সম্পাদকীয়

খেতের ধান নষ্ট করেছে গরু, আর তাই পেটানো হলো গরুর মালিককে। নাটোরের সিংড়ায় এক ইউপি সদস্য এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তাঁকে দায়ী করে এই সম্পাদকীয়তে কড়া কিছু কথা লেখা যেত কিংবা যে বৃদ্ধকে গাছে বেঁধে তিনি পিটিয়েছেন, তাঁকে নিয়ে আবেগে ভরপুর একটা বয়ানও তৈরি করা যেত।

সংবাদপত্রে প্রতিদিনই এমন দু-একটি খবর থাকে, যেগুলো পড়লে মাথা গরম না হয়ে পারে না। বলা হয়, জনগণের জন্য সরকার সব উজাড় করে দিচ্ছে। বাস্তবে দেখা যায়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে জনগণের চাহিদা পূরণ না করে, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ইচ্ছা পূরণ করতে সরকারি টাকা ধ্বংস করা হয় দ্বিধাহীন চিত্তে। কাজের কাজে দক্ষতা না থাকলেও অকাজ

পি কে হালদারের ব্যাংকের টাকা চুরির খবর নিশ্চয়ই এখনো কেউ ভুলে যায়নি। বেসিক, সোনালী, জনতা, ফারমার্স (পদ্মা) ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নেওয়ার ঘটনাও হয়তো সবার মনে ভাসছে! জনগণের আমানতের টাকা চুরি করে একশ্রেণির দলবাজ, দুর্নীতিবাজ, সুবিধাবাদী গোষ্ঠী আইনের চোখে ধুলো দিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে

রাজিয়া খাতুনকে আপনি চিনবেন না। পাবনার আটঘরিয়ায় বসবাসরত এই নারীর এমন কোনো গুণ নেই, যার কারণে আপনি তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হবেন। আজকের পত্রিকার রাজশাহী সংস্করণের ছোট্ট একটি খবরে দেখা যায় তাঁর হাস্যোজ্জ্বল মুখ। সেই সঙ্গে একটি কর্তিত হাত দেখার পর সে খবর না পড়ে উপায় থাকে না।

হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) মর্মান্তিকভাবে শাহাদতবরণ করেন। অন্যায় ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন হজরত ইমাম হোসাইন (রা.)। কারবালা প্রান্তরে তাঁর এই ত্যাগের ইতিহাস গোটা বিশ্বের মুসলমান সম্প্রদায়কে একাত্ম করে।

লোকসংগীত নিয়ে কথা বলছিলেন হেমাঙ্গ বিশ্বাস। নানা ধরনের অনুষঙ্গ এসে লোকসংগীতে কলুষ ছড়াচ্ছে, সেটাই ছিল তাঁর আক্ষেপের বিষয়। একবার বিচারক হয়ে গিয়েছিলেন কোনো লোকসংগীত প্রতিযোগিতায়

নীলফামারীর সৈয়দপুরে চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়া হলে তা আজমির নামে এক শিশুর চোখে এসে লাগে। চোখটি বাঁচানো যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে খোদ চিকিৎসকদের। সুলভ এবং নিরাপদ বাহন হিসেবে ট্রেনে চড়ে মানুষ

শওকত ওসমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের খবর শুনে লিখেছিলেন, ‘আর তো কিছু শোনার প্রয়োজন করে না।’ ঘাতকদের উদ্দেশে লিখেছিলেন, ‘সাম্রাজ্যবাদীরা ঘাতক খুঁজে পায় তৃতীয় বিশ্বের সামাজিক নর্দমা থেকে!’ লিখেছিলেন, ‘এমন ফেরেবের গর্তে পড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চলে গেলেন বড় চড়া দাম দিয়ে। দেশপ্রেমের অভাব থাকলে তিনি

করোনা টিকার জন্য আর আমাদের বাইরের কোনো দেশের ওপর নির্ভর করতে হবে না। আগামী তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশেই উৎপাদিত হবে করোনার টিকা। চীনের সিনোফার্ম ও বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে এ ব্যাপারে চুক্তি সই হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে করোনার টিকা উৎপাদনের বৈশ্বিক ব্যবস্থার

ক্ষমতা দখলের পর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কবিতা লেখা শুরু করেন। তাঁর চকচকে কবিতার বই বের হয়, পত্রপত্রিকার প্রথম পাতায় কিংবা সাহিত্য পাতায় এরশাদের কবিতা প্রকাশিত হতে থাকে। নবগঠিত কবিতা পরিষদকে প্রতিহত করার জন্য এরশাদ কবি সংঘ গঠন করেন

শিক্ষার্থীকেই। বাক্যটির সরল অর্থ হলো, কোনো কিছুকেই অবহেলা করতে নেই। যা অবহেলা করা হচ্ছে, তার মধ্যেও লুকিয়ে থাকতে পারে অপার সম্ভাবনা। আমরা যা শিখি বাস্তব জীবনে অনেক ক্ষেত্রেই তার সবকিছু প্রয়োগ করি না। ফল প্রত্যাশা করে হাত গুটিয়ে বসে না থেকে প্রাপ্তির জন্য চেষ্টা করা ভালো

একবার পুজোর ছুটিতে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ভাগলপুরে বেড়াতে গেছেন। সেখান থেকে দুই মাতুল সুরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় আর গিরীন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে স্টিমারে করে কলকাতায় ফিরছেন। সে সময় পাটনা থেকে কলকাতায় নিয়মিত স্টিমার সার্ভিস ছিল।

আগে কখনো এমনটি দেখা যায়নি; এখন তা বারবার ঘটছে। এখনই কেন তা বারবার ঘটছে? আর তা কেন পদ্মা সেতুতেই হবে? আর কিছু কি নেই ধাক্কা খাওয়ার জন্য? ঘুরেফিরে পদ্মা সেতুর পিলারে আঘাতটা লাগছে, কেন? এ ঘটনার পর বারবার একটি প্রশ্ন মনে ঘুরছে, তা হলো—এটা যে বহু কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু, ফেরিগুলো ‘চিনিল কেমনে!’

বিজয় সরকার (১৯০৩-১৯৮৫) যখন যশোর, ফরিদপুরসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় দাপটের সঙ্গে গেয়ে বেড়াচ্ছেন, তখন কবিরত্ন এম এ হক (১৯২৯-২০০৬) খুলনার বিএল কলেজ থেকে পাট চুকিয়ে উপজেলার হাইস্কুলে শিক্ষকতা শুরু করে লেখালেখিতে মনোযোগী হয়েছেন ব্যাপকভাবে।

এমন একসময় এসে হাজির হয়েছে, যখন ছুটি নামের এক আনন্দ অনুভূতিও পরিণত হয়েছে বিষাদে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দিনের পর দিন বন্ধ। স্বাভাবিক সময়ে ছুটি পাওয়ার অর্থই হলো অবকাশে ভরে উঠবে মন। কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার ইচ্ছে জাগবে কিংবা কোনো চলচ্চিত্র, কোনো বই কিংবা নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারে অন্য রকম একটা সময় কাটান

সবাই যেন বেশ খুশি! প্রিয় ঢাকাসহ সব আগের রূপে! বিষয়টা এমন যে, জ্যামের শহরে জ্যাম না থাকলে কি চলে? এই শহরে জ্যাম থাকবে, কোলাহল, হুইহুল্লোড়, বেড়ানো, আড্ডা, শপিং–এসব না থাকলে ঢাকাকে ঢাকাই মনে হয় না! তাই লকডাউন তুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সবাই ঝাঁকের কইয়ের মতো বেরিয়ে পড়েছেন রাস্তায়, গলিতে, মার্কেটে–সর্বত্র।

চাহিদা বাড়লে ব্যবসায়ীদের একটা অংশ ভীষণ আনন্দে থাকেন। কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে সেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। দাম বাড়ার অজুহাত হিসেবে বলেন, সরবরাহ কম। প্রয়োজন থাকায় মানুষ দামের দিকটা বিবেচনা না করে কিনতে শুরু করে। আর তখন মুনাফার পাহাড়ে বসে এই ব্যবসায়ীরা গোঁফে তেল দেন।