আজকের পত্রিকা ডেস্ক
নাইকো দুর্নীতি মামলায় দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন মামলাটির অন্যতম আসামি ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সেলিম ভূঁইয়া। তাঁকে নির্যাতনের মাধ্যমে এই স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিচারক।
আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল ইসলাম এই মন্তব্য করেন। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, সেলিম ভূঁইয়াসহ আটজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
আদালত রায় ঘোষণার সময় বলেন, রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য খালেদা জিয়াসহ অন্যদের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়। তারপরও মামলার নথি থেকে দেখা যায়, আসামি সেলিম ভূঁইয়া একটি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে আদালত মনে করেন, এই স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছিল শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে।
মামলার নথি থেকে দেখা যায়, স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধকারী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাক্ষ্যতে বলেছেন, সেলিম ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তারের পর তাঁকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে আদালতে পাঠানোর পর এই স্বীকারোক্তি গ্রহণ করা হয়।
আসামিপক্ষের জেরা এবং দাখিলিও কাগজপত্র থেকে দেখা যায়, রিমান্ড শেষে সেলিম ভূঁইয়াকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ছাড়া আসামি সেলিম ভূঁইয়া পরবর্তীকালে স্বীকারোক্তি প্রত্যাহার করেন এবং স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদনে উল্লেখ করেন তাঁকে নির্যাতনের মাধ্যমে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে।
রাজারবাগ পুলিশ লাইনের চিকিৎসার কাগজপত্র থেকে দেখা যায় সেলিম ভূঁইয়াকে রিমান্ড শেষে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কাজেই স্বীকারোক্তি জোর করে আদায় করা হয়েছে, এ বিষয়টি অমূলক নয়। আদালত মনে করেন, সেলিম ভূঁইয়া এবং অন্যান্য কয়েক আসামিকে এই মামলায় জড়ানোর জন্যই জোরপূর্বক তাঁর স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছিল।
কী ছিল স্বীকারোক্তিতে
সেলিম ভূঁইয়া স্বীকারোক্তিতে বলেছিলেন, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সঙ্গে সেলিম ভূঁইয়ার পরিচয় হওয়ার পর তাঁরা তাঁর কাছে নাইকোর কাজ পাওয়ার জন্য সহযোগিতা করতে বলেন। নাইকো যদি গ্যাস ফিল্ডের গ্যাস উত্তোলনের কাজ পায়, তাহলে মামুন সাহেব এবং সেলিম ভূঁইয়াকে কিছু সুবিধা দেবেন, এজন্য সমঝোতা হয়। কিছু কাজ সম্পূর্ণ সফল হলে নাইকো মামুন সাহেবকে ৬ কোটি টাকা এবং ২৪০ হাজার মার্কিন ডলার দেবে ৩ পর্যায়ে, এ ধরনের কথা হয়। ওই প্রস্তাবে বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যবসায়ী হিসেবে সেলিম ভূঁইয়া সহায়তা করার জন্য রাজি হন। পরে তাঁরা তৎকালীন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদমন্ত্রী মোশাররফ হোসেনের কাছে গেলে মোশাররফ হোসেন সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। ওই সমঝোতার পরে বাপেক্স ও নাইকোর চুক্তি স্বাক্ষর হয়। নাইকো প্রতিশ্রুতি অনুসারে ৩ কোটি টাকা সেলিম ভূঁইয়ার গুলশান স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের শাখার হিসাবে জমা দেয়। নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ সেগুলো জমা দেন। সেখান থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে পে অর্ডারের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা এবং ক্যাশ চেকের মাধ্যমে ১ কোটি টাকা; মোট ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা মামুনকে দেন সেলিম ভূঁইয়া। এ ছাড়াও জ্বালানিমন্ত্রী মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে কানাডায় যান সেলিম ভূঁইয়া। সেখানে তাঁদের অনেক ব্যয় নাইকো কোম্পানি বহন করে।
নাইকো দুর্নীতি মামলায় দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন মামলাটির অন্যতম আসামি ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সেলিম ভূঁইয়া। তাঁকে নির্যাতনের মাধ্যমে এই স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিচারক।
আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল ইসলাম এই মন্তব্য করেন। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, সেলিম ভূঁইয়াসহ আটজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
আদালত রায় ঘোষণার সময় বলেন, রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য খালেদা জিয়াসহ অন্যদের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়। তারপরও মামলার নথি থেকে দেখা যায়, আসামি সেলিম ভূঁইয়া একটি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে আদালত মনে করেন, এই স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছিল শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে।
মামলার নথি থেকে দেখা যায়, স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধকারী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাক্ষ্যতে বলেছেন, সেলিম ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তারের পর তাঁকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে আদালতে পাঠানোর পর এই স্বীকারোক্তি গ্রহণ করা হয়।
আসামিপক্ষের জেরা এবং দাখিলিও কাগজপত্র থেকে দেখা যায়, রিমান্ড শেষে সেলিম ভূঁইয়াকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ছাড়া আসামি সেলিম ভূঁইয়া পরবর্তীকালে স্বীকারোক্তি প্রত্যাহার করেন এবং স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদনে উল্লেখ করেন তাঁকে নির্যাতনের মাধ্যমে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে।
রাজারবাগ পুলিশ লাইনের চিকিৎসার কাগজপত্র থেকে দেখা যায় সেলিম ভূঁইয়াকে রিমান্ড শেষে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কাজেই স্বীকারোক্তি জোর করে আদায় করা হয়েছে, এ বিষয়টি অমূলক নয়। আদালত মনে করেন, সেলিম ভূঁইয়া এবং অন্যান্য কয়েক আসামিকে এই মামলায় জড়ানোর জন্যই জোরপূর্বক তাঁর স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছিল।
কী ছিল স্বীকারোক্তিতে
সেলিম ভূঁইয়া স্বীকারোক্তিতে বলেছিলেন, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সঙ্গে সেলিম ভূঁইয়ার পরিচয় হওয়ার পর তাঁরা তাঁর কাছে নাইকোর কাজ পাওয়ার জন্য সহযোগিতা করতে বলেন। নাইকো যদি গ্যাস ফিল্ডের গ্যাস উত্তোলনের কাজ পায়, তাহলে মামুন সাহেব এবং সেলিম ভূঁইয়াকে কিছু সুবিধা দেবেন, এজন্য সমঝোতা হয়। কিছু কাজ সম্পূর্ণ সফল হলে নাইকো মামুন সাহেবকে ৬ কোটি টাকা এবং ২৪০ হাজার মার্কিন ডলার দেবে ৩ পর্যায়ে, এ ধরনের কথা হয়। ওই প্রস্তাবে বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যবসায়ী হিসেবে সেলিম ভূঁইয়া সহায়তা করার জন্য রাজি হন। পরে তাঁরা তৎকালীন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদমন্ত্রী মোশাররফ হোসেনের কাছে গেলে মোশাররফ হোসেন সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। ওই সমঝোতার পরে বাপেক্স ও নাইকোর চুক্তি স্বাক্ষর হয়। নাইকো প্রতিশ্রুতি অনুসারে ৩ কোটি টাকা সেলিম ভূঁইয়ার গুলশান স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের শাখার হিসাবে জমা দেয়। নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ সেগুলো জমা দেন। সেখান থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে পে অর্ডারের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা এবং ক্যাশ চেকের মাধ্যমে ১ কোটি টাকা; মোট ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা মামুনকে দেন সেলিম ভূঁইয়া। এ ছাড়াও জ্বালানিমন্ত্রী মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে কানাডায় যান সেলিম ভূঁইয়া। সেখানে তাঁদের অনেক ব্যয় নাইকো কোম্পানি বহন করে।
বাণিজ্য-সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য দেশে বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে প্রস্তাব ও আইনের খসড়া পাঠানোর পর আইন মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ করছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশা করছেন, বাণিজ্যিক আদালত গঠন করে আইন মন্ত্রণালয় শিগগির প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
৭ ঘণ্টা আগেচূড়ান্ত হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫। এখন সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাক্ষর করাটাই শুধু বাকি। কিন্তু এই পর্যায়ে এসে শেষ সময়ের কাজটুকু সমাধা হওয়া নিয়েই দেখা দেয় গুরুতর সংকট। সংকট সমাধানের উপায় খুঁজতে গতকাল বুধবার দলগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সভাপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের...
৭ ঘণ্টা আগেপশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে অফিস ৫০টি ভিআইপি পর্দা কিনতে ৪৪ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টাকা খরচ দেখিয়েছে। সেই হিসাবে একটি পর্দার দাম পড়েছে ৮৮ হাজার ৮২৬ টাকা। শুধু তাই নয়, বাজারে একটি তালার দাম ১৭৩ টাকা; অথচ সেটি কেনা হয়েছে ৫ হাজার ৫৯০ টাকায়। তেমনি ২৬০ টাকার বালতি ১ হাজার ৮৯০ এবং ৯৮ টাকার ঝাড়ু ১ হাজার ৪৪০ টাকায়...
৮ ঘণ্টা আগেবিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সাময়িক বরখাস্ত করা উপমহাব্যবস্থাপক (আইনবিষয়ক) মো. আল মাসুদ খানের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া অফিসে প্রবেশ ও গুরুত্বপূর্ণ নথি সরানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই কর্মকর্তাকে ‘কারণ দর্শানোর নোটিশ’ দিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
৮ ঘণ্টা আগে