সম্পাদকীয়
এক দিনে নিয়োগের ২১টি পরীক্ষা হলো। ভাবা যায়! করোনার কারণে এমনিতেই অফিসপাড়ায় ছাঁটাইয়ের কালো থাবা বিপর্যস্ত করেছে চাকরিজীবীদের, এবার তার সঙ্গে যোগ হলো চাকরিপ্রার্থীদের অসহায়ত্ব। বিবেচনাহীন সিদ্ধান্তে একই দিনে ২১টি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হলো! এ রকম কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণে চাকরিপ্রার্থীরা যে ক্ষুব্ধ ও আশাহত হবেন, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
ঢাকা মহানগরীর মানুষ নানা ধরনের সমন্বয়হীনতার সাক্ষী। বহুকাল ধরেই সরকারি বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতা দেখে এসেছেন নাগরিকেরা। ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ নাগরিকেরা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি তাঁদের সড়কের ভাঙা-গড়ার ইতিহাস। ঝাঁ-চকচকে রাস্তা তৈরি করার কিছুদিন পরই দেখা যেত সেই রাস্তার পেট কাটার জন্য হাজির হয়েছে পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ।
পয়োনিষ্কাশনের কাজ শেষ হওয়ার পর আধামাধাভাবে সে রাস্তার ক্ষত ঢেকে দেওয়ার পরপরই আবার খুঁড়েছে ওয়াসা। নতুন পাইপলাইন বসাতে হবে। এ রকম একটার পর একটা কর্তৃপক্ষ রাস্তা খুঁড়েছে আর জুড়েছে। ফলে যে মসৃণ সড়কটি তৈরি হয়েছিল, তা অল্পদিনের মধ্যেই তার জৌলুশ হারিয়ে অস্ত্রোপচারের রোগীর মতো ধুঁকছে। এ দৃশ্য বাংলাদেশের মহানগরগুলোতে দুর্লক্ষ্য নয়। এরই নাম সমন্বয়হীনতা। অথচ সব কর্তৃপক্ষ মিলে একটা পরিকল্পনার আওতায় সিদ্ধান্ত নিলে রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ির কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরই নতুন রাস্তা নির্মাণ করা যেত।
পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রেও ঠিক একই রকম সমন্বয়হীনতার সৃষ্টি হলো। করোনার ভয়াবহতা এখনো কাটেনি। বহুদিন ধরে নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। চাকরিপ্রার্থীরা অপেক্ষা করছেন, আশায় আছেন কবে পরীক্ষা দিতে বসবেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে হয়তোবা ঘুরে যাবে ভাগ্যের চাকা। সে রকম একটা সম্ভাবনাও সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু একই দিনে ২১টি নিয়োগ পরীক্ষা বুঝিয়ে দিয়ে গেল, চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কতটা নির্দয় ব্যবহার করা সম্ভব।
প্রশ্ন উঠতে পারে, একজন মানুষ একাধিক পরীক্ষা দেবেন কেন? যেকোনো একটা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা দিলেই তো ল্যাঠা চুকে যেত। সে প্রশ্নের জবাবে বলা যায়, আমাদের দেশে এখনো সে রকম অবস্থার সৃষ্টি হয়নি যে একটা পরীক্ষা দিলেই হাতে চলে আসবে চাকরি নামের পরশপাথর। একটি শূন্য পদের বিপরীতে কতজন মানুষ পরীক্ষা দেন, তা জানলেই কেন মানুষ একাধিক চাকরির জন্য পরীক্ষা দেন, তা বোঝা যাবে। এ ছাড়া, চাকরি নিয়ে বাণিজ্যের যে গল্পগুলো রয়েছে, তার অনেকগুলোই যে সত্য, সে তো প্রতিদিনের খবর পড়লেই বোঝা যায়।
সামান্য আয়ার চাকরি দেওয়ার নাম করে ছয় লাখ টাকা আত্মসাতের খবরও তো পত্রিকায় পড়তে হয়েছে। ফলে, নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পাওয়ার জন্য সব সময় মেধা ও দক্ষতাই নির্ণায়ক নয়। মেধার ভিত্তিতে চাকরিপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা থাকে, তাই একজন চাকরিপ্রার্থী একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা দিতে বাধ্য হন।
জনসংখ্যার নিরিখে বাংলাদেশে চাকরিপ্রাপ্তি সব সময়ই সোনার হরিণ। কিন্তু সমন্বয়ের মাধ্যমে চাকরির পরীক্ষা যদি একই দিনে না নিয়ে বিভিন্ন দিনে নেওয়া হতো, তাহলে সহস্র চাকরিপ্রার্থী এ রকম বিপাকে পড়তেন না।
আজকের পত্রিকায় কয়েকজন বিহ্বল পরীক্ষার্থীর অসহায় উক্তি পড়ে মনে হয়েছে, আমরা কি আদৌ মানুষের প্রতি মানবিক আচরণ করতে শিখব?
এক দিনে নিয়োগের ২১টি পরীক্ষা হলো। ভাবা যায়! করোনার কারণে এমনিতেই অফিসপাড়ায় ছাঁটাইয়ের কালো থাবা বিপর্যস্ত করেছে চাকরিজীবীদের, এবার তার সঙ্গে যোগ হলো চাকরিপ্রার্থীদের অসহায়ত্ব। বিবেচনাহীন সিদ্ধান্তে একই দিনে ২১টি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হলো! এ রকম কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণে চাকরিপ্রার্থীরা যে ক্ষুব্ধ ও আশাহত হবেন, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
ঢাকা মহানগরীর মানুষ নানা ধরনের সমন্বয়হীনতার সাক্ষী। বহুকাল ধরেই সরকারি বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতা দেখে এসেছেন নাগরিকেরা। ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ নাগরিকেরা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি তাঁদের সড়কের ভাঙা-গড়ার ইতিহাস। ঝাঁ-চকচকে রাস্তা তৈরি করার কিছুদিন পরই দেখা যেত সেই রাস্তার পেট কাটার জন্য হাজির হয়েছে পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ।
পয়োনিষ্কাশনের কাজ শেষ হওয়ার পর আধামাধাভাবে সে রাস্তার ক্ষত ঢেকে দেওয়ার পরপরই আবার খুঁড়েছে ওয়াসা। নতুন পাইপলাইন বসাতে হবে। এ রকম একটার পর একটা কর্তৃপক্ষ রাস্তা খুঁড়েছে আর জুড়েছে। ফলে যে মসৃণ সড়কটি তৈরি হয়েছিল, তা অল্পদিনের মধ্যেই তার জৌলুশ হারিয়ে অস্ত্রোপচারের রোগীর মতো ধুঁকছে। এ দৃশ্য বাংলাদেশের মহানগরগুলোতে দুর্লক্ষ্য নয়। এরই নাম সমন্বয়হীনতা। অথচ সব কর্তৃপক্ষ মিলে একটা পরিকল্পনার আওতায় সিদ্ধান্ত নিলে রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ির কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরই নতুন রাস্তা নির্মাণ করা যেত।
পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রেও ঠিক একই রকম সমন্বয়হীনতার সৃষ্টি হলো। করোনার ভয়াবহতা এখনো কাটেনি। বহুদিন ধরে নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। চাকরিপ্রার্থীরা অপেক্ষা করছেন, আশায় আছেন কবে পরীক্ষা দিতে বসবেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে হয়তোবা ঘুরে যাবে ভাগ্যের চাকা। সে রকম একটা সম্ভাবনাও সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু একই দিনে ২১টি নিয়োগ পরীক্ষা বুঝিয়ে দিয়ে গেল, চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কতটা নির্দয় ব্যবহার করা সম্ভব।
প্রশ্ন উঠতে পারে, একজন মানুষ একাধিক পরীক্ষা দেবেন কেন? যেকোনো একটা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা দিলেই তো ল্যাঠা চুকে যেত। সে প্রশ্নের জবাবে বলা যায়, আমাদের দেশে এখনো সে রকম অবস্থার সৃষ্টি হয়নি যে একটা পরীক্ষা দিলেই হাতে চলে আসবে চাকরি নামের পরশপাথর। একটি শূন্য পদের বিপরীতে কতজন মানুষ পরীক্ষা দেন, তা জানলেই কেন মানুষ একাধিক চাকরির জন্য পরীক্ষা দেন, তা বোঝা যাবে। এ ছাড়া, চাকরি নিয়ে বাণিজ্যের যে গল্পগুলো রয়েছে, তার অনেকগুলোই যে সত্য, সে তো প্রতিদিনের খবর পড়লেই বোঝা যায়।
সামান্য আয়ার চাকরি দেওয়ার নাম করে ছয় লাখ টাকা আত্মসাতের খবরও তো পত্রিকায় পড়তে হয়েছে। ফলে, নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পাওয়ার জন্য সব সময় মেধা ও দক্ষতাই নির্ণায়ক নয়। মেধার ভিত্তিতে চাকরিপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা থাকে, তাই একজন চাকরিপ্রার্থী একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা দিতে বাধ্য হন।
জনসংখ্যার নিরিখে বাংলাদেশে চাকরিপ্রাপ্তি সব সময়ই সোনার হরিণ। কিন্তু সমন্বয়ের মাধ্যমে চাকরির পরীক্ষা যদি একই দিনে না নিয়ে বিভিন্ন দিনে নেওয়া হতো, তাহলে সহস্র চাকরিপ্রার্থী এ রকম বিপাকে পড়তেন না।
আজকের পত্রিকায় কয়েকজন বিহ্বল পরীক্ষার্থীর অসহায় উক্তি পড়ে মনে হয়েছে, আমরা কি আদৌ মানুষের প্রতি মানবিক আচরণ করতে শিখব?
দেশে কী ঘটছে, রাজনীতির গতিমুখ কোন দিকে—এসব নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল ও আগ্রহের শেষ নেই। অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন, জবাব নেই প্রায় কোনো প্রশ্নেরই। রাজনীতি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করার মতো জ্যোতিষীরও দেখা পাওয়া ভার। তবে গুজব, রটনা, কানকথার কোনো অভাব নেই। আমরা যাঁরা গণমাধ্যমে কাজ করি, আমাদের সঙ্গে পরিচিতজনদের
১৪ ঘণ্টা আগেগত এপ্রিল মাসে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। উভয় দেশই পাল্টাপাল্টি হামলা চালায়। যদিও এই হামলার শুরুটা ভারতের দিক থেকে হয়েছিল। পরমাণু অস্ত্রধর দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে, বাণিজ্য ও যাতায়াত বন্ধ করে দেয়
১৪ ঘণ্টা আগেতথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রশ্নটি তুলেছিলেন। জুলাই-আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটেছে, তার বিচারের ব্যাপারে কথাবলার আগে তিনি লিখেছেন, ‘একাত্তরের প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে।
১৪ ঘণ্টা আগেগত শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে দেশে আঙুর চাষের চেষ্টা চলেছে। দেশের মাটিতে আঙুরের ফলন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু স্বাদ ছিল বেজায় টক। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ তখনো জানত না আঙুরগাছ দেখতে কেমন।
২ দিন আগে