নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চলতি বছর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি প্রণীত বিশ্বের অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা, লেখক এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষা আন্দোলনের কর্মী জান্নাতুল ফেরদৌস আইভি। আজ মঙ্গলবার এই তালিকা প্রকাশ করে বিবিসি।
তালিকায় সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা, মানবাধিকারবিষয়ক আইনজীবী আমাল ক্লুনি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ তিমনিত গেবরু, নারীবাদের আইকন গ্লোরিয়া স্টেইনেম, হলিউড তারকা আমেরিকা ফেরেরা, ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর ও বলিউড অভিনেত্রী দিয়া মির্জাও রয়েছেন।
বাংলাদেশের জান্নাতুল ফেরদৌস আইভি সম্পর্কে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক অগ্নিদুর্ঘটনায় তাঁর শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে যায়। এই মর্মান্তিক ঘটনা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তিনি একজন চিত্রনির্মাতা, লেখক ও অধিকারকর্মীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
প্রায় ২৬ বছরের পোড়া ক্ষতের জীবন আইভির। ১৯৯৭ সালে রান্না করতে গিয়ে ওড়নায় আগুন লেগে শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে যায় তাঁর। মুখ, শরীরের ওপরের অংশ পুড়ে কুঁচকে বিকৃত হয়ে যায়। এ পর্যন্ত চামড়া প্রতিস্থাপনসহ তাঁর ৫০টি অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে।
আইভি ‘ভয়েস অ্যান্ড ভিউস’ নামে একটি মানবাধিকার সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। সংস্থাটি অগ্নিদুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরে আসা নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করে। এ পর্যন্ত ৫টি শর্টফিল্ম নির্মাণ করেছেন তিনি। এ ছাড়া তাঁর লেখা ৩টি উপন্যাসও প্রকাশিত হয়েছে। তিনি তাঁর গল্প বলার সহজাত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে চারপাশের মানুষের মাঝে শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ মানুষদের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৫ সালে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর ও ২০০১ সালে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন আইভি। ২০০৯ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। পাশাপাশি ২০১০ সালে এলএলবি ডিগ্রি ও ২০১২ সালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট থেকে সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স বিষয়ে ডিপ্লোমা করেন তিনি।

চলতি বছর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি প্রণীত বিশ্বের অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা, লেখক এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষা আন্দোলনের কর্মী জান্নাতুল ফেরদৌস আইভি। আজ মঙ্গলবার এই তালিকা প্রকাশ করে বিবিসি।
তালিকায় সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা, মানবাধিকারবিষয়ক আইনজীবী আমাল ক্লুনি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ তিমনিত গেবরু, নারীবাদের আইকন গ্লোরিয়া স্টেইনেম, হলিউড তারকা আমেরিকা ফেরেরা, ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর ও বলিউড অভিনেত্রী দিয়া মির্জাও রয়েছেন।
বাংলাদেশের জান্নাতুল ফেরদৌস আইভি সম্পর্কে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক অগ্নিদুর্ঘটনায় তাঁর শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে যায়। এই মর্মান্তিক ঘটনা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তিনি একজন চিত্রনির্মাতা, লেখক ও অধিকারকর্মীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
প্রায় ২৬ বছরের পোড়া ক্ষতের জীবন আইভির। ১৯৯৭ সালে রান্না করতে গিয়ে ওড়নায় আগুন লেগে শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে যায় তাঁর। মুখ, শরীরের ওপরের অংশ পুড়ে কুঁচকে বিকৃত হয়ে যায়। এ পর্যন্ত চামড়া প্রতিস্থাপনসহ তাঁর ৫০টি অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে।
আইভি ‘ভয়েস অ্যান্ড ভিউস’ নামে একটি মানবাধিকার সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। সংস্থাটি অগ্নিদুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরে আসা নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করে। এ পর্যন্ত ৫টি শর্টফিল্ম নির্মাণ করেছেন তিনি। এ ছাড়া তাঁর লেখা ৩টি উপন্যাসও প্রকাশিত হয়েছে। তিনি তাঁর গল্প বলার সহজাত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে চারপাশের মানুষের মাঝে শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ মানুষদের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৫ সালে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর ও ২০০১ সালে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন আইভি। ২০০৯ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। পাশাপাশি ২০১০ সালে এলএলবি ডিগ্রি ও ২০১২ সালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট থেকে সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স বিষয়ে ডিপ্লোমা করেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চলতি বছর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি প্রণীত বিশ্বের অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা, লেখক এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষা আন্দোলনের কর্মী জান্নাতুল ফেরদৌস আইভি। আজ মঙ্গলবার এই তালিকা প্রকাশ করে বিবিসি।
তালিকায় সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা, মানবাধিকারবিষয়ক আইনজীবী আমাল ক্লুনি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ তিমনিত গেবরু, নারীবাদের আইকন গ্লোরিয়া স্টেইনেম, হলিউড তারকা আমেরিকা ফেরেরা, ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর ও বলিউড অভিনেত্রী দিয়া মির্জাও রয়েছেন।
বাংলাদেশের জান্নাতুল ফেরদৌস আইভি সম্পর্কে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক অগ্নিদুর্ঘটনায় তাঁর শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে যায়। এই মর্মান্তিক ঘটনা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তিনি একজন চিত্রনির্মাতা, লেখক ও অধিকারকর্মীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
প্রায় ২৬ বছরের পোড়া ক্ষতের জীবন আইভির। ১৯৯৭ সালে রান্না করতে গিয়ে ওড়নায় আগুন লেগে শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে যায় তাঁর। মুখ, শরীরের ওপরের অংশ পুড়ে কুঁচকে বিকৃত হয়ে যায়। এ পর্যন্ত চামড়া প্রতিস্থাপনসহ তাঁর ৫০টি অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে।
আইভি ‘ভয়েস অ্যান্ড ভিউস’ নামে একটি মানবাধিকার সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। সংস্থাটি অগ্নিদুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরে আসা নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করে। এ পর্যন্ত ৫টি শর্টফিল্ম নির্মাণ করেছেন তিনি। এ ছাড়া তাঁর লেখা ৩টি উপন্যাসও প্রকাশিত হয়েছে। তিনি তাঁর গল্প বলার সহজাত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে চারপাশের মানুষের মাঝে শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ মানুষদের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৫ সালে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর ও ২০০১ সালে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন আইভি। ২০০৯ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। পাশাপাশি ২০১০ সালে এলএলবি ডিগ্রি ও ২০১২ সালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট থেকে সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স বিষয়ে ডিপ্লোমা করেন তিনি।

চলতি বছর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি প্রণীত বিশ্বের অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা, লেখক এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষা আন্দোলনের কর্মী জান্নাতুল ফেরদৌস আইভি। আজ মঙ্গলবার এই তালিকা প্রকাশ করে বিবিসি।
তালিকায় সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা, মানবাধিকারবিষয়ক আইনজীবী আমাল ক্লুনি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ তিমনিত গেবরু, নারীবাদের আইকন গ্লোরিয়া স্টেইনেম, হলিউড তারকা আমেরিকা ফেরেরা, ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর ও বলিউড অভিনেত্রী দিয়া মির্জাও রয়েছেন।
বাংলাদেশের জান্নাতুল ফেরদৌস আইভি সম্পর্কে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক অগ্নিদুর্ঘটনায় তাঁর শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে যায়। এই মর্মান্তিক ঘটনা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তিনি একজন চিত্রনির্মাতা, লেখক ও অধিকারকর্মীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
প্রায় ২৬ বছরের পোড়া ক্ষতের জীবন আইভির। ১৯৯৭ সালে রান্না করতে গিয়ে ওড়নায় আগুন লেগে শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে যায় তাঁর। মুখ, শরীরের ওপরের অংশ পুড়ে কুঁচকে বিকৃত হয়ে যায়। এ পর্যন্ত চামড়া প্রতিস্থাপনসহ তাঁর ৫০টি অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে।
আইভি ‘ভয়েস অ্যান্ড ভিউস’ নামে একটি মানবাধিকার সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। সংস্থাটি অগ্নিদুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরে আসা নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করে। এ পর্যন্ত ৫টি শর্টফিল্ম নির্মাণ করেছেন তিনি। এ ছাড়া তাঁর লেখা ৩টি উপন্যাসও প্রকাশিত হয়েছে। তিনি তাঁর গল্প বলার সহজাত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে চারপাশের মানুষের মাঝে শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ মানুষদের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৫ সালে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর ও ২০০১ সালে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন আইভি। ২০০৯ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। পাশাপাশি ২০১০ সালে এলএলবি ডিগ্রি ও ২০১২ সালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট থেকে সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স বিষয়ে ডিপ্লোমা করেন তিনি।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এই সংশোধনীগুলোর মাধ্যমে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হলো, যার মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বাতিল এবং ‘না ভোট’ পুনর্বহাল অন্যতম।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঘাড়ে থাকছে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহের বোঝা। বিভিন্ন মহলের দাবি ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে লড়ার শর্ত সহজ করার উদ্যোগ নেয়নি এএমএম নাসির উদ্দিন কমিশন (ইসি)।
১০ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সুপারিশগুলোর বাস্তবায়ন টেকসই করতে আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দেওয়ার সুপারিশ করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত সংসদ নিয়মিত আইনসভার পাশাপাশি ২৭০ দিন (৯ মাস) সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করবে।
১০ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে তাঁরা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও সমন্বয় করে কাজ করবেন।
আনসার ও ভিডিপির সদরদপ্তরে গতকাল বৃহস্পতিবার বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ এই প্রস্তুতির কথা জানান।
বাসসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডিজি সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, এবারের নির্বাচনে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নিশ্চয়তা দিতে এবং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে আনসার বাহিনী প্রথমবারের মতো ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম চালু করছে। তিনি বলেন, ‘এবার ভোট কেন্দ্রে প্রশিক্ষিত আনসার সদস্যদের পাঠানো হচ্ছে। তারা সদরদপ্তরের সঙ্গে ডিজিটাল সিস্টেমে যুক্ত থাকবে। ফলে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নিশ্চয়তা থাকবে।’
এই ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিটি সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর, কিউআর কোড এবং কর্মতথ্য সফটওয়্যারে সংরক্ষিত থাকবে। ফলে দায়িত্ব পালনের দক্ষতা, অবস্থান ও আচরণ রিয়েল টাইমে ট্র্যাক করা সম্ভব হবে। মহাপরিচালক বলেন, নির্বাচনের দিন আনসার বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হয়ে কাজ করবে।
নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশিক্ষণের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৬ আগস্ট থেকে আনসার সদস্যদের মৌলিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে লিডারশিপ ট্রেনিং, অ্যাডভান্স ট্রেনিং এবং ইয়ুথ লিডারশিপ ট্রেনিং অন্তর্ভুক্ত।
মহাপরিচালক জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দুই বা তিনদিনের রিফ্রেশার ট্রেনিং দেওয়া হবে, যেখানে আচরণবিধি, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং যোগাযোগের কৌশল শেখানো হবে; নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে এবং পেশাগত ভূমিকায় একনিষ্ঠ সদস্যদের নির্বাচন করার জন্য পুরোনো সদস্যদের তথ্য ফিল্টারিং করা হবে; বাহিনীতে তরুণ ও কর্মক্ষম সদস্যদের অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে বয়সসীমা কমিয়ে ১৮ থেকে ২৫ বছর করা হয়েছে; বাহিনীতে নারী সদস্যের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ; নারী-পুরুষ সমানভাবে নেতৃত্বে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং প্রতিটি উপজেলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে একজন পুরুষ ও একজন নারী প্রশিক্ষক রাখা হয়েছে।
মেজর জেনারেল সাজ্জাদ মাহমুদ আরও জানান, এবার নির্বাচনী সশস্ত্র ও নিরস্ত্র উভয় ধরনের আনসার সদস্যরা দায়িত্বে থাকবেন। তাদের জন্য নতুন ইউনিফর্ম, জ্যাকেট ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে।
ডিজি বলেন, এখন থেকে আনসার বাহিনী ব্যক্তিনির্ভর নয় বরং সিস্টেম নির্ভর হবে। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেলে দ্রুত তদন্ত ও শাস্তির ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
তিনি আনসার বাহিনীর বৃহত্তর ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, বাহিনীটি শুধু নির্বাচনের সময়ই নয়, বরং সারাবছরই উন্নয়ন, দুর্যোগ মোকাবিলা ও সামাজিক সচেতনতা কার্যক্রমে ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে প্রায় ৬০ লাখ আনসার সদস্যের মধ্যে ৫৯ লাখই স্বেচ্ছাসেবক। তাদের জীবনমান উন্নয়নে ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’ চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সদস্যরা দলভিত্তিক ক্ষুদ্রঋণ, উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ (যেমন ড্রাইভিং, নার্সিং, ফ্রিল্যান্সিং) সহায়তা পাচ্ছেন।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে তাঁরা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও সমন্বয় করে কাজ করবেন।
আনসার ও ভিডিপির সদরদপ্তরে গতকাল বৃহস্পতিবার বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ এই প্রস্তুতির কথা জানান।
বাসসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডিজি সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, এবারের নির্বাচনে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নিশ্চয়তা দিতে এবং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে আনসার বাহিনী প্রথমবারের মতো ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম চালু করছে। তিনি বলেন, ‘এবার ভোট কেন্দ্রে প্রশিক্ষিত আনসার সদস্যদের পাঠানো হচ্ছে। তারা সদরদপ্তরের সঙ্গে ডিজিটাল সিস্টেমে যুক্ত থাকবে। ফলে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নিশ্চয়তা থাকবে।’
এই ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিটি সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর, কিউআর কোড এবং কর্মতথ্য সফটওয়্যারে সংরক্ষিত থাকবে। ফলে দায়িত্ব পালনের দক্ষতা, অবস্থান ও আচরণ রিয়েল টাইমে ট্র্যাক করা সম্ভব হবে। মহাপরিচালক বলেন, নির্বাচনের দিন আনসার বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হয়ে কাজ করবে।
নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশিক্ষণের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৬ আগস্ট থেকে আনসার সদস্যদের মৌলিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে লিডারশিপ ট্রেনিং, অ্যাডভান্স ট্রেনিং এবং ইয়ুথ লিডারশিপ ট্রেনিং অন্তর্ভুক্ত।
মহাপরিচালক জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দুই বা তিনদিনের রিফ্রেশার ট্রেনিং দেওয়া হবে, যেখানে আচরণবিধি, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং যোগাযোগের কৌশল শেখানো হবে; নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে এবং পেশাগত ভূমিকায় একনিষ্ঠ সদস্যদের নির্বাচন করার জন্য পুরোনো সদস্যদের তথ্য ফিল্টারিং করা হবে; বাহিনীতে তরুণ ও কর্মক্ষম সদস্যদের অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে বয়সসীমা কমিয়ে ১৮ থেকে ২৫ বছর করা হয়েছে; বাহিনীতে নারী সদস্যের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ; নারী-পুরুষ সমানভাবে নেতৃত্বে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং প্রতিটি উপজেলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে একজন পুরুষ ও একজন নারী প্রশিক্ষক রাখা হয়েছে।
মেজর জেনারেল সাজ্জাদ মাহমুদ আরও জানান, এবার নির্বাচনী সশস্ত্র ও নিরস্ত্র উভয় ধরনের আনসার সদস্যরা দায়িত্বে থাকবেন। তাদের জন্য নতুন ইউনিফর্ম, জ্যাকেট ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে।
ডিজি বলেন, এখন থেকে আনসার বাহিনী ব্যক্তিনির্ভর নয় বরং সিস্টেম নির্ভর হবে। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেলে দ্রুত তদন্ত ও শাস্তির ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
তিনি আনসার বাহিনীর বৃহত্তর ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, বাহিনীটি শুধু নির্বাচনের সময়ই নয়, বরং সারাবছরই উন্নয়ন, দুর্যোগ মোকাবিলা ও সামাজিক সচেতনতা কার্যক্রমে ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে প্রায় ৬০ লাখ আনসার সদস্যের মধ্যে ৫৯ লাখই স্বেচ্ছাসেবক। তাদের জীবনমান উন্নয়নে ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’ চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সদস্যরা দলভিত্তিক ক্ষুদ্রঋণ, উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ (যেমন ড্রাইভিং, নার্সিং, ফ্রিল্যান্সিং) সহায়তা পাচ্ছেন।

চলতি বছর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি প্রণীত বিশ্বের অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা, লেখক এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষা আন্দোলনের কর্মী জান্নাতুল ফেরদৌস আইভি
২১ নভেম্বর ২০২৩
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এই সংশোধনীগুলোর মাধ্যমে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হলো, যার মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বাতিল এবং ‘না ভোট’ পুনর্বহাল অন্যতম।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঘাড়ে থাকছে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহের বোঝা। বিভিন্ন মহলের দাবি ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে লড়ার শর্ত সহজ করার উদ্যোগ নেয়নি এএমএম নাসির উদ্দিন কমিশন (ইসি)।
১০ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সুপারিশগুলোর বাস্তবায়ন টেকসই করতে আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দেওয়ার সুপারিশ করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত সংসদ নিয়মিত আইনসভার পাশাপাশি ২৭০ দিন (৯ মাস) সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করবে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এই সংশোধনীগুলোর মাধ্যমে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হলো, যার মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বাতিল এবং ‘না ভোট’ পুনর্বহাল অন্যতম।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় আরপিও সংশোধনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই সভায় সভাপতিত্ব করেন।
ইভিএম বাতিল ও ‘না ভোট’ পুনর্বহাল
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি জানান, আরপিওতে আনা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী হলো ইভিএম সংক্রান্ত বিধান বাতিল করা। একই সঙ্গে ‘না ভোট’ দেওয়ার সুযোগ পুনর্বহাল করা হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ২০১৪ সালের মতো ‘সাজানো নির্বাচন’-এর পুনরাবৃত্তি ঠেকাতেই এই বিধান আনা হয়েছে। এখন কোনো নির্বাচনী আসনে যদি মাত্র একজন প্রার্থী থাকেন এবং ভোটাররা যদি তাঁকে অপছন্দ করেন, তবে তাঁরা ‘না ভোট’ দিতে পারবেন। ‘না ভোট’ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে সেই আসনে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এর মাধ্যমে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিতর্ক এড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রার্থীর দেশি-বিদেশি আয়ের তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক
নির্বাচনী সংস্কারের ক্ষেত্রে আরেকটি বড় পদক্ষেপ হলো প্রার্থীদের আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক প্রার্থীকে তাঁর দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে আয় এবং সম্পত্তির পূর্ণ বিবরণ হলফনামায় প্রদান করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে এই হলফনামাগুলো উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করা হবে, যাতে জনগণ সহজেই প্রার্থীর আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত হতে পারে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী
আরপিওতে আরও যেসব গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে, সেগুলো হলো:
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সামরিক বাহিনী: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় এবার সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পলাতক আসামিদের নিষেধাজ্ঞা: পলাতক আসামিদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
জামানত বৃদ্ধি: নির্বাচনী জামানতের পরিমাণ ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
চাঁদা গ্রহণে স্বচ্ছতা: রাজনৈতিক দলগুলোকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান বা চাঁদা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে এবং অনুদানদাতার ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ডাক ভোটের সম্প্রসারণ: বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী ভোটার ও নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারাও এখন থেকে ডাকের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।
ভোট গণনায় গণমাধ্যমের উপস্থিতি: ভোট গণনার সময় গণমাধ্যমের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে, যা প্রক্রিয়াটির স্বচ্ছতা বাড়াবে।
ভোট বাতিলের ক্ষমতা: কোনো নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক অনিয়ম হলে পুরো এলাকার ভোট বাতিল করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।
প্রতীকে স্বচ্ছতা: জোটের প্রার্থীদের প্রতীক ব্যবহারে স্বচ্ছতা আনতে বিধান যোগ করা হয়েছে, যাতে ভোটাররা সহজেই বুঝতে পারেন কোন দল থেকে প্রার্থী হচ্ছেন।
আইন উপদেষ্টা জানান, এ ছাড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় আইন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর আইন নীতিগতভাবে অনুমোদন পেয়েছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এই সংশোধনীগুলোর মাধ্যমে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হলো, যার মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বাতিল এবং ‘না ভোট’ পুনর্বহাল অন্যতম।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় আরপিও সংশোধনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই সভায় সভাপতিত্ব করেন।
ইভিএম বাতিল ও ‘না ভোট’ পুনর্বহাল
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি জানান, আরপিওতে আনা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী হলো ইভিএম সংক্রান্ত বিধান বাতিল করা। একই সঙ্গে ‘না ভোট’ দেওয়ার সুযোগ পুনর্বহাল করা হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ২০১৪ সালের মতো ‘সাজানো নির্বাচন’-এর পুনরাবৃত্তি ঠেকাতেই এই বিধান আনা হয়েছে। এখন কোনো নির্বাচনী আসনে যদি মাত্র একজন প্রার্থী থাকেন এবং ভোটাররা যদি তাঁকে অপছন্দ করেন, তবে তাঁরা ‘না ভোট’ দিতে পারবেন। ‘না ভোট’ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে সেই আসনে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এর মাধ্যমে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিতর্ক এড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রার্থীর দেশি-বিদেশি আয়ের তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক
নির্বাচনী সংস্কারের ক্ষেত্রে আরেকটি বড় পদক্ষেপ হলো প্রার্থীদের আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক প্রার্থীকে তাঁর দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে আয় এবং সম্পত্তির পূর্ণ বিবরণ হলফনামায় প্রদান করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে এই হলফনামাগুলো উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করা হবে, যাতে জনগণ সহজেই প্রার্থীর আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত হতে পারে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী
আরপিওতে আরও যেসব গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে, সেগুলো হলো:
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সামরিক বাহিনী: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় এবার সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পলাতক আসামিদের নিষেধাজ্ঞা: পলাতক আসামিদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
জামানত বৃদ্ধি: নির্বাচনী জামানতের পরিমাণ ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
চাঁদা গ্রহণে স্বচ্ছতা: রাজনৈতিক দলগুলোকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান বা চাঁদা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে এবং অনুদানদাতার ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ডাক ভোটের সম্প্রসারণ: বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী ভোটার ও নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারাও এখন থেকে ডাকের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।
ভোট গণনায় গণমাধ্যমের উপস্থিতি: ভোট গণনার সময় গণমাধ্যমের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে, যা প্রক্রিয়াটির স্বচ্ছতা বাড়াবে।
ভোট বাতিলের ক্ষমতা: কোনো নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক অনিয়ম হলে পুরো এলাকার ভোট বাতিল করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।
প্রতীকে স্বচ্ছতা: জোটের প্রার্থীদের প্রতীক ব্যবহারে স্বচ্ছতা আনতে বিধান যোগ করা হয়েছে, যাতে ভোটাররা সহজেই বুঝতে পারেন কোন দল থেকে প্রার্থী হচ্ছেন।
আইন উপদেষ্টা জানান, এ ছাড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় আইন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর আইন নীতিগতভাবে অনুমোদন পেয়েছে।

চলতি বছর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি প্রণীত বিশ্বের অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা, লেখক এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষা আন্দোলনের কর্মী জান্নাতুল ফেরদৌস আইভি
২১ নভেম্বর ২০২৩
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঘাড়ে থাকছে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহের বোঝা। বিভিন্ন মহলের দাবি ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে লড়ার শর্ত সহজ করার উদ্যোগ নেয়নি এএমএম নাসির উদ্দিন কমিশন (ইসি)।
১০ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সুপারিশগুলোর বাস্তবায়ন টেকসই করতে আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দেওয়ার সুপারিশ করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত সংসদ নিয়মিত আইনসভার পাশাপাশি ২৭০ দিন (৯ মাস) সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করবে।
১০ ঘণ্টা আগেমো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঘাড়ে থাকছে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহের বোঝা। বিভিন্ন মহলের দাবি ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে লড়ার শর্ত সহজ করার উদ্যোগ নেয়নি এএমএম নাসির উদ্দিন কমিশন (ইসি)। সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নের সঙ্গে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসংবলিত তালিকা জমা দেওয়ার বিধান বহাল রাখা হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া গতকাল বৃহস্পতিবারের বৈঠকে নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। ১ শতাংশের শর্ত বহাল রাখার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যুক্তি, এটি বাতিল করা হলে অনেক বেশি প্রার্থীর কারণে ব্যালটের আকার বেশি লম্বা হয়ে যাবে।
বর্তমান আরপিও অনুযায়ী, কোনো নির্বাচনী এলাকা থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হলে প্রার্থীকে সেই আসনের মোট ভোটারের ১ শতাংশের সমর্থনের তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হয়। যাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন করবেন, তালিকায় তাঁদের স্বাক্ষর বা টিপসই থাকতে হবে। তালিকাটি সঠিক কি না তা দেখতে দৈবচয়নের মাধ্যমে সেখান থেকে ১০ জনের তথ্য যাচাই করে কমিশন। ১০ জনের মধ্যে কোনো ভোটার যদি স্বাক্ষর করার কথা অস্বীকার করেন, তাহলে ওই প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। তবে ইতিপূর্বে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে থাকলে বা দলীয় প্রার্থী হলে কাউকে এ শর্ত পূরণ করতে হয় না।
সংশোধিত আরপিওতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসংবলিত তালিকা জমা দেওয়ার বিধান বহাল রয়েছে কি না, জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ ইতিবাচক জবাব দেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশে স্বতন্ত্র প্রার্থীর শর্ত সহজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সুপারিশে বলা হয়েছিল, ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের পরিবর্তে ৫০০ ভোটারের সম্মতি এবং হলফনামার বিধান করা।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়টি উল্লেখ করলে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘এ বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। আমাদের এ বিষয়ে বলার কিছু নেই।’
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম বলেন, ‘১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের শর্ত থাকায় অনেক ভালো লোক নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। আমরা অনলাইনে বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিয়েছি। ঢাকা ও বিভিন্ন জেলায় গিয়ে বৈঠক করেছি। অনেকেই এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের শর্ত সহজ করতে মত দিয়েছেন। অনেকে এ শর্ত পুরোপুরি বাদ দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন।’
ড. আব্দুল আলীম আরও বলেন, ৫ থেকে ৭ লাখ ভোটার এমন আসনে ৫ থেকে ৭ হাজার মানুষের স্বাক্ষর লাগে। এটি জোগাড় করা একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্য কষ্টসাধ্য কাজ। আর যাচাই করার জন্য ইসি দৈবচয়নের মাধ্যমে ভোটার বাছাই করে। প্রশাসন থেকে এজন্য ফোন করা হলে ঝামেলার আশঙ্কায় অনেকেই বলে দেন, তিনি স্বাক্ষর করেননি। তা ছাড়া ভোটারদের নিরাপত্তার বিষয়টি তো রয়েছেই। তাই এ শর্তটি সহজ করা উচিত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ১ শতাংশের শর্ত বাদ দিতে পারলে ভালো হতো। তবে এই শর্ত বাদ দিলে যে কেউ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইবেন। সে ক্ষেত্রে ব্যালট পেপারে অনেক প্রতীক রাখতে হবে। এ বিবেচনায় এটি করা হয়েছে।’
৭ অক্টোবর নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ইসির সংলাপে সাবেক বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মীর মো. শাহজাহান বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসংবলিত যে তালিকা দিতে হয়, তা অগণতান্ত্রিক। এর ফলে ভোটারের পরিচিতি জনসমক্ষে প্রকাশ হয়ে যায় এবং তাঁর নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ে। এটি করলে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটদানের পদ্ধতি প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এটি একেবারেই বাতিল করতে হবে।’
২০০৮ সালের আগে এ শর্ত ছিল না উল্লেখ করে ইসির এই সাবেক কর্মকর্তা বলেন, যতই কষ্ট হোক, ব্যালট পেপার যতই লম্বা হোক, ভোটারদের গোপনীয়তা থেকে বঞ্চিত করা যায় না। প্রার্থীর সংখ্যা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া ঠেকাতে জামানত বৃদ্ধি করলেও চলে।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদায় নেওয়া কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার পথ সহজ করেছিল। ২০১৬ সাল থেকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী হওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়। সেই বিধান অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হলে ২৫০ জন ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর জমা দিতে হতো। ২০২৪ সালের বিতর্কিত সংসদ নির্বাচনের পর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা বাড়াতে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীকে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এমন প্রেক্ষাপটে উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ২৫০ জন ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর জমা দেওয়ার বিধান বাতিল করা হয়। তবে অহেতুক প্রার্থী হওয়া ঠেকাতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। বিধান হয় নির্বাচনে যত ভোট পড়বে, তার ১৫ শতাংশ না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। আগে প্রদত্ত ভোটের ১২.৫ শতাংশের কম ভোট পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার বিধান ছিল। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জামানতের অঙ্ক ১০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়।
গত বছরের ১০ জুন বিদায়ী সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘১ শতাংশ সমর্থন তালিকার যে জটিল বিষয়টি ছিল, সেটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকে তুলে নিয়েছি। আগামীতে হয়তো জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তুলে নেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে করব।’
জানা যায়, সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে বাদ পড়া ৭৩১ জনের মধ্যে ৪২৩ জনই স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগই বাদ পড়েন ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত সমর্থন তালিকায় গরমিলের কারণে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঘাড়ে থাকছে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহের বোঝা। বিভিন্ন মহলের দাবি ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে লড়ার শর্ত সহজ করার উদ্যোগ নেয়নি এএমএম নাসির উদ্দিন কমিশন (ইসি)। সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নের সঙ্গে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসংবলিত তালিকা জমা দেওয়ার বিধান বহাল রাখা হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া গতকাল বৃহস্পতিবারের বৈঠকে নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। ১ শতাংশের শর্ত বহাল রাখার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যুক্তি, এটি বাতিল করা হলে অনেক বেশি প্রার্থীর কারণে ব্যালটের আকার বেশি লম্বা হয়ে যাবে।
বর্তমান আরপিও অনুযায়ী, কোনো নির্বাচনী এলাকা থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হলে প্রার্থীকে সেই আসনের মোট ভোটারের ১ শতাংশের সমর্থনের তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হয়। যাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন করবেন, তালিকায় তাঁদের স্বাক্ষর বা টিপসই থাকতে হবে। তালিকাটি সঠিক কি না তা দেখতে দৈবচয়নের মাধ্যমে সেখান থেকে ১০ জনের তথ্য যাচাই করে কমিশন। ১০ জনের মধ্যে কোনো ভোটার যদি স্বাক্ষর করার কথা অস্বীকার করেন, তাহলে ওই প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। তবে ইতিপূর্বে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে থাকলে বা দলীয় প্রার্থী হলে কাউকে এ শর্ত পূরণ করতে হয় না।
সংশোধিত আরপিওতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসংবলিত তালিকা জমা দেওয়ার বিধান বহাল রয়েছে কি না, জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ ইতিবাচক জবাব দেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশে স্বতন্ত্র প্রার্থীর শর্ত সহজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সুপারিশে বলা হয়েছিল, ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের পরিবর্তে ৫০০ ভোটারের সম্মতি এবং হলফনামার বিধান করা।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়টি উল্লেখ করলে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘এ বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। আমাদের এ বিষয়ে বলার কিছু নেই।’
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম বলেন, ‘১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের শর্ত থাকায় অনেক ভালো লোক নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। আমরা অনলাইনে বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিয়েছি। ঢাকা ও বিভিন্ন জেলায় গিয়ে বৈঠক করেছি। অনেকেই এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের শর্ত সহজ করতে মত দিয়েছেন। অনেকে এ শর্ত পুরোপুরি বাদ দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন।’
ড. আব্দুল আলীম আরও বলেন, ৫ থেকে ৭ লাখ ভোটার এমন আসনে ৫ থেকে ৭ হাজার মানুষের স্বাক্ষর লাগে। এটি জোগাড় করা একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্য কষ্টসাধ্য কাজ। আর যাচাই করার জন্য ইসি দৈবচয়নের মাধ্যমে ভোটার বাছাই করে। প্রশাসন থেকে এজন্য ফোন করা হলে ঝামেলার আশঙ্কায় অনেকেই বলে দেন, তিনি স্বাক্ষর করেননি। তা ছাড়া ভোটারদের নিরাপত্তার বিষয়টি তো রয়েছেই। তাই এ শর্তটি সহজ করা উচিত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ১ শতাংশের শর্ত বাদ দিতে পারলে ভালো হতো। তবে এই শর্ত বাদ দিলে যে কেউ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইবেন। সে ক্ষেত্রে ব্যালট পেপারে অনেক প্রতীক রাখতে হবে। এ বিবেচনায় এটি করা হয়েছে।’
৭ অক্টোবর নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ইসির সংলাপে সাবেক বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মীর মো. শাহজাহান বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসংবলিত যে তালিকা দিতে হয়, তা অগণতান্ত্রিক। এর ফলে ভোটারের পরিচিতি জনসমক্ষে প্রকাশ হয়ে যায় এবং তাঁর নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ে। এটি করলে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটদানের পদ্ধতি প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এটি একেবারেই বাতিল করতে হবে।’
২০০৮ সালের আগে এ শর্ত ছিল না উল্লেখ করে ইসির এই সাবেক কর্মকর্তা বলেন, যতই কষ্ট হোক, ব্যালট পেপার যতই লম্বা হোক, ভোটারদের গোপনীয়তা থেকে বঞ্চিত করা যায় না। প্রার্থীর সংখ্যা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া ঠেকাতে জামানত বৃদ্ধি করলেও চলে।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদায় নেওয়া কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার পথ সহজ করেছিল। ২০১৬ সাল থেকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী হওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়। সেই বিধান অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হলে ২৫০ জন ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর জমা দিতে হতো। ২০২৪ সালের বিতর্কিত সংসদ নির্বাচনের পর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা বাড়াতে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীকে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এমন প্রেক্ষাপটে উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ২৫০ জন ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর জমা দেওয়ার বিধান বাতিল করা হয়। তবে অহেতুক প্রার্থী হওয়া ঠেকাতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। বিধান হয় নির্বাচনে যত ভোট পড়বে, তার ১৫ শতাংশ না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। আগে প্রদত্ত ভোটের ১২.৫ শতাংশের কম ভোট পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার বিধান ছিল। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জামানতের অঙ্ক ১০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়।
গত বছরের ১০ জুন বিদায়ী সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘১ শতাংশ সমর্থন তালিকার যে জটিল বিষয়টি ছিল, সেটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকে তুলে নিয়েছি। আগামীতে হয়তো জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তুলে নেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে করব।’
জানা যায়, সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে বাদ পড়া ৭৩১ জনের মধ্যে ৪২৩ জনই স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগই বাদ পড়েন ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত সমর্থন তালিকায় গরমিলের কারণে।

চলতি বছর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি প্রণীত বিশ্বের অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা, লেখক এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষা আন্দোলনের কর্মী জান্নাতুল ফেরদৌস আইভি
২১ নভেম্বর ২০২৩
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এই সংশোধনীগুলোর মাধ্যমে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হলো, যার মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বাতিল এবং ‘না ভোট’ পুনর্বহাল অন্যতম।
৩ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সুপারিশগুলোর বাস্তবায়ন টেকসই করতে আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দেওয়ার সুপারিশ করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত সংসদ নিয়মিত আইনসভার পাশাপাশি ২৭০ দিন (৯ মাস) সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করবে।
১০ ঘণ্টা আগেতানিম আহমেদ, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সুপারিশগুলোর বাস্তবায়ন টেকসই করতে আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দেওয়ার সুপারিশ করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত সংসদ নিয়মিত আইনসভার পাশাপাশি ২৭০ দিন (৯ মাস) সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করবে। এ সময়ের মধ্যে সনদ বাস্তবায়নে সংসদকে বাধ্য করার উপায় খুঁজছে কমিশন।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করতে পরপর দুদিন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ঐকমত্য কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে বেলা ২টা থেকে শুরু হওয়া বৈঠক শেষ হয় রাত সাড়ে ৮টার পরে। কিন্তু এ বৈঠকেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। কাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে আবারও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করবে কমিশন। ওই দিন সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করে রোববার সরকারের কাছে জমা দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে তাদের।
বৈঠকের বিষয়ে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘বৃহস্পতিবারের আলোচনায় বড় অগ্রগতি হয়েছে। আমরা আশা করছি, দ্রুতই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়ের সুপারিশ সরকারের কাছে দিতে পারব।’
জানা গেছে, গত দুই দিনের বৈঠকে সনদ বাস্তবায়নের আদেশের ভিত্তি ও নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাস্তবায়ন আদেশের ভূমিকায় থাকবে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানই হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির ক্ষমতার উৎস।’ এটির নাম হতে পারে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’। সেটার অধীনে গণভোট নিয়ে একটি অধ্যাদেশ করা হবে। এর ভিত্তিতে হবে গণভোট। সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য আগামী সংসদ দ্বৈত ভূমিকা পালন করবে। সে ক্ষেত্রে সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে, পাশাপাশি নিয়মিত সংসদের কাজও পরিচালনা করবে। সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে আগামী সংসদকে একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হবে। সেটি হতে পারে সর্বোচ্চ ৯ মাস। এই সময়ে সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে।
সূত্র জানায়, আগামী সংসদকে সনদ বাস্তবায়নে কীভাবে বাধ্য করা হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি কমিশন। কিন্তু তারা চায় এটি নিশ্চিত করতে। এটি নিয়ে দুটি মত আছে। একটি হলো নির্ধারিত সময়ে সংস্কার বাস্তবায়ন করা না হলে সংসদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে; আরেকটি হলো সংসদ যদি নির্ধারিত সময়ে সনদ বাস্তবায়ন না করে, তাহলে তা বাস্তবায়িত বলে গণ্য হবে। এটি নিয়ে আরও আলোচনা হবে। বিশেষজ্ঞ কমিটি খসড়া আরও পর্যালোচনা করবে।
বৈঠকে উপস্থিত এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘পরবর্তী সংসদ যদি নির্ধারিত ২৭০ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন না করে, তাহলে সনদের কী হবে, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। সমাধান নিয়ে আমরা আরও ভাবছি। কারণ, উদাহরণ আমরা কোথাও পাচ্ছি না। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ বলছে, বাস্তবায়িত না হলে সংসদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে; আবার কেউ কেউ বলছে, বিলুপ্ত করা ঠিক হবে না। আবার একাধিক মত হচ্ছে, ৯ মাসের মধ্যে বাস্তবায়িত না হলে অটোমেটিকভাবে সনদের বিষয়গুলো সংবিধানের অংশ হয়ে যাবে। তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
নোট অব ডিসেন্টের (আপত্তি) বিষয়ে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে কমিশনের প্রস্তাবগুলো থাকবে। সেখানে ভিন্নমতের বিষয় উল্লেখ থাকবে না। আদেশ অনুমোদন করেন কি না এবং সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন চান কি না, এই প্রশ্ন করা হবে। আপত্তির বিষয়ে আরেক বিশেষজ্ঞ বলেন, বেশির ভাগ সদস্যই জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশে নোট অব ডিসেন্ট রাখার পক্ষে নয়। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
গণভোট কবে হবে, বিষয়টি রাজনৈতিক বিবেচনা করে সরকারের হাতে ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে বিশেষজ্ঞরা। একই প্রশ্নে গণভোট করার কথা থাকবে আদেশে। সেখানে প্রশ্ন থাকতে পারে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ এবং আদেশে সন্নিবেশিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সমর্থন করেন কি না?’ সে বিষয়ে জনগণ হ্যাঁ/না ভোট দেবেন।
গত বুধবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে জামায়াত ও এনসিপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, রাষ্ট্রপতি নয়, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে হবে। রাজনৈতিক বিতর্ক ওঠায় বিষয়টি সরকারের হাতেই ছেড়ে দেওয়ার সুপারিশ বিশেষজ্ঞদের। কমিশনও সে পথে হাঁটছে বলে জানা গেছে।
কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক এবং ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন। এ ছাড়া অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ভার্চুয়ালি এ সভায় অংশ নেন।
আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। এ ছাড়া জাতীয় ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সুপারিশগুলোর বাস্তবায়ন টেকসই করতে আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দেওয়ার সুপারিশ করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত সংসদ নিয়মিত আইনসভার পাশাপাশি ২৭০ দিন (৯ মাস) সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করবে। এ সময়ের মধ্যে সনদ বাস্তবায়নে সংসদকে বাধ্য করার উপায় খুঁজছে কমিশন।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করতে পরপর দুদিন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ঐকমত্য কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে বেলা ২টা থেকে শুরু হওয়া বৈঠক শেষ হয় রাত সাড়ে ৮টার পরে। কিন্তু এ বৈঠকেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। কাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে আবারও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করবে কমিশন। ওই দিন সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করে রোববার সরকারের কাছে জমা দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে তাদের।
বৈঠকের বিষয়ে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘বৃহস্পতিবারের আলোচনায় বড় অগ্রগতি হয়েছে। আমরা আশা করছি, দ্রুতই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়ের সুপারিশ সরকারের কাছে দিতে পারব।’
জানা গেছে, গত দুই দিনের বৈঠকে সনদ বাস্তবায়নের আদেশের ভিত্তি ও নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাস্তবায়ন আদেশের ভূমিকায় থাকবে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানই হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির ক্ষমতার উৎস।’ এটির নাম হতে পারে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’। সেটার অধীনে গণভোট নিয়ে একটি অধ্যাদেশ করা হবে। এর ভিত্তিতে হবে গণভোট। সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য আগামী সংসদ দ্বৈত ভূমিকা পালন করবে। সে ক্ষেত্রে সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে, পাশাপাশি নিয়মিত সংসদের কাজও পরিচালনা করবে। সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে আগামী সংসদকে একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হবে। সেটি হতে পারে সর্বোচ্চ ৯ মাস। এই সময়ে সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে।
সূত্র জানায়, আগামী সংসদকে সনদ বাস্তবায়নে কীভাবে বাধ্য করা হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি কমিশন। কিন্তু তারা চায় এটি নিশ্চিত করতে। এটি নিয়ে দুটি মত আছে। একটি হলো নির্ধারিত সময়ে সংস্কার বাস্তবায়ন করা না হলে সংসদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে; আরেকটি হলো সংসদ যদি নির্ধারিত সময়ে সনদ বাস্তবায়ন না করে, তাহলে তা বাস্তবায়িত বলে গণ্য হবে। এটি নিয়ে আরও আলোচনা হবে। বিশেষজ্ঞ কমিটি খসড়া আরও পর্যালোচনা করবে।
বৈঠকে উপস্থিত এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘পরবর্তী সংসদ যদি নির্ধারিত ২৭০ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন না করে, তাহলে সনদের কী হবে, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। সমাধান নিয়ে আমরা আরও ভাবছি। কারণ, উদাহরণ আমরা কোথাও পাচ্ছি না। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ বলছে, বাস্তবায়িত না হলে সংসদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে; আবার কেউ কেউ বলছে, বিলুপ্ত করা ঠিক হবে না। আবার একাধিক মত হচ্ছে, ৯ মাসের মধ্যে বাস্তবায়িত না হলে অটোমেটিকভাবে সনদের বিষয়গুলো সংবিধানের অংশ হয়ে যাবে। তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
নোট অব ডিসেন্টের (আপত্তি) বিষয়ে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে কমিশনের প্রস্তাবগুলো থাকবে। সেখানে ভিন্নমতের বিষয় উল্লেখ থাকবে না। আদেশ অনুমোদন করেন কি না এবং সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন চান কি না, এই প্রশ্ন করা হবে। আপত্তির বিষয়ে আরেক বিশেষজ্ঞ বলেন, বেশির ভাগ সদস্যই জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশে নোট অব ডিসেন্ট রাখার পক্ষে নয়। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
গণভোট কবে হবে, বিষয়টি রাজনৈতিক বিবেচনা করে সরকারের হাতে ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে বিশেষজ্ঞরা। একই প্রশ্নে গণভোট করার কথা থাকবে আদেশে। সেখানে প্রশ্ন থাকতে পারে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ এবং আদেশে সন্নিবেশিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সমর্থন করেন কি না?’ সে বিষয়ে জনগণ হ্যাঁ/না ভোট দেবেন।
গত বুধবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে জামায়াত ও এনসিপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, রাষ্ট্রপতি নয়, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে হবে। রাজনৈতিক বিতর্ক ওঠায় বিষয়টি সরকারের হাতেই ছেড়ে দেওয়ার সুপারিশ বিশেষজ্ঞদের। কমিশনও সে পথে হাঁটছে বলে জানা গেছে।
কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক এবং ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন। এ ছাড়া অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ভার্চুয়ালি এ সভায় অংশ নেন।
আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। এ ছাড়া জাতীয় ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

চলতি বছর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি প্রণীত বিশ্বের অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা, লেখক এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষা আন্দোলনের কর্মী জান্নাতুল ফেরদৌস আইভি
২১ নভেম্বর ২০২৩
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৬ লাখ আনসার সদস্য মাঠে থাকবে, যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এই সংশোধনীগুলোর মাধ্যমে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হলো, যার মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বাতিল এবং ‘না ভোট’ পুনর্বহাল অন্যতম।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঘাড়ে থাকছে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহের বোঝা। বিভিন্ন মহলের দাবি ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে লড়ার শর্ত সহজ করার উদ্যোগ নেয়নি এএমএম নাসির উদ্দিন কমিশন (ইসি)।
১০ ঘণ্টা আগে