বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী আল্টিমেটামের পর বাংলাদেশে সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) ৬ সদস্যের নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। নিয়োগের আদেশের ১১ দিনের মাথায় তা বাতিল করে আজ সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
তাঁরা হলেন— অধ্যাপক ড. শাহনাজ সরকার, মো. মুনির হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ এফ জগলুল আহমেদ, ড. মো. মিজানুর রহমান, শাব্বির আহমদ চৌধুরী ও অধ্যাপক সৈয়দা শাহিনা সোবহান।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ছয়জন ব্যক্তির পিএসসির সদস্য পদে নিয়োগ আদেশ রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে বাতিল করা হলো। তাঁরা এখনো পিএসসির সদস্য হিসেবে শপথ নেননি।
গত ২ জানুয়ারি পিএসসির সদস্য হিসেবে এই ছয়জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গত ৯ জানুয়ারি তাদের শপথ নেওয়ার কথা থাকলেও ৮ জানুয়ারি রাতে তাঁদের শপথ অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়।
এরপর শাহীনা সোবহান, জাগরুল আহমেদ ও মিজানুর রহমানের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করেন একদল শিক্ষার্থী। তাঁরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। তাঁর আগেই দাবি মেনে নিল সরকার।
মধুর ক্যানটিনের ওই সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র জালাল আহমেদ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মামুন হাসান, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের আল আমিন মিরা, শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের রাখেশ ও বাংলা বিভাগের মো. আবু হানিফ আল ইমরান প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে বলা, গত ২ জানুয়ারি ‘পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের তিনজন দোসরকে’ পিএসসির সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ডা. শাহীনা সোবহানের বাবা সৈয়দ আব্দুস সোবহান ১৯৭৯ সালে জামালপুর ৫ আসন থেকে আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন। ১৯৭৫ সনে বাকশাল গঠিত হলে তিনি সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সনে ‘শেখ মুজিবের হত্যাকাণ্ডের’ পর তিনি আত্মগোপন করেন। ১৯৭৬ সালের ৪ মার্চে তিনি গ্রেপ্তার হন। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পড়ার সময় তিনি আওয়ামী লীগের ডা. দীপু মনির ‘ঘনিষ্ঠ বান্ধবী’ ছিলেন। তিনি ‘বিতর্কিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য ও জনপ্রশাসন সচিব মোখলেস সাহেবের স্ত্রী ডক্টর বেলির সুপারিশে নিয়োগপ্রাপ্ত’।
ওই শিক্ষার্থীদের দাবি, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এফ জাগরুল আহমেদ আওয়ামী লীগের আমলে সুবিধাভোগী ছিলেন। ‘তিনি ২০১৪ সালে আয়নাঘর মানে ডিজিএফআইয়ের পরিচালক ছিলেন ও নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িত’। ২০১৮ সালে তিনি অবসরে যান।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, ড. মো. মিজানুর বিসিএস ৮৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা। আওয়ামী লীগের সময়ে বিয়াম ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিয়াম ফাউন্ডেশনকে প্রশাসন ক্যাডারদের ‘কেন্দ্রবিন্দু’ ধরা হয়ে থাকে। উনিও আওয়ামী লীগের আমলে বিভিন্ন দূতাবাসে ‘প্রাইজ পোস্টিং’ পেয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী আল্টিমেটামের পর বাংলাদেশে সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) ৬ সদস্যের নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। নিয়োগের আদেশের ১১ দিনের মাথায় তা বাতিল করে আজ সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
তাঁরা হলেন— অধ্যাপক ড. শাহনাজ সরকার, মো. মুনির হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ এফ জগলুল আহমেদ, ড. মো. মিজানুর রহমান, শাব্বির আহমদ চৌধুরী ও অধ্যাপক সৈয়দা শাহিনা সোবহান।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ছয়জন ব্যক্তির পিএসসির সদস্য পদে নিয়োগ আদেশ রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে বাতিল করা হলো। তাঁরা এখনো পিএসসির সদস্য হিসেবে শপথ নেননি।
গত ২ জানুয়ারি পিএসসির সদস্য হিসেবে এই ছয়জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গত ৯ জানুয়ারি তাদের শপথ নেওয়ার কথা থাকলেও ৮ জানুয়ারি রাতে তাঁদের শপথ অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়।
এরপর শাহীনা সোবহান, জাগরুল আহমেদ ও মিজানুর রহমানের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করেন একদল শিক্ষার্থী। তাঁরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। তাঁর আগেই দাবি মেনে নিল সরকার।
মধুর ক্যানটিনের ওই সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র জালাল আহমেদ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মামুন হাসান, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের আল আমিন মিরা, শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের রাখেশ ও বাংলা বিভাগের মো. আবু হানিফ আল ইমরান প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে বলা, গত ২ জানুয়ারি ‘পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের তিনজন দোসরকে’ পিএসসির সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ডা. শাহীনা সোবহানের বাবা সৈয়দ আব্দুস সোবহান ১৯৭৯ সালে জামালপুর ৫ আসন থেকে আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন। ১৯৭৫ সনে বাকশাল গঠিত হলে তিনি সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সনে ‘শেখ মুজিবের হত্যাকাণ্ডের’ পর তিনি আত্মগোপন করেন। ১৯৭৬ সালের ৪ মার্চে তিনি গ্রেপ্তার হন। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পড়ার সময় তিনি আওয়ামী লীগের ডা. দীপু মনির ‘ঘনিষ্ঠ বান্ধবী’ ছিলেন। তিনি ‘বিতর্কিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য ও জনপ্রশাসন সচিব মোখলেস সাহেবের স্ত্রী ডক্টর বেলির সুপারিশে নিয়োগপ্রাপ্ত’।
ওই শিক্ষার্থীদের দাবি, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এফ জাগরুল আহমেদ আওয়ামী লীগের আমলে সুবিধাভোগী ছিলেন। ‘তিনি ২০১৪ সালে আয়নাঘর মানে ডিজিএফআইয়ের পরিচালক ছিলেন ও নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িত’। ২০১৮ সালে তিনি অবসরে যান।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, ড. মো. মিজানুর বিসিএস ৮৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা। আওয়ামী লীগের সময়ে বিয়াম ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিয়াম ফাউন্ডেশনকে প্রশাসন ক্যাডারদের ‘কেন্দ্রবিন্দু’ ধরা হয়ে থাকে। উনিও আওয়ামী লীগের আমলে বিভিন্ন দূতাবাসে ‘প্রাইজ পোস্টিং’ পেয়েছেন।
আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন এই নির্দেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই, বরিশাল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
১ ঘণ্টা আগেফায়ার সার্ভিসের পরিচালক বলেন, প্রথমত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দাহ্য বস্তুর (কম্বাস্টিবল ম্যাটেরিয়াল) আধিক্য, দ্বিতীয়ত স্টিল স্ট্রাকচারের তাপ শোষণ, তৃতীয়ত অপরিষ্কার ও গাদাগাদি পরিবেশ, চতুর্থত অগ্নিনিরাপত্তা-ব্যবস্থার ঘাটতি এবং সর্বশেষ ছোট ছোট স্টিলের স্ট্রাকচার কেটে ভেতরে প্রবেশ করায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়।
৪ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রামের ইপিজেডসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ড তদন্তে স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনিকে প্রধান করে একটি কোর কমিটি গঠন করেছে সরকার। আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বৈঠক শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
৫ ঘণ্টা আগে