Ajker Patrika

বাংলাদেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেনাবাহিনীও স্মার্ট হবে: সেনাপ্রধান

আয়নাল হোসেন টাঙ্গাইল থেকে ফিরে
বাংলাদেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেনাবাহিনীও স্মার্ট হবে: সেনাপ্রধান

স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেনাবাহিনীও স্মার্ট হবে। পাশাপাশি আধুনিকায়ন ও প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীতকালীন প্রশিক্ষণ ‘নব উদ্যোগের’ চূড়ান্ত মহড়া শেষে আজ বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সেনাপ্রধান। সেনাপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। তারই ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও।’

 ‘স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে মিলিয়ে স্মার্ট সেনাবাহিনী হবে এটাই কাম্য। সেনাবাহিনীকে আরও স্মার্ট করতে যত জায়গায় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে, সেগুলো আমরা বাড়াচ্ছি। আমাদের টিএডিএ, বেতন কাঠামো আগেকার ছিল, সেটা ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে। দ্রুতই এটার ফল সবাই ভোগ করবে। এটা একটি প্রক্রিয়ার কথা বললাম, এভাবেই সবক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশনের যে অ্যাডভানটেজ, সেটা আমরা নিচ্ছি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জাতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে যতটা স্মার্ট করা দরকার, সেটা আমরা করছি।’

প্রশিক্ষণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘শীতকালীন প্রশিক্ষণ আজ শেষ হচ্ছে। আপনারা জানেন যে এ ধরনের একটি প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে অনেক কিছু করতে হয়। প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, প্রশিক্ষণে জোর দাও। আমরা তাঁর দেওয়া নির্দেশনা মোতাবেক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বৃদ্ধি করে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ অর্জনের লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘জনগণের আস্থা যদি কোনো বাহিনী অর্জন করতে না পারে, তাহলে সে বাহিনী সাফল্য অর্জন করতে পারে না। পৃথিবীর কোনো সেনাবাহিনী কোনো যুদ্ধ জয় করতে পারেনি জনগণের সমর্থন ছাড়া। আমাদের বাংলাদেশের মানুষ যাতে সেনাবাহিনীর ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখে এবং আমরা যাতে সব সময় তাদের সার্বিক সহযোগিতা পাই। সে জন্য আমরা সব সময় জনগণের ভেতরে থাকার চেষ্টা করি।’

সরাসরি সেনাবাহিনীর শক্তি প্রদর্শন ও যুদ্ধ দেখে অভিভূত টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার এলাকার বাসিন্দারা। মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি। তখন ভয় পেয়েছিলাম, আজ ভয় পাইনি।’

দেলদুয়ার উপজেলার দেওজান গ্রামের গৃহবধূ সুমি ঘোষ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি কিন্তু কাম কাজ ফাইলা রাইখা যুদ্ধ দেখতে খুব ভালো লাগছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত