নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে দোকানপাট বন্ধ। নিত্যপণ্যের দামও বেড়ে গেছে। এর মধ্যে টিসিবির ট্রাক থেকে বাজারের চেয়ে কম দামে পণ্য কিনে বেশ খুশি ক্রেতারা। চিনি ও ডালের দাম নিয়ে আপত্তি না থাকলেও তেলের দাম আরেকটু কমানোর দাবি তাঁদের।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর ও রামপুরায় গিয়ে দেখা যায়, টিসিবির পণ্য কিনতে একেকটি ট্রাকের পেছনে ২০০–৩০০ মানুষ লাইনে দাঁড়িয়েছেন। মাস্ক ছাড়া কাউকে লাইনে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। লাইন বেশ লম্বা হওয়ায় গাদাগাদি করেই তাঁদের দাঁড়াতে দেখা যায়।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) গত সোমবার থেকে ট্রাকে করে তেল, চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি করছে। কোরবানির ঈদের ছুটি বাদে আগামী ২৯ জুলাই পর্যন্ত ভর্তুকি মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করবে সরকারি এই প্রতিষ্ঠান।
সারা দেশে ৪৫০টি ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। একেকটি ট্রাককে ৫০০-৮০০ কেজি চিনি, ৩০০-৬০০ কেজি মসুর ডাল ও ৮০০-১২০০ লিটার করে সয়াবিন তেল দেওয়া হচ্ছে। একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ চার কেজি চিনি, দুই কেজি মসুর ডাল ও পাঁচ লিটার তেল কিনতে পারছেন। প্রতি লিটার তেল ১০০ টাকা এবং চিনি ও মসুর ডাল ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা বাজারে টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য কেনেন হোটেল কর্মচারী সুমন কায়সার। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, সকালে এখান থেকে দুই লিটারের দুটি করে তেলের বোতল দেওয়া হলেও মানুষ বেড়ে যাওয়ায় এখন এক বোতল করে তেল দেওয়া হচ্ছে। চিনি ও ডালের দাম ঠিক আছে, তেলের দাম একটু বেশি। তেলের দামটা আরেকটু কম হলে আমাদের জন্য ভালো হতো।
বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ টিসিবির পণ্য বিক্রির এই কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। দুই লিটার তেল, দুই কেজি চিনি ও দুই কেজি মসুর ডালে কত দিন চলবে জানতে চাইলে কয়েকজন ক্রেতা তাঁকে জানান, এসব দিয়ে ১৪-১৫ দিন যাবে।
সেগুনবাগিচায় শরিফা খাতুন নামে এক ক্রেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, লকডাউনের মধ্যে তো দোকানপাট বন্ধ। এখন দোকানে জিনিসেরও অনেক দাম। এভাবে ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করায় আমাদের উপকার হচ্ছে।
শান্তিনগর বাজারের পাশে টিসিবির পণ্য কেনেন একটি পোশাক দোকানের কর্মী আল আমিন। তিনি বলেন, এভাবে তেল, ডাল কেনার সুযোগ থাকায় তাদের জন্য ভালো হয়েছে। তেলের দাম আরেকটু কম হলে ভালো হতো। ১০০ টাকা করে তেল কিনতে কষ্ট হয়। কয়েকজন ডিলার জানান, টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা শেষ হয়ে যাচ্ছে। দেরিতে এসব পণ্য কিনতে আসা অনেকেই তা পাচ্ছেন না। এ ছাড়া লাইনের শেষ দিকে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের মধ্যে অনেককেই পণ্য না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।
সবাই যাতে পণ্য পায়, সে জন্য টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান একজনের কাছে দুই লিটার করে তেল ও দুই কেজি করে চিনি ও ডাল বিক্রি করতে ডিলারদের নির্দেশনা দেন।
টিবিসির পণ্য বিক্রির কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শনের পর বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি সাংবাদিকদের বলেন, শিল্পকারখানা খোলা থাকায় সেসব অঞ্চলে ট্রাক সেল বাড়িয়ে দিয়েছি। বরাদ্দ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পণ্যের মজুত সমস্যা না।
সচিব বলেন, সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পণ্য কেনেন, তা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক কেন্দ্রের নাম-ঠিকানা দিয়ে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেওয়া হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন করে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।
কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে দোকানপাট বন্ধ। নিত্যপণ্যের দামও বেড়ে গেছে। এর মধ্যে টিসিবির ট্রাক থেকে বাজারের চেয়ে কম দামে পণ্য কিনে বেশ খুশি ক্রেতারা। চিনি ও ডালের দাম নিয়ে আপত্তি না থাকলেও তেলের দাম আরেকটু কমানোর দাবি তাঁদের।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর ও রামপুরায় গিয়ে দেখা যায়, টিসিবির পণ্য কিনতে একেকটি ট্রাকের পেছনে ২০০–৩০০ মানুষ লাইনে দাঁড়িয়েছেন। মাস্ক ছাড়া কাউকে লাইনে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। লাইন বেশ লম্বা হওয়ায় গাদাগাদি করেই তাঁদের দাঁড়াতে দেখা যায়।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) গত সোমবার থেকে ট্রাকে করে তেল, চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি করছে। কোরবানির ঈদের ছুটি বাদে আগামী ২৯ জুলাই পর্যন্ত ভর্তুকি মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করবে সরকারি এই প্রতিষ্ঠান।
সারা দেশে ৪৫০টি ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। একেকটি ট্রাককে ৫০০-৮০০ কেজি চিনি, ৩০০-৬০০ কেজি মসুর ডাল ও ৮০০-১২০০ লিটার করে সয়াবিন তেল দেওয়া হচ্ছে। একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ চার কেজি চিনি, দুই কেজি মসুর ডাল ও পাঁচ লিটার তেল কিনতে পারছেন। প্রতি লিটার তেল ১০০ টাকা এবং চিনি ও মসুর ডাল ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা বাজারে টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য কেনেন হোটেল কর্মচারী সুমন কায়সার। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, সকালে এখান থেকে দুই লিটারের দুটি করে তেলের বোতল দেওয়া হলেও মানুষ বেড়ে যাওয়ায় এখন এক বোতল করে তেল দেওয়া হচ্ছে। চিনি ও ডালের দাম ঠিক আছে, তেলের দাম একটু বেশি। তেলের দামটা আরেকটু কম হলে আমাদের জন্য ভালো হতো।
বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ টিসিবির পণ্য বিক্রির এই কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। দুই লিটার তেল, দুই কেজি চিনি ও দুই কেজি মসুর ডালে কত দিন চলবে জানতে চাইলে কয়েকজন ক্রেতা তাঁকে জানান, এসব দিয়ে ১৪-১৫ দিন যাবে।
সেগুনবাগিচায় শরিফা খাতুন নামে এক ক্রেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, লকডাউনের মধ্যে তো দোকানপাট বন্ধ। এখন দোকানে জিনিসেরও অনেক দাম। এভাবে ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করায় আমাদের উপকার হচ্ছে।
শান্তিনগর বাজারের পাশে টিসিবির পণ্য কেনেন একটি পোশাক দোকানের কর্মী আল আমিন। তিনি বলেন, এভাবে তেল, ডাল কেনার সুযোগ থাকায় তাদের জন্য ভালো হয়েছে। তেলের দাম আরেকটু কম হলে ভালো হতো। ১০০ টাকা করে তেল কিনতে কষ্ট হয়। কয়েকজন ডিলার জানান, টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা শেষ হয়ে যাচ্ছে। দেরিতে এসব পণ্য কিনতে আসা অনেকেই তা পাচ্ছেন না। এ ছাড়া লাইনের শেষ দিকে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের মধ্যে অনেককেই পণ্য না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।
সবাই যাতে পণ্য পায়, সে জন্য টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান একজনের কাছে দুই লিটার করে তেল ও দুই কেজি করে চিনি ও ডাল বিক্রি করতে ডিলারদের নির্দেশনা দেন।
টিবিসির পণ্য বিক্রির কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শনের পর বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি সাংবাদিকদের বলেন, শিল্পকারখানা খোলা থাকায় সেসব অঞ্চলে ট্রাক সেল বাড়িয়ে দিয়েছি। বরাদ্দ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পণ্যের মজুত সমস্যা না।
সচিব বলেন, সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পণ্য কেনেন, তা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক কেন্দ্রের নাম-ঠিকানা দিয়ে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেওয়া হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন করে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।
ঐকমত্য কমিশনে নারী আসন বিষয়ে গত ১৪ জুলাই থেকে অন্তত চার দিন আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় বিএনপি, জামায়াত, সিপিবি, বাসদ, এলডিপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল নারী প্রতিনিধি ছাড়াই অংশ নিয়েছে। কমিশনের আলোচনায় এনসিপি, জেএসডি, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, এবি পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, বাসদ
৩ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ৫ আগস্ট জুলাই জাতীয় সনদ ঘোষণা করতে চেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সে অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই পর্বের সংলাপ শেষে সনদ প্রণয়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। খসড়া চূড়ান্ত করে দলগুলোর মতামত ও স্বাক্ষর নেওয়ার কাজটুকুই এখন বাকি। তবে সনদের বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া
৪ ঘণ্টা আগেদর-কষাকষির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক কমিয়ে আনার বিষয়ে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, ‘ফল দেখলেই বুঝবেন, কাজটা ঠিক হয়েছে কি না। আমরা তো ফল আনলাম এবং যেটা আনলাম, আমাদের প্রতিযোগীদের যে রেঞ্জে, সেই রেঞ্জে।’ ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজা
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত সংস্কারে কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি খোলাচিঠি দিয়েছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যনীতি বিশেষজ্ঞেরা। তাঁরা এই সুপারিশগুলোকে আগামী ‘জুলাই চার্টার ২০২৫’-এ অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগে