বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
দেশের প্রতিরক্ষায় যুবসমাজ যাতে অংশ নিতে পারেন সে জন্য তাদের সর্বজনীন সামরিক প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছেন জেলা প্রশাসকেরা (ডিসি)। আজ মঙ্গলবার ওসমানী মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের কার্য-অধিবেশনে তাঁরা এই প্রস্তাব দেন। উপদেষ্টা পদমর্যাদার প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
আব্দুল হাফিজ বলেন বলেন, ‘সিভিল মিলিটারি কো-অপারেশন কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়, সে বিষয়ে ডিসিরা প্রশ্ন করেছিলেন। বিভাগীয় পর্যায়ে সিভিল প্রশাসনের অফিসাররা যে ওরিয়েন্টেশন করেন, এই ওরিয়েন্টেশনগুলো করা সম্ভব কি না? যাতে সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে সামরিক বাহিনী বা সশস্ত্র বাহিনীর বোঝাপড়া আরও বৃদ্ধি করা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর একটা প্রশ্ন ছিল-আমাদের যুব সমাজের জন্য একটি ইউনিভার্সাল মিলিটারি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় কি না। যেখানে যুবসমাজের যারা আছেন, তারা মিলিটারি ট্রেনিং পেতে পারেন এবং দেশের প্রতিরক্ষায় তাঁরা অংশগ্রহণ করতে পারেন।’
যুব সমাজের সামরিক প্রশিক্ষণের বিষয়ে আপনারা কি বলেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল হাফিজ বলেন, ‘আমাদের চিফ অব জেনারেল স্টাফ বলেছেন-আমাদের আনসার ভিডিপির মাধ্যমে প্রত্যেক উপজেলায় প্রত্যেক ইউনিয়নে একটা করে কোম্পানিকে অলরেডি ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। একজন ডিসি অনুরোধ করেছিলেন-এটাকে আরও ব্যাপক আকারে করা যায় কি না। এটা একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার, আর্থিক সংশ্লিষ্টতা আছে। আমরা চিন্তা করতেই পারি এবং আমরা জানিয়েছি এটা যদি সরকার নির্দেশনা দেয়, জনগণের সিদ্ধান্ত সরকারের সিদ্ধান্ত। নির্দেশনা পেলে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এটা করতে প্রস্তুত।’
আব্দুল হাফিজ বলেন, ‘ডিসিরা কয়েকটি জেলায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে চান। রিমোট জায়গায় বা চরাঞ্চলে যেখানে বেশি পরিমাণ ফোর্স দরকার বা লজিস্টিক নিয়ে যেতে হবে, এই ধরনের এলাকায় তারা অভিযান পরিচালনা করতে চান।’
তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর জন্য প্রশ্ন ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামে কুকিচিন ন্যাশনাল ফন্ট যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে, সে কারণে কয়েকটি জেলায় পর্যটন শিল্প ব্যাহত হচ্ছে। এ পর্যটন শিল্প ব্যাহত হওয়ার কারণে সেখানকার ইয়াং জেনারেশন কাজ হারাচ্ছে, চাকরি হারাচ্ছে এবং তারা সন্ত্রাসের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। সেখান থেকে কীভাবে উত্তরণ করতে পারি, সে সংক্রান্ত প্রশ্ন ছিল।’
প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, ‘আমরা বলেছি-কুকিচিনের বিরুদ্ধে আমাদের যে অভিযান, সেটা চলছে এবং এ পর্যন্ত কুকিচিনের বিরুদ্ধে অভিযান করতে গিয়ে আমাদের সাতজন সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন এবং অনেক আহত হয়েছেন। তারা নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত, এ অভিযান চলবে।’
দু-একটি জেলায় অস্ত্র এবং গোলাবারুদ নষ্ট হয়ে গেছে, সেগুলো কীভাবে ধ্বংস করা যায়-সে বিষয়ে ডিসিদের প্রশ্ন ছিল।
রমজানে দ্রব্যমূল্যের বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনার বিষয়ে আব্দুল হাফিজ বলেন, ‘আমি বলেছি-রমজান মাস আসছে, সেখানে তাদের ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হবে। দ্রব্যমূল্য তাদের নিজ জেলায় কম রাখতে পারেন, সে জন্য চেষ্টা করতে হবে। বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, সেটা যাতে মোকাবিলা করা যায়, কৃষকেরা যাতে সেচ ও কৃষি উপকরণ সময়মতো পান, সেসব বিষয়ে বলেছি।’
দেশের প্রতিরক্ষায় যুবসমাজ যাতে অংশ নিতে পারেন সে জন্য তাদের সর্বজনীন সামরিক প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছেন জেলা প্রশাসকেরা (ডিসি)। আজ মঙ্গলবার ওসমানী মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের কার্য-অধিবেশনে তাঁরা এই প্রস্তাব দেন। উপদেষ্টা পদমর্যাদার প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
আব্দুল হাফিজ বলেন বলেন, ‘সিভিল মিলিটারি কো-অপারেশন কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়, সে বিষয়ে ডিসিরা প্রশ্ন করেছিলেন। বিভাগীয় পর্যায়ে সিভিল প্রশাসনের অফিসাররা যে ওরিয়েন্টেশন করেন, এই ওরিয়েন্টেশনগুলো করা সম্ভব কি না? যাতে সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে সামরিক বাহিনী বা সশস্ত্র বাহিনীর বোঝাপড়া আরও বৃদ্ধি করা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর একটা প্রশ্ন ছিল-আমাদের যুব সমাজের জন্য একটি ইউনিভার্সাল মিলিটারি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় কি না। যেখানে যুবসমাজের যারা আছেন, তারা মিলিটারি ট্রেনিং পেতে পারেন এবং দেশের প্রতিরক্ষায় তাঁরা অংশগ্রহণ করতে পারেন।’
যুব সমাজের সামরিক প্রশিক্ষণের বিষয়ে আপনারা কি বলেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল হাফিজ বলেন, ‘আমাদের চিফ অব জেনারেল স্টাফ বলেছেন-আমাদের আনসার ভিডিপির মাধ্যমে প্রত্যেক উপজেলায় প্রত্যেক ইউনিয়নে একটা করে কোম্পানিকে অলরেডি ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। একজন ডিসি অনুরোধ করেছিলেন-এটাকে আরও ব্যাপক আকারে করা যায় কি না। এটা একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার, আর্থিক সংশ্লিষ্টতা আছে। আমরা চিন্তা করতেই পারি এবং আমরা জানিয়েছি এটা যদি সরকার নির্দেশনা দেয়, জনগণের সিদ্ধান্ত সরকারের সিদ্ধান্ত। নির্দেশনা পেলে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এটা করতে প্রস্তুত।’
আব্দুল হাফিজ বলেন, ‘ডিসিরা কয়েকটি জেলায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে চান। রিমোট জায়গায় বা চরাঞ্চলে যেখানে বেশি পরিমাণ ফোর্স দরকার বা লজিস্টিক নিয়ে যেতে হবে, এই ধরনের এলাকায় তারা অভিযান পরিচালনা করতে চান।’
তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর জন্য প্রশ্ন ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামে কুকিচিন ন্যাশনাল ফন্ট যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে, সে কারণে কয়েকটি জেলায় পর্যটন শিল্প ব্যাহত হচ্ছে। এ পর্যটন শিল্প ব্যাহত হওয়ার কারণে সেখানকার ইয়াং জেনারেশন কাজ হারাচ্ছে, চাকরি হারাচ্ছে এবং তারা সন্ত্রাসের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। সেখান থেকে কীভাবে উত্তরণ করতে পারি, সে সংক্রান্ত প্রশ্ন ছিল।’
প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, ‘আমরা বলেছি-কুকিচিনের বিরুদ্ধে আমাদের যে অভিযান, সেটা চলছে এবং এ পর্যন্ত কুকিচিনের বিরুদ্ধে অভিযান করতে গিয়ে আমাদের সাতজন সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন এবং অনেক আহত হয়েছেন। তারা নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত, এ অভিযান চলবে।’
দু-একটি জেলায় অস্ত্র এবং গোলাবারুদ নষ্ট হয়ে গেছে, সেগুলো কীভাবে ধ্বংস করা যায়-সে বিষয়ে ডিসিদের প্রশ্ন ছিল।
রমজানে দ্রব্যমূল্যের বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনার বিষয়ে আব্দুল হাফিজ বলেন, ‘আমি বলেছি-রমজান মাস আসছে, সেখানে তাদের ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হবে। দ্রব্যমূল্য তাদের নিজ জেলায় কম রাখতে পারেন, সে জন্য চেষ্টা করতে হবে। বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, সেটা যাতে মোকাবিলা করা যায়, কৃষকেরা যাতে সেচ ও কৃষি উপকরণ সময়মতো পান, সেসব বিষয়ে বলেছি।’
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলছে জানিয়ে প্রতিবেদন আগামী জুনের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশন।
১৭ মিনিট আগেদীর্ঘ দিনের স্বৈরশাসনের পর বাংলাদেশ ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে। গণতন্ত্রের দিকে দেশের অগ্রগতির একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হবে এসব অপরাধীদের সুষ্ঠু বিচার করার সক্ষমতা। চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বিশ্বাস করেন, এটি সম্ভব এবং তা হওয়া উচিত।
২৬ মিনিট আগেসড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহসানুল হক বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিরাপদ সড়ক পদ্ধতির আলোকে একটি সার্বিক সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। সরকারি-বেসরকারি অংশীজনদের সমন্বয়ে এই খসড়া আইন প্রণয়নের কাজ করা হচ্ছে। আশা করি, আগামী দিনে সরকারের সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে
১ ঘণ্টা আগেআগামী জুলাই মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য জানান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে