Ajker Patrika

আদালত চত্বরে যুবলীগ নেতাকে মারধর

বগুড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ জুন ২০২৫, ১৮: ০৬
মারধরের শিকার মতিন সরকার। ছবি: সংগৃহীত
মারধরের শিকার মতিন সরকার। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় আদালত চত্বরে শহর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিন সরকারকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় মতিনের শ্যালক ও তাঁর এক সহযোগীকে গণধোলাই দেওয়া হয়। পরে পুলিশ মতিনের শ্যালক মিল্লাত হোসেনকে হেফাজতে নিয়েছে।

রোববার (২২ জুন) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে হামলার এ ঘটনা ঘটে।

গতকাল শনিবার রাতে মতিন সরকারকে বগুড়ার ডিবি পুলিশ ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার বছিলা থেকে গ্রেপ্তার করে। মতিন সরকারের নামে ১০ বছরের সাজা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ঘটনায় ১০টি মামলা রয়েছে।

রোববার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কড়া পুলিশি পাহারায় মতিন সরকারকে আদালতে হাজির করার জন্য নিয়ে আসা হয়। পুলিশের গাড়ি থেকে নামানোর সঙ্গে সঙ্গে একদল বিক্ষুব্ধ জনগণ ডিম নিক্ষেপ শুরু করে। পুলিশ তাড়াহুড়ো করে তাঁকে আদালতের দিকে নিয়ে যায়। তখন পুলিশ বেষ্টনীর মধ্যেই হামলা, কিলঘুষি ও লাথি মারা হয় মতিন সরকারকে। এ সময় মতিনের এক সহযোগী রুপম হামলার দৃশ্য ভিডিও করাকালে বিক্ষুব্ধ লোকজন তাঁর ওপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে। তখন রুপম দৌড়ে আদালতের নিচে নেমে পালিয়ে যান। এ সময় আদালত চত্বরে মতিন সরকারের শ্যালক মিল্লাত হোসেনকে দেখে লোকজন তাঁর ওপর হামলা করে। তাঁকে মাটিতে ফেলে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে লোকজন। একপর্যায়ে তাঁর পরনের লুঙ্গি ও শার্টি ছিঁড়ে ফেলা হয়। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।

বগুড়া ডিবি পুলিশের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক ইকবাল বাহার বলেন, ‘আমরা কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়েই তাঁকে আদালতে নিয়ে যাই। আগে থেকেই আদালত চত্বরে বিপুলসংখ্যক লোক উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা আকস্মিক ডিম নিক্ষেপ করেন। আমরা দ্রুত মতিন সরকারকে জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪-এ হাজির করি। ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে মতিন সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একটি হত্যা মামলায় সাত দিনের আবেদন করা হয়। আদালতের বিচারক মেহেদী হাসান শুনানি শেষে ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে পুলিশি পাহারায় মতিন সরকারকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।’

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির বলেন, ‘আদালত চত্বরে মতিন সরকারের শ্যালক পরিচয় পেয়ে একজনকে মারধর করছিলেন কিছু মানুষ। আমরা তাঁকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে এসেছি। তাঁর নামে মামলা রয়েছে কি না, যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত