Ajker Patrika

কাঠগড়ায় নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে ছিলেন বিচারপতি খায়রুল, ছিল না আইনজীবী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৫, ২৩: ৩৮
এ বি এম খায়রুল হক। ছবি: সংগৃহীত
এ বি এম খায়রুল হক। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যাত্রাবাড়ী থানার কিশোর আব্দুল কাইয়ূম আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার রাতে শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্যাহর আদালত এই আদেশ দেন।

এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক খালেদ হাসান। এরপর ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যদিয়ে তাকে এজলাসে ওঠানো হয়।

সাবেক এই প্রধান বিচারপতির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। খায়রুল হক নিজেও আদালতে কিছু বলেননি। তিনি নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে ছিলেন। শুনানিতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা যখন তাকে উদ্দেশ্য করে আদালতে কথা বলছিলেন; তিনি মাথা নিচু করে ছিলেন। আদালতে তিনি কোনো কথা বলেননি। আদালত চলাকালীন ৮টা ১৫ মিনিট থেকে ৮টা ৩৬ মিনিটি পর্যন্ত নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

বিচারপতি খাইরুল হক কে আদালতে নেওয়া হয় পিঠে হাতকড়া পরিয়ে। তার গায়ে ছিল বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট।

রাষ্ট্রপক্ষে মূলত শুনানি করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ঢাকা ইউনিটের আহ্বায়ক মো. খোরশেদ আলম, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খুরশিদ মিয়া আলম, সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত এম এ কালাম খান প্রমূখ।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, এটিএম খায়রুল হক আওয়ামী লীগের সময় নিয়োগ প্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। যদি কোন মামলায় আইনগত দিক পর্যালোচনা না করে আওয়ামী লীগের পক্ষে রায় দিয়েছেন। তিনি ছিলেন স্বৈরাচারের দোসর। এবিএম খাইরুল হকের কারণে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে। আর যে হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী।

তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে যা বলা হয়েছে

তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনে উল্লেখ করেছেন, এ বি এম খায়রুল হক একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি জামিনে মুক্তি পাইলে, মামলার তদন্ত কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করবেন। এছাড়া তাকে মুক্তি পেলে ছাত্র জনতা ও রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিবাদে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারেন।

বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের স্লোগান

এদিকে শুনানি শেষে আদালত চত্বরে সাবেক এই প্রধান বিচারপতির ফাঁসি চেয়ে শ্লোগান দেন আইনজীবীরা। এ সময় তারা বলেন, এই কুখ্যাত বিচারকের একমাত্র শাস্তি ফাঁসি।

এদিকে খায়রুল হককে আদালতে নেওয়া হবে এই সংবাদে বিএনপিপন্থী আইনজীবী ও বিক্ষুব্ধ জনতা আগে থেকে অবস্থান নেন। এ সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবী ও জনতা দুয়োধ্বনিসহ স্লোগান দিতে থাকেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ওসি হয়েও আমার কম দামি ফোন, দামি ফোন নিয়ে ঘুরলে ছিনতাই তো হবেই’, ভুক্তভোগীকে মোহাম্মদপুরের ওসি

মোহাম্মদপুর থানায় ভুক্তভোগীকে হেনস্তা: চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার, ৩ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

এনসিপির পদযাত্রা উপলক্ষে ‘স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত’, প্রধান শিক্ষকের দুই রকম বক্তব্য

হিন্দু মন্দির নিয়ে কেন সংঘাতে জড়াল বৌদ্ধ-অধ্যুষিত থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মহড়া শুরু, চলবে ৩০ জুলাই পর্যন্ত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত