সম্পাদকীয়
বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা চলাকালে কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে দেশের কয়েকটি এলাকায় কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ায় শান্তিপূর্ণভাবে পূজা পালনে কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছে। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবেই কুমিল্লার ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের নির্দেশে কুমিল্লার জেলা প্রশাসনসহ সারা দেশের স্থানীয় প্রশাসন কঠোর অবস্থান নেওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি, তবে শঙ্কা দূর হয়েছে, সেটাও বলা যাবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, ‘কুমিল্লায় সন্দেহভাজন কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সারা দেশে বেশ কিছু বিশৃঙ্খলাকারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার অব্যাহত থাকবে। যেখানেই বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে, সেখানেই গ্রেপ্তার করা হবে।’ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক এবং সচেতন থাকলে উসকানিদাতারা সুবিধা করতে পারবে না। কিন্তু কখনো কখনো শর্ষের মধ্যেই ভূত থাকে বলে সমস্যা দেখা দেয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হিন্দু সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘আপনারা নিজেদের ক্ষুদ্র সম্প্রদায় মনে করবেন কেন? এই মাটিতে আপনাদের জন্ম। সবাই নিজের অধিকারে বসবাস করবেন। এখানে নিজেদের কখনোই সংখ্যা দিয়ে বিচার না করাই ভালো। আমরা আপনাদের সংখ্যালঘু না, আপনজন হিসেবে মানি।’ প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় তাঁর সরকারের দৃঢ় অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘কুমিল্লায় যে ঘটনা ঘটেছে তার তদন্ত হচ্ছে। ব্যাপকভাবেই তদন্ত হচ্ছে। অনেক তথ্যও আমরা পাচ্ছি। অবশ্যই এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটাবে, তাদের আমরা খুঁজে বের করবই। তা আমরা করতে পারব। এখন প্রযুক্তির যুগ। বের করা যাবে। সে যে-ই হোক না কেন, যে ধর্মের হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা অবশ্যই নেওয়া হবে।’ কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘অপরাধীদের এমন শাস্তি দেওয়া হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন করতে সাহস না পায়।’
আমরা প্রধানমন্ত্রীর কথায় আস্থা রাখতে চাই। তিনি যা বলেন তা যে করেন, তার অনেক দৃষ্টান্ত আছে। তবে তাঁর সব নির্দেশ নিচের দিকে সব সময় যে যথাযথভাবে পালনে উদাসীনতা দেখা যায়, সে বিষয়টিও আমরা মনে রাখতে চাই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সরকার চলছে টানা তিন মেয়াদে। এই সময়কালে গুজব ছড়িয়ে সংখ্যালঘুদের ওপর বেশ কয়েক দফা হামলা হয়েছে। উপাসনালয়, প্রতিমা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি—সবকিছুই আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। রামু, নাসিরনগর, গোবিন্দগঞ্জসহ যেসব জায়গায় সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ হয়েছে, সেসব জায়গায় অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনলে হয়তো এবার দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন হতে পারত। কথায় কঠোরতা নয়, কাজে কঠোর অবস্থানের প্রতিফলন দেখলে মানুষের অস্বস্তি দূর হবে।
বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা চলাকালে কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে দেশের কয়েকটি এলাকায় কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ায় শান্তিপূর্ণভাবে পূজা পালনে কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছে। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবেই কুমিল্লার ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের নির্দেশে কুমিল্লার জেলা প্রশাসনসহ সারা দেশের স্থানীয় প্রশাসন কঠোর অবস্থান নেওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি, তবে শঙ্কা দূর হয়েছে, সেটাও বলা যাবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, ‘কুমিল্লায় সন্দেহভাজন কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সারা দেশে বেশ কিছু বিশৃঙ্খলাকারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার অব্যাহত থাকবে। যেখানেই বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে, সেখানেই গ্রেপ্তার করা হবে।’ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক এবং সচেতন থাকলে উসকানিদাতারা সুবিধা করতে পারবে না। কিন্তু কখনো কখনো শর্ষের মধ্যেই ভূত থাকে বলে সমস্যা দেখা দেয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হিন্দু সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘আপনারা নিজেদের ক্ষুদ্র সম্প্রদায় মনে করবেন কেন? এই মাটিতে আপনাদের জন্ম। সবাই নিজের অধিকারে বসবাস করবেন। এখানে নিজেদের কখনোই সংখ্যা দিয়ে বিচার না করাই ভালো। আমরা আপনাদের সংখ্যালঘু না, আপনজন হিসেবে মানি।’ প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় তাঁর সরকারের দৃঢ় অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘কুমিল্লায় যে ঘটনা ঘটেছে তার তদন্ত হচ্ছে। ব্যাপকভাবেই তদন্ত হচ্ছে। অনেক তথ্যও আমরা পাচ্ছি। অবশ্যই এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটাবে, তাদের আমরা খুঁজে বের করবই। তা আমরা করতে পারব। এখন প্রযুক্তির যুগ। বের করা যাবে। সে যে-ই হোক না কেন, যে ধর্মের হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা অবশ্যই নেওয়া হবে।’ কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘অপরাধীদের এমন শাস্তি দেওয়া হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন করতে সাহস না পায়।’
আমরা প্রধানমন্ত্রীর কথায় আস্থা রাখতে চাই। তিনি যা বলেন তা যে করেন, তার অনেক দৃষ্টান্ত আছে। তবে তাঁর সব নির্দেশ নিচের দিকে সব সময় যে যথাযথভাবে পালনে উদাসীনতা দেখা যায়, সে বিষয়টিও আমরা মনে রাখতে চাই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সরকার চলছে টানা তিন মেয়াদে। এই সময়কালে গুজব ছড়িয়ে সংখ্যালঘুদের ওপর বেশ কয়েক দফা হামলা হয়েছে। উপাসনালয়, প্রতিমা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি—সবকিছুই আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। রামু, নাসিরনগর, গোবিন্দগঞ্জসহ যেসব জায়গায় সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ হয়েছে, সেসব জায়গায় অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনলে হয়তো এবার দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন হতে পারত। কথায় কঠোরতা নয়, কাজে কঠোর অবস্থানের প্রতিফলন দেখলে মানুষের অস্বস্তি দূর হবে।
দেশে কী ঘটছে, রাজনীতির গতিমুখ কোন দিকে—এসব নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল ও আগ্রহের শেষ নেই। অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন, জবাব নেই প্রায় কোনো প্রশ্নেরই। রাজনীতি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করার মতো জ্যোতিষীরও দেখা পাওয়া ভার। তবে গুজব, রটনা, কানকথার কোনো অভাব নেই। আমরা যাঁরা গণমাধ্যমে কাজ করি, আমাদের সঙ্গে পরিচিতজনদের
১২ ঘণ্টা আগেগত এপ্রিল মাসে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। উভয় দেশই পাল্টাপাল্টি হামলা চালায়। যদিও এই হামলার শুরুটা ভারতের দিক থেকে হয়েছিল। পরমাণু অস্ত্রধর দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে, বাণিজ্য ও যাতায়াত বন্ধ করে দেয়
১২ ঘণ্টা আগেতথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রশ্নটি তুলেছিলেন। জুলাই-আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটেছে, তার বিচারের ব্যাপারে কথাবলার আগে তিনি লিখেছেন, ‘একাত্তরের প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে।
১৩ ঘণ্টা আগেগত শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে দেশে আঙুর চাষের চেষ্টা চলেছে। দেশের মাটিতে আঙুরের ফলন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু স্বাদ ছিল বেজায় টক। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ তখনো জানত না আঙুরগাছ দেখতে কেমন।
১ দিন আগে