আশিকুর রিমেল, ঢাকা
মনে আছে আয়নাবাজি সিনেমার কথা? ব্যতিক্রম গল্প আর অমিতাভ রেজার নির্মাণ ও চঞ্চল চৌধুরীর অনবদ্য অভিনয়ের কারণে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল সিনেমাটি। ওই সময় পরিস্থিতিও এমন ছিল যে, সিনেমার গল্পের বাস্তব আর কল্পনার সীমা দর্শকের মনে অস্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। এখনো শর্টস, রিলস আর টিকটকে ওই সিনেমায় চঞ্চল চৌধুরীর মুখে জনপ্রিয় একটি সংলাপ শোনা যায়—‘বোঝোনাই ব্যাপারটা!’
সম্প্রতি পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবরে কল্পনা ও বাস্তব নিয়ে দর্শকদের দ্বিধা কেটে গেছে। দেশের কারাগারে হরহামেশা এমন ঘটছে! হাতেনাতে মিলেছে তার প্রমাণ। সে বিষয়ে বলার আগে আয়নাবাজি গল্পের সার সংক্ষেপটা একটু ঝালিয়ে নিই:
সিনেমায় চঞ্চল চৌধুরী একজন থিয়েটার শিল্পী। সাদামাটা জীবনযাপন কিন্তু গতিবিধি রহস্যময়। ভাড়া বাসায় থাকেন। সেখানে শিশুদের জন্য অভিনয় শেখার স্কুল চালান। গল্প আগানোর সঙ্গে থেকে থেকে স্থানীয় দু–একজনের সঙ্গে কানাঘুষা, কিছু তারিখ উল্লেখ করে বাক্যবিনিময়, টাকা–পয়সার লেনদেনের বিষয়গুলো দর্শক মনে রহস্যের জন্ম দেয়। ধীরে ধীরে জমে ওঠে গল্প। সিনেমার মাঝামাঝিতে বোঝা গেল— চঞ্চল চৌধুরী ভাড়ায় জেল খাটেন।
মিরর গেম বা আয়নাবাজি হলো থিয়েটার ক্লাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ। পরস্পরকে অনুকরণ করার দক্ষতা অর্জনের একটি কৌশল এটি। সিনেমার চঞ্চল চৌধুরী অভিনয়শিল্পী হওয়ার কারণে সহজেই মানুষকে অনুকরণ করতে পারেন। আসামির চলাফেরা, কথা বলার ধরন, চাউনি এমনকি মুদ্রাদোষও রপ্ত করতে পারেন।
টাকার বিনিময়ে এই শৈল্পিক দক্ষতার সুযোগ নেন বিভিন্ন মামলার আসামি। পেশাদার বদলি আসামি হয়ে ওঠেন তিনি। অপরাধের গল্পের মধ্যে মধ্যে মানবিক কিছু বিষয়ও উঠে আসে, যা শেষ পর্যন্ত দর্শককে চঞ্চল চৌধুরীর প্রতি সহানুভূতিশীল করে তোলে। যার হয়ে ভাড়ায় জেল খাটতে যান, চূড়ান্ত রায়ে সেই আসামি ফাঁসির দণ্ড পান। ফেঁসে যান চঞ্চল চৌধুরী।
তবে সিনেমার পুরো গল্পে নেপথ্যের ক্ষমতা, আপস ও বিনিময়ের বিষয়গুলো স্পষ্ট করা হয়নি। এ তো জানা কথা, অনেক দৃশ্য না দেখিয়ে বোঝাতে পারাটা শিল্পীর মুনশিয়ানা, আর এড়িয়ে যেতে বাধ্য হওয়াটা শিল্পের ওপর ক্ষমতার অন্যায় হস্তক্ষেপ!
২০১৬ সালে বিশেষ করে তরুণ দর্শকদের মনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এই আয়নাবাজি। একজন দর্শক হিসেবে সিনেমাটা দেখে হল থেকে বেরিয়ে অনেককেই চোখেমুখে বিস্ময় নিয়ে বলতে শোনা গেছে—এটাও সম্ভব! কেউ কেউ বলেছেন—সত্যিই দেশে এমন হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকেই বলেছেন, এটা আমাদের দেশে হরহামেশাই চলে, কিন্তু প্রকাশ্যে আসে না!
তবে অনেকে ভেবেছেন, অভিনয় দক্ষতায় না হয়, একজনের চরিত্র–বৈশিষ্ট্য রপ্ত করা গেল, কিন্তু চেহারার মিল ছাড়াই একজন কীভাবে আরেকজনের হয়ে ভাড়ায় জেল খাটতে পারে? ফলে আয়নাবাজি অনেকে কাছে স্রেফ সিনেমার গল্প হয়েই রয়েছে।
তবে এবার সেই দ্বিধা আর থাকল না। বাস্তবে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে সাইদুল সেজে কারাগারে গেছেন তাঁরই আত্মীয় শাহজাহান শামীন। শুধু তাই নয়, মাত্র তিন হাজার টাকার বিনিময়ে একজন অপরিচিতের হয়ে হাজত খেটেছেন এক চা দোকানি। চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত চট্টগ্রামের নাছির আহমদের বদলে জেল খাটেন ঢাকা সাভারের চা দোকানি মজিবুর রহমান। আঙুলের ছাপ পরীক্ষার সময় ধরা পড়েছেন তাঁরা।
সম্প্রতি প্রথম সারির একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। তথ্যসূত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) নথি।
জামিনে থাকা মজিবুর রহমান গণমাধ্যমটিকে বলেছেন, ‘আমি কোনো মামলার আসামি ছিলাম না। প্রকৃত আসামি নাছির আহমদের পক্ষে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছি স্বেচ্ছায়। বিনিময়ে নাছিরের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা নিয়েছি। তিনি আমার দোকানে চা খেতে আসতেন, তখন পরিচয়।’
কারাবন্দীদের তথ্য-উপাত্ত যাচাইসহ (বায়োমেট্রিক ক্রস ম্যাচিং) নিবন্ধন করে রাখার জন্য দেশের সব কারাগারে পিআইডিএস স্থাপন করা হয়েছে। পিআইডিএস স্থাপনের কাজটি করেছে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত প্রকৃত অপরাধীর পরিবর্তে জেল খাটা ২৪ ভুয়া বন্দীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া কারাগারে এমন ২৯০ বন্দীকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাঁরা একাধিক এনআইডি ব্যবহার করে একাধিকবার কারাগারে ঢুকেছেন। পাঁচটি এনআইডি ব্যবহার করে একই ব্যক্তির পাঁচবার কারাগারে ঢোকার বিষয়টিও প্রিজন ইনমেট ডেটাবেইস সিস্টেমের (পিআইডিএস) মাধ্যমে ধরা পড়েছে।
এই ভাড়া খাটা লোকেরা প্রকৃত আসামিদের মতো দেখতেও নন, বাচনভঙ্গিসহ সবকিছু রপ্তও করেননি। অথচ অনেকগুলো ধাপ পেরিয়ে আয়নাবাজি দেখিয়েছেন।
তার মানে, খাপলাটা আগা থেকে মাথা পর্যন্ত। এখানে ‘আয়নাবাজি’ সিনেমার মতো রহস্য নেই। মামলার এজাহার, আসামি গ্রেপ্তার, তদন্ত, চার্জশিট, বিচার প্রক্রিয়া এবং কারাগারে পাঠানো— এই ধারাবাহিক ঘটনাগুলো ঘটেছে কোনো ধরনের বাধা ছাড়া। ডিজিটাল তথ্যভান্ডার তৈরি করতে গিয়ে ধরে পড়েছে আসল তথ্য। তবুও গোপন থেকেছে অনেক দিন। এমন একটি গুরুতর অনিয়মের ঘটনা জাতীয় দৈনিকে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন হয়ে উঠেছে! সরকারের দপ্তরই এতে পুরো ব্যবস্থার ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা সংকটের ঝুঁকির কথা ভাবেনি!
প্রাপ্তিযোগ হলো, আয়নাবাজির দর্শকদের দ্বিধাদ্বন্দ্ব কেটে গেছে। তবে সিনেমার মতোই অজানা থেকে গেল নেপথ্যের অনেক ঘটনা। পত্রিকায় খবর বেরোলেও আয়নাবাজির সেই জনপ্রিয় সংলাপেই রহস্য জট বেঁধে থাকল— ‘বোঝোনাই ব্যাপারটা!’
লেখক: সহ সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
মনে আছে আয়নাবাজি সিনেমার কথা? ব্যতিক্রম গল্প আর অমিতাভ রেজার নির্মাণ ও চঞ্চল চৌধুরীর অনবদ্য অভিনয়ের কারণে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল সিনেমাটি। ওই সময় পরিস্থিতিও এমন ছিল যে, সিনেমার গল্পের বাস্তব আর কল্পনার সীমা দর্শকের মনে অস্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। এখনো শর্টস, রিলস আর টিকটকে ওই সিনেমায় চঞ্চল চৌধুরীর মুখে জনপ্রিয় একটি সংলাপ শোনা যায়—‘বোঝোনাই ব্যাপারটা!’
সম্প্রতি পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবরে কল্পনা ও বাস্তব নিয়ে দর্শকদের দ্বিধা কেটে গেছে। দেশের কারাগারে হরহামেশা এমন ঘটছে! হাতেনাতে মিলেছে তার প্রমাণ। সে বিষয়ে বলার আগে আয়নাবাজি গল্পের সার সংক্ষেপটা একটু ঝালিয়ে নিই:
সিনেমায় চঞ্চল চৌধুরী একজন থিয়েটার শিল্পী। সাদামাটা জীবনযাপন কিন্তু গতিবিধি রহস্যময়। ভাড়া বাসায় থাকেন। সেখানে শিশুদের জন্য অভিনয় শেখার স্কুল চালান। গল্প আগানোর সঙ্গে থেকে থেকে স্থানীয় দু–একজনের সঙ্গে কানাঘুষা, কিছু তারিখ উল্লেখ করে বাক্যবিনিময়, টাকা–পয়সার লেনদেনের বিষয়গুলো দর্শক মনে রহস্যের জন্ম দেয়। ধীরে ধীরে জমে ওঠে গল্প। সিনেমার মাঝামাঝিতে বোঝা গেল— চঞ্চল চৌধুরী ভাড়ায় জেল খাটেন।
মিরর গেম বা আয়নাবাজি হলো থিয়েটার ক্লাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ। পরস্পরকে অনুকরণ করার দক্ষতা অর্জনের একটি কৌশল এটি। সিনেমার চঞ্চল চৌধুরী অভিনয়শিল্পী হওয়ার কারণে সহজেই মানুষকে অনুকরণ করতে পারেন। আসামির চলাফেরা, কথা বলার ধরন, চাউনি এমনকি মুদ্রাদোষও রপ্ত করতে পারেন।
টাকার বিনিময়ে এই শৈল্পিক দক্ষতার সুযোগ নেন বিভিন্ন মামলার আসামি। পেশাদার বদলি আসামি হয়ে ওঠেন তিনি। অপরাধের গল্পের মধ্যে মধ্যে মানবিক কিছু বিষয়ও উঠে আসে, যা শেষ পর্যন্ত দর্শককে চঞ্চল চৌধুরীর প্রতি সহানুভূতিশীল করে তোলে। যার হয়ে ভাড়ায় জেল খাটতে যান, চূড়ান্ত রায়ে সেই আসামি ফাঁসির দণ্ড পান। ফেঁসে যান চঞ্চল চৌধুরী।
তবে সিনেমার পুরো গল্পে নেপথ্যের ক্ষমতা, আপস ও বিনিময়ের বিষয়গুলো স্পষ্ট করা হয়নি। এ তো জানা কথা, অনেক দৃশ্য না দেখিয়ে বোঝাতে পারাটা শিল্পীর মুনশিয়ানা, আর এড়িয়ে যেতে বাধ্য হওয়াটা শিল্পের ওপর ক্ষমতার অন্যায় হস্তক্ষেপ!
২০১৬ সালে বিশেষ করে তরুণ দর্শকদের মনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এই আয়নাবাজি। একজন দর্শক হিসেবে সিনেমাটা দেখে হল থেকে বেরিয়ে অনেককেই চোখেমুখে বিস্ময় নিয়ে বলতে শোনা গেছে—এটাও সম্ভব! কেউ কেউ বলেছেন—সত্যিই দেশে এমন হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকেই বলেছেন, এটা আমাদের দেশে হরহামেশাই চলে, কিন্তু প্রকাশ্যে আসে না!
তবে অনেকে ভেবেছেন, অভিনয় দক্ষতায় না হয়, একজনের চরিত্র–বৈশিষ্ট্য রপ্ত করা গেল, কিন্তু চেহারার মিল ছাড়াই একজন কীভাবে আরেকজনের হয়ে ভাড়ায় জেল খাটতে পারে? ফলে আয়নাবাজি অনেকে কাছে স্রেফ সিনেমার গল্প হয়েই রয়েছে।
তবে এবার সেই দ্বিধা আর থাকল না। বাস্তবে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে সাইদুল সেজে কারাগারে গেছেন তাঁরই আত্মীয় শাহজাহান শামীন। শুধু তাই নয়, মাত্র তিন হাজার টাকার বিনিময়ে একজন অপরিচিতের হয়ে হাজত খেটেছেন এক চা দোকানি। চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত চট্টগ্রামের নাছির আহমদের বদলে জেল খাটেন ঢাকা সাভারের চা দোকানি মজিবুর রহমান। আঙুলের ছাপ পরীক্ষার সময় ধরা পড়েছেন তাঁরা।
সম্প্রতি প্রথম সারির একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। তথ্যসূত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) নথি।
জামিনে থাকা মজিবুর রহমান গণমাধ্যমটিকে বলেছেন, ‘আমি কোনো মামলার আসামি ছিলাম না। প্রকৃত আসামি নাছির আহমদের পক্ষে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছি স্বেচ্ছায়। বিনিময়ে নাছিরের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা নিয়েছি। তিনি আমার দোকানে চা খেতে আসতেন, তখন পরিচয়।’
কারাবন্দীদের তথ্য-উপাত্ত যাচাইসহ (বায়োমেট্রিক ক্রস ম্যাচিং) নিবন্ধন করে রাখার জন্য দেশের সব কারাগারে পিআইডিএস স্থাপন করা হয়েছে। পিআইডিএস স্থাপনের কাজটি করেছে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত প্রকৃত অপরাধীর পরিবর্তে জেল খাটা ২৪ ভুয়া বন্দীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া কারাগারে এমন ২৯০ বন্দীকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাঁরা একাধিক এনআইডি ব্যবহার করে একাধিকবার কারাগারে ঢুকেছেন। পাঁচটি এনআইডি ব্যবহার করে একই ব্যক্তির পাঁচবার কারাগারে ঢোকার বিষয়টিও প্রিজন ইনমেট ডেটাবেইস সিস্টেমের (পিআইডিএস) মাধ্যমে ধরা পড়েছে।
এই ভাড়া খাটা লোকেরা প্রকৃত আসামিদের মতো দেখতেও নন, বাচনভঙ্গিসহ সবকিছু রপ্তও করেননি। অথচ অনেকগুলো ধাপ পেরিয়ে আয়নাবাজি দেখিয়েছেন।
তার মানে, খাপলাটা আগা থেকে মাথা পর্যন্ত। এখানে ‘আয়নাবাজি’ সিনেমার মতো রহস্য নেই। মামলার এজাহার, আসামি গ্রেপ্তার, তদন্ত, চার্জশিট, বিচার প্রক্রিয়া এবং কারাগারে পাঠানো— এই ধারাবাহিক ঘটনাগুলো ঘটেছে কোনো ধরনের বাধা ছাড়া। ডিজিটাল তথ্যভান্ডার তৈরি করতে গিয়ে ধরে পড়েছে আসল তথ্য। তবুও গোপন থেকেছে অনেক দিন। এমন একটি গুরুতর অনিয়মের ঘটনা জাতীয় দৈনিকে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন হয়ে উঠেছে! সরকারের দপ্তরই এতে পুরো ব্যবস্থার ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা সংকটের ঝুঁকির কথা ভাবেনি!
প্রাপ্তিযোগ হলো, আয়নাবাজির দর্শকদের দ্বিধাদ্বন্দ্ব কেটে গেছে। তবে সিনেমার মতোই অজানা থেকে গেল নেপথ্যের অনেক ঘটনা। পত্রিকায় খবর বেরোলেও আয়নাবাজির সেই জনপ্রিয় সংলাপেই রহস্য জট বেঁধে থাকল— ‘বোঝোনাই ব্যাপারটা!’
লেখক: সহ সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
এবারের মার্চ মাসটাকে কীভাবে দেখা হবে? কে কীভাবে দেখবে? উন্মাতাল এই শহরের ফুঁসে ওঠা দেখে শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন ৩ মার্চের ইত্তেফাকের শিরোনাম করেছিলেন ‘বিক্ষুব্ধ নগরীর ভয়াল গর্জন’।
১৩ ঘণ্টা আগেএবার সিডনির বইমেলায়ও মানুষের সমাগম কম হয়েছে। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত মেলাটিতে ছিল সামান্যসংখ্যক মানুষ। পরদিন রোববার দীর্ঘকালের মেলাটি গতবারের মতো মানুষ টানতে পারেনি। আমি যখন মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে পৌঁছাই, তখন যা দেখেছি তাতে এটা বলা চলে যে মানুষ আগের মতো আসেনি।
১৩ ঘণ্টা আগেকতভাবে যে লুটপাটের পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন চলছে, তার হিসাব কোনো জ্যোতিষী হিসাববিজ্ঞানে পারদর্শী ব্যক্তিও করতে পারবেন বলে মনে হয় না। ২৪ ফেব্রুয়ারি আজকের পত্রিকায় ‘২০০ বছরের মাঠ কেটে পুকুর, উজাড় গাছও’ শিরোনামের খবরটি পড়লে...
১৩ ঘণ্টা আগেড. সাজ্জাদ সিদ্দিকী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। বর্তমানে তিনি বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণ এবং প্রতিকার নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন...
২ দিন আগে