সম্পাদকীয়
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পণ্যগুলো হলো চাল, আটা, ময়দা, ভোজ্যতেল, চিনি, মসুর ডাল, সিমেন্ট ও রড। এসব পণ্যের যৌক্তিক দাম কত হওয়া উচিত, তা ঠিক করা হবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই বিলম্বিত বোধোদয়ের জন্য সাধুবাদ জানিয়ে দু-একটা কথা বলা দরকার। আমাদের দেশে বাজারব্যবস্থা একেবারেই নিয়ন্ত্রণহীন। বাজার নিয়ন্ত্রিত হয় একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে সরকারি মহলের আঁতাত থাকে। ফলে এরা দাম বাড়ানোর সময় ক্রেতা বা ভোক্তার স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় না নিয়ে একধরনের স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নিয়ে থাকে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যে দাম বেঁধে দেওয়া হবে তা মানা না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। তিনি আরও বলেছেন, এত দিন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন শুধু ভোজ্যতেল ও চিনির মূল্য নির্ধারণ করে দিত। কিন্তু সম্প্রতি বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতা ও অভ্যন্তরীণ বাজারে ডলারের দাম বাড়ার সুযোগ নিয়ে এসব পণ্যের মূল্য অতিমাত্রায় বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা হওয়া উচিত ছিল না। বিষয়গুলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নজরে এসেছে। প্রকৃত অর্থে যথার্থ দাম নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে বাজারে স্থিতিশীলতা তৈরি করা যায়নি।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনসহ মাঠপর্যায়ের দায়িত্বে থাকা সব সংস্থাকে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, কোনো ব্যবসায়ী কোনো পণ্যে কারসাজি করলে কিংবা অযৌক্তিক দাম রাখলেই মামলা দিতে হবে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা যেন শুধু জরিমানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে।
আমরা সরকারের এই পদক্ষেপকে ইতিবাচকভাবেই দেখতে চাই। তবে সঙ্গে সঙ্গে এটাও মনে করিয়ে দিতে চাই, এই ঘোষণা যেন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়। আমাদের দেশে অনেক অনেক সিদ্ধান্ত হয়, এমনকি অনেক বিষয়ে অনেক আইনও আছে। কিন্তু মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেখা দেয় সমস্যা। সিদ্ধান্ত থাকে কাগজে-কলমে। আইনের যথাযথ প্রয়োগও বিরল। ‘বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো’ বলে একটি কথা চালু আছে। অধিকাংশ সরকারি সিদ্ধান্ত কিংবা আইন বাস্তবায়নের বিষয়টি উপেক্ষিত থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহের বদলে হতাশা দেখা দেয়।
জিনিসপত্রের দাম লাগাম ছাড়া বাড়লে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষেরই কষ্ট হয়। কারণ, তাদের আয় সীমিত এবং নির্ধারিত। সব সক্ষম মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা সরকার করতে পারেনি। যাঁরা কর্মহীন বা নির্ভরশীল, তাঁদের খাওয়া-পরার ব্যবস্থা তো সরকার করতে পারেনি। তাই সরকারের উচিত, বেপরোয়া দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের গলা কাটার যে ব্যবসা আমাদের দেশে চলছে, সেখানে একটু লাগাম টেনে ধরা। আমাদের দেশে উৎপাদিত কিংবা আমদানি করা পণ্যের দাম নির্ধারণে একটি যৌক্তিক নিয়ম বা পদ্ধতি অনুসরণে সংশ্লিষ্টদের বাধ্য করার সরকারি সদিচ্ছার প্রতিফলন মানুষ দেখতে চায়। ঠুনকো অজুহাতে দাম বাড়িয়ে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ানোর খেলা শেষ হোক।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পণ্যগুলো হলো চাল, আটা, ময়দা, ভোজ্যতেল, চিনি, মসুর ডাল, সিমেন্ট ও রড। এসব পণ্যের যৌক্তিক দাম কত হওয়া উচিত, তা ঠিক করা হবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই বিলম্বিত বোধোদয়ের জন্য সাধুবাদ জানিয়ে দু-একটা কথা বলা দরকার। আমাদের দেশে বাজারব্যবস্থা একেবারেই নিয়ন্ত্রণহীন। বাজার নিয়ন্ত্রিত হয় একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে সরকারি মহলের আঁতাত থাকে। ফলে এরা দাম বাড়ানোর সময় ক্রেতা বা ভোক্তার স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় না নিয়ে একধরনের স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নিয়ে থাকে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যে দাম বেঁধে দেওয়া হবে তা মানা না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। তিনি আরও বলেছেন, এত দিন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন শুধু ভোজ্যতেল ও চিনির মূল্য নির্ধারণ করে দিত। কিন্তু সম্প্রতি বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতা ও অভ্যন্তরীণ বাজারে ডলারের দাম বাড়ার সুযোগ নিয়ে এসব পণ্যের মূল্য অতিমাত্রায় বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা হওয়া উচিত ছিল না। বিষয়গুলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নজরে এসেছে। প্রকৃত অর্থে যথার্থ দাম নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে বাজারে স্থিতিশীলতা তৈরি করা যায়নি।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনসহ মাঠপর্যায়ের দায়িত্বে থাকা সব সংস্থাকে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, কোনো ব্যবসায়ী কোনো পণ্যে কারসাজি করলে কিংবা অযৌক্তিক দাম রাখলেই মামলা দিতে হবে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা যেন শুধু জরিমানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে।
আমরা সরকারের এই পদক্ষেপকে ইতিবাচকভাবেই দেখতে চাই। তবে সঙ্গে সঙ্গে এটাও মনে করিয়ে দিতে চাই, এই ঘোষণা যেন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়। আমাদের দেশে অনেক অনেক সিদ্ধান্ত হয়, এমনকি অনেক বিষয়ে অনেক আইনও আছে। কিন্তু মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেখা দেয় সমস্যা। সিদ্ধান্ত থাকে কাগজে-কলমে। আইনের যথাযথ প্রয়োগও বিরল। ‘বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো’ বলে একটি কথা চালু আছে। অধিকাংশ সরকারি সিদ্ধান্ত কিংবা আইন বাস্তবায়নের বিষয়টি উপেক্ষিত থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহের বদলে হতাশা দেখা দেয়।
জিনিসপত্রের দাম লাগাম ছাড়া বাড়লে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষেরই কষ্ট হয়। কারণ, তাদের আয় সীমিত এবং নির্ধারিত। সব সক্ষম মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা সরকার করতে পারেনি। যাঁরা কর্মহীন বা নির্ভরশীল, তাঁদের খাওয়া-পরার ব্যবস্থা তো সরকার করতে পারেনি। তাই সরকারের উচিত, বেপরোয়া দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের গলা কাটার যে ব্যবসা আমাদের দেশে চলছে, সেখানে একটু লাগাম টেনে ধরা। আমাদের দেশে উৎপাদিত কিংবা আমদানি করা পণ্যের দাম নির্ধারণে একটি যৌক্তিক নিয়ম বা পদ্ধতি অনুসরণে সংশ্লিষ্টদের বাধ্য করার সরকারি সদিচ্ছার প্রতিফলন মানুষ দেখতে চায়। ঠুনকো অজুহাতে দাম বাড়িয়ে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ানোর খেলা শেষ হোক।
দেশে কী ঘটছে, রাজনীতির গতিমুখ কোন দিকে—এসব নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল ও আগ্রহের শেষ নেই। অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন, জবাব নেই প্রায় কোনো প্রশ্নেরই। রাজনীতি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করার মতো জ্যোতিষীরও দেখা পাওয়া ভার। তবে গুজব, রটনা, কানকথার কোনো অভাব নেই। আমরা যাঁরা গণমাধ্যমে কাজ করি, আমাদের সঙ্গে পরিচিতজনদের
৬ ঘণ্টা আগেগত এপ্রিল মাসে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। উভয় দেশই পাল্টাপাল্টি হামলা চালায়। যদিও এই হামলার শুরুটা ভারতের দিক থেকে হয়েছিল। পরমাণু অস্ত্রধর দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে, বাণিজ্য ও যাতায়াত বন্ধ করে দেয়
৬ ঘণ্টা আগেতথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রশ্নটি তুলেছিলেন। জুলাই-আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটেছে, তার বিচারের ব্যাপারে কথাবলার আগে তিনি লিখেছেন, ‘একাত্তরের প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে।
৬ ঘণ্টা আগেগত শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে দেশে আঙুর চাষের চেষ্টা চলেছে। দেশের মাটিতে আঙুরের ফলন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু স্বাদ ছিল বেজায় টক। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ তখনো জানত না আঙুরগাছ দেখতে কেমন।
১ দিন আগে