Ajker Patrika

বাংলাদেশিদের ভিসা নিয়ে ব্লিঙ্কেনের টুইটে হুমড়ি খেল পাকিস্তানিরা

পরাগ মাঝি
আপডেট : ২৬ মে ২০২৩, ১৮: ৩৩
Thumbnail image

নির্বাচনে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশিদের ভিসা না দেওয়ার বিষয়ে বুধবার রাত ১১টা ৮ মিনিটে একটি টুইট করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

টুইটে তিনি লিখেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে উৎসাহিত করতে আজ আমি একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছি। এই নীতির আওতায় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে অবৈধ উপায়ে কেউ বাধাগ্রস্ত করলে কিংবা দায়ী থাকলে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর আমরা ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করতে পারি।’

তুলনা করে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে ব্লিঙ্কেন যত টুইট করেছেন এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাড়া ফেলেছে বাংলাদেশ নিয়ে করা টুইটটি। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ মানুষ এই টুইটটিতে ক্লিক করেছেন। টুইটটির রিঅ্যাক্ট বাটন চেপেছেন প্রায় ১৩ হাজার জন, শেয়ার হয়েছে সাড়ে চার হাজার আর কমেন্ট করেছেন প্রায় পৌনে ছয় হাজার মানুষ।

বাংলাদেশ নিয়ে করা ওই টুইটে রিঅ্যাক্ট, কমেন্ট আর শেয়ার করা ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বাংলাদেশি হবেন—এমনটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো টুইটটিতে বাংলাদেশি ছাড়াও বিপুলসংখ্যক পাকিস্তানির অংশগ্রহণ দেখা গেছে। বিশেষ করে কমেন্টে!

এসব কমেন্টে সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতিফলন দেখা গেছে। বাংলাদেশের মতো নিজেদের দেশের নির্বাচন নিয়েও এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছেন অসংখ্য পাকিস্তানি।

এর মধ্যে ‘সিটিজেন অব অক্যুপাইড পাকিস্তান’ নামে একটি ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে মন্তব্য করা হয়েছে, ‘এটা পাকিস্তানের জন্য কেন হলো না? আপনি কি দেখেছেন—পাকিস্তানে কী হচ্ছে? পাকিস্তানের নির্বাচনকে যারা কলঙ্কিত করছে তাদের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ নিন। তারপর দেখুন—এ দেশের মানুষের প্রতিক্রিয়া। একবারের জন্য হলেও সঠিক কাজটি করুন।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘এই জিনিসটি পাকিস্তানের জন্য কেন করছেন না? দয়া করে শেহবাজ সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো বিষয়গুলোতে একবার নজর দিন।’

ফুরকান নামে এক পাকিস্তানি মন্তব্য করেছেন, ‘দয়া করে পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও একই কাজ করুন। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে আছে পুরো জাতি।’ 

মাহিরা খুরশিদ নামে এক নারী লিখেছেন, ‘এটা সম্ভবত ছাপার ভুল। আপনি পাকিস্তানের কথা লিখতে চেয়েছিলেন—তাই না মি. সেক্রেটারি?’

সাঈদ কামরান নামে একজন লিখেছেন, ‘এই তালিকায় পাকিস্তানের নাম যুক্ত করতে ভুলবেন না।’

অবস্থা এমন যে—পাকিস্তানিদের ভিড়ে বিষয়টি নিয়ে কোনো বাংলাদেশির মন্তব্য খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর। তারপরও টুইটটিতে বেশ কিছু বাংলাদেশির মন্তব্যও দেখা গেছে। তাদের কেউ কেউ ভিসা-সংক্রান্ত মার্কিন পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন, কেউ আবার নিন্দাও করেছেন।

মার্কিন ভিসা সম্পর্কিত খবর আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত