Ajker Patrika

নিয়োগে দুর্নীতি: শিল্পকলার সাবেক ডিজি লাকীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০০: ০০
Thumbnail image

পরীক্ষার খাতায় অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের নম্বর টেম্পারিং করে নিয়োগ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ লিয়াকত আলী লাকীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

আজ রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) মামলাটি করা হয়। সংস্থার উপপরিচালক সুমিত্রা সেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। কমিশনের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। 

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, নিয়োগ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার নম্বরপত্রে নম্বর বাড়িয়ে অবৈধভাবে ১০টি পদে ২৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া এবং তাদের বেতনভাতা বাবদ সরকারি তহবিল থেকে ৮ কোটি ২৮ লাখ ৪৯৫ টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। 

লিয়াকত আলী লাকীকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘এখন কমিশনের অনুমোদনক্রমে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা চাইলে আইনানুগভাবে আসামিদের গ্রেপ্তার করার সুযোগ রয়েছে।’ 

মামলার অপর আসামিরা হলেন- শিল্পকলা একাডেমির সাবেক পরিচালক (প্রশাসন) জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী, কালচারাল অফিসার আল মামুন, মো. হামিদুর রহমান, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, হাসান মাহমুদ, রুনা লায়লা মাহমুদ, সহকারী পরিচালক (বাজেট ও প্ল্যানিং) সামিরা আহমেদ, স্টেজ ম্যানেজার রহিমা খাতুন, গাইড লেকচারার মো. মাহাবুবুর রহমান, ইনস্ট্রাক্টর (সংগীত ও যন্ত্র) মীন আরা পারভীন, ইনস্ট্রাক্টর (নৃত্য) প্রিয়াংকা সাহা, যন্ত্রশিল্পী (গ্রেড-৩) নারায়ন দেব লিটন, মোহাম্মদ জিয়াউল আবেদীন, নৃত্যশিল্পী (গ্রেড-৩) লায়লা ইয়াসমিন, মিফতাহুল বিনতে মাসুক, আলকা দাশ প্রাপ্তি, সুমাইতাহ তাবাসসুম খানম, কণ্ঠশিল্পী রোকসানা আক্তার রূপসা, আবদুল্লাহেল রাফি তালুকদার, মো. সোহানুর রহমান, আবিদা রহমান সেতু, মোহনা দাস ও ক্যামেরাম্যান (জনসংযোগ) মো. রুবেল মিয়া। 

এ ছাড়া কালচারাল অফিসার খন্দকার রেদওয়ানা ইসলাম মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শিল্পকলা একাডেমির তৎকালীন মহাপরিচালক লিয়াকত আলী (লাকী) ও শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী পরস্পর যোগসাজশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো শিল্পকলা একাডেমির নিয়োগ পরীক্ষার নম্বর পত্রে অসৎ উদ্দেশ্যে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ দেন। 

এজাহারে আরও বলা হয়, নিয়োগপ্রাপ্তরা অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে জাল জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষার নম্বর বৃদ্ধি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে প্রাপ্ত লিখিত পরীক্ষায় নম্বরপত্র বাড়িয়ে বিভিন্ন পদে যোগদান করেন। 

আসামিরা তাদের বেতনভাতা বাবদ সরকারি তহবিল থেকে ৮ কোটি ২৮ লাখ ৪৯৫ টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪০৯ / ৪২০ / ৪৬৮ / ৪৭১ / ১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত