শহীদুল ইসলাম, ঢাকা
৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের মধ্যে ১৭১ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় গত তিন মাসেও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় তাঁদের নিয়োগ হয়নি। ফলে ক্ষোভ জানিয়েছেন বাদ পড়া প্রার্থীরা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গত জানুয়ারির মাঝামাঝি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই বৈঠকে বাদ পড়া প্রার্থীদের মধ্যে ১৭১ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে ফাইল অনুমোদনের জন্য গত ১৯ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
একজন কর্মকর্তা বলেন, পদত্যাগের আগে উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বাদ পড়া প্রার্থীদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানান। কিন্তু গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করার আগে এ বিষয়ে তিনি কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। এরপর সে দায়িত্ব পান উপদেষ্টা মাহফুজ আলম; কিন্তু তিনিও সিদ্ধান্ত জানাননি।
বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ যুগ্ম সচিব ও তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নিয়োগ, বদলি ও শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দিতে ৮ জানুয়ারি জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি করে সরকার। ওই কমিটিতে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সদস্যসচিব ছিলেন। উপদেষ্টা পদত্যাগ করার পর গত ২০ মার্চ বর্তমান তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে এ কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
একজন কর্মকর্তা বলেন, কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্বে থাকার কারণেই নাহিদ ইসলাম এবং পরে মাহফুজ আলম বাদ পড়াদের ফাইল পর্যালোচনার দায়িত্ব নেন। কমিটি গঠনের পর থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত বিষয়গুলো এ কমিটির অনুমোদনের পর চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বাদ পড়াদের মধ্য থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যাদের নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করেছে, তাঁদের বাইরেও কয়েকজনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলেছিলেন উপদেষ্টা নাহিদ। ফলে কী কারণে তাঁদের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়নি, তা খতিয়ে দেখতে চেয়েছিলেন তিনি। পরে ওই দায়িত্ব মাহফুজ আলমের কাছে যায়।
৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে গত ৩০ ডিসেম্বর নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েন ১৬৮ জন। এর আগে ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপনে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েছিলেন ৯৯ জন। সব মিলিয়ে ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়েন ২৬৭ জন, তাঁদের মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া ৪০ জন বিবেচনায় আসেননি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান গত ১০ জানুয়ারি বলেছিলেন, ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়া ২২৭ জনের আবার তদন্ত হয়েছে। ফৌজদারি অপরাধে জড়িত ছাড়া বাকিরা সবাই নিয়োগ পাবেন।
এরপর গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে বাদ পড়াদের নিয়োগের বিষয়ে সুপারিশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তার আগে বাদ পড়া প্রার্থীদের বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর (এনএসআই) এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মাধ্যমে প্রাক্-চরিত্র অধিকতর যাচাই-বাছাই করা হয়।
সূত্র জানায়, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে যাঁদের নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের পদধারী নেতা এবং ইসকনের সদস্য পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে তাঁরা ছাড়াও ফৌজদারি অপরাধে জড়িতসহ মোট ৫৬ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সুপারিশ করার তিন মাস পরও নিয়োগ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কয়েকজন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রার্থী বলেন, ‘আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং উপদেষ্টাদের দপ্তরে যোগাযোগ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। অনেক প্রার্থী এবং তাঁদের পরিবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। আমরা চাই সরকার দ্রুত গেজেট প্রকাশ করুক।’
বাদ পড়া প্রার্থীদের ফাইল প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে থাকলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ পর্যালোচনার দায়িত্ব যে তথ্য উপদেষ্টার হাতে রয়েছে, প্রার্থীরাও সে তথ্য জানেন। বাদ পড়া প্রার্থী পরেশ পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল যোগাযোগ করার পর তথ্য উপদেষ্টার দপ্তর থেকে আমাদের জানানো হয়েছে উপদেষ্টা দেশে ফিরলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন। এরপর দ্রুত গেজেট প্রকাশ করা হবে।’
৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের মধ্যে ১৭১ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় গত তিন মাসেও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় তাঁদের নিয়োগ হয়নি। ফলে ক্ষোভ জানিয়েছেন বাদ পড়া প্রার্থীরা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গত জানুয়ারির মাঝামাঝি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই বৈঠকে বাদ পড়া প্রার্থীদের মধ্যে ১৭১ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে ফাইল অনুমোদনের জন্য গত ১৯ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
একজন কর্মকর্তা বলেন, পদত্যাগের আগে উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বাদ পড়া প্রার্থীদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানান। কিন্তু গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করার আগে এ বিষয়ে তিনি কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। এরপর সে দায়িত্ব পান উপদেষ্টা মাহফুজ আলম; কিন্তু তিনিও সিদ্ধান্ত জানাননি।
বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ যুগ্ম সচিব ও তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নিয়োগ, বদলি ও শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দিতে ৮ জানুয়ারি জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি করে সরকার। ওই কমিটিতে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সদস্যসচিব ছিলেন। উপদেষ্টা পদত্যাগ করার পর গত ২০ মার্চ বর্তমান তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে এ কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
একজন কর্মকর্তা বলেন, কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্বে থাকার কারণেই নাহিদ ইসলাম এবং পরে মাহফুজ আলম বাদ পড়াদের ফাইল পর্যালোচনার দায়িত্ব নেন। কমিটি গঠনের পর থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত বিষয়গুলো এ কমিটির অনুমোদনের পর চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বাদ পড়াদের মধ্য থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যাদের নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করেছে, তাঁদের বাইরেও কয়েকজনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলেছিলেন উপদেষ্টা নাহিদ। ফলে কী কারণে তাঁদের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়নি, তা খতিয়ে দেখতে চেয়েছিলেন তিনি। পরে ওই দায়িত্ব মাহফুজ আলমের কাছে যায়।
৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে গত ৩০ ডিসেম্বর নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েন ১৬৮ জন। এর আগে ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপনে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েছিলেন ৯৯ জন। সব মিলিয়ে ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়েন ২৬৭ জন, তাঁদের মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া ৪০ জন বিবেচনায় আসেননি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান গত ১০ জানুয়ারি বলেছিলেন, ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়া ২২৭ জনের আবার তদন্ত হয়েছে। ফৌজদারি অপরাধে জড়িত ছাড়া বাকিরা সবাই নিয়োগ পাবেন।
এরপর গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে বাদ পড়াদের নিয়োগের বিষয়ে সুপারিশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তার আগে বাদ পড়া প্রার্থীদের বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর (এনএসআই) এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মাধ্যমে প্রাক্-চরিত্র অধিকতর যাচাই-বাছাই করা হয়।
সূত্র জানায়, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে যাঁদের নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের পদধারী নেতা এবং ইসকনের সদস্য পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে তাঁরা ছাড়াও ফৌজদারি অপরাধে জড়িতসহ মোট ৫৬ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সুপারিশ করার তিন মাস পরও নিয়োগ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কয়েকজন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রার্থী বলেন, ‘আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং উপদেষ্টাদের দপ্তরে যোগাযোগ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। অনেক প্রার্থী এবং তাঁদের পরিবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। আমরা চাই সরকার দ্রুত গেজেট প্রকাশ করুক।’
বাদ পড়া প্রার্থীদের ফাইল প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে থাকলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ পর্যালোচনার দায়িত্ব যে তথ্য উপদেষ্টার হাতে রয়েছে, প্রার্থীরাও সে তথ্য জানেন। বাদ পড়া প্রার্থী পরেশ পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল যোগাযোগ করার পর তথ্য উপদেষ্টার দপ্তর থেকে আমাদের জানানো হয়েছে উপদেষ্টা দেশে ফিরলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন। এরপর দ্রুত গেজেট প্রকাশ করা হবে।’
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা
৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের মধ্যে ১৭১ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় গত তিন মাসেও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় তাঁদের নিয়োগ হয়নি। ফলে ক্ষোভ জানিয়েছেন বাদ পড়া প্রার্থীরা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গত জানুয়ারির মাঝামাঝি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই বৈঠকে বাদ পড়া প্রার্থীদের মধ্যে ১৭১ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে ফাইল অনুমোদনের জন্য গত ১৯ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
একজন কর্মকর্তা বলেন, পদত্যাগের আগে উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বাদ পড়া প্রার্থীদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানান। কিন্তু গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করার আগে এ বিষয়ে তিনি কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। এরপর সে দায়িত্ব পান উপদেষ্টা মাহফুজ আলম; কিন্তু তিনিও সিদ্ধান্ত জানাননি।
বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ যুগ্ম সচিব ও তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নিয়োগ, বদলি ও শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দিতে ৮ জানুয়ারি জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি করে সরকার। ওই কমিটিতে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সদস্যসচিব ছিলেন। উপদেষ্টা পদত্যাগ করার পর গত ২০ মার্চ বর্তমান তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে এ কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
একজন কর্মকর্তা বলেন, কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্বে থাকার কারণেই নাহিদ ইসলাম এবং পরে মাহফুজ আলম বাদ পড়াদের ফাইল পর্যালোচনার দায়িত্ব নেন। কমিটি গঠনের পর থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত বিষয়গুলো এ কমিটির অনুমোদনের পর চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বাদ পড়াদের মধ্য থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যাদের নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করেছে, তাঁদের বাইরেও কয়েকজনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলেছিলেন উপদেষ্টা নাহিদ। ফলে কী কারণে তাঁদের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়নি, তা খতিয়ে দেখতে চেয়েছিলেন তিনি। পরে ওই দায়িত্ব মাহফুজ আলমের কাছে যায়।
৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে গত ৩০ ডিসেম্বর নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েন ১৬৮ জন। এর আগে ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপনে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েছিলেন ৯৯ জন। সব মিলিয়ে ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়েন ২৬৭ জন, তাঁদের মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া ৪০ জন বিবেচনায় আসেননি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান গত ১০ জানুয়ারি বলেছিলেন, ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়া ২২৭ জনের আবার তদন্ত হয়েছে। ফৌজদারি অপরাধে জড়িত ছাড়া বাকিরা সবাই নিয়োগ পাবেন।
এরপর গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে বাদ পড়াদের নিয়োগের বিষয়ে সুপারিশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তার আগে বাদ পড়া প্রার্থীদের বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর (এনএসআই) এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মাধ্যমে প্রাক্-চরিত্র অধিকতর যাচাই-বাছাই করা হয়।
সূত্র জানায়, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে যাঁদের নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের পদধারী নেতা এবং ইসকনের সদস্য পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে তাঁরা ছাড়াও ফৌজদারি অপরাধে জড়িতসহ মোট ৫৬ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সুপারিশ করার তিন মাস পরও নিয়োগ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কয়েকজন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রার্থী বলেন, ‘আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং উপদেষ্টাদের দপ্তরে যোগাযোগ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। অনেক প্রার্থী এবং তাঁদের পরিবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। আমরা চাই সরকার দ্রুত গেজেট প্রকাশ করুক।’
বাদ পড়া প্রার্থীদের ফাইল প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে থাকলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ পর্যালোচনার দায়িত্ব যে তথ্য উপদেষ্টার হাতে রয়েছে, প্রার্থীরাও সে তথ্য জানেন। বাদ পড়া প্রার্থী পরেশ পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল যোগাযোগ করার পর তথ্য উপদেষ্টার দপ্তর থেকে আমাদের জানানো হয়েছে উপদেষ্টা দেশে ফিরলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন। এরপর দ্রুত গেজেট প্রকাশ করা হবে।’
৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের মধ্যে ১৭১ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় গত তিন মাসেও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় তাঁদের নিয়োগ হয়নি। ফলে ক্ষোভ জানিয়েছেন বাদ পড়া প্রার্থীরা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গত জানুয়ারির মাঝামাঝি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই বৈঠকে বাদ পড়া প্রার্থীদের মধ্যে ১৭১ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে ফাইল অনুমোদনের জন্য গত ১৯ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
একজন কর্মকর্তা বলেন, পদত্যাগের আগে উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বাদ পড়া প্রার্থীদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানান। কিন্তু গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করার আগে এ বিষয়ে তিনি কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। এরপর সে দায়িত্ব পান উপদেষ্টা মাহফুজ আলম; কিন্তু তিনিও সিদ্ধান্ত জানাননি।
বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ যুগ্ম সচিব ও তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নিয়োগ, বদলি ও শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দিতে ৮ জানুয়ারি জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি করে সরকার। ওই কমিটিতে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সদস্যসচিব ছিলেন। উপদেষ্টা পদত্যাগ করার পর গত ২০ মার্চ বর্তমান তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে এ কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
একজন কর্মকর্তা বলেন, কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্বে থাকার কারণেই নাহিদ ইসলাম এবং পরে মাহফুজ আলম বাদ পড়াদের ফাইল পর্যালোচনার দায়িত্ব নেন। কমিটি গঠনের পর থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত বিষয়গুলো এ কমিটির অনুমোদনের পর চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বাদ পড়াদের মধ্য থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যাদের নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করেছে, তাঁদের বাইরেও কয়েকজনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলেছিলেন উপদেষ্টা নাহিদ। ফলে কী কারণে তাঁদের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়নি, তা খতিয়ে দেখতে চেয়েছিলেন তিনি। পরে ওই দায়িত্ব মাহফুজ আলমের কাছে যায়।
৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে গত ৩০ ডিসেম্বর নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েন ১৬৮ জন। এর আগে ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপনে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েছিলেন ৯৯ জন। সব মিলিয়ে ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়েন ২৬৭ জন, তাঁদের মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া ৪০ জন বিবেচনায় আসেননি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান গত ১০ জানুয়ারি বলেছিলেন, ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়া ২২৭ জনের আবার তদন্ত হয়েছে। ফৌজদারি অপরাধে জড়িত ছাড়া বাকিরা সবাই নিয়োগ পাবেন।
এরপর গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে বাদ পড়াদের নিয়োগের বিষয়ে সুপারিশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তার আগে বাদ পড়া প্রার্থীদের বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর (এনএসআই) এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মাধ্যমে প্রাক্-চরিত্র অধিকতর যাচাই-বাছাই করা হয়।
সূত্র জানায়, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে যাঁদের নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের পদধারী নেতা এবং ইসকনের সদস্য পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে তাঁরা ছাড়াও ফৌজদারি অপরাধে জড়িতসহ মোট ৫৬ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সুপারিশ করার তিন মাস পরও নিয়োগ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কয়েকজন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রার্থী বলেন, ‘আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং উপদেষ্টাদের দপ্তরে যোগাযোগ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। অনেক প্রার্থী এবং তাঁদের পরিবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। আমরা চাই সরকার দ্রুত গেজেট প্রকাশ করুক।’
বাদ পড়া প্রার্থীদের ফাইল প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে থাকলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ পর্যালোচনার দায়িত্ব যে তথ্য উপদেষ্টার হাতে রয়েছে, প্রার্থীরাও সে তথ্য জানেন। বাদ পড়া প্রার্থী পরেশ পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল যোগাযোগ করার পর তথ্য উপদেষ্টার দপ্তর থেকে আমাদের জানানো হয়েছে উপদেষ্টা দেশে ফিরলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন। এরপর দ্রুত গেজেট প্রকাশ করা হবে।’
‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচনের আগে প্রশাসনের যাবতীয় রদবদল সরাসরি তাঁর তত্ত্বাবধানে হবে। নির্বাচনের আগে যোগ্যতার ভিত্তিতেই কর্মকর্তাদের বাছাই করে জেলা প্রশাসক পদে যথোপযুক্ত স্থানে নিয়োগ দেওয়া হবে।’
৩ মিনিট আগেজুলাই অভ্যুত্থানে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাঁর ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন।
২৭ মিনিট আগেভারতীয় ঋণচুক্তির আওতায় আলোচিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে শুধু একটি বাতিল করা হয়েছে এবং বাকিগুলির কোনটির কী অবস্থা তা বিস্তারিত জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপদেষ্টা ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিলের তালিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আগামীকাল বুধবার বৈঠক করবে জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রশাসনের যাবতীয় রদবদল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরাসরি তাঁর তত্ত্বাবধানে হবে বলে বিএনপিকে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে যোগ্য কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে বাছাই করে জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন।
নির্বাচনে সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনার সময় প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বৈঠকে শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনে যা কিছু প্রয়োজন, তা করা হবে বলে বিএনপি নেতাদের আশ্বস্ত করেন ড. ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির নেতারা বলেন, বিতর্কিত কোনো কর্মকর্তা, বিশেষ করে, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ শাসনামলে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছেন— এমন কর্মকর্তাদের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন থেকে নিবৃত্ত রাখতে হবে।
নির্বাচনের আগে প্রশাসনে রদবদলে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখার আহ্বানের পাশাপাশি পুলিশের নিয়োগ ও বদলিপ্রক্রিয়া নিয়ে কিছু পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেন নেতারা।
জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচনের আগে প্রশাসনের যাবতীয় রদবদল সরাসরি তাঁর তত্ত্বাবধানে হবে। নির্বাচনের আগে যোগ্যতার ভিত্তিতেই কর্মকর্তাদের বাছাই করে জেলা প্রশাসক পদে যথোপযুক্ত স্থানে নিয়োগ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষ থাকা। নির্বাচন একটি মহা আয়োজন। এখানে যিনি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সক্ষম, সেই ব্যক্তিকেই আমরা বেছে নেব। এটি আমার তত্ত্বাবধানে থাকবে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন, আমরা তা করব।’
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্পৃক্ত করায় এবং ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সফলভাবে আয়োজন করতে পারায় সরকারকে অভিনন্দন জানায় বিএনপি।
এর পাশাপাশি সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থাপনায় একাধিক অগ্নিকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। এসব ঘটনা অন্তর্ঘাতমূলক কি না, এ বিষয়ে অনুসন্ধানেরও আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ। সরকারের পক্ষ থেকে ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রশাসনের যাবতীয় রদবদল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরাসরি তাঁর তত্ত্বাবধানে হবে বলে বিএনপিকে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে যোগ্য কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে বাছাই করে জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন।
নির্বাচনে সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনার সময় প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বৈঠকে শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনে যা কিছু প্রয়োজন, তা করা হবে বলে বিএনপি নেতাদের আশ্বস্ত করেন ড. ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির নেতারা বলেন, বিতর্কিত কোনো কর্মকর্তা, বিশেষ করে, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ শাসনামলে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছেন— এমন কর্মকর্তাদের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন থেকে নিবৃত্ত রাখতে হবে।
নির্বাচনের আগে প্রশাসনে রদবদলে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখার আহ্বানের পাশাপাশি পুলিশের নিয়োগ ও বদলিপ্রক্রিয়া নিয়ে কিছু পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেন নেতারা।
জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচনের আগে প্রশাসনের যাবতীয় রদবদল সরাসরি তাঁর তত্ত্বাবধানে হবে। নির্বাচনের আগে যোগ্যতার ভিত্তিতেই কর্মকর্তাদের বাছাই করে জেলা প্রশাসক পদে যথোপযুক্ত স্থানে নিয়োগ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষ থাকা। নির্বাচন একটি মহা আয়োজন। এখানে যিনি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সক্ষম, সেই ব্যক্তিকেই আমরা বেছে নেব। এটি আমার তত্ত্বাবধানে থাকবে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন, আমরা তা করব।’
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্পৃক্ত করায় এবং ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সফলভাবে আয়োজন করতে পারায় সরকারকে অভিনন্দন জানায় বিএনপি।
এর পাশাপাশি সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থাপনায় একাধিক অগ্নিকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। এসব ঘটনা অন্তর্ঘাতমূলক কি না, এ বিষয়ে অনুসন্ধানেরও আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ। সরকারের পক্ষ থেকে ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের মধ্যে ১৭১ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় গত তিন মাসেও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় তাঁদের নিয়োগ হয়নি। ফলে ক্ষোভ জানিয়েছেন বাদ পড়া প্রার্থীরা।
১৬ এপ্রিল ২০২৫জুলাই অভ্যুত্থানে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাঁর ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন।
২৭ মিনিট আগেভারতীয় ঋণচুক্তির আওতায় আলোচিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে শুধু একটি বাতিল করা হয়েছে এবং বাকিগুলির কোনটির কী অবস্থা তা বিস্তারিত জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপদেষ্টা ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিলের তালিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আগামীকাল বুধবার বৈঠক করবে জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই অভ্যুত্থানে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাঁর ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতাকে হত্যার নির্দেশ দেননি। কল রেকর্ড অন্য কাউকে দিয়ে ক্রস চেক করালে ভালো হতো।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলছে। এই মামলার অপর আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে আমির হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা আন্দোলন প্রতিহত করতে বলেছেন। ছাত্র-জনতাকে হত্যার নির্দেশ দেননি। ডিএমপি কমিশনারকে ওয়্যারলেস বার্তায় বলতে শোনা গেছে, পরিস্থিতি তৈরি হলে হাঁটু গেড়ে বসে গুলি করতে। যদি কোনো পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে গুলি করে হত্যা করে থাকেন, তাহলে সে দায় তাঁর ব্যক্তিগত। কারোর ব্যক্তিগত দায় শেখ হাসিনা নেবেন না। ড্রোন ব্যবহার করে হত্যা করলে হাজার হাজার মানুষ মারা যেত। সেটা তো হয়নি। তবে আন্দোলন দমন করতে গিয়ে কিছু মারা গেছে এটা সত্য। ড্রোন ব্যবহার করে ছাত্র-জনতাকে মারার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। হেলিকপ্টার থেকে গুলিতে কেউ মারা গেছে, এটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেন, সাক্ষী বলেছেন ওপর থেকে গুলি করেছে। শিশু ঘরে থেকে মারা গেছে। আমির হোসেন বলেন, ১০ তলা থেকেও তো কেউ গুলি করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী তো বলেননি অমুক শিশুকে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করো। ট্রাইব্যুনাল বলেন, লেথাল উইপেন ব্যবহার করতে নির্দেশ দেওয়ার কল রেকর্ড ফরেনসিক করে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমির হোসেন বলেন, এই কল রেকর্ড আরও একটি সমপর্যায়ের পরীক্ষা করা উচিত ছিল। ট্রাইব্যুনাল বলেন, সেটি প্রয়োজন না হলে কেন করবে? রিপোর্ট ঠিক নেই তা আপনি কীভাবে প্রমাণ করবেন? আমির হোসেন বলেন, অন্য কাউকে দিয়ে ক্রস চেক করালে ভালো হতো। ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনি যদি বলেন যন্ত্রপাতি ঠিক ছিল না, তাহলে আমরা দেখব।
শুনানির একপর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল আমির হোসেনের কাছে জানতে চান, লেথাল উইপেন ব্যবহারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন কি না? আমির হোসেন জবাবে বলেন, তিনি ওই অডিও সন্দেহের ঊর্ধ্বে মনে করেন না। আবু সাঈদের মৃত্যুর বিষয়ে যা বলা হয়েছে তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন তিনি। তিনি বলেন, প্রসিকিউশন অভিযোগ করেছে, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের প্ররোচনায় পুলিশ গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। অথচ ট্রাইব্যুনালে কোনো সাক্ষীর বর্ণনায় এমন কোনো বক্তব্য আসেনি। ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনার যে অভিযোগ, তা সঠিক নয়।
আমির হোসেন আরও বলেন, প্রসিকিউশন বলেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় প্রতি রাতে কোর কমিটির বৈঠকে হয়েছে। আমার বক্তব্য হচ্ছে, কোর কমিটির বৈঠক হওয়া কোনো অপরাধ নয়। দেশে সৃষ্ট হওয়া অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সে বিষয়ে কোর কমিটির বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া একটি বৈধ প্রক্রিয়া ছিল।
জুলাই অভ্যুত্থানে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাঁর ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতাকে হত্যার নির্দেশ দেননি। কল রেকর্ড অন্য কাউকে দিয়ে ক্রস চেক করালে ভালো হতো।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলছে। এই মামলার অপর আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে আমির হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা আন্দোলন প্রতিহত করতে বলেছেন। ছাত্র-জনতাকে হত্যার নির্দেশ দেননি। ডিএমপি কমিশনারকে ওয়্যারলেস বার্তায় বলতে শোনা গেছে, পরিস্থিতি তৈরি হলে হাঁটু গেড়ে বসে গুলি করতে। যদি কোনো পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে গুলি করে হত্যা করে থাকেন, তাহলে সে দায় তাঁর ব্যক্তিগত। কারোর ব্যক্তিগত দায় শেখ হাসিনা নেবেন না। ড্রোন ব্যবহার করে হত্যা করলে হাজার হাজার মানুষ মারা যেত। সেটা তো হয়নি। তবে আন্দোলন দমন করতে গিয়ে কিছু মারা গেছে এটা সত্য। ড্রোন ব্যবহার করে ছাত্র-জনতাকে মারার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। হেলিকপ্টার থেকে গুলিতে কেউ মারা গেছে, এটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেন, সাক্ষী বলেছেন ওপর থেকে গুলি করেছে। শিশু ঘরে থেকে মারা গেছে। আমির হোসেন বলেন, ১০ তলা থেকেও তো কেউ গুলি করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী তো বলেননি অমুক শিশুকে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করো। ট্রাইব্যুনাল বলেন, লেথাল উইপেন ব্যবহার করতে নির্দেশ দেওয়ার কল রেকর্ড ফরেনসিক করে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমির হোসেন বলেন, এই কল রেকর্ড আরও একটি সমপর্যায়ের পরীক্ষা করা উচিত ছিল। ট্রাইব্যুনাল বলেন, সেটি প্রয়োজন না হলে কেন করবে? রিপোর্ট ঠিক নেই তা আপনি কীভাবে প্রমাণ করবেন? আমির হোসেন বলেন, অন্য কাউকে দিয়ে ক্রস চেক করালে ভালো হতো। ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনি যদি বলেন যন্ত্রপাতি ঠিক ছিল না, তাহলে আমরা দেখব।
শুনানির একপর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল আমির হোসেনের কাছে জানতে চান, লেথাল উইপেন ব্যবহারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন কি না? আমির হোসেন জবাবে বলেন, তিনি ওই অডিও সন্দেহের ঊর্ধ্বে মনে করেন না। আবু সাঈদের মৃত্যুর বিষয়ে যা বলা হয়েছে তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন তিনি। তিনি বলেন, প্রসিকিউশন অভিযোগ করেছে, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের প্ররোচনায় পুলিশ গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। অথচ ট্রাইব্যুনালে কোনো সাক্ষীর বর্ণনায় এমন কোনো বক্তব্য আসেনি। ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনার যে অভিযোগ, তা সঠিক নয়।
আমির হোসেন আরও বলেন, প্রসিকিউশন বলেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় প্রতি রাতে কোর কমিটির বৈঠকে হয়েছে। আমার বক্তব্য হচ্ছে, কোর কমিটির বৈঠক হওয়া কোনো অপরাধ নয়। দেশে সৃষ্ট হওয়া অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সে বিষয়ে কোর কমিটির বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া একটি বৈধ প্রক্রিয়া ছিল।
৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের মধ্যে ১৭১ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় গত তিন মাসেও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় তাঁদের নিয়োগ হয়নি। ফলে ক্ষোভ জানিয়েছেন বাদ পড়া প্রার্থীরা।
১৬ এপ্রিল ২০২৫‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচনের আগে প্রশাসনের যাবতীয় রদবদল সরাসরি তাঁর তত্ত্বাবধানে হবে। নির্বাচনের আগে যোগ্যতার ভিত্তিতেই কর্মকর্তাদের বাছাই করে জেলা প্রশাসক পদে যথোপযুক্ত স্থানে নিয়োগ দেওয়া হবে।’
৩ মিনিট আগেভারতীয় ঋণচুক্তির আওতায় আলোচিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে শুধু একটি বাতিল করা হয়েছে এবং বাকিগুলির কোনটির কী অবস্থা তা বিস্তারিত জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপদেষ্টা ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিলের তালিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আগামীকাল বুধবার বৈঠক করবে জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতীয় ঋণচুক্তির আওতায় আলোচিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে শুধু একটি বাতিল করা হয়েছে এবং বাকিগুলির কোনটির কী অবস্থা তা বিস্তারিত জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপদেষ্টা ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিলের তালিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিল করা হয়েছে বলে যে তালিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসেছে, সেটা সঠিক নয়। ওই তালিকার অনেকগুলোর অস্তিত্ব নেই। শুধু গার্ডেন রিচের সঙ্গে করা একটি চুক্তি অনেক আগেই বাতিল করা হয়েছে। বাকিগুলোর কয়েকটি বিভিন্ন পর্যায়ে আছে। তালিকার সঙ্গে সেগুলোর নাম ও বিবরণের সামঞ্জস্য নেই।
তিনি জানান, ত্রিপুরা-চট্টগ্রাম রেলসংযোগ প্রকল্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল বলে উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রকল্প নেই। অভয়পুর-আখাউড়া রেলপথ সম্প্রসারণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রকল্প নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আশুগঞ্জ-আগরতলা করিডোর বাতিল উল্লেখ করা হলেও হুবহু এ নামের কোনো প্রকল্প নেই। তবে ‘আশুগঞ্জ-সরাইল-ধারখার প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প চলমান আছে। ওই প্রকল্পের আওতায় কেবল একটি প্যাকেজ বাতিল হয়েছে (প্যাকেজ ৩: ধারখার থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর)।
তৌহিদ হোসেন বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া তালিকায় ফেনী নদীর পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাতিল উল্লেখ করা হয়েছে। আদতে এ নামের কোনো প্রকল্প নেই। তবে ত্রিপুরার সাবরুম শহরে পানীয় জল সরবরাহে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি প্রত্যাহারের জন্য ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ওই সমঝোতা স্মারক বাতিল হয়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া তালিকায় স্থগিত হিসেবে উল্লেখিত ‘কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন প্রকল্পের’ও কোনো অস্তিত্ব নেই জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিন্ন নদী কুশিয়ারা থেকে পানি প্রত্যাহারের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০২২ সালে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সেটিও স্থগিত হয়নি।
তিনি বলেন, ‘বন্দরের ব্যবহার সংক্রান্ত সড়ক ও নৌপথ উন্নয়ন চুক্তি’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল উল্লেখ করা হলেও হুবহু এ নামের কোনো চুক্তি নেই। তবে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে পণ্য পরিবহনের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১৮ সালে চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তিটি বলবৎ আছে।
তৌহিদ হোসেন জানান, ফারাক্কা বাঁধসংক্রান্ত প্রকল্পে বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতা প্রস্তাব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল হিসেবে উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রস্তাবের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অবগত নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিলেট-শিলচর সংযোগ প্রকল্প বাতিল হিসেবে উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রকল্প নেই।
তিনি আরো বলেন, পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন সম্প্রসারণ চুক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল উল্লেখ করা হলেও ভারতের সঙ্গে এ ধরনের কোনো চুক্তি হয়নি। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইনের আওতায় ভারতের নুমালীগড় থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত যে পাইপলাইন আছে, তা সম্প্রসারণের জন্য ভারতের সঙ্গে একবার প্রাথমিক আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি।
উপদেষ্টা জানান, ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্প (মিরসরাই ও মোংলা) বাতিল বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতীয় ঋণচুক্তির (এলওসি) আওতায় ওই প্রকল্পগুলোতে অর্থায়নের বিষয়টি বাতিলের প্রক্রিয়া চলমান।
এছাড়া আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুনর্বিবেচনার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, চুক্তিটি পুনর্বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে।
আর গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তিকে (১৯৯৬) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘নবায়ন/পুনর্বিবেচনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হলেও ২০২৬ সালে চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হবে। চুক্তি নবায়নের জন্য আলোচনা হবে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি (খসড়া) (২০১১) বাস্তবায়নের জন্য আলোচনায় বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১০-২০১১ সালে খসড়া হওয়া তিস্তা চুক্তিটি এখনো স্বাক্ষরিত হয়নি।
ভারতীয় ঋণচুক্তির আওতায় আলোচিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে শুধু একটি বাতিল করা হয়েছে এবং বাকিগুলির কোনটির কী অবস্থা তা বিস্তারিত জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপদেষ্টা ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিলের তালিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিল করা হয়েছে বলে যে তালিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসেছে, সেটা সঠিক নয়। ওই তালিকার অনেকগুলোর অস্তিত্ব নেই। শুধু গার্ডেন রিচের সঙ্গে করা একটি চুক্তি অনেক আগেই বাতিল করা হয়েছে। বাকিগুলোর কয়েকটি বিভিন্ন পর্যায়ে আছে। তালিকার সঙ্গে সেগুলোর নাম ও বিবরণের সামঞ্জস্য নেই।
তিনি জানান, ত্রিপুরা-চট্টগ্রাম রেলসংযোগ প্রকল্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল বলে উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রকল্প নেই। অভয়পুর-আখাউড়া রেলপথ সম্প্রসারণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রকল্প নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আশুগঞ্জ-আগরতলা করিডোর বাতিল উল্লেখ করা হলেও হুবহু এ নামের কোনো প্রকল্প নেই। তবে ‘আশুগঞ্জ-সরাইল-ধারখার প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প চলমান আছে। ওই প্রকল্পের আওতায় কেবল একটি প্যাকেজ বাতিল হয়েছে (প্যাকেজ ৩: ধারখার থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর)।
তৌহিদ হোসেন বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া তালিকায় ফেনী নদীর পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাতিল উল্লেখ করা হয়েছে। আদতে এ নামের কোনো প্রকল্প নেই। তবে ত্রিপুরার সাবরুম শহরে পানীয় জল সরবরাহে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি প্রত্যাহারের জন্য ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ওই সমঝোতা স্মারক বাতিল হয়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া তালিকায় স্থগিত হিসেবে উল্লেখিত ‘কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন প্রকল্পের’ও কোনো অস্তিত্ব নেই জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিন্ন নদী কুশিয়ারা থেকে পানি প্রত্যাহারের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০২২ সালে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সেটিও স্থগিত হয়নি।
তিনি বলেন, ‘বন্দরের ব্যবহার সংক্রান্ত সড়ক ও নৌপথ উন্নয়ন চুক্তি’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল উল্লেখ করা হলেও হুবহু এ নামের কোনো চুক্তি নেই। তবে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে পণ্য পরিবহনের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১৮ সালে চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তিটি বলবৎ আছে।
তৌহিদ হোসেন জানান, ফারাক্কা বাঁধসংক্রান্ত প্রকল্পে বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতা প্রস্তাব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল হিসেবে উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রস্তাবের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অবগত নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিলেট-শিলচর সংযোগ প্রকল্প বাতিল হিসেবে উল্লেখ করা হলেও এ রকম কোনো প্রকল্প নেই।
তিনি আরো বলেন, পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন সম্প্রসারণ চুক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাতিল উল্লেখ করা হলেও ভারতের সঙ্গে এ ধরনের কোনো চুক্তি হয়নি। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইনের আওতায় ভারতের নুমালীগড় থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত যে পাইপলাইন আছে, তা সম্প্রসারণের জন্য ভারতের সঙ্গে একবার প্রাথমিক আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি।
উপদেষ্টা জানান, ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্প (মিরসরাই ও মোংলা) বাতিল বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতীয় ঋণচুক্তির (এলওসি) আওতায় ওই প্রকল্পগুলোতে অর্থায়নের বিষয়টি বাতিলের প্রক্রিয়া চলমান।
এছাড়া আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুনর্বিবেচনার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, চুক্তিটি পুনর্বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে।
আর গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তিকে (১৯৯৬) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘নবায়ন/পুনর্বিবেচনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হলেও ২০২৬ সালে চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হবে। চুক্তি নবায়নের জন্য আলোচনা হবে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি (খসড়া) (২০১১) বাস্তবায়নের জন্য আলোচনায় বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১০-২০১১ সালে খসড়া হওয়া তিস্তা চুক্তিটি এখনো স্বাক্ষরিত হয়নি।
৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের মধ্যে ১৭১ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় গত তিন মাসেও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় তাঁদের নিয়োগ হয়নি। ফলে ক্ষোভ জানিয়েছেন বাদ পড়া প্রার্থীরা।
১৬ এপ্রিল ২০২৫‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচনের আগে প্রশাসনের যাবতীয় রদবদল সরাসরি তাঁর তত্ত্বাবধানে হবে। নির্বাচনের আগে যোগ্যতার ভিত্তিতেই কর্মকর্তাদের বাছাই করে জেলা প্রশাসক পদে যথোপযুক্ত স্থানে নিয়োগ দেওয়া হবে।’
৩ মিনিট আগেজুলাই অভ্যুত্থানে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাঁর ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন।
২৭ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আগামীকাল বুধবার বৈঠক করবে জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আগামীকাল বুধবার বৈঠক করবে জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, চলমান রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আগামীকাল বুধবার বৈঠক করবে জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, চলমান রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।
৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের মধ্যে ১৭১ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় গত তিন মাসেও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় তাঁদের নিয়োগ হয়নি। ফলে ক্ষোভ জানিয়েছেন বাদ পড়া প্রার্থীরা।
১৬ এপ্রিল ২০২৫‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচনের আগে প্রশাসনের যাবতীয় রদবদল সরাসরি তাঁর তত্ত্বাবধানে হবে। নির্বাচনের আগে যোগ্যতার ভিত্তিতেই কর্মকর্তাদের বাছাই করে জেলা প্রশাসক পদে যথোপযুক্ত স্থানে নিয়োগ দেওয়া হবে।’
৩ মিনিট আগেজুলাই অভ্যুত্থানে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাঁর ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন।
২৭ মিনিট আগেভারতীয় ঋণচুক্তির আওতায় আলোচিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে শুধু একটি বাতিল করা হয়েছে এবং বাকিগুলির কোনটির কী অবস্থা তা বিস্তারিত জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপদেষ্টা ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিলের তালিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগে