Ajker Patrika

আমাকে যারা চেনেনি, তারা এখনো মাটির নিচে বসবাস করে : শাহজাহান চৌধুরী

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ৩২
শাহজাহান চৌধুরী। ফাইল ছবি
শাহজাহান চৌধুরী। ফাইল ছবি

নিজের বক্তব্য নিয়ে আবারও আলোচনায় চট্টগ্রামের আলোচিত জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী। তাঁর নতুন বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপকভাবে আলোচনা শুরু হয়। বক্তব্যে তাঁকে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলতে শোনা যায়, আল্লাহর ওয়াস্তে বাড়াবাড়ি করিয়েন না। আমার নাম শাহজাহান চৌধুরী। আমি শুনতেছি, অনেকজনে নাকি উল্টাপাল্টা বলতেছে; খবরদার, খবরদার, খবরদার। আমার নাম শাহজাহান চৌধুরী। আমাকে যারা চিনেনি, তারা এখনো মাটির নিচে বসবাস করে। আমি চোখ তুলে দেখতেছি, আমার জন্য আল্লাহ আছে। আল্লাহর মেহেরবানি, আমার জন্য সূর্য দাঁড়িয়ে থাকবে। আল্লাহ তাআলা আমাকে এই রকম মর্যাদা দিয়েছে।’

১৩ নভেম্বর সাতকানিয়া উপজেলার চরতি ইউনিয়নের তুলাতলী এলাকায় গণসংযোগকালে শাহজাহান চৌধুরী এই বক্তব্য দিয়েছিলেন বলে চট্টগ্রাম জামায়াতের কয়েকজন নেতা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এতে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘সে জন্য বলে যাচ্ছি, চুদুরবুদুর (উল্টাপাল্টা) করিও না। লুলা (অবশ) হয়ে যাবে। আমি যদি চোখের পানি ফেলি, লুলা হয়ে যাবে। আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি। ১৮ বছরের মধ্যে ৯ বছর জেল খেটেছি। আমি টাকাপয়সা চাই নাই, ধনদৌলত, কাপড়চোপড়, পরিবারকে চাইনি। আমি আপনাদের দুয়ারে আজকে এসেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার চোখের পানি বৃথা যায়নি। এই চরতি আমার শায়েখ, ওস্তাদ মাওলানা মমিনুল হক চৌধুরীর জন্মস্থান। আমি এলাকাকে সম্মান করি, এই এলাকার মাটিকে সম্মান করি। এখানে কোনো রাজনীতি নাই। এখানে আর কোনো মার্কা নাই, সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার মার্কা একটাই, সেটা হলো দাঁড়িপাল্লা।’

এর আগে ২২ নভেম্বর জামায়াতের অন্য একটি সমাবেশে শাহজাহান চৌধুরী প্রশাসনকে কবজায় আনা নিয়ে বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন। পরবর্তী সময়ে ড. ইউনূস তাঁকে গার্ডিয়ান অব চিটাগাং ঘোষণা করেছেন—এ রকম একটি বক্তব্যও ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়।

এই বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য শাহজাহান চৌধুরীকে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মুহাম্মদ শাহজাহানকেও ফোন করে পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

থানার কাছেই ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে চা-দোকানি নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার কাছেই ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মো. ইসমাইল (৩০) নামের এক ভ্রাম্যমাণ চা-দোকানি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে নগরীর লালদীঘির পাড়ে জেলা পরিষদ ভবনের বিপরীতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারের পুরোনো কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত ইসমাইল লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দা এবং নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি লালদীঘির পাড় ও আশপাশের এলাকায় সাইকেলে ঘুরে চা বিক্রি করতেন।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ইসমাইল সাইকেলে করে লালদীঘির পাড় থেকে ফিরিঙ্গিবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় জেলা পরিষদ ভবনের বিপরীতে কোতোয়ালিমুখী সড়কে তিন ছিনতাইকারী তাঁর পথরোধ করে।

ওসি আরও বলেন, ছিনতাইকারীরা তাঁর কাছে থাকা মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ইসমাইল ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বগুড়ায় ২৪০০ ইয়াবাসহ ননদ-ভাবি আটক

বগুড়া প্রতিনিধি
আটক দুই নারী। ছবি: সংগৃহীত
আটক দুই নারী। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় ২ হাজার ৪০০ ইয়াবাসহ দুই নারীকে আটক করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বগুড়া জেলা কার্যালয়ের সদস্যরা। আটক দুই নারী সম্পর্কে ননদ-ভাবি।

আটক ব্যক্তিরা হলেন বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার পাগলা উত্তরপাড়া গ্রামের দিপা আক্তার (৩০) ও তাঁর ভাবি খুলনা জেলার রূপসা থানার নৈহাটি গ্রামের নুর নাহার (৪০)।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কের শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল এলাকায় উত্তরবঙ্গগামী বাসে তল্লাশি চালিয়ে তাঁদেরকে আটক করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) বগুড়া জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জিল্লুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জিল্লুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল এলাকায় উত্তরবঙ্গগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি করা হয়। এ সময় পাশাপাশি সিটে বসে থাকা ননদ-ভাবির দেহ তল্লাশি করে দুজনের পায়ে স্কচটেপ দিয়ে পেঁচিয়ে রাখা ২ হাজার ৪০০ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়।

আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইটনায় টিসিবির পণ্য বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
টিসিবির পণ্য বিতরণ চলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
টিসিবির পণ্য বিতরণ চলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে এক ডিলারের বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই ডিলার প্রকৃত সুবিধাভোগী ও কার্ডধারীদের মধ্যে পণ্য বিতরণ না করে তা বাইরে বিক্রি করে দিচ্ছেন। যার ফলে দরিদ্র মানুষ ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের লাইমপাশা গ্রামে আনন্দ বাজার নদীর তীরে নির্ধারিত ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য বিতরণকালে এই অনিয়মের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ডিলার তাজুল ইসলাম মানিক মিয়া উপজেলার চৌগাংগা ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং মেসার্স মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক।

স্থানীয় সুবিধাভোগী ব্যক্তিরা জানান, তাঁরা দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরও অনেকে পণ্য পাননি। কিছুক্ষণ বিতরণের পরই ডিলারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পণ্য বিতরণ শেষ এবং অবশিষ্ট নেই। হাতে সরকারের দেওয়া টিসিবি কার্ড থাকা সত্ত্বেও পণ্য না পেয়ে তাঁরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

মৃগা গ্রামের বাসিন্দা চাঁন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এখন বলছে পণ্য নেই। তাহলে আমার কার্ডের পণ্য কোথায় গেল?’ একই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওয়ারিস মিয়া।

এ বিষয়ে ডিলার মেসার্স মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক তাজুল ইসলাম মানিক বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সব পণ্য আছে। তারপরও আমি পণ্য দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলাম না। আমার ভাগনে রতন সেখানে উপস্থিত ছিল।’

রতন মিয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি যা পেয়েছি, তা সবাইকে দিচ্ছি। আর কেউ যদি না পেয়ে থাকে, তাদেরকে আগামী মাসে দেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রায়হানুল ইসলাম বলেন, ‘এ ব্যাপারে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে দ্রুত এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

স্বামীকে কিডনি দানের অনন্য দৃষ্টান্ত, প্রশংসায় ভাসছেন স্ত্রী ফাতেমা

মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
চিকিৎসাধীন মো. বেলাল মোড়ল। ছবি: সংগৃহীত
চিকিৎসাধীন মো. বেলাল মোড়ল। ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় এক স্ত্রী তাঁর জীবনসঙ্গীর জীবন বাঁচাতে নিজের একটি কিডনি দান করে ভালোবাসার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। স্ত্রী ফাতেমা বেগম হেনার (৪৬) এই ত্যাগের ফলে নতুন জীবন পেলেন স্বামী মো. বেলাল মোড়ল (৪৮)।

মানিকছড়ি উপজেলার গচ্ছাবিল এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও দুই সন্তানের জনক বেলাল মোড়ল দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। দীর্ঘ চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, তাঁর দুটি কিডনিই অকেজো হয়ে গেছে। যখন তাঁর জীবনপ্রদীপ প্রায় নিভে যাওয়ার উপক্রম, ঠিক তখনই জীবনসঙ্গিনী ফাতেমা বেগম স্বামীর জীবন রক্ষায় নিজের একটি কিডনি দান করার সম্মতি দেন।

চিকিৎসক মো. কামরুল হাসানের অধীনে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সফলভাবে বেলাল মোড়ল ও ফাতেমা বেগমের কিডনি প্রতিস্থাপন (ট্রান্সপ্লান্ট) করা হয়।

বেলাল মোড়লের জ্যেষ্ঠপুত্র মো. ওমর ফারুক রাজু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমার আব্বুর জীবন রক্ষায় আম্মু তাঁর একটি কিডনি দান করেছেন। বর্তমানে আব্বু ও আম্মু উভয়েই সুস্থ আছেন।’

অসুস্থ স্বামীর জীবন বাঁচাতে স্ত্রীর কিডনি দানের এই ঘটনাকে নিঃসন্দেহে অনন্য দৃষ্টান্ত উল্লেখ করেছেন সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আজকাল সমাজে স্বামী-স্ত্রী বা সন্তানের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কে যখন অনেক ক্ষেত্রে ফাটল ধরছে, এই সময়ে একজন স্ত্রী তাঁর স্বামীর জীবন বাঁচাতে নিজের একটি কিডনি দান করলেন। এটি ভালোবাসার এক অনন্য নিদর্শন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত