নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর থেকে সরকারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে রয়েছে বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’র (টিআইবি) গবেষণায় উঠে এসেছে। তথ্য অধিকার আইন কার্যকরে সরকার, নাগরিক সমাজ ও বেসরকারি সংগঠনগুলোর মধ্যে এখনও উদ্যোগের ঘাটতি রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ‘তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ চর্চার মূল্যায়ন’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি। সংস্থাটির সাবেক গবেষক জুলিয়েট রোজেটি, ফাতেমা আফরোজ এবং কুমার বিশ্বজিত দাস গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রণয়ন করেন। টিআইবির গবেষণা ও পলিসি বিভাগের সিনিয়র ফেলো শাহজাদা এম আকরাম প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২০ সালের আগস্ট থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ১৫৩টি সরকারি ও ৩৯টি এনজিও’র ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নিয়ে মিশ্র পদ্ধতিতে গবেষণা করা হয়। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর স্কোরিং করা হয়েছে।
টিআইবি বলছে, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশে অগ্রগতি যথেষ্ট সন্তোষজনক নয়। তথ্যের প্রবেশগম্যতার ক্ষেত্রে ইতিবাচক অবস্থা দেখা গেলেও তথ্যের ব্যাপ্তি ও উপযোগিতার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি উভয় প্রতিষ্ঠানেই আরও কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইটে বিধিমালা অনুযায়ী অনেক তথ্য প্রকাশিত হলেও তথ্যের হালনাগাদকরণ এবং ধরন অনুযায়ী তথ্যের বিন্যাস, বিস্তৃতি ও তথ্যপ্রাপ্তির সহজলভ্যতার ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্যের ঘাটতি লক্ষণীয়। ওয়েবসাইটে তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রয়োজনীয় ধারণার ঘাটতিও রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সার্বিকভাবে অধিকাংশ সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট এনজিও’র তুলনায় ভালো স্কোর পেয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রায় ৩৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠান সন্তোষজনক স্কোর পেয়েছে; প্রায় ৮.৫ শতাংশ সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্কোর উদ্বেগজনক। অন্যদিকে গবেষণার মানদণ্ডে কোনো এনজিও সন্তোষজনক স্কোর পায়নি, ৯৪. ৯ শতাংশ এনজিওর স্কোর উদ্বেগজনক।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘তথ্য অধিকার আইন প্রণয়নে যেমন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর ভূমিকা ছিল, তেমনি এটির সুষ্ঠু বাস্তবায়নের কাজটিও সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার। আইনটি প্রণয়নের ১১ বছর পর এসে তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ আগের তুলনায় বাড়লেও সার্বিকভাবে এবং মোটা দাগে তা সন্তোষজনক নয়। স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ ও প্রচারের বিষয়টি আইনগত গুরুত্ব পেলেও তার চর্চা ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে।’
দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে তথ্য প্রকাশের গুরুত্ব তুলে ধরে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের কৌশলগুলোর মধ্যে তথ্য প্রকাশ ও তথ্যের অভিগম্যতা নিশ্চিত করা অন্যতম হলেও দুর্নীতি প্রতিরোধে শুধু এটিই যথেষ্ট নয়। এ জন্য দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা, দুর্নীতিতে যারা জড়িত তাদের কার্যকর জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং জনগণের অংশগ্রহণ ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা। তবে তথ্য প্রকাশ নিশ্চিত করা গেলে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।
তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর থেকে সরকারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে রয়েছে বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’র (টিআইবি) গবেষণায় উঠে এসেছে। তথ্য অধিকার আইন কার্যকরে সরকার, নাগরিক সমাজ ও বেসরকারি সংগঠনগুলোর মধ্যে এখনও উদ্যোগের ঘাটতি রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ‘তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ চর্চার মূল্যায়ন’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি। সংস্থাটির সাবেক গবেষক জুলিয়েট রোজেটি, ফাতেমা আফরোজ এবং কুমার বিশ্বজিত দাস গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রণয়ন করেন। টিআইবির গবেষণা ও পলিসি বিভাগের সিনিয়র ফেলো শাহজাদা এম আকরাম প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২০ সালের আগস্ট থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ১৫৩টি সরকারি ও ৩৯টি এনজিও’র ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নিয়ে মিশ্র পদ্ধতিতে গবেষণা করা হয়। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর স্কোরিং করা হয়েছে।
টিআইবি বলছে, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশে অগ্রগতি যথেষ্ট সন্তোষজনক নয়। তথ্যের প্রবেশগম্যতার ক্ষেত্রে ইতিবাচক অবস্থা দেখা গেলেও তথ্যের ব্যাপ্তি ও উপযোগিতার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি উভয় প্রতিষ্ঠানেই আরও কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইটে বিধিমালা অনুযায়ী অনেক তথ্য প্রকাশিত হলেও তথ্যের হালনাগাদকরণ এবং ধরন অনুযায়ী তথ্যের বিন্যাস, বিস্তৃতি ও তথ্যপ্রাপ্তির সহজলভ্যতার ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্যের ঘাটতি লক্ষণীয়। ওয়েবসাইটে তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রয়োজনীয় ধারণার ঘাটতিও রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সার্বিকভাবে অধিকাংশ সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট এনজিও’র তুলনায় ভালো স্কোর পেয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রায় ৩৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠান সন্তোষজনক স্কোর পেয়েছে; প্রায় ৮.৫ শতাংশ সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্কোর উদ্বেগজনক। অন্যদিকে গবেষণার মানদণ্ডে কোনো এনজিও সন্তোষজনক স্কোর পায়নি, ৯৪. ৯ শতাংশ এনজিওর স্কোর উদ্বেগজনক।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘তথ্য অধিকার আইন প্রণয়নে যেমন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর ভূমিকা ছিল, তেমনি এটির সুষ্ঠু বাস্তবায়নের কাজটিও সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার। আইনটি প্রণয়নের ১১ বছর পর এসে তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ আগের তুলনায় বাড়লেও সার্বিকভাবে এবং মোটা দাগে তা সন্তোষজনক নয়। স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ ও প্রচারের বিষয়টি আইনগত গুরুত্ব পেলেও তার চর্চা ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে।’
দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে তথ্য প্রকাশের গুরুত্ব তুলে ধরে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের কৌশলগুলোর মধ্যে তথ্য প্রকাশ ও তথ্যের অভিগম্যতা নিশ্চিত করা অন্যতম হলেও দুর্নীতি প্রতিরোধে শুধু এটিই যথেষ্ট নয়। এ জন্য দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা, দুর্নীতিতে যারা জড়িত তাদের কার্যকর জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং জনগণের অংশগ্রহণ ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা। তবে তথ্য প্রকাশ নিশ্চিত করা গেলে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।
রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের আবেদন সরাসরি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে করা যাবে। এই মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটরের কাছে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করতে হবে। আবেদনের সঙ্গে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট মামলার এজাহার ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিযোগপত্রের (চার্জশিট) সত্যায়িত অনুলিপি দাখিল করতে
৩৪ মিনিট আগেকমডোর মো. শফিউল বারীকে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এই নৌ কর্মকর্তাকে ওই পদে নিয়োগ দিতে তাঁর চাকরি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে আজ রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
১ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হওয়া মামলায় আসামি গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে ডিএমপির সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। আজ রোববার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন রিটটি দায়ের করেন। এতে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার...
২ ঘণ্টা আগে