সম্পাদকীয়
উনিশ শতকে ফ্রান্সের চিত্রকলায় ‘ইমপ্রেশনিজম’ আন্দোলন শুরু হয়। এ ধারার শিল্পীরা ছবি আঁকায় হুবহু বাস্তবতা তুলে ধরার বিরোধী ছিলেন। তখনকার শিল্পজগত তাঁদের এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা ভালো চোখে দেখেনি। তাঁদের আঁকা বিভিন্ন ছবি বেশ ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের শিকার হয়েছিল। কট্টর সমালোচকেরা নিন্দার ছলে এই আন্দোলনের নাম দেন ‘ইমপ্রেশনিজম’। আন্দোলনের শিল্পীরা এই নামকেই তাঁদের নিরীক্ষার ক্ষেত্রে আপন করে নিয়েছিলেন। ক্লদ মনে ছিলেন এই আন্দোলনের অন্যতম প্রধান শিল্পী।
ক্লদ মনের জন্ম ১৮৪০ সালের ১৪ নভেম্বর ফ্রান্সের প্যারিসে। পুরো নাম ক্লদ অস্কার মনে। তাঁর বাবা চাইতেন ছেলে বড় হয়ে ব্যবসার হাল ধরবে। কিন্তু মনের মনে গেঁথে গিয়েছিল শিল্পী হওয়ার বাসনা। কয়লা দিয়ে নানান কিছু আঁকতেন কিশোর মনে।
তখন মনেরা থাকতেন নরম্যান্ডির লা ভার শহরে। ১১ বছর বয়সে তিনি ১৮৫১ সালে লা ভার সেকেন্ডারি স্কুল অব আর্টে ভর্তি হন। একবার ফ্রান্সের এক সমুদ্রের তীরে ইউজিন বোদিন নামে এক চিত্রকরের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। বোদিনই তাঁকে তেলচিত্র, আউটডোর ছবি আঁকার কলাকৌশল সম্বন্ধে প্রাথমিক জ্ঞান দান করেন।
১৬ বছর বয়সে মা মারা গেলে অভিভাবকহীন অবস্থায় মনে স্কুল ছেড়ে দেন। তারপর তিনি আবার প্যারিসে যান। অনেকগুলো বছর কেটেছিল প্যারিসে।
মনের ‘ইমপ্রেশন: সানরাইজ’ ছবির সমালোচনা থেকেই ‘ইমপ্রেশনিজম’ শব্দটির উদ্ভব ঘটে। কিন্তু একসময় ঠিকই মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে তাঁর ও ইমপ্রেশনিস্ট ঘরানার চিত্রকলার কলাকৌশলগুলো।
ইংল্যান্ডে থাকার সময় জন কনস্ট্যাবল ও জে এম ডব্লিউ টার্নারের ল্যান্ডস্কেপ অঙ্কন ও রঙের ব্যবহারে আকৃষ্ট হন তিনি। নেদারল্যান্ডসে থাকাকালীন জাপানি কাঠের প্রিন্টের সৌন্দর্যও তাঁকে মুগ্ধ করে। বার্বিজন স্কুলের শিল্পীদের খোলা আকাশের নিচে ছবি আঁকার কৌশল দ্বারাও ইমপ্রেশনিস্টরা প্রভাবিত হয়েছিলেন, সেই দলে ছিলেন মনেও। এসবের প্রতিফলন পরিলক্ষিত হয় তাঁর অঙ্কনশৈলীতে। ইমপ্রেশনিস্টদের ঐক্যে পরে ফাটল ধরলেও তিনি নিজের মতো করে ইমপ্রেশনিজমের চর্চা করে গেছেন।
১৯২৬ সালের ৫ ডিসেম্বর ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন বিখ্যাত এই চিত্রশিল্পী।
উনিশ শতকে ফ্রান্সের চিত্রকলায় ‘ইমপ্রেশনিজম’ আন্দোলন শুরু হয়। এ ধারার শিল্পীরা ছবি আঁকায় হুবহু বাস্তবতা তুলে ধরার বিরোধী ছিলেন। তখনকার শিল্পজগত তাঁদের এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা ভালো চোখে দেখেনি। তাঁদের আঁকা বিভিন্ন ছবি বেশ ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের শিকার হয়েছিল। কট্টর সমালোচকেরা নিন্দার ছলে এই আন্দোলনের নাম দেন ‘ইমপ্রেশনিজম’। আন্দোলনের শিল্পীরা এই নামকেই তাঁদের নিরীক্ষার ক্ষেত্রে আপন করে নিয়েছিলেন। ক্লদ মনে ছিলেন এই আন্দোলনের অন্যতম প্রধান শিল্পী।
ক্লদ মনের জন্ম ১৮৪০ সালের ১৪ নভেম্বর ফ্রান্সের প্যারিসে। পুরো নাম ক্লদ অস্কার মনে। তাঁর বাবা চাইতেন ছেলে বড় হয়ে ব্যবসার হাল ধরবে। কিন্তু মনের মনে গেঁথে গিয়েছিল শিল্পী হওয়ার বাসনা। কয়লা দিয়ে নানান কিছু আঁকতেন কিশোর মনে।
তখন মনেরা থাকতেন নরম্যান্ডির লা ভার শহরে। ১১ বছর বয়সে তিনি ১৮৫১ সালে লা ভার সেকেন্ডারি স্কুল অব আর্টে ভর্তি হন। একবার ফ্রান্সের এক সমুদ্রের তীরে ইউজিন বোদিন নামে এক চিত্রকরের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। বোদিনই তাঁকে তেলচিত্র, আউটডোর ছবি আঁকার কলাকৌশল সম্বন্ধে প্রাথমিক জ্ঞান দান করেন।
১৬ বছর বয়সে মা মারা গেলে অভিভাবকহীন অবস্থায় মনে স্কুল ছেড়ে দেন। তারপর তিনি আবার প্যারিসে যান। অনেকগুলো বছর কেটেছিল প্যারিসে।
মনের ‘ইমপ্রেশন: সানরাইজ’ ছবির সমালোচনা থেকেই ‘ইমপ্রেশনিজম’ শব্দটির উদ্ভব ঘটে। কিন্তু একসময় ঠিকই মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে তাঁর ও ইমপ্রেশনিস্ট ঘরানার চিত্রকলার কলাকৌশলগুলো।
ইংল্যান্ডে থাকার সময় জন কনস্ট্যাবল ও জে এম ডব্লিউ টার্নারের ল্যান্ডস্কেপ অঙ্কন ও রঙের ব্যবহারে আকৃষ্ট হন তিনি। নেদারল্যান্ডসে থাকাকালীন জাপানি কাঠের প্রিন্টের সৌন্দর্যও তাঁকে মুগ্ধ করে। বার্বিজন স্কুলের শিল্পীদের খোলা আকাশের নিচে ছবি আঁকার কৌশল দ্বারাও ইমপ্রেশনিস্টরা প্রভাবিত হয়েছিলেন, সেই দলে ছিলেন মনেও। এসবের প্রতিফলন পরিলক্ষিত হয় তাঁর অঙ্কনশৈলীতে। ইমপ্রেশনিস্টদের ঐক্যে পরে ফাটল ধরলেও তিনি নিজের মতো করে ইমপ্রেশনিজমের চর্চা করে গেছেন।
১৯২৬ সালের ৫ ডিসেম্বর ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন বিখ্যাত এই চিত্রশিল্পী।
ধরে নিচ্ছি নির্বাচন হবে। তবে কবে হবে, সে বিষয়ে কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করা যাবে না। ধরে নিচ্ছি, খুব শিগগির নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হবে, কিন্তু অরাজকতা সৃষ্টি করে তা বানচালের চেষ্টা হবে না, এ রকম নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না। সবটা মিলে যে ভজকট পাকিয়ে ফেলা হয়েছে,
৪ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা পুলিশ লাইনস স্কুলে দুই দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল অনিবন্ধিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেত্রকোনায় পদযাত্রা করবে বলে। তাদের কর্মসূচিতে আসা নিরাপত্তা প্রদানকারী পুলিশ এই স্কুলে অবস্থান করবে—এমনটা উল্লেখ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ একটি বন্ধের নোটিশ দেয়
৪ ঘণ্টা আগেমোহাম্মদপুর থানার ওসি সাহেব ঠিক কথাটাই বলেছেন। ছিনতাইয়ের শিকার ভুক্তভোগীকে বলেছেন, ‘আমি ওসি হয়েও কম দামি ফোন ব্যবহার করি, আপনি এত দামি ফোন নিয়ে ঘুরলে ছিনতাই তো হবেই!’ এই নির্ভীক সত্যকথনের জন্য ওসি মহোদয় সাধুবাদ পেতেই পারেন। কে আর এত সুন্দর করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির হাল-হকিকতের বয়ান করতে পারতেন
৪ ঘণ্টা আগে২৪ জুলাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক তরুণী জানালেন, তিনি তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে আপস করেছেন। তিনি আর মামলা চালাতে চান না। আদালত মামলাটি খারিজ করে দিলেন। প্রথম শুনলে এটি খুব সাধারণ ঘটনা মনে হতে পারে। পরিবারে তো সমস্যা হতেই পারে; ঝগড়া-বিবাদ, মান-অভিমান শেষে আপস-মীমাংসা তো হতেই পারে।
১৩ ঘণ্টা আগে