সম্পাদকীয়

একটা সময় চলচ্চিত্রের চাপে পড়ে কলকাতার মঞ্চনাটকও দর্শক হারাচ্ছিল। বলা হয়ে থাকে, শম্ভু মিত্র তখন নাট্য প্রযোজনার বাঁক পরিবর্তন করছেন। একসময় মঞ্চের রুচি পাল্টে দিয়েছিলেন শিশির ভাদুড়ী, সেটা আরও পাল্টে দিলেন নবনাট্যের শম্ভু মিত্র। দুজনের উপস্থিতিতে নাটক নিয়ে একটা বাহাস হবে, ভাবছিলেন দর্শকেরা।

এ এক আনন্দের সিরিজ জয়। টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার মতো একটি ক্রিকেট-দানবকে বধ করা সহজ কথা নয়। বহুদিন পর বুঝি টেলিভিশনের দিকে দৃষ্টি ছিল দেশবাসীর। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা গেল প্রবাসী বাঙালিদেরও আনন্দ-উল্লাস। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এই উপহার সত্যিই অমূল্য।

ঝাল খাবারের প্রতি বাঙালির অকৃত্রিম ভালোবাসা রয়েছে, এ কথা স্বীকার করতেই হয়। সে জন্য কাঁচা মরিচ বাঙালির রান্নায় একটি অপরিহার্য উপকরণ, অর্থাৎ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। অথচ হঠাৎ করেই বাজারে কাঁচা মরিচের দাম চার-পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে।

সময় যায়, আমরাও দাবি করি নানান খাতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কাজের সময় দেখা যায়, আমরা আসলে এখনো বেশ পিছিয়ে আছি। অনেক দূর যেতে হবে আমাদের। আমরা মনে করি যে অনেক পরিণত আমরা। বাস্তবে আমাদের কাজে তা প্রমাণ করে না।

লেখালেখি করবেন, এমনটা ভাবেননি কখনো। হাতের লেখা ভালো ছিল বলে স্কুলের দেয়াল পত্রিকায় অন্যদের লেখাগুলো সুন্দর করে নিজের হাতে লিখে দিতেন আবদুল্লাহ আল-মামুন

নগদ টাকা হাতে বেশি থাকলে কী হয়? কেউ অপরিহার্য জিনিসপত্রের পাশাপাশি কিছু বিলাসী পণ্যও কেনেন। কেউ খেয়েদেয়ে, ঘুরেফিরে খরচ করেন। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে কেনাকাটা বাড়িয়ে দেন। এর ফলে কিছু টাকার অপচয়ও হয়।

শহীদুল জহির প্রথম লিখতে শুরু করেন শহীদুল হক নামে। কিছুদিন লেখালেখি করার পর দেখা গেল, শহীদুল হক নামে লেখককে কেউ চিনতে পারছে না। সে সময় টাইমস পত্রিকার সম্পাদকের নাম ছিল শহীদুল হক, আরেকজন লেখক ছিলেন শহীদুল হক খান নামে।

কড়া লকডাউন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে হাসি পাচ্ছে কেন, সেটা নিশ্চয়ই কাউকে বুঝিয়ে বলতে হবে না। এখন রাজধানীতে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ছাড়া আর সবই স্বাধীনভাবে চলছে বলে মনে হয়। ‘বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো’ প্রবাদটির সৃষ্টি হয়েছিল হয়তো এ ধরনের অবস্থার বর্ণনা করতেই।

রবীন্দ্রনাথকে নিয়েই কথা, আবার রবীন্দ্রনাথকে নিয়েও নয়। আসলে কথা হচ্ছে ব্রজেশ্বরকে নিয়ে। রবীন্দ্রনাথের ছেলেবেলায় পরিচারকদের সর্দার ছিলেন তিনি। চিবিয়ে চিবিয়ে কথা বলতেন, গম্ভীর ছিল মেজাজ, আর ছিল কড়া গলা।

বিয়ের আনন্দ নিমেষে পরিণত হলো কান্নায়। ৫৫ জন মিলে কনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন বর-কনেকে আনতে। কিন্তু বর্ষণের কারণে তাঁরা ঠাঁই নিয়েছিলেন পথের এক বাড়িতে। সেখানেই বজ্রপাত।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মারা গেছেন ১৭ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

কলকাতা থেকে ঢাকায় চলে এসেছিলেন পড়াশোনা করতে। ছিমছাম ছোট শহরটাকে ভালোবেসে ফেলেছিলেন। পড়তেন আর্টসে, সায়েন্সে পড়ার বাসনা হলো। প্রথমবার ঢাকায় এসেছিলেন কলকাতার মেসে থাকা বড় ভাই টেনদার সঙ্গে।

ধর্ম মানেই মানুষের কল্যাণ, তা যে ধর্মই হোক না কেন। প্রতিটি ধর্মই একটি সুন্দর, সৎ, শান্তিময় সমাজ ও রাষ্ট্রগঠনের কথা বলে। ইসলাম ধর্মও তাই। অন্য ধর্মের মতো ইসলাম ধর্মেও মানুষ, জীব ও প্রকৃতির মধ্যে সুন্দর ভারসাম্য বজায় রেখে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার কথা বলা হয়েছে।

পরবাসকে কী চোখে দেখতেন কবি শহীদ কাদরী? যাঁরা তাঁকে কাছে থেকে দেখেছেন জীবনের শেষদিকটায়, তাঁরা জানেন, তিনি মনে করতেন মাতৃভূমি ত্যাগ করা আত্মহত্যার শামিল। নিউইয়র্কে জীবনের শেষ দিনগুলো কেটেছিল তাঁর

মানিব্যাগে কিংবা ভ্যানিটি ব্যাগের কোনো এক কোণে ফেলে রেখে দিব্যি চলে আসা যাবে বাড়িতে। তারপর? তারপর কী! ‘তার আর পর নেই’ বলে গান গাইলে সংস্কৃতির একটু কদর হবে বটে, কিন্তু সমস্যাটা বোঝা যাবে না। বুঝতে হবে নেশাকারী ব্যক্তির আচরণ দেখে

ফেরদৌসী মজুমদারকে চেনা যায় তাঁর প্রাণখোলা হাসিতে। এ রকম প্রাণস্পর্শী হাসি খুব কম মানুষই হাসতে পারেন। সাক্ষাৎকার নিতে গেলে ফেরদৌসী মজুমদারের পাশে যদি রামেন্দু মজুমদার থাকেন, তাহলে দ্বিতীয়জনকে মনে হবে মৌন ঋষি

গ্রহণ করা হয়, তখন তার একটি সময়সীমাও নির্ধারণ করা হয়, সম্ভাব্য ব্যয়ের বিষয়টিও ঠিক করা হয়। কিন্তু যখন তা বাস্তবায়ন পর্যায়ে যায়, তখন আর নির্ধারিত সময়ে কাজটি শেষ হয় না। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যয়ের পরিমাণও বাড়ে। কেন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে, তার কোনো জুতসই জবাবও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে

হয় ব্যর্থতার চোরাবালিতে। দীর্ঘ ৫৬ বছর পর নীলফামারীর চিলাহাটি রেলস্টেশন দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরুর একটি ভালো খবর বেরিয়েছে।  প্রথম ট্রেনে ভারত থেকে আসে পাথর ও গম। ভারতের জলপাইগুড়ি থেকে আসা ট্রেনটি সীমান্তবর্তী হলদিবাড়ী স্টেশন হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে