শহীদুল ইসলাম, ঢাকা
৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের মধ্যে ১৭১ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় গত তিন মাসেও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় তাঁদের নিয়োগ হয়নি। ফলে ক্ষোভ জানিয়েছেন বাদ পড়া প্রার্থীরা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গত জানুয়ারির মাঝামাঝি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই বৈঠকে বাদ পড়া প্রার্থীদের মধ্যে ১৭১ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে ফাইল অনুমোদনের জন্য গত ১৯ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
একজন কর্মকর্তা বলেন, পদত্যাগের আগে উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বাদ পড়া প্রার্থীদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানান। কিন্তু গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করার আগে এ বিষয়ে তিনি কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। এরপর সে দায়িত্ব পান উপদেষ্টা মাহফুজ আলম; কিন্তু তিনিও সিদ্ধান্ত জানাননি।
বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ যুগ্ম সচিব ও তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নিয়োগ, বদলি ও শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দিতে ৮ জানুয়ারি জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি করে সরকার। ওই কমিটিতে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সদস্যসচিব ছিলেন। উপদেষ্টা পদত্যাগ করার পর গত ২০ মার্চ বর্তমান তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে এ কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
একজন কর্মকর্তা বলেন, কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্বে থাকার কারণেই নাহিদ ইসলাম এবং পরে মাহফুজ আলম বাদ পড়াদের ফাইল পর্যালোচনার দায়িত্ব নেন। কমিটি গঠনের পর থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত বিষয়গুলো এ কমিটির অনুমোদনের পর চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বাদ পড়াদের মধ্য থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যাদের নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করেছে, তাঁদের বাইরেও কয়েকজনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলেছিলেন উপদেষ্টা নাহিদ। ফলে কী কারণে তাঁদের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়নি, তা খতিয়ে দেখতে চেয়েছিলেন তিনি। পরে ওই দায়িত্ব মাহফুজ আলমের কাছে যায়।
৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে গত ৩০ ডিসেম্বর নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েন ১৬৮ জন। এর আগে ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপনে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েছিলেন ৯৯ জন। সব মিলিয়ে ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়েন ২৬৭ জন, তাঁদের মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া ৪০ জন বিবেচনায় আসেননি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান গত ১০ জানুয়ারি বলেছিলেন, ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়া ২২৭ জনের আবার তদন্ত হয়েছে। ফৌজদারি অপরাধে জড়িত ছাড়া বাকিরা সবাই নিয়োগ পাবেন।
এরপর গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে বাদ পড়াদের নিয়োগের বিষয়ে সুপারিশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তার আগে বাদ পড়া প্রার্থীদের বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর (এনএসআই) এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মাধ্যমে প্রাক্-চরিত্র অধিকতর যাচাই-বাছাই করা হয়।
সূত্র জানায়, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে যাঁদের নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের পদধারী নেতা এবং ইসকনের সদস্য পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে তাঁরা ছাড়াও ফৌজদারি অপরাধে জড়িতসহ মোট ৫৬ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সুপারিশ করার তিন মাস পরও নিয়োগ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কয়েকজন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রার্থী বলেন, ‘আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং উপদেষ্টাদের দপ্তরে যোগাযোগ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। অনেক প্রার্থী এবং তাঁদের পরিবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। আমরা চাই সরকার দ্রুত গেজেট প্রকাশ করুক।’
বাদ পড়া প্রার্থীদের ফাইল প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে থাকলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ পর্যালোচনার দায়িত্ব যে তথ্য উপদেষ্টার হাতে রয়েছে, প্রার্থীরাও সে তথ্য জানেন। বাদ পড়া প্রার্থী পরেশ পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল যোগাযোগ করার পর তথ্য উপদেষ্টার দপ্তর থেকে আমাদের জানানো হয়েছে উপদেষ্টা দেশে ফিরলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন। এরপর দ্রুত গেজেট প্রকাশ করা হবে।’
৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের মধ্যে ১৭১ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় গত তিন মাসেও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় তাঁদের নিয়োগ হয়নি। ফলে ক্ষোভ জানিয়েছেন বাদ পড়া প্রার্থীরা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গত জানুয়ারির মাঝামাঝি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই বৈঠকে বাদ পড়া প্রার্থীদের মধ্যে ১৭১ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে ফাইল অনুমোদনের জন্য গত ১৯ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
একজন কর্মকর্তা বলেন, পদত্যাগের আগে উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বাদ পড়া প্রার্থীদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানান। কিন্তু গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করার আগে এ বিষয়ে তিনি কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। এরপর সে দায়িত্ব পান উপদেষ্টা মাহফুজ আলম; কিন্তু তিনিও সিদ্ধান্ত জানাননি।
বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ যুগ্ম সচিব ও তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নিয়োগ, বদলি ও শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দিতে ৮ জানুয়ারি জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি করে সরকার। ওই কমিটিতে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সদস্যসচিব ছিলেন। উপদেষ্টা পদত্যাগ করার পর গত ২০ মার্চ বর্তমান তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে এ কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
একজন কর্মকর্তা বলেন, কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্বে থাকার কারণেই নাহিদ ইসলাম এবং পরে মাহফুজ আলম বাদ পড়াদের ফাইল পর্যালোচনার দায়িত্ব নেন। কমিটি গঠনের পর থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত বিষয়গুলো এ কমিটির অনুমোদনের পর চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বাদ পড়াদের মধ্য থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যাদের নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করেছে, তাঁদের বাইরেও কয়েকজনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলেছিলেন উপদেষ্টা নাহিদ। ফলে কী কারণে তাঁদের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়নি, তা খতিয়ে দেখতে চেয়েছিলেন তিনি। পরে ওই দায়িত্ব মাহফুজ আলমের কাছে যায়।
৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে গত ৩০ ডিসেম্বর নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েন ১৬৮ জন। এর আগে ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপনে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েছিলেন ৯৯ জন। সব মিলিয়ে ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়েন ২৬৭ জন, তাঁদের মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া ৪০ জন বিবেচনায় আসেননি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান গত ১০ জানুয়ারি বলেছিলেন, ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়া ২২৭ জনের আবার তদন্ত হয়েছে। ফৌজদারি অপরাধে জড়িত ছাড়া বাকিরা সবাই নিয়োগ পাবেন।
এরপর গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে বাদ পড়াদের নিয়োগের বিষয়ে সুপারিশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তার আগে বাদ পড়া প্রার্থীদের বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর (এনএসআই) এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মাধ্যমে প্রাক্-চরিত্র অধিকতর যাচাই-বাছাই করা হয়।
সূত্র জানায়, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে যাঁদের নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের পদধারী নেতা এবং ইসকনের সদস্য পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে তাঁরা ছাড়াও ফৌজদারি অপরাধে জড়িতসহ মোট ৫৬ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সুপারিশ করার তিন মাস পরও নিয়োগ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কয়েকজন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রার্থী বলেন, ‘আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং উপদেষ্টাদের দপ্তরে যোগাযোগ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। অনেক প্রার্থী এবং তাঁদের পরিবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। আমরা চাই সরকার দ্রুত গেজেট প্রকাশ করুক।’
বাদ পড়া প্রার্থীদের ফাইল প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে থাকলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ পর্যালোচনার দায়িত্ব যে তথ্য উপদেষ্টার হাতে রয়েছে, প্রার্থীরাও সে তথ্য জানেন। বাদ পড়া প্রার্থী পরেশ পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল যোগাযোগ করার পর তথ্য উপদেষ্টার দপ্তর থেকে আমাদের জানানো হয়েছে উপদেষ্টা দেশে ফিরলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন। এরপর দ্রুত গেজেট প্রকাশ করা হবে।’
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলছে জানিয়ে প্রতিবেদন আগামী জুনের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশন।
১৪ মিনিট আগেদীর্ঘ দিনের স্বৈরশাসনের পর বাংলাদেশ ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে। গণতন্ত্রের দিকে দেশের অগ্রগতির একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হবে এসব অপরাধীদের সুষ্ঠু বিচার করার সক্ষমতা। চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বিশ্বাস করেন, এটি সম্ভব এবং তা হওয়া উচিত।
২৩ মিনিট আগেসড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহসানুল হক বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিরাপদ সড়ক পদ্ধতির আলোকে একটি সার্বিক সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। সরকারি-বেসরকারি অংশীজনদের সমন্বয়ে এই খসড়া আইন প্রণয়নের কাজ করা হচ্ছে। আশা করি, আগামী দিনে সরকারের সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে
১ ঘণ্টা আগেআগামী জুলাই মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য জানান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে