সম্পাদকীয়
হয়নি। আরও চলবে। কত দিন চলবে তা অনিশ্চিত হলেও, অবরোধ চলাকালে যে সারা দেশে আরও গাড়ি পোড়ানো ও ভাঙচুর হবে, এটা নিশ্চিত। এই গাড়ি পুড়িয়ে, ভাঙচুর করে বিরোধী দলের কী ফায়দা হচ্ছে, তা কেউ বলতে পারবে না। বিএনপি ও তার মিত্ররা সরকার পতনের স্বপ্ন দেখছে। আর সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচনের।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার ৯ নভেম্বর বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে অবহিত করেছেন। সিইসি বলেছেন, নির্ধারিত সময়ে এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর। রাষ্ট্রপতিও যেকোনো মূল্যে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার কথা বলেছেন। এটা এখন অনেকটাই নিশ্চিত যে জানুয়ারি মাসের শুরুতেই দেশে নির্বাচন হবে। আগামী সপ্তাহে ইসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে।
তফসিল ঘোষণা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা বলছে বিএনপিসহ আরও কিছু দল। তবে তাদের আন্দোলনের কারণে সরকার পদত্যাগ করে অরাজনৈতিক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে—সেটা কষ্টকল্পনার বিষয়।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে সদস্যসচিব করে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ১৪টি উপকমিটিও।
বিএনপিকে বাদ দিয়েই আওয়ামী লীগ নির্বাচনের পথে হাঁটছে বলে মনে করা হলেও, দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় শেখ হাসিনা বিএনপি নির্বাচনে আসতে পারে ধরে নিয়েই দলের নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। শুক্রবার আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘শেষ দিকে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে। তারেকের টাকা দরকার, সে মনোনয়ন-বাণিজ্যের সুযোগ হাতছাড়া করবে না।’
তিনি বলেছেন, নির্বাচন জনগণের অধিকার। গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার। জনগণের এই অধিকার সুরক্ষা দেওয়া এবং সুষ্ঠুভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করা—এটাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য।
তবে নানা দিক থেকে চক্রান্ত হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘এখানে চক্রান্ত আছে। চক্রান্ত করেই চেষ্টা হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে দেশকে পঙ্গু করা, অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ হত্যা করে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা। সব দিক থেকে চেষ্টা হচ্ছে। এরই মধ্যে আমাদের সবাইকে এক হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের শক্তি দেশবাসী।’
দেশবাসী আওয়ামী লীগের শক্তি বলে উল্লেখ করেছেন শেখ হাসিনা। কিন্তু বিএনপিও যে একেবারে জনসমর্থনহীন দল নয়, সেটাও তো দলটির সভা-সমাবেশ দেখেই বোঝা যায়। বিএনপি যদি সত্যি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসে এবং মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, তাহলেই কেবল বোঝা যাবে কোন দলের প্রতি মানুষের সমর্থনের পাল্লা ভারী।
হয়নি। আরও চলবে। কত দিন চলবে তা অনিশ্চিত হলেও, অবরোধ চলাকালে যে সারা দেশে আরও গাড়ি পোড়ানো ও ভাঙচুর হবে, এটা নিশ্চিত। এই গাড়ি পুড়িয়ে, ভাঙচুর করে বিরোধী দলের কী ফায়দা হচ্ছে, তা কেউ বলতে পারবে না। বিএনপি ও তার মিত্ররা সরকার পতনের স্বপ্ন দেখছে। আর সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচনের।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার ৯ নভেম্বর বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে অবহিত করেছেন। সিইসি বলেছেন, নির্ধারিত সময়ে এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর। রাষ্ট্রপতিও যেকোনো মূল্যে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার কথা বলেছেন। এটা এখন অনেকটাই নিশ্চিত যে জানুয়ারি মাসের শুরুতেই দেশে নির্বাচন হবে। আগামী সপ্তাহে ইসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে।
তফসিল ঘোষণা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা বলছে বিএনপিসহ আরও কিছু দল। তবে তাদের আন্দোলনের কারণে সরকার পদত্যাগ করে অরাজনৈতিক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে—সেটা কষ্টকল্পনার বিষয়।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে সদস্যসচিব করে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ১৪টি উপকমিটিও।
বিএনপিকে বাদ দিয়েই আওয়ামী লীগ নির্বাচনের পথে হাঁটছে বলে মনে করা হলেও, দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় শেখ হাসিনা বিএনপি নির্বাচনে আসতে পারে ধরে নিয়েই দলের নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। শুক্রবার আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘শেষ দিকে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে। তারেকের টাকা দরকার, সে মনোনয়ন-বাণিজ্যের সুযোগ হাতছাড়া করবে না।’
তিনি বলেছেন, নির্বাচন জনগণের অধিকার। গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার। জনগণের এই অধিকার সুরক্ষা দেওয়া এবং সুষ্ঠুভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করা—এটাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য।
তবে নানা দিক থেকে চক্রান্ত হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘এখানে চক্রান্ত আছে। চক্রান্ত করেই চেষ্টা হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে দেশকে পঙ্গু করা, অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ হত্যা করে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা। সব দিক থেকে চেষ্টা হচ্ছে। এরই মধ্যে আমাদের সবাইকে এক হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের শক্তি দেশবাসী।’
দেশবাসী আওয়ামী লীগের শক্তি বলে উল্লেখ করেছেন শেখ হাসিনা। কিন্তু বিএনপিও যে একেবারে জনসমর্থনহীন দল নয়, সেটাও তো দলটির সভা-সমাবেশ দেখেই বোঝা যায়। বিএনপি যদি সত্যি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসে এবং মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, তাহলেই কেবল বোঝা যাবে কোন দলের প্রতি মানুষের সমর্থনের পাল্লা ভারী।
দেশে কী ঘটছে, রাজনীতির গতিমুখ কোন দিকে—এসব নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল ও আগ্রহের শেষ নেই। অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন, জবাব নেই প্রায় কোনো প্রশ্নেরই। রাজনীতি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করার মতো জ্যোতিষীরও দেখা পাওয়া ভার। তবে গুজব, রটনা, কানকথার কোনো অভাব নেই। আমরা যাঁরা গণমাধ্যমে কাজ করি, আমাদের সঙ্গে পরিচিতজনদের
৩ ঘণ্টা আগেগত এপ্রিল মাসে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। উভয় দেশই পাল্টাপাল্টি হামলা চালায়। যদিও এই হামলার শুরুটা ভারতের দিক থেকে হয়েছিল। পরমাণু অস্ত্রধর দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে, বাণিজ্য ও যাতায়াত বন্ধ করে দেয়
৩ ঘণ্টা আগেতথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রশ্নটি তুলেছিলেন। জুলাই-আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটেছে, তার বিচারের ব্যাপারে কথাবলার আগে তিনি লিখেছেন, ‘একাত্তরের প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে।
৩ ঘণ্টা আগেগত শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে দেশে আঙুর চাষের চেষ্টা চলেছে। দেশের মাটিতে আঙুরের ফলন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু স্বাদ ছিল বেজায় টক। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ তখনো জানত না আঙুরগাছ দেখতে কেমন।
১ দিন আগে