সম্পাদকীয়
তৃণমূলে গণতন্ত্রচর্চার লক্ষ্যে সারা দেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইউপি নির্বাচন। মোটাদাগে তাতে অংশ নিচ্ছেন শুধু সরকারে থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-সমর্থকেরা। দলীয় প্রতীকে চালু হওয়া স্থানীয় পর্যায়ের এ নির্বাচনে বিরোধী দলের তেমন কাউকে দলীয়ভাবে অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে না। ফলে এটা অনেকটা একপক্ষের নির্বাচনেই রূপ নিচ্ছে বলা যায়। ফলে স্থানীয় পর্যায়ে গণতন্ত্রচর্চার জন্য যে নির্বাচন, তার প্রতিফলন খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। এমনকি সেখানে সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও কোনো আগ্রহ, কৌতূহল বা উৎসবের ছিটেফোঁটাও চোখে পড়ছে না। অনেক জায়গায় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীই পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ওই সব জায়গায় দলীয় প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাচ্ছেন; অর্থাৎ না হচ্ছে একটা সুন্দর নির্বাচন, না হচ্ছে সরকারি অর্থের যথাযথ ব্যবহার। উল্টো দলীয় মার্কায় নির্বাচন হওয়ায় দলের ভেতরে বিভাজন বাড়ছে, খুনাখুনি হচ্ছে। নিজ দলের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। দলের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে দল। এসব খবরই কিছুদিন ধরে গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশ পাচ্ছে।
ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম বা অনেক ক্ষেত্রে না থাকলেও সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মনোনয়ন পাওয়াকেই জিতে যাওয়া মনে করেন! কারণ, দলীয় মনোনয়ন পেলেই ধরে নেন তাঁরা পাস! এমন পর্যায়ে চলে গেছে নির্বাচনটি। এতে একদিকে যেমন কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র সংস্কৃতির চর্চা হয় না, তেমনি দলের ভেতরেও অগণতান্ত্রিকতা ও বিভাজনকে উসকে দিচ্ছে।
সরকারে থাকা দল বলছে, দীর্ঘদিন দলীয় রাজনীতি করা ত্যাগী নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। কোনো হাইব্রিড বা অন্য দল থেকে আসা কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। অথচ প্রতিদিনই খবর হচ্ছে, দলে আদর্শের বাইরের বা অন্য দলের কাউকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি কয়েক দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। এতে বেশ কয়েকজন মানুষ নিহত হয়েছেন। সহিংসতাও বাড়ছে। শুধু তা-ই নয়; দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া দলের অনেক নেতা-কর্মী বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ীও হয়েছেন। এ সংখ্যাও কম নয়। গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, দল ত্যাগীদের মূল্যায়নের কথা বললেও পরে ভিন্ন দলের, ভিন্ন আদর্শের লোকদের মনোনয়ন দেওয়ায় তাঁরা নিজ দলের মার্কার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জে যাচ্ছেন এবং পাসও করছেন।
একটি সুন্দর অর্থবহ স্থানীয় সরকারব্যবস্থা দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করে এ লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে নির্বাচন কমিশনের যেমন দায়িত্ব, তেমনি সরকারে থাকা দল, বিরোধীপক্ষ সবারই দায়িত্ব। দলের ভেতরে যেমন গণতন্ত্রচর্চা হতে হবে, তেমনি এর প্রতিফলন থাকতে হবে দলের বাইরেও। না হলে সাধারণ মানুষের অধিকার, তাদের চাওয়া-পাওয়া প্রতিষ্ঠিত হবে না। একটি শক্তিশালী স্থানীয় সরকারব্যবস্থাও কাঙ্ক্ষিত রূপ পাবে না। এটি সমাজে দলীয় কোন্দল, খুনাখুনি, সহিংসতার সংস্কৃতি তৈরি করে, দল ও দেশের জন্য মন্দ উদাহরণ রেখে যাবে; যা কারোরই কাম্য নয়।
তৃণমূলে গণতন্ত্রচর্চার লক্ষ্যে সারা দেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইউপি নির্বাচন। মোটাদাগে তাতে অংশ নিচ্ছেন শুধু সরকারে থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-সমর্থকেরা। দলীয় প্রতীকে চালু হওয়া স্থানীয় পর্যায়ের এ নির্বাচনে বিরোধী দলের তেমন কাউকে দলীয়ভাবে অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে না। ফলে এটা অনেকটা একপক্ষের নির্বাচনেই রূপ নিচ্ছে বলা যায়। ফলে স্থানীয় পর্যায়ে গণতন্ত্রচর্চার জন্য যে নির্বাচন, তার প্রতিফলন খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। এমনকি সেখানে সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও কোনো আগ্রহ, কৌতূহল বা উৎসবের ছিটেফোঁটাও চোখে পড়ছে না। অনেক জায়গায় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীই পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ওই সব জায়গায় দলীয় প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাচ্ছেন; অর্থাৎ না হচ্ছে একটা সুন্দর নির্বাচন, না হচ্ছে সরকারি অর্থের যথাযথ ব্যবহার। উল্টো দলীয় মার্কায় নির্বাচন হওয়ায় দলের ভেতরে বিভাজন বাড়ছে, খুনাখুনি হচ্ছে। নিজ দলের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। দলের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে দল। এসব খবরই কিছুদিন ধরে গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশ পাচ্ছে।
ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম বা অনেক ক্ষেত্রে না থাকলেও সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মনোনয়ন পাওয়াকেই জিতে যাওয়া মনে করেন! কারণ, দলীয় মনোনয়ন পেলেই ধরে নেন তাঁরা পাস! এমন পর্যায়ে চলে গেছে নির্বাচনটি। এতে একদিকে যেমন কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র সংস্কৃতির চর্চা হয় না, তেমনি দলের ভেতরেও অগণতান্ত্রিকতা ও বিভাজনকে উসকে দিচ্ছে।
সরকারে থাকা দল বলছে, দীর্ঘদিন দলীয় রাজনীতি করা ত্যাগী নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে। কোনো হাইব্রিড বা অন্য দল থেকে আসা কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। অথচ প্রতিদিনই খবর হচ্ছে, দলে আদর্শের বাইরের বা অন্য দলের কাউকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি কয়েক দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। এতে বেশ কয়েকজন মানুষ নিহত হয়েছেন। সহিংসতাও বাড়ছে। শুধু তা-ই নয়; দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া দলের অনেক নেতা-কর্মী বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ীও হয়েছেন। এ সংখ্যাও কম নয়। গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, দল ত্যাগীদের মূল্যায়নের কথা বললেও পরে ভিন্ন দলের, ভিন্ন আদর্শের লোকদের মনোনয়ন দেওয়ায় তাঁরা নিজ দলের মার্কার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জে যাচ্ছেন এবং পাসও করছেন।
একটি সুন্দর অর্থবহ স্থানীয় সরকারব্যবস্থা দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করে এ লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে নির্বাচন কমিশনের যেমন দায়িত্ব, তেমনি সরকারে থাকা দল, বিরোধীপক্ষ সবারই দায়িত্ব। দলের ভেতরে যেমন গণতন্ত্রচর্চা হতে হবে, তেমনি এর প্রতিফলন থাকতে হবে দলের বাইরেও। না হলে সাধারণ মানুষের অধিকার, তাদের চাওয়া-পাওয়া প্রতিষ্ঠিত হবে না। একটি শক্তিশালী স্থানীয় সরকারব্যবস্থাও কাঙ্ক্ষিত রূপ পাবে না। এটি সমাজে দলীয় কোন্দল, খুনাখুনি, সহিংসতার সংস্কৃতি তৈরি করে, দল ও দেশের জন্য মন্দ উদাহরণ রেখে যাবে; যা কারোরই কাম্য নয়।
মনজিল মোরসেদ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী। তিনি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) প্রেসিডেন্ট। জনস্বার্থে এ পর্যন্ত তিনি ২২৫টির বেশি মামলা করে মানবাধিকার ও পরিবেশ সংরক্ষণে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।
৫ ঘণ্টা আগেসরকার ১৫ মে ২০২৫ তারিখে এক প্রজ্ঞাপন দ্বারা ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণিগাছকে আগ্রাসী গাছ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সেই প্রজ্ঞাপনে পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পূরণে সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তিপর্যায়ে বৃক্
৫ ঘণ্টা আগেখারাপ খবরের ভিড়ে হাঁপিয়ে ওঠা সমাজে যখন ইতিবাচক বা ভালো কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর, তখন রংপুরের কাউনিয়ার একটি বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠানের খবর পড়ে মন ভালো না হয়ে পারে না।
৫ ঘণ্টা আগে১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে, তা কি খুব অপ্রত্যাশিত ছিল? স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘গোপালগঞ্জের ঘটনার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। কিন্তু ঘটনা এত বড় হবে, সে তথ্য ছিল না।’ অর্থাৎ ছোটখাটো ঘটনা ঘটবে, সেটা সরকারের জানা ছিল।
১ দিন আগে