সম্পাদকীয়
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ রাজনীতির অনিশ্চিত যাত্রার মধ্যে দুর্নীতির একটি নতুন খবর মানুষকে কতটা পীড়া দেয়, তা বলা মুশকিল। কারণ দুর্নীতিই তো দেশে নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (এসএমইউ) প্রশ্নপত্র ছাপা, পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ, সনদে স্বাক্ষর, বিভিন্ন কার্যাদেশে স্বাক্ষর, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অগ্রিম টাকা উত্তোলন—এসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ একজন ‘সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (এইসি)’ করেছেন। এ নিয়ে ২৫ মার্চ আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
একজন ব্যক্তির হাতে দেশের একটি প্রতিষ্ঠানের এতগুলো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রশাসনিক কাঠামোয় দুর্বলতার দিকটি স্পষ্ট হয়েছে। ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী, বিলাল আহমদ চৌধুরী নামের সেই এইসি অস্থায়ী চাকরির বৈধতা শেষ হয় অনেক আগেই। সরকারি বেতনও বন্ধ হয়েছে প্রায় দুই বছর আগে। তবু তিনি দুই বছর ধরে এ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সদ্য সাবেক ভিসি ও রেজিস্ট্রার তাঁকে এসব কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু বেতন দেননি। অভিযোগ রয়েছে, বেতন না দিলেও নানা অবৈধ কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এভাবে তিনি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হলো, এমন ব্যক্তির স্বাক্ষরিত সনদগুলোর বৈধতার প্রশ্ন নিয়ে ব্যাপক দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। ভবিষ্যতে সনদ নিয়ে শিক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়বেন না তো!
কাগজ কেনার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া এবং অগ্রিম টাকা উত্তোলনের মতো ঘটনাগুলো আর্থিক অনিয়মের দিকে ইঙ্গিত করে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের অপব্যবহার এবং দুর্নীতির সুযোগ করে দিয়েছে। ভিসি ও রেজিস্ট্রারের মতো শীর্ষ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এই ধরনের কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
আমাদের দেশে সামাজিক ব্যাধিগুলোর মধ্যে দুর্নীতি হলো অন্যতম। দুর্নীতির দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসার কোনো পথ খোঁজা হয় না। সরকার যায়, সরকার আসে, কিন্তু রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ব্যাধিগুলোর নিরাময় হয় না। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর আমরা আশাবাদী হয়েছিলাম, দেশে ভালো কিছু হবে। কিন্তু ভালো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। নজরদারির অভাব এবং জবাবদিহি না থাকার কারণে মূলত আমাদের দেশে দুর্নীতি ও অনিয়মের ঘটনা রোধ করা যায় না। দুদককে এখন সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে। আমরা আশা করব, দুদক এ ক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা পালন করবে। এই পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে এই ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামোতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দুর্নীতি ও অনিয়মের পথ বন্ধ করতে হবে। এই ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে, তা অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য একটি কঠোর সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করতে পারে। একই সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থার ওপর মানুষের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে সহায়কও হতে পারে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ রাজনীতির অনিশ্চিত যাত্রার মধ্যে দুর্নীতির একটি নতুন খবর মানুষকে কতটা পীড়া দেয়, তা বলা মুশকিল। কারণ দুর্নীতিই তো দেশে নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (এসএমইউ) প্রশ্নপত্র ছাপা, পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ, সনদে স্বাক্ষর, বিভিন্ন কার্যাদেশে স্বাক্ষর, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অগ্রিম টাকা উত্তোলন—এসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ একজন ‘সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (এইসি)’ করেছেন। এ নিয়ে ২৫ মার্চ আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
একজন ব্যক্তির হাতে দেশের একটি প্রতিষ্ঠানের এতগুলো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রশাসনিক কাঠামোয় দুর্বলতার দিকটি স্পষ্ট হয়েছে। ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী, বিলাল আহমদ চৌধুরী নামের সেই এইসি অস্থায়ী চাকরির বৈধতা শেষ হয় অনেক আগেই। সরকারি বেতনও বন্ধ হয়েছে প্রায় দুই বছর আগে। তবু তিনি দুই বছর ধরে এ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সদ্য সাবেক ভিসি ও রেজিস্ট্রার তাঁকে এসব কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু বেতন দেননি। অভিযোগ রয়েছে, বেতন না দিলেও নানা অবৈধ কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এভাবে তিনি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হলো, এমন ব্যক্তির স্বাক্ষরিত সনদগুলোর বৈধতার প্রশ্ন নিয়ে ব্যাপক দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। ভবিষ্যতে সনদ নিয়ে শিক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়বেন না তো!
কাগজ কেনার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া এবং অগ্রিম টাকা উত্তোলনের মতো ঘটনাগুলো আর্থিক অনিয়মের দিকে ইঙ্গিত করে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের অপব্যবহার এবং দুর্নীতির সুযোগ করে দিয়েছে। ভিসি ও রেজিস্ট্রারের মতো শীর্ষ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এই ধরনের কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
আমাদের দেশে সামাজিক ব্যাধিগুলোর মধ্যে দুর্নীতি হলো অন্যতম। দুর্নীতির দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসার কোনো পথ খোঁজা হয় না। সরকার যায়, সরকার আসে, কিন্তু রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ব্যাধিগুলোর নিরাময় হয় না। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর আমরা আশাবাদী হয়েছিলাম, দেশে ভালো কিছু হবে। কিন্তু ভালো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। নজরদারির অভাব এবং জবাবদিহি না থাকার কারণে মূলত আমাদের দেশে দুর্নীতি ও অনিয়মের ঘটনা রোধ করা যায় না। দুদককে এখন সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে। আমরা আশা করব, দুদক এ ক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা পালন করবে। এই পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে এই ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামোতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দুর্নীতি ও অনিয়মের পথ বন্ধ করতে হবে। এই ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে, তা অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য একটি কঠোর সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করতে পারে। একই সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থার ওপর মানুষের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে সহায়কও হতে পারে।
সূর্যোদয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এবার যে নববর্ষের আগমন, তা রাঙিয়ে দিয়ে যাক প্রত্যেক মানুষের জীবন। বাংলা নববর্ষের উজ্জীবনী সুধায় স্নান করুক মানুষ। আশা ও আকাঙ্ক্ষার স্বপ্নপূরণে সার্থক হোক পৃথিবী। গ্লানি, জ্বরা মুছে গিয়ে অগ্নিস্নানে ধরণিকে শুচি করার যে আহ্বান জানিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ...
২ দিন আগেবাংলা নববর্ষ বরণকে কেন্দ্র করে আমাদের নগরকেন্দ্রিক জীবনে উপচানো আবেগ-উচ্ছ্বাস উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই আবেগ-উচ্ছ্বাস জাতিগত পারস্পরিক সৌহার্দ্যের নয়, সমষ্টিগতও নয়, একান্তই আত্মকেন্দ্রিকতায় সীমাবদ্ধ।
২ দিন আগেনতুন বছরে প্রবেশ করলাম আমরা। পৃথিবীব্যাপী বসবাসরত নানা জনগোষ্ঠী যেমন নতুন বছরকে উৎসবের মাধ্যমে বরণ করে নেয়, তেমনি বাঙালিও নানা আনন্দ-আয়োজনের মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। একটি নতুন আশা, উদ্দীপনা নিয়ে যাত্রা শুরু হয় বছরের প্রথম দিনটিতে।
২ দিন আগেআশেকা ইরশাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এবং সাবেক চেয়ারপারসন। তাঁর গবেষণার ক্ষেত্র জেন্ডার, ভূ-কৌশলগত ও আঞ্চলিক সম্পর্ক নিয়ে। ফিলিস্তিন পরিস্থিতিতে আরব বিশ্বের ভূমিকা...
৩ দিন আগে