়ে গা করছেন না অধিকাংশ প্রার্থীই। তাঁরা বলছেন, দলের এই নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত ঠিক নয়। এভাবে একের পর এক নির্বাচন বর্জন করলে দলের সাংগঠনিক ভিত দুর্বল হয়ে যাবে। বিশেষ করে তৃণমূলে হতাশা আরও বাড়বে।

এদিকে প্রথম ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বহিষ্কৃত নেতাদের মধ্যে এক প্রার্থী ভুল স্বীকার করায় তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে দল। দ্বিতীয় ধাপে এবং তৃতীয় ধাপের প্রার্থীদের মধ্যেও এমন কেউ কেউ আছেন, যাঁরা নির্বাচনে অংশ নিলেও সময় নেওয়ার কথা বলছেন। অনেকে আবার এরই মধ্যে দলের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করার কথাও জানান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তৃতীয় ধাপের ভোটে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া এক বিএনপির নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এলাকায় রাজনীতি করতে গেলে স্থানীয়দের বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হয়। যে কারণে প্রার্থী হয়েছি। এরপরেও দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আরেকটু সময় নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’
এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ব্যাপারে কঠোর অবস্থানেই আছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। তাঁদের দাবি, দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় সিদ্ধান্ত উপেক্ষাকারীদের বহিষ্কার করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

উপজেলা পরিষদের আসন্ন নির্বাচন ‘সরকারের পাতানো ফাঁদ’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। গতকাল দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনেও সরকার ফাঁদ পেতেছে। এর আগে জাতীয় নির্বাচনেও ফাঁদ পেতেছে। বিএনপি সেই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঋণের ১৩০০ কোটির এক টাকাও দেননি হলিডে ইনের মালিক

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

গণ–সমাবেশে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলেন বিএনপি নেতা

হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু, সেনা ক্যাম্প কমান্ডারকে প্রত্যাহার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত