Ajker Patrika

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা বিষয়ে রিটের শুনানি আগামীকাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা বিষয়ে রিটের শুনানি আগামীকাল

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি নেবেন বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী মো. ইউনুস আলী আকন্দ।

গতকাল সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করা হয়। এর পর আজ মঙ্গলবার আদালতে আবেদনটি উপস্থাপন করলে শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়। 

রিটে আইনসচিব, মন্ত্রী পরিষদসচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্যসচিব, রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের সচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, চিকিৎসা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার। তাই মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে একজন আইনজীবী হিসেবে এই রিট করেছি। যেহেতু সরকার তাঁকে এরই মধ্যে কারাগার থেকে মুক্ত করে দিয়েছে। তাই তিনি কোর্টের নিয়ন্ত্রণে নেই, সরকারের নিয়ন্ত্রণে। সুতরাং তাঁকে এখন বিদেশে পাঠাতে বাধা নেই। কেবল শর্ত প্রত্যাহার করলে বিদেশে তাঁর সুচিকিৎসা সম্ভব। তিনি বলেন, ‘আমার চাওয়া হলো–শর্ত ছাড়া বিদেশে তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা। কারণ তিনি যে ধরনের অসুস্থ, মেডিকেল বোর্ড বলেছে, এই রোগের চিকিৎসা এখানে নেই।’ 

এ বিষয়ে ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ (১), সংবিধানের ১১,৩২ ও ৪৯ অনুচ্ছেদের পাশাপাশি জাতিসংঘের সর্বজনীন ঘোষণার অনুচ্ছেদ ৩,৫, ১১ ও ১৩ (২)-এর অধীনে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকার পদক্ষেপ নিতে পারে। খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে অনুমতির জন্য বিবাদীদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—মর্মে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে রিটে। সেই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। 

গত ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। এরই মধ্যে তাঁর কয়েক দফায় রক্তক্ষরণ হয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। রায়ের পর থেকেই কারাগারে ছিলেন তিনি। তবে জামিন না পেয়ে সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে গত বছরের ২৫ মার্চ প্রথম দফায় দণ্ড স্থগিত করার পর তিনি কারাগার থেকে সাময়িক মুক্তি পান। এর পর কয়েক দফায় ওই মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। 

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া ওই বছরই হাইকোর্টে আপিল করেন। একই সঙ্গে দুদকও আবেদন করে সাজা বাড়াতে। শুনানি শেষে সাজার পরিমাণ বাড়িয়ে খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। এর পর ওই বছরের ১৮ নভেম্বর আপিল বিভাগে আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তার পর থেকে এ মামলা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই মামলায় করা আপিল হাইকোর্টে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত