নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কল কারাখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক শেখ আসাদুজ্জামান ও জাকির হোসেন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সংসদ সদস্য শাজাহান খানের সংসদ হোস্টেলের কার্যালয়ে গিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য কাজ করছেন—এমন প্রতিবেদন দিয়েছিলেন অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক মো. ইউসুফ আলী। তাঁর এই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। কিন্তু এখন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। তাই অভিযোগকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি সাবকমিটির প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনার পর এ সুপারিশ করা হয়।
গত ফেব্রুয়ারিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি বৈঠকে শাজাহান খান তাঁকে জড়িয়ে সরকারি দপ্তরের প্রতিবেদন দেওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সুরাহা চান। পরে সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে বিষয়টি পুনঃতদন্তের জন্য বেগম শামসুন নাহারকে আহ্বায়ক করে দুই সদস্যের সাব কমিটি গঠন করা হয়। মঙ্গলবারের বৈঠকে ওই সাব কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হয়।
এ বিষয়ে স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সাব কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করেছি। তদন্তকারী কর্মকর্তা দুজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছেন। আমরা ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তি প্রত্যাহার করতে বলেছি। আর মিথ্যা তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার কারণে মো. ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’
সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে কমিটির সদস্য শাজাহান খানের নামে মিথ্যা তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে স্থায়ী কমিটি।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শেখ আসাদুজ্জামান ও জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে, তার পুরোটাই মিথ্যা। ঘটনার দিন তাঁরা একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য শাজাহান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন। ওই ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলীও সাব কমিটির কাছে স্বীকার করেন দুজন কর্মকর্তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অনুমানের ভিত্তিতে তাঁদের জড়িত থাকার প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো তথ্য-প্রমাণ দাখিল করতে পারেননি বলে সাবকমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনার জন্য মো. ইউসুফ আলী সাবকমিটির কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। ওই কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদনকে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রেজাউল হক দুঃখজনক বলে সাবকমিটির কাছে জানিয়েছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের জনবল বৃদ্ধি ও শূন্যপদে জরুরি ভিত্তিতে নিয়োগ, গাজীপুরে সরকারের খাস জমিতে শ্রমিকদের আবাসন তৈরিতে উপযুক্ত খাসজমি না পাওয়া গেলে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের জমি কিনে আবাসন তৈরির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া চা মালিক প্রতিনিধি ও চা শ্রমিক প্রতিনিধিকে পরবর্তী সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিটির সভাপতি মুজিবুল হক চুন্নুর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, শাজাহান খান, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মানু মজুমদার, শামসুন নাহার ও আনোয়ার হোসেন (হেলাল) বৈঠকে অংশ করেন।
কল কারাখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক শেখ আসাদুজ্জামান ও জাকির হোসেন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সংসদ সদস্য শাজাহান খানের সংসদ হোস্টেলের কার্যালয়ে গিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য কাজ করছেন—এমন প্রতিবেদন দিয়েছিলেন অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক মো. ইউসুফ আলী। তাঁর এই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। কিন্তু এখন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। তাই অভিযোগকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি সাবকমিটির প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনার পর এ সুপারিশ করা হয়।
গত ফেব্রুয়ারিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি বৈঠকে শাজাহান খান তাঁকে জড়িয়ে সরকারি দপ্তরের প্রতিবেদন দেওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সুরাহা চান। পরে সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে বিষয়টি পুনঃতদন্তের জন্য বেগম শামসুন নাহারকে আহ্বায়ক করে দুই সদস্যের সাব কমিটি গঠন করা হয়। মঙ্গলবারের বৈঠকে ওই সাব কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হয়।
এ বিষয়ে স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সাব কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করেছি। তদন্তকারী কর্মকর্তা দুজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছেন। আমরা ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তি প্রত্যাহার করতে বলেছি। আর মিথ্যা তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার কারণে মো. ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’
সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে কমিটির সদস্য শাজাহান খানের নামে মিথ্যা তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে স্থায়ী কমিটি।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শেখ আসাদুজ্জামান ও জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে, তার পুরোটাই মিথ্যা। ঘটনার দিন তাঁরা একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য শাজাহান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন। ওই ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলীও সাব কমিটির কাছে স্বীকার করেন দুজন কর্মকর্তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অনুমানের ভিত্তিতে তাঁদের জড়িত থাকার প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো তথ্য-প্রমাণ দাখিল করতে পারেননি বলে সাবকমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনার জন্য মো. ইউসুফ আলী সাবকমিটির কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। ওই কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদনকে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রেজাউল হক দুঃখজনক বলে সাবকমিটির কাছে জানিয়েছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের জনবল বৃদ্ধি ও শূন্যপদে জরুরি ভিত্তিতে নিয়োগ, গাজীপুরে সরকারের খাস জমিতে শ্রমিকদের আবাসন তৈরিতে উপযুক্ত খাসজমি না পাওয়া গেলে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের জমি কিনে আবাসন তৈরির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া চা মালিক প্রতিনিধি ও চা শ্রমিক প্রতিনিধিকে পরবর্তী সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিটির সভাপতি মুজিবুল হক চুন্নুর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, শাজাহান খান, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মানু মজুমদার, শামসুন নাহার ও আনোয়ার হোসেন (হেলাল) বৈঠকে অংশ করেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘ সাত মাস সংলাপের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ। আজ শুক্রবার বিকেল ৪টার পরে জমকালো অনুষ্ঠানে সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর প্রতিনিধিদের জুলাই সনদে সই করার কথা। এ জন্য জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রস্তুত করা হয়েছে মঞ্চ।
৩ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের পুনর্গঠন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা দলটির প্রভাবশালী নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং তার স্ত্রী রেহানা হোসেনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৭ ঘণ্টা আগেবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য পৃথক এই আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেওয়া হয়।
৭ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের সময় সংসদ এলাকায় কোনো প্রকার ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে।
৭ ঘণ্টা আগে