সম্পাদকীয়
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জোবায়ের আহমেদের বিরুদ্ধে কৃষকের জন্য বরাদ্দ অর্থ আত্মসাৎ করে নিজের ব্যক্তিগত বিলাসে ব্যয় করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় ১৫ জুন প্রকাশিত খবরটি আমাদের কৃষি খাতের দুর্বলতা এবং জবাবদিহির অভাবকে প্রকটভাবে তুলে ধরছে।
সরকার মাঠপর্যায়ে সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং কৃষকদের পারিবারিক পুষ্টিবাগান গড়ে তুলতে অর্থ বরাদ্দ করে। কিন্তু বরাদ্দ করা টাকা কৃষককে খুব স্বল্প পরিমাণ দিয়ে বেশির ভাগই ভুয়া বিল-ভাউচার করে আত্মসাৎ করেছেন ওই কর্মকর্তা। চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের বীজ ও সারের নগদ অর্থ এবং গত বছরের ভয়াবহ বন্যা-পরবর্তী কৃষকের প্রণোদনার সার ও ধানের বীজ আত্মসাৎ করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। কৃষকদের জন্য বরাদ্দ টাকা দিয়েই তিনি নাকি নিজের অফিসে ইন্টেরিয়র ডিজাইন করিয়েছেন এবং শীতল হাওয়ার জন্য ২ টন ক্ষমতার এসি বসিয়েছেন। কিন্তু এসবের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কোনো অর্থ বরাদ্দ দেয়নি। এটি নির্লজ্জ দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের এক জঘন্য দৃষ্টান্ত।
এসব অভিযোগ যদি সত্য হয়, তাহলে তা শুধু একজন কর্মকর্তার ব্যক্তিগত দুর্নীতি নয়, বরং দেশের কৃষিব্যবস্থার দুর্বলতা এবং তদারকির অভাবকে নির্দেশ করে। কৃষকেরা যখন শস্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, ঠিক তখন তাঁদের জন্য বরাদ্দ অর্থ আত্মসাৎ করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কৃষকের অধিকারের প্রতি এটি এক চরম অবজ্ঞা।
অভিযুক্ত কর্মকর্তা জোবায়ের আহমেদ অবশ্য দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন যে প্রতিটি ক্রয় ও বরাদ্দ ইউএনওর অনুমতি নিয়েই করেছেন। কিন্তু ইউএনও তা অস্বীকার করেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কুমিল্লা অঞ্চলের উপপরিচালক তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
এখন প্রশ্ন হলো, এই তদন্ত কতটুকু নিরপেক্ষ এবং কার্যকর হবে? আমরা চাই, শুধু এই একজন কর্মকর্তাই নয়, এর পেছনে যদি অন্য ব্যক্তিরা জড়িত থাকেন, তাঁদেরও চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। কর্তৃপক্ষের উচিত, এই অভিযোগের দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করা এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের দুর্নীতির পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য কৃষি খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করাও জরুরি।
অনিয়ম করে সরকারি টাকা এভাবে নষ্ট করার অধিকার কারও নেই। কিন্তু বাংলাদেশেই এ রকম অপরাধ করে ছাড় পাওয়ার নজির দেখা যায়। আমাদের দেশে যখন কোনো প্রতিষ্ঠানে কারও বিরুদ্ধে অপরাধ করার অভিযোগ ওঠে, তখন ঢাকঢোল পিটিয়ে তদন্ত শুরু হলেও পরে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রহস্যজনক কারণে তা বন্ধ বা শ্লথ হয়ে পড়ে। ফলে অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া কর্মকর্তাদের আর শাস্তির সম্মুখীন হতে হয় না। এ রকম ছাড় দেওয়ার প্রবণতার বিরুদ্ধে কঠোর না হলে দুর্নীতির পুনরাবৃত্তি হতেই থাকবে।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জোবায়ের আহমেদের বিরুদ্ধে কৃষকের জন্য বরাদ্দ অর্থ আত্মসাৎ করে নিজের ব্যক্তিগত বিলাসে ব্যয় করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় ১৫ জুন প্রকাশিত খবরটি আমাদের কৃষি খাতের দুর্বলতা এবং জবাবদিহির অভাবকে প্রকটভাবে তুলে ধরছে।
সরকার মাঠপর্যায়ে সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং কৃষকদের পারিবারিক পুষ্টিবাগান গড়ে তুলতে অর্থ বরাদ্দ করে। কিন্তু বরাদ্দ করা টাকা কৃষককে খুব স্বল্প পরিমাণ দিয়ে বেশির ভাগই ভুয়া বিল-ভাউচার করে আত্মসাৎ করেছেন ওই কর্মকর্তা। চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের বীজ ও সারের নগদ অর্থ এবং গত বছরের ভয়াবহ বন্যা-পরবর্তী কৃষকের প্রণোদনার সার ও ধানের বীজ আত্মসাৎ করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। কৃষকদের জন্য বরাদ্দ টাকা দিয়েই তিনি নাকি নিজের অফিসে ইন্টেরিয়র ডিজাইন করিয়েছেন এবং শীতল হাওয়ার জন্য ২ টন ক্ষমতার এসি বসিয়েছেন। কিন্তু এসবের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কোনো অর্থ বরাদ্দ দেয়নি। এটি নির্লজ্জ দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের এক জঘন্য দৃষ্টান্ত।
এসব অভিযোগ যদি সত্য হয়, তাহলে তা শুধু একজন কর্মকর্তার ব্যক্তিগত দুর্নীতি নয়, বরং দেশের কৃষিব্যবস্থার দুর্বলতা এবং তদারকির অভাবকে নির্দেশ করে। কৃষকেরা যখন শস্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, ঠিক তখন তাঁদের জন্য বরাদ্দ অর্থ আত্মসাৎ করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কৃষকের অধিকারের প্রতি এটি এক চরম অবজ্ঞা।
অভিযুক্ত কর্মকর্তা জোবায়ের আহমেদ অবশ্য দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন যে প্রতিটি ক্রয় ও বরাদ্দ ইউএনওর অনুমতি নিয়েই করেছেন। কিন্তু ইউএনও তা অস্বীকার করেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কুমিল্লা অঞ্চলের উপপরিচালক তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
এখন প্রশ্ন হলো, এই তদন্ত কতটুকু নিরপেক্ষ এবং কার্যকর হবে? আমরা চাই, শুধু এই একজন কর্মকর্তাই নয়, এর পেছনে যদি অন্য ব্যক্তিরা জড়িত থাকেন, তাঁদেরও চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। কর্তৃপক্ষের উচিত, এই অভিযোগের দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করা এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের দুর্নীতির পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য কৃষি খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করাও জরুরি।
অনিয়ম করে সরকারি টাকা এভাবে নষ্ট করার অধিকার কারও নেই। কিন্তু বাংলাদেশেই এ রকম অপরাধ করে ছাড় পাওয়ার নজির দেখা যায়। আমাদের দেশে যখন কোনো প্রতিষ্ঠানে কারও বিরুদ্ধে অপরাধ করার অভিযোগ ওঠে, তখন ঢাকঢোল পিটিয়ে তদন্ত শুরু হলেও পরে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রহস্যজনক কারণে তা বন্ধ বা শ্লথ হয়ে পড়ে। ফলে অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া কর্মকর্তাদের আর শাস্তির সম্মুখীন হতে হয় না। এ রকম ছাড় দেওয়ার প্রবণতার বিরুদ্ধে কঠোর না হলে দুর্নীতির পুনরাবৃত্তি হতেই থাকবে।
‘এরা দেখি কোটি টাকার নিচে কথাই বলে না!’—পরিচিত এক ব্যবসায়ী হতাশ কণ্ঠে বললেন। বুঝলাম—রিয়াদ ইস্যুতে এমন প্রতিক্রিয়া তাঁর। রিয়াদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা। এনসিপি বা সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা। তাঁর ফেসবুকে সেসব নেতার সঙ্গে ছবিও দেখা যায়।
১২ ঘণ্টা আগেইদানীং আশাহত হয়ে পড়ছি। দেশ ও দেশের জনগণ কোন পথে হাঁটছে, তা নিজের হাঁটা দেখেও বুঝতে পারছি না। রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দেখে বলা যায়, সবাই মিলে একটা ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধাচরণেই এক বছর সময় কাটিয়ে দিল। সেই আগের মতোই দোষারোপের সংস্কৃতি।
১২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের রাজনীতি এখন এমন এক শিল্প, যেখানে গণতন্ত্রের নাটক হয় কিন্তু দর্শক ছাড়া, প্রশ্নোত্তর হয় কিন্তু উত্তর আগে ঠিক করা, আর আন্দোলন হয়...যেটা আসলে অডিশনের মতো, কে কেমন নাটক করতে পারে। এদিকে, জুলাই মাস এখন নতুন এক রাজনৈতিক ব্র্যান্ড—একে বলতেই হয়, ‘জুলাই: পকেট ভারী করো লিমিটেড’।
১২ ঘণ্টা আগেধরা পড়েছেন বলেই রিয়াদকে নিয়ে তথ্য বের হচ্ছে। ধরা না পড়লে কেউ জানতেই পারত না এই সমন্বয়কের মহিমা। এ রকম কত সমন্বয়ক কত জায়গায় চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছেন, সে হিসাব কি কারও কাছে আছে? বীর বিক্রমেই তো গুলশানে চাঁদা আদায় করতে গিয়েছিল রিয়াদ অ্যান্ড গং।
১২ ঘণ্টা আগে