নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ইসলামি ব্যাংক থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনায় ঋণ সংক্রান্ত সব নথি চেয়েছেন হাইকোর্ট। এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানকে ওই নথি দাখিল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কেও তাঁকে জানাতে বলা হয়েছে।
আজ রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।
ইসলামি ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংক ও ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা অনুসন্ধান করতে বিএফআইইউ, দুদক এবং সিআইডিকে নির্দেশও দিয়েছেন হাইকোর্ট। অনুসন্ধান করে আগামী চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তিন ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের তালিকাও চেয়েছেন আদালত।
এছাড়া ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। অর্থ সচিব, দুদক, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএফআইইউ ও সিআইডিসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদগুলো নিয়ে এস আলম গ্রুপের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন আদালত। পাশাপাশি যারা ঋণ দিয়েছে তাদেরও এর ব্যাখ্যা দিতে হবে।’
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ‘ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে পত্রিকায় যে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে, সেই প্রতিবেদনগুলো আমলে নিয়ে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেছেন।’
এর আগে তিন ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে এনেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। পরে হাইকোর্ট তাঁকে রিট করতে বলেন। তবে শিশির মনির রিট না করে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে চিঠি দেন।
গত বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশন এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বরাবর এই চিঠি দেন সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবীসহ পাঁচ গ্রাহক। তারা হলেন—আইনজীবী মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ, আবদুল্লাহ সাদিক এবং গ্রাহক শাইখুল ইসলাম ইমরান ও যায়েদ বিন আমজাদ। তারা সবাই ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে নভেম্বর মাসের ১ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক থেকে ২ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। আর একটি ইংরেজি দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপ একাই ৩০ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। তাই এসব ঋণের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে চিঠিতে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, জামানত ছাড়া ঋণ প্রদান, নামসর্বস্ব কোম্পানিকে ঋণ প্রদানের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠে এসেছে। ব্যাংকের কর্মচারীসহ প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ী ও সুধীজনের ভাষ্যমতে রিপোর্টে উল্লেখিত সংখ্যার চেয়ে প্রকৃত অসাধু লেনদেনের পরিমাণ আরও অনেক গুন বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছে। আর এই ধরনের অসাধু লেনদেন আর্থিক ব্যবস্থাপনায় অধিকতর অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে বলে এতে উল্লেখ করা হয়।
ইসলামি ব্যাংক থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনায় ঋণ সংক্রান্ত সব নথি চেয়েছেন হাইকোর্ট। এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানকে ওই নথি দাখিল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কেও তাঁকে জানাতে বলা হয়েছে।
আজ রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।
ইসলামি ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংক ও ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা অনুসন্ধান করতে বিএফআইইউ, দুদক এবং সিআইডিকে নির্দেশও দিয়েছেন হাইকোর্ট। অনুসন্ধান করে আগামী চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তিন ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের তালিকাও চেয়েছেন আদালত।
এছাড়া ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। অর্থ সচিব, দুদক, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএফআইইউ ও সিআইডিসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদগুলো নিয়ে এস আলম গ্রুপের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন আদালত। পাশাপাশি যারা ঋণ দিয়েছে তাদেরও এর ব্যাখ্যা দিতে হবে।’
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ‘ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে পত্রিকায় যে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে, সেই প্রতিবেদনগুলো আমলে নিয়ে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেছেন।’
এর আগে তিন ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে এনেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। পরে হাইকোর্ট তাঁকে রিট করতে বলেন। তবে শিশির মনির রিট না করে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে চিঠি দেন।
গত বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশন এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বরাবর এই চিঠি দেন সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবীসহ পাঁচ গ্রাহক। তারা হলেন—আইনজীবী মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ, আবদুল্লাহ সাদিক এবং গ্রাহক শাইখুল ইসলাম ইমরান ও যায়েদ বিন আমজাদ। তারা সবাই ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে নভেম্বর মাসের ১ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক থেকে ২ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। আর একটি ইংরেজি দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপ একাই ৩০ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। তাই এসব ঋণের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে চিঠিতে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, জামানত ছাড়া ঋণ প্রদান, নামসর্বস্ব কোম্পানিকে ঋণ প্রদানের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠে এসেছে। ব্যাংকের কর্মচারীসহ প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ী ও সুধীজনের ভাষ্যমতে রিপোর্টে উল্লেখিত সংখ্যার চেয়ে প্রকৃত অসাধু লেনদেনের পরিমাণ আরও অনেক গুন বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছে। আর এই ধরনের অসাধু লেনদেন আর্থিক ব্যবস্থাপনায় অধিকতর অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে বলে এতে উল্লেখ করা হয়।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বাছাইয়ে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার (বিরোধী দলের) এবং সংসদের তৃতীয় বৃহত্তম দলের একজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি বাছাই কমিটি করা হবে। ওই কমিটি একজনকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে চূড়ান্ত করবে এবং রাষ্ট্রপতি তাঁকেই প্রধান উপদেষ্টা
১ মিনিট আগেবাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উদ্যোগে এবং মহাপরিচালকের নির্দেশনায় ঢাকা মহানগরের আওতাধীন চারটি জোনের নিম্ন আয়ের বসতি এলাকায় নগর প্রতিরক্ষা দল (টিডিপি) মৌলিক প্রশিক্ষণের প্রথম ধাপ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে চেম্বার আদালতের সংখ্যা বাড়ল। এত দিন একটি চেম্বার আদালতে বিচারকাজ চললেও আজ রোববার থেকে দুটিতে বিচারকাজ শুরু হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ চেম্বার আদালতের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেপরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে