Ajker Patrika

তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গোপালগঞ্জ-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে শোডাউন করেছেন বিএনপি মনোনয়ন চাওয়া পাঁচ নেতা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গোপালগঞ্জ-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে শোডাউন করেছেন বিএনপি মনোনয়ন চাওয়া পাঁচ নেতা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ঘোষিত বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জ-৫, গোপালগঞ্জ-২ ও কুড়িগ্রাম-৩ আসনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দলটির মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের কর্মী-সমর্থকেরা এসব কর্মসূচির আয়োজন করেন। ৩ নভেম্বর দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে এসব কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, গোপালগঞ্জ-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে শোডাউন করেছেন বিএনপি থেকে মনোনয়নবঞ্চিত পাঁচ প্রার্থী। বেলা ১১টার দিকে গোপালগঞ্জে শহরের গেটপাড়া সড়ক ভবনের সামনে থেকে শোডাউন শুরু হয়। এতে মনোনয়নবঞ্চিত জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও এমপি এফ ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর, সাবেক সভাপতি ও এমপি এম এইচ খান মঞ্জু, সাবেক সভাপতি এম সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান তাজ ও স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সরদার নুরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। এই আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. কে এম বাবর আলীকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান, কুড়িগ্রাম-৩ আসনে (উলিপুর) বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন দলটির একাংশের নেতা-কর্মীরা। দুপুরে উলিপুর উপজেলা শহরে এ কর্মসূচি পালিত হয়। আন্দোলনকারীরা এই আসন থেকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেককে আনুষ্ঠানিক প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানান। ৩ নভেম্বর সাবেক জেলা সভাপতি ও শিল্পপতি তাসভীর উল ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়েছে এই আসন থেকে।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে শেখ মজিবুর রহমান ইকবালের পক্ষে মনোনয়ন ঘোষণার দাবিতে বাজিতপুরে শোডাউন করেছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলা সদরের সড়কগুলোতে ইকবালের ছবি, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে বাদ্য-বাজনাসহ মিছিল করে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে উপজেলার ডাকবাংলো মাঠে সমাবেশে মিলিত হন নেতা-কর্মীরা। ইকবাল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি।

প্রসঙ্গত, কিশোরগঞ্জ-১ ও ৫ আসনে এখনো মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়নি। জানা গেছে, বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা মিত্র দলগুলোর প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের জন্য এসব আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঈশ্বরদীতে নির্বাচনী প্রচারে হামলায় অস্ত্রধারী জামায়াতের কর্মী: রিজভী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ৩৮
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি

পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্বাচনী প্রচারকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের ওপর স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা ‘পরিকল্পিত হামলা’ চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি দাবি করেছে, পরিকল্পিত এই আক্রমণে অর্ধশতাধিক বিএনপির নেতা-কর্মী আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বিএনপির অভিযোগ অনুযায়ী, জামায়াতে ইসলামী মনোনীত স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডল স্বয়ং এই আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারের সময় জামায়াত নেতা–কর্মীরা ‘সহজাত ধর্মীয় প্রলোভন ও জান্নাতের টিকিট বিক্রির মতো আপত্তিকর বিষয়কে’ প্রচারের উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করছিলেন। ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ এর প্রতিবাদ জানালে জামায়াত কর্মীরা তাদের ওপর মারমুখী আক্রমণ করেন। পরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ প্রচাররত নেতা-কর্মীরা অতর্কিতে বিনা প্ররোচনায় তাঁদের আক্রমণের শিকার হন।

বিএনপি বিবৃতিতে পত্রিকায় প্রকাশিত একটি ছবির উল্লেখ করে বলেছে, সেখানে জামায়াত কর্মী তুষারকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে আক্রমণরত দেখা গেছে।

রুহুল কবির রিজভী আরও অভিযোগ করেন, ‘দু-একটি গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশ করছে।’

রিজভী বলেন, ‘শত উসকানিতেও সংযম ও ধৈর্য প্রদর্শনে বিএনপি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কারণ, বিএনপি জানে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনিশ্চিত হলে দেশের মানুষের বহুল প্রত্যাশিত গণতান্ত্রিক উত্তরণের স্বপ্ন নিঃশেষিত হয়ে যাবে।’

বিএনপি এই ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত ও বিচারের আওতায় এনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সরকারি পদক্ষেপের জোর দাবি জানিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এনসিপির নেতৃত্বে জোট গঠন পেছাল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪৬
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

বিএনপি-জামায়াতের বিকল্প তৃতীয় রাজনৈতিক বলয় গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বে একটি জোট গঠনের আলোচনা চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। প্রাথমিকভাবে এনসিপি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি, বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এবং ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ) নিয়ে এই জোট গঠনের কথা ছিল। গণঅধিকার পরিষদ ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) পরবর্তী সময়ে এই জোটে যুক্ত হতে পারে, এমন গুঞ্জনও চলছিল। কিন্তু আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পিছিয়ে গেল জোট গঠনের প্রক্রিয়া।

জানা গেছে, শেষ মুহূর্তে এসে দলগুলোর নেতাদের মধ্যে মতানৈক্যের কারণে জোট গঠনপ্রক্রিয়া ধাক্কা খেয়েছে। গণঅধিকার পরিষদ ও আপ বাংলাদেশের থাকা না-থাকা প্রশ্নে পিছিয়ে গেছে প্রক্রিয়া।

এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, আপ বাংলাদেশকে জোটে নেওয়া নিয়ে দলের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেকোনো রাজনৈতিক জোট হয় রাজনৈতিক দল নিয়ে। কোনো প্ল্যাটফর্ম সাধারণত রাজনৈতিক জোটে থাকে না। আপ বাংলাদেশ একটি প্ল্যাটফর্ম, রাজনৈতিক দল নয়। তাই তাদের নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

এনসিপির এই নেতা জানান, জেএসডি ও গণঅধিকার পরিষদসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা এখনো চলমান। তবে আত্মপ্রকাশের তারিখ ও জোটের রূপরেখা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘আমাদের সংগঠন তৃতীয় জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়ে তিন মাস ধরেই নিরলসভাবে কাজ করে এসেছে। এর ধারাবাহিকতায় জোট গঠন এত দূর এগিয়েছে। এখন জোট গঠন কিছুটা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে, জোট গঠনপ্রক্রিয়া পিছিয়েছে। আমরা এখনো তৃতীয় জোট বলয় গঠনের ব্যাপারে ইতিবাচক আছি। আলাপ-আলোচনা চলছে।’

জোট গঠন পেছাল কেন জানতে চাইলে আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘এনসিপির ভেতরকার ক্যালকুলেশনের (হিসাবনিকাশ) কারণে আপ বাংলাদেশের ব্যাপারে এনসিপি রিজার্ভেশন (রক্ষণশীলতা) দেখিয়েছে। গণমাধ্যম সূত্রে জেনেছি, কারণ হিসেবে আপ বাংলাদেশ রাজনৈতিক দল নয় আর রাজনৈতিক দল ছাড়া কারও সঙ্গে জোট করবে না জানিয়েছে। এরপর আলোচনা বাধাগ্রস্ত হয়েছে।’

বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত এনসিপি, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতারা বৈঠক করেন। বৈঠকে থাকা একটি দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা জানান, সেখানে জোট নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি প্রকাশ পায়। অন্যদিকে এনসিপিও একটি বিষয়ে ‘আপত্তি’ জানায়। মূলত এ কারণেই জোট গঠনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি।

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার রক্ষা ও জুলাই সনদের ভিত্তিতে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণে যারা আগ্রহী, তাদের নিয়ে একটি রাজনৈতিক জোট গঠনের কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। এই জোটে দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক লক্ষ‍্য গুরুত্ব পাবে নাকি এবারের নির্বাচনী বোঝাপড়া গুরুত্ব পাবে, সেটা নিয়ে দলগুলোর মধ‍্যে এখনো চূড়ান্ত ঐকমত‍্য হয়নি। ফলে কয়েকবার সময় পিছিয়েও আমরা ঘোষণা পর্যায়ে উপনীত হতে পারিনি। একটি দল আরও একটু সময় চেয়ে নিয়েছে। আরেকটি দলের যুক্ত হবার বিষয় নিয়ে নতুন করে আলোচনা চলছে। আমরা এখনোওহাল ছাড়িনি।’

জোটের বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের একটা ধারণা ছিল আজকের মধ্যে সব কাজ গুছিয়ে ফেলতে পারব। কালকে (বুধবার) রাতে দীর্ঘক্ষণ মিটিংয়ের পর দেখা গেল, আমাদের অনেকগুলো ইস্যু নিয়ে আরও আলাপ করা লাগবে। এ কারণে আমরা আজকে ঘোষণা করি নাই। আমাদের আলোচনা চলমান।’

তিনি আরও বলেন, ‘আশা করি দুই-তিন দিনের মধ্যেই আলোচনা শেষ হবে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি তো আসলে আমাদেরকে দীর্ঘসময় নেওয়া পারমিট করে না। এটা যদি হওয়ার থাকে, তাহলে দুই-তিন দিনের মধ্যেই হবে।’

জোট গঠন পেছানোর নেপথ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের দুজন ছাত্র উপদেষ্টারও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে এনসিপির একটি সূত্র দাবি করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন এনসিপি নেতা বলেন, দুজন ছাত্র উপদেষ্টা চান, বিএনপির সঙ্গে এনসিপি জোটে যাক। কিন্তু এনসিপির নেতা-কর্মীদের একটা বড় অংশ এটা চায় না। এই বিষয়টিও জোট নিয়ে সিদ্ধান্ত পিছিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনী জোট করছে আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১০: ০০
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। ফাইল ছবি
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। ফাইল ছবি

আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (একাংশ) ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জেপি) ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে দল দুটির নেতৃত্বে একটি রাজনৈতিক জোট করার প্রক্রিয়া চলছে। সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। জেপি কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ১৪-দলীয় জোটের শরিক ছিল।

জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে দীর্ঘদিন ধরে জোটের রাজনীতি চলে আসছে। দেশের বড় দলগুলো জোট করে ভোট করতে তৎপরতা চালাচ্ছে। আমরাও আমাদের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে জোট গঠন করতে যাচ্ছি। আশা করছি, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে এই জোটের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হতে পারে।’

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় পার্টি (একাংশ) ও জেপি ছাড়াও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইসলামী ভাবধারার একাধিক দলের সঙ্গে নির্বাচনী জোট গঠনের উদ্যোগ চলছে। এরই মধ্যে তারা নতুন দল ইলিয়াস কাঞ্চন ও শওকত মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জনতা পার্টি বাংলাদেশ, জাতীয় পার্টি (মতিন), জাতীয় পার্টিসহ (কাজী জাফর) একাধিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।

গত তিন সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর নতুন চ্যালেঞ্জে পড়ে। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জাতীয় পার্টিতেও নতুন করে ভাঙন শুরু হয়। গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি থেকে বের হয়ে সম্মেলন করে আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের শরিকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে একাধিক রাজনৈতিক দল রাজপথে নানান দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলনও করেছে। এর মধ্যে দলটি আওয়ামী লীগের শরিক জেপিকে নিয়ে নতুন রাজনৈতিক জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে।

জোট গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় পার্টির (একাংশ) নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ‘আমাদের সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিয়ে একটি জোট গঠনের ব্যাপারে আমরা দীর্ঘদিন ধরে ঘরোয়া আলোচনা করছি। বিশেষ করে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ভবিষ্যতে দেশে একটি সুস্থ ধারার রাজনীতিকে বিকশিত করার জন্য এই জোট গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি, শিগগির আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা জাতির সামনে নতুন রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটাতে পারব।’

জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলেও জেপির কার্যক্রম নিষিদ্ধ বা নিবন্ধন বাতিল করা হয়নি।

জেপির সঙ্গে জোটের বিষয়ে চুন্নু বলেন, ‘জেপির রাজনীতি তো নিষিদ্ধ করা হয়নি। তাদের রাজনীতি করার অধিকার আছে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনও তাদের কোনো বাধ্যবাধকতা দেয়নি, সরকারও নির্বাহী আদেশ দেয়নি। তাই আমরা তাদের সঙ্গে রাজনীতি করতে পারি।’

নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠন করা হচ্ছে জানিয়ে মুজিবুল হক বলেন, ‘পরিবেশ অনুকূল হলে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত দেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিসিইউতে খালেদা জিয়া, বাদ জুমা বিশেষ দোয়া

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ১৪
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তাঁর চিকিৎসা চলছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনি জটিলতাসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। গত রোববার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ বেলা ১টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আগামীকাল শুক্রবার বাদ জুমা সারা দেশে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হবে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৭ জানুয়ারি লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। ১১৭ দিন লন্ডনে অবস্থান শেষে গত ৬ মে তিনি দেশে ফেরেন। এরপর একাধিকবার শারীরিক নানা জটিলতায় তাঁকে হাসপাতালে যেতে হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত