আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে নারীদের ফুটবল ম্যাচ বন্ধে মাঠে টিনের বেড়া ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতরা ক্ষমা চেয়েছেন। তাঁরা আর ‘নারীদের খেলাধুলার বিষয়ে নাক গলাবেন না’ বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), ইউএনও ও থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি ডিসির কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিপুল কুমারকে আহ্বায়ক করে গঠিত তদন্ত কমিটিতে সদস্য রয়েছেন— উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), থানার ওসি, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে মাহফুজ আহমেদ।
আজ শুক্রবার সকালে ওই মাঠে ইউএনও এবং ওসিসহ সেনাবাহিনীর একটি দল উপস্থিত হয়। সেখানে খেলা বন্ধ করতে মাঠ ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের মধ্য কয়েকজনও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বলেন, এখানে সামান্য ভুল–বোঝাবুঝির কারণে গত মঙ্গলবারে ওই ঘটনাটি ঘটিয়েছিলেন তারা। এই মাঠে নারীদের ফুটবল খেলতে আর কোনো বাধা নেই।
সরেজমিনে আজ বেলা ১১টায় তিলকপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠের মধ্য কয়েকটি ডেকোরেটারের চেয়ার–টেবিল পড়ে আছে। এসবের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলম, থানার পরিদর্শক (ওসি–তদন্ত) আনিছুর রহমান ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মাহফুজ হোসেন। গত মঙ্গলবার খেলার মাঠে ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকেও ওই মাঠে দেখা যায়।
এ সময় টি স্টার ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খাজা হোসেনকে উত্তেজিত হয়ে বলতে দেখা যায়, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে প্রশাসন তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে স্বাক্ষর নিয়েছে, সেটির ব্রিফ হবে।’ এ সময় তিনি ‘মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে’ উল্লেখ করে ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান দেন।
খাজা হোসেন আরও বলেন, ‘ইউএনও স্যার এখানে বারবার আসবে, কেউ এখানে মিথ্যা কথা বলে বাহাদুর সাজতে চাইবে—তা হতে দেব না। এতক্ষণ চুপ করে ছিলাম, এখন সব কথা জানাব।’
এদিকে মাঠে টিনের বেড়া ভাঙচুর ও নারীদের ফুটবল ম্যাচ বন্ধের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকার নিন্দা জানিয়ে জেলা প্রশাসনকে ফুটবল ম্যাচটি অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডিসি আফরোজা আকতার চৌধুরী ও এসপি মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব, ইউএনও মনজুরুল আলম, থানার পরিদর্শক আনিছুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাঁরা আশপাশের লোকজন, আয়োজক কমিটি, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি–সাধারণ সম্পাদক ও বাচ্চা হাজি কওমি মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন।
স্থানীয় লোকজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিলকপুরের টি স্টার ক্লাবের উদ্যোগে তিলকপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে প্রায় দেড় মাস আগে থেকে আন্তজেলা ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। ওই ক্লাবের সভাপতি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউল হাসান ইমন। টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচে মাটিতে বসে খেলা দেখার জন্য ৩০ টাকা ও চেয়ার বসে দেখার জন্য ৭০ টাকা মূল্যের টিকিট রাখা হয়। টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠে পার্বতীপুর ও জয়পুরহাট ফুটবল দল।
ফাইনাল ম্যাচের আগে আয়োজক কমিটি ওই মাঠে একই মূল্যের (৩০ ও ৭০ টাকা) টিকিটে জয়পুরহাট ও রংপুর নারী ফুটবল দলের প্রীতি ম্যাচের ঘোষণা দিয়ে এলাকায় মাইকিং করে। তখন থেকেই স্থানীয় আলেম সমাজ বিষয়টি নিয়ে বিরোধিতা শুরু করে। গত মঙ্গলবার বিকেলে একদল মুসল্লি ও মাদ্রাসার ছাত্র হামলা চালিয়ে খেলার মাঠে টিনের বেড়া ভাঙচুর করে। ঘটনাটি আবার হামলাকারীদের মধ্য থেকে ফেসবুকে লাইভ করা হয়। ওই ঘটনার পর আয়োজকেরা নারী ফুটবল ম্যাচটি বাতিল করেন। গত বুধবার ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
আজ শুক্রবার মাঠে অবস্থানকালে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বাচ্চা হাজি কওমি মাদ্রাসার নায়েবে মোহতামিমের পক্ষে কথা বলেন মাদ্রাসার সাধারণ শিক্ষক মোস্তাকিম হোসাইন। তিনি বলেন, ‘গত মঙ্গলবার তিলকপুরে নারী ফুটবল খেলা নিয়ে যে ঘটনাটি ঘটেছে, আমরা তার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমাদের মধ্য সামান্য ভুল–বোঝাবুঝির কারণে যা হয়েছে, তাতে আমরা দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে লজ্জিত। আমরা ভবিষ্যতে এমন কোনো কাজ করব না। যেখানে সরকার খেলাকে বৈধতা দিয়েছে, সেখানে সরকারের বিরুদ্ধে আর কখনো যাব না। দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি আমরা। যা করেছি, এখান থেকে আমরা লজ্জিত। ভবিষ্যতে জয়পুরহাট জেলাতে আর কখনো এই ধরনের কাজ হবে না। আমরা নারীদের খেলার বিষয়ে আর নাক গলাব না।’
ভ্যাটকুরি মসজিদের খতিব ও তিলকপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গত মঙ্গলবারে তিলকপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নারী ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, আমরা আইনকে শ্রদ্ধা জানাই। সরকারি নিয়ম–নীতিতে খেলা হোক, এটা আমরাও চাই। আলেম–ওলামাদের মধ্য ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই বিষয়টি ঘটেছে। সামনের দিনে আর যেন না ঘটে, আমিও সেটিই চাচ্ছি। সরকারের বিরুদ্ধে আমরা যেতে চাই না।’
তিলকপুর পুরোনো বাজার জামে মসজিদের খতিব আব্দুস সামাদ বলেন, ‘খেলার বিরুদ্ধে আমাদের কোনো পদক্ষেপ ছিল না। তবে সামান্য একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে ভুল বোঝাবুঝির কারণে যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে তাঁর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। খেলা উন্মুক্তভাবে চললে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
টি স্টার ক্লাবের সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউল হাসান ইমন বলেন, ‘তিলকপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নারী ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝির বিষয়। আমরা আলেম সমাজের সঙ্গে একত্র হয়ে বিষয়টি মীমাংসা করেছি।’
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলম বলেন, ‘আমরা সবকিছু মিলিয়ে সমাধানের পথে চলে এসেছি। এখানকার জনগণ সবাই একতাবদ্ধ হয়েছেন। এখানে খেলা পরিচালনা করার জন্য আর কোনো বাধা নেই। খুব দ্রুতই আমরা খেলা পরিচালনা করতে পারব।’
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় দ্বন্দ্বের কারণে তিলকপুর মাঠে নারী ফুটবল খেলাকে নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেটির প্রায় সমাধান হয়েছে। এখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’
এর আগে, তিলকপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার বিকেলে ওই মাঠের টিনের বেড়া ভাঙচুরের ঘটনার খেলা বন্ধ রাখেন আয়োজকেরা।
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে নারীদের ফুটবল ম্যাচ বন্ধে মাঠে টিনের বেড়া ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতরা ক্ষমা চেয়েছেন। তাঁরা আর ‘নারীদের খেলাধুলার বিষয়ে নাক গলাবেন না’ বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), ইউএনও ও থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি ডিসির কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিপুল কুমারকে আহ্বায়ক করে গঠিত তদন্ত কমিটিতে সদস্য রয়েছেন— উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), থানার ওসি, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে মাহফুজ আহমেদ।
আজ শুক্রবার সকালে ওই মাঠে ইউএনও এবং ওসিসহ সেনাবাহিনীর একটি দল উপস্থিত হয়। সেখানে খেলা বন্ধ করতে মাঠ ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের মধ্য কয়েকজনও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বলেন, এখানে সামান্য ভুল–বোঝাবুঝির কারণে গত মঙ্গলবারে ওই ঘটনাটি ঘটিয়েছিলেন তারা। এই মাঠে নারীদের ফুটবল খেলতে আর কোনো বাধা নেই।
সরেজমিনে আজ বেলা ১১টায় তিলকপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠের মধ্য কয়েকটি ডেকোরেটারের চেয়ার–টেবিল পড়ে আছে। এসবের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলম, থানার পরিদর্শক (ওসি–তদন্ত) আনিছুর রহমান ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মাহফুজ হোসেন। গত মঙ্গলবার খেলার মাঠে ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকেও ওই মাঠে দেখা যায়।
এ সময় টি স্টার ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খাজা হোসেনকে উত্তেজিত হয়ে বলতে দেখা যায়, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে প্রশাসন তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে স্বাক্ষর নিয়েছে, সেটির ব্রিফ হবে।’ এ সময় তিনি ‘মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে’ উল্লেখ করে ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান দেন।
খাজা হোসেন আরও বলেন, ‘ইউএনও স্যার এখানে বারবার আসবে, কেউ এখানে মিথ্যা কথা বলে বাহাদুর সাজতে চাইবে—তা হতে দেব না। এতক্ষণ চুপ করে ছিলাম, এখন সব কথা জানাব।’
এদিকে মাঠে টিনের বেড়া ভাঙচুর ও নারীদের ফুটবল ম্যাচ বন্ধের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকার নিন্দা জানিয়ে জেলা প্রশাসনকে ফুটবল ম্যাচটি অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডিসি আফরোজা আকতার চৌধুরী ও এসপি মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব, ইউএনও মনজুরুল আলম, থানার পরিদর্শক আনিছুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাঁরা আশপাশের লোকজন, আয়োজক কমিটি, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি–সাধারণ সম্পাদক ও বাচ্চা হাজি কওমি মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন।
স্থানীয় লোকজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিলকপুরের টি স্টার ক্লাবের উদ্যোগে তিলকপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে প্রায় দেড় মাস আগে থেকে আন্তজেলা ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। ওই ক্লাবের সভাপতি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউল হাসান ইমন। টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচে মাটিতে বসে খেলা দেখার জন্য ৩০ টাকা ও চেয়ার বসে দেখার জন্য ৭০ টাকা মূল্যের টিকিট রাখা হয়। টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠে পার্বতীপুর ও জয়পুরহাট ফুটবল দল।
ফাইনাল ম্যাচের আগে আয়োজক কমিটি ওই মাঠে একই মূল্যের (৩০ ও ৭০ টাকা) টিকিটে জয়পুরহাট ও রংপুর নারী ফুটবল দলের প্রীতি ম্যাচের ঘোষণা দিয়ে এলাকায় মাইকিং করে। তখন থেকেই স্থানীয় আলেম সমাজ বিষয়টি নিয়ে বিরোধিতা শুরু করে। গত মঙ্গলবার বিকেলে একদল মুসল্লি ও মাদ্রাসার ছাত্র হামলা চালিয়ে খেলার মাঠে টিনের বেড়া ভাঙচুর করে। ঘটনাটি আবার হামলাকারীদের মধ্য থেকে ফেসবুকে লাইভ করা হয়। ওই ঘটনার পর আয়োজকেরা নারী ফুটবল ম্যাচটি বাতিল করেন। গত বুধবার ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
আজ শুক্রবার মাঠে অবস্থানকালে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বাচ্চা হাজি কওমি মাদ্রাসার নায়েবে মোহতামিমের পক্ষে কথা বলেন মাদ্রাসার সাধারণ শিক্ষক মোস্তাকিম হোসাইন। তিনি বলেন, ‘গত মঙ্গলবার তিলকপুরে নারী ফুটবল খেলা নিয়ে যে ঘটনাটি ঘটেছে, আমরা তার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমাদের মধ্য সামান্য ভুল–বোঝাবুঝির কারণে যা হয়েছে, তাতে আমরা দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে লজ্জিত। আমরা ভবিষ্যতে এমন কোনো কাজ করব না। যেখানে সরকার খেলাকে বৈধতা দিয়েছে, সেখানে সরকারের বিরুদ্ধে আর কখনো যাব না। দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি আমরা। যা করেছি, এখান থেকে আমরা লজ্জিত। ভবিষ্যতে জয়পুরহাট জেলাতে আর কখনো এই ধরনের কাজ হবে না। আমরা নারীদের খেলার বিষয়ে আর নাক গলাব না।’
ভ্যাটকুরি মসজিদের খতিব ও তিলকপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গত মঙ্গলবারে তিলকপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নারী ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, আমরা আইনকে শ্রদ্ধা জানাই। সরকারি নিয়ম–নীতিতে খেলা হোক, এটা আমরাও চাই। আলেম–ওলামাদের মধ্য ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই বিষয়টি ঘটেছে। সামনের দিনে আর যেন না ঘটে, আমিও সেটিই চাচ্ছি। সরকারের বিরুদ্ধে আমরা যেতে চাই না।’
তিলকপুর পুরোনো বাজার জামে মসজিদের খতিব আব্দুস সামাদ বলেন, ‘খেলার বিরুদ্ধে আমাদের কোনো পদক্ষেপ ছিল না। তবে সামান্য একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে ভুল বোঝাবুঝির কারণে যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে তাঁর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। খেলা উন্মুক্তভাবে চললে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
টি স্টার ক্লাবের সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউল হাসান ইমন বলেন, ‘তিলকপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নারী ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝির বিষয়। আমরা আলেম সমাজের সঙ্গে একত্র হয়ে বিষয়টি মীমাংসা করেছি।’
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলম বলেন, ‘আমরা সবকিছু মিলিয়ে সমাধানের পথে চলে এসেছি। এখানকার জনগণ সবাই একতাবদ্ধ হয়েছেন। এখানে খেলা পরিচালনা করার জন্য আর কোনো বাধা নেই। খুব দ্রুতই আমরা খেলা পরিচালনা করতে পারব।’
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় দ্বন্দ্বের কারণে তিলকপুর মাঠে নারী ফুটবল খেলাকে নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেটির প্রায় সমাধান হয়েছে। এখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’
এর আগে, তিলকপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার বিকেলে ওই মাঠের টিনের বেড়া ভাঙচুরের ঘটনার খেলা বন্ধ রাখেন আয়োজকেরা।
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে বিএনপির উঠান বৈঠকে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে বিশেষ অতিথি করায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
৪ মিনিট আগেবাংলাদেশের প্রথম নারী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শামসুন্নাহার চৌধুরী আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
১ ঘণ্টা আগেযশোরে গুলিবিদ্ধ হানিফ হোসেন (৪৫) নামের এক আওয়ামী লীগের কর্মী মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আজ শুক্রবার দুপুরে তাঁর লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জে বাসের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য। শুক্রবার রাত ৭ টার দিকে যমুনা সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মুলিবাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও চারজন। আহতদের সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে