সম্পাদকীয়
শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে মারা গেছেন এক নারী। দেশের বিভিন্ন জায়গায় অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণ বাড়ছে, এটা উদ্বেগজনক। রোগটির সৃষ্টি হয় ব্যাকটেরিয়া থেকে। গবাদিপশু থেকে রোগটি মানুষের মধ্যে ছড়ায়। সুন্দরগঞ্জে মৃত্যুর মুখে পতিত এই নারী কোনো না কোনোভাবে এই ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রমিত হয়েছিলেন। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা হলে হয়তো তাঁর বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
শুরুতে বলে রাখা দরকার, দেশে গবাদিপশুকে নিয়মমাফিক অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধী টিকা দেওয়া না হলে পশুটি অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হতে পারে। আর অসুস্থ পশুটি সহজে মানুষের মধ্যেও অ্যানথ্রাক্স ছড়িয়ে দিতে পারে। নিয়মিত ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজটি যাঁদের, তাঁরা এর দায় এড়াতে পারেন না।
বহুবার বলা হয়েছে, অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত পশুর মাংস না খাওয়া ভালো, এমনকি জবাই করার জন্য সংক্রমিত পশুর কাছে না যাওয়াটাই মঙ্গলজনক। কিন্তু মানুষ সেসব মানে না। ফলে জবাই করতে গিয়ে, অসুস্থ পশুর মাংস খেতে গিয়ে তারা অ্যানথ্রাক্সের শিকার হয়। সময়মতো চিকিৎসা করাতে গড়িমসি করলে বিপদ বাড়ে।
আমাদের দেশে কৃষকদের অবলম্বনের মধ্যে গবাদিপশুর অবস্থান অতি উচ্চে। তাঁদের গবাদিপশু যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাহলে সেই কৃষক পরিবারের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে। এমনিতেই কৃষিকাজ করা মানুষ প্রয়োজনীয় প্রণোদনা পান না, তার ওপর গবাদিপশুর অসুস্থতার আতঙ্কের দায়ও যদি বইতে হয় কৃষকের, তাহলে তো তাঁর বাঁচার সুযোগই কমে যায়। পশুচিকিৎসকেরা জানেন, পশুগুলো নিয়মিত ভ্যাকসিন পাচ্ছে কি না কিংবা কোনো পশু অসুস্থ কি না। যদি সন্দেহ হয়, কোনো পশু অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছে, সে ক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে তাঁরা অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। তার আগে নিশ্চিত করা দরকার, পশুটি সময়মতো ভ্যাকসিন পেয়েছিল কি না।
অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত পশু মারা গেলে পশুর মৃতদেহ, এমনকি তার চামড়া, মাংস বা হাড়ও মাটিতে রেখে দেওয়া চলবে না। মাটিতে রেখে দিলে ব্যাকটেরিয়ার স্পোর মাটিতে বছরের পর বছর বেঁচে থাকে। এ কারণে একই এলাকায় বারবার অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব হতে পারে। অনেকে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত পশুর মাংস খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁরা ভেবে থাকেন, জবাই করা হলে পশুর মাংসে অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু থাকবে না। কিন্তু এটা ভুল ভাবনা।
দেশের উত্তরাঞ্চলে অ্যানথ্রাক্সের দাপট দেখা যাচ্ছে। এ থেকে বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে কোথাও কোথাও। তবে এই ব্যাপারে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে অ্যানথ্রাক্সের মতো ভয়াবহ রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। সেগুলো হলো—গবাদিপশুর নিয়মিত টিকাদান নিশ্চিত করা, অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত পশু জবাই করা থেকে বিরত থাকা, মৃত পশুকে যত দ্রুত সম্ভব পুড়িয়ে ফেলা অথবা মাটির গভীরে পুঁতে ফেলা এবং আক্রান্ত এলাকায় কিছুদিনের জন্য হলেও মাংস বিক্রি ও খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার, তা হলো জনসচেতনতা। আলামত দেখা গেলেই মানুষ যেন সচেতন হয়—এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে মারা গেছেন এক নারী। দেশের বিভিন্ন জায়গায় অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণ বাড়ছে, এটা উদ্বেগজনক। রোগটির সৃষ্টি হয় ব্যাকটেরিয়া থেকে। গবাদিপশু থেকে রোগটি মানুষের মধ্যে ছড়ায়। সুন্দরগঞ্জে মৃত্যুর মুখে পতিত এই নারী কোনো না কোনোভাবে এই ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রমিত হয়েছিলেন। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা হলে হয়তো তাঁর বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
শুরুতে বলে রাখা দরকার, দেশে গবাদিপশুকে নিয়মমাফিক অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধী টিকা দেওয়া না হলে পশুটি অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হতে পারে। আর অসুস্থ পশুটি সহজে মানুষের মধ্যেও অ্যানথ্রাক্স ছড়িয়ে দিতে পারে। নিয়মিত ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজটি যাঁদের, তাঁরা এর দায় এড়াতে পারেন না।
বহুবার বলা হয়েছে, অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত পশুর মাংস না খাওয়া ভালো, এমনকি জবাই করার জন্য সংক্রমিত পশুর কাছে না যাওয়াটাই মঙ্গলজনক। কিন্তু মানুষ সেসব মানে না। ফলে জবাই করতে গিয়ে, অসুস্থ পশুর মাংস খেতে গিয়ে তারা অ্যানথ্রাক্সের শিকার হয়। সময়মতো চিকিৎসা করাতে গড়িমসি করলে বিপদ বাড়ে।
আমাদের দেশে কৃষকদের অবলম্বনের মধ্যে গবাদিপশুর অবস্থান অতি উচ্চে। তাঁদের গবাদিপশু যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাহলে সেই কৃষক পরিবারের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে। এমনিতেই কৃষিকাজ করা মানুষ প্রয়োজনীয় প্রণোদনা পান না, তার ওপর গবাদিপশুর অসুস্থতার আতঙ্কের দায়ও যদি বইতে হয় কৃষকের, তাহলে তো তাঁর বাঁচার সুযোগই কমে যায়। পশুচিকিৎসকেরা জানেন, পশুগুলো নিয়মিত ভ্যাকসিন পাচ্ছে কি না কিংবা কোনো পশু অসুস্থ কি না। যদি সন্দেহ হয়, কোনো পশু অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছে, সে ক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে তাঁরা অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। তার আগে নিশ্চিত করা দরকার, পশুটি সময়মতো ভ্যাকসিন পেয়েছিল কি না।
অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত পশু মারা গেলে পশুর মৃতদেহ, এমনকি তার চামড়া, মাংস বা হাড়ও মাটিতে রেখে দেওয়া চলবে না। মাটিতে রেখে দিলে ব্যাকটেরিয়ার স্পোর মাটিতে বছরের পর বছর বেঁচে থাকে। এ কারণে একই এলাকায় বারবার অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব হতে পারে। অনেকে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত পশুর মাংস খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁরা ভেবে থাকেন, জবাই করা হলে পশুর মাংসে অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু থাকবে না। কিন্তু এটা ভুল ভাবনা।
দেশের উত্তরাঞ্চলে অ্যানথ্রাক্সের দাপট দেখা যাচ্ছে। এ থেকে বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে কোথাও কোথাও। তবে এই ব্যাপারে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে অ্যানথ্রাক্সের মতো ভয়াবহ রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। সেগুলো হলো—গবাদিপশুর নিয়মিত টিকাদান নিশ্চিত করা, অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত পশু জবাই করা থেকে বিরত থাকা, মৃত পশুকে যত দ্রুত সম্ভব পুড়িয়ে ফেলা অথবা মাটির গভীরে পুঁতে ফেলা এবং আক্রান্ত এলাকায় কিছুদিনের জন্য হলেও মাংস বিক্রি ও খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার, তা হলো জনসচেতনতা। আলামত দেখা গেলেই মানুষ যেন সচেতন হয়—এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে জুলাই জাতীয় সনদ সই করা হয়েছে। ১৭ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ২৫টি রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।
১৪ ঘণ্টা আগেএ বছর পৃথিবীতে বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় ষষ্ঠ স্থান পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহর। আর মেলবোর্ন আছে চতুর্থ স্থানে। ২৯ বছর আগে এক ভোরবেলায় এ দেশের মাটিতে পা রেখেছিলাম। ট্যাক্সিতে চড়ে যাওয়ার সময় ছবির মতো বাড়িঘর, সামনে বাগান, সারি সারি বৃক্ষ ও সাজানো রাস্তাঘাট দেখে মনে হচ্ছিল আমি কোনো সিনেমার শুটিং...
১৪ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি পণ্য কমপ্লেক্সে ১৮ অক্টোবর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে তিনটি বড় দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটল।
১৪ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভূমিকা, জোট রাজনীতি, নারীনীতি, নির্বাচনী প্রতীক ইস্যু থেকে শুরু করে ফান্ডিং ও ‘মেধা বনাম কোটার’ বিতর্ক—এসব বিষয়ে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা..
২ দিন আগে