নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোট স্বচ্ছ করার নির্বাচনী পদ্ধতিগুলো জানতে চেয়েছে কমনওয়েলথের প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষণ প্রতিনিধিদল। আজ রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কমনওয়েলথের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
ইসি সচিব বলেন, কমনওয়েলথের চার সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। এটি ছিল পূর্বনির্ধারিত।
তিনি বলেন, প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের নির্বাচনসংক্রান্ত আইন-কানুন, বিধিবিধান, নির্বাচন পদ্ধতি, নির্বাচনের দিনে যানবাহনসংক্রান্ত ব্যবস্থা—সব বিষয়ে কমিশনের কাছ থেকে অবহিত হতে চেয়েছিল। প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন কমিশনের পক্ষে তাদের সবকিছু বিস্তারিত উল্লেখ করেছে। তাতে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি তাদের একটি পূর্ববর্তী বা অগ্রবর্তী দল। এই অগ্রবর্তী দল কমনওয়েলথে গিয়ে রিপোর্ট দেবে। রিপোর্ট দাখিলের পরে কমনওয়েলথের পূর্ণাঙ্গ টিম আমাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়ে সম্মতি জানাবে কি জানাবে না, তা তারা পরে নির্ধারণ করবে।’
বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তারা কী জানতে চেয়েছে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক বা অন্য কোনো বিষয়ে আলোচনা হয়নি। শুধু নির্বাচন পদ্ধতি, নির্বাচনের কর্মপদ্ধতি, নির্বাচনসংক্রান্ত আইনকানুন, বিধিবিধান, কীভাবে ভোটগ্রহণ হয়ে থাকবে, ভোটাররা কীভাবে ভোট দিতে পারবেন, প্রতিদ্বন্দ্বী ভোটাররা ভোট দিতে কী কী সুযোগ-সুবিধা পাবেন, যাঁরা নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকবেন বা বিদেশে যাঁরা ভোটার আছেন, তাদের ভোট কীভাবে নেওয়া যাবে, অর্থাৎ পোস্টাল ব্যালট—এসব বিষয়ে তাঁরা অবহিত হতে চেয়েছেন।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘প্রশ্ন ব্যাখ্যা নয়, এটি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা। তাঁরা কিছু জানতে চেয়েছেন, আমরা উত্তর দিলে আবার তাঁরা সেখান থেকে অন্য কোনো পয়েন্ট জানতে চেয়েছেন।’
রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, এজাতীয় কোনো প্রশ্ন তাঁরা করেননি। তাঁদের কাজ হচ্ছে বাংলাদেশের নির্বাচন পদ্ধতিটা কী, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।’
আপনাদের সক্ষমতা বা চ্যালেঞ্জের জায়গাগুলো সম্পর্কে তাঁরা জানতে চেয়েছেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওনারা এ বিষয়ে কিছুই জানতে চাননি। জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশের ভোটাররা কীভাবে ভোট দিতে যাবেন, ভোট কীভাবে নেওয়া হবে, ভোটটা স্বচ্ছ করতে গেলে নির্বাচনী পদ্ধতি যেগুলো আছে, নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসারের কাজ কী—এসব বিষয় তাঁরা অবহিত হতে চেয়েছেন।’
এদিকে কমনওয়েলথের প্রতিনিধিদলের প্রধান লিনফোর্ড এন্ড্রুস বলেছেন, ‘আমরা মূলত নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট মিশনের অংশ হিসেবে আমরা এসেছি। যে কোনো সদস্য দেশেই কমনওয়েলথ ভোট পর্যবেক্ষক পাঠানোর আগে প্রাক-নির্বাচন পরিস্থিতি মূল্যায়ন প্রতিনিধি পাঠায়। কমনওয়েলথ পর্যবেক্ষক পাঠালে কতটুকু সহায়তা দিতে পারবে, তা নিয়ে ভালো আলোচনা হয়েছে।’
বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ে কোনো পরামর্শ দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা গতকাল বাংলাদেশে এসেছি। এটা আমাদের প্রথম বৈঠক ছিল। কাজেই এখনই মতামত দেওয়াটা ঠিক হবে না।’
কমিশনকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে বেশ ভালো আলোচনা হয়েছে। কতটা প্রস্তুতি হয়েছে তা জানতে পেরেছি। সামনের দিকে তাকিয়ে আছি, আমাদের অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা হবে। ২২ নভেম্বর আমাদের চলে যাওয়ার কথা। তারপর কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেলের কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেব।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোট স্বচ্ছ করার নির্বাচনী পদ্ধতিগুলো জানতে চেয়েছে কমনওয়েলথের প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষণ প্রতিনিধিদল। আজ রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কমনওয়েলথের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
ইসি সচিব বলেন, কমনওয়েলথের চার সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। এটি ছিল পূর্বনির্ধারিত।
তিনি বলেন, প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের নির্বাচনসংক্রান্ত আইন-কানুন, বিধিবিধান, নির্বাচন পদ্ধতি, নির্বাচনের দিনে যানবাহনসংক্রান্ত ব্যবস্থা—সব বিষয়ে কমিশনের কাছ থেকে অবহিত হতে চেয়েছিল। প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন কমিশনের পক্ষে তাদের সবকিছু বিস্তারিত উল্লেখ করেছে। তাতে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি তাদের একটি পূর্ববর্তী বা অগ্রবর্তী দল। এই অগ্রবর্তী দল কমনওয়েলথে গিয়ে রিপোর্ট দেবে। রিপোর্ট দাখিলের পরে কমনওয়েলথের পূর্ণাঙ্গ টিম আমাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়ে সম্মতি জানাবে কি জানাবে না, তা তারা পরে নির্ধারণ করবে।’
বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তারা কী জানতে চেয়েছে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক বা অন্য কোনো বিষয়ে আলোচনা হয়নি। শুধু নির্বাচন পদ্ধতি, নির্বাচনের কর্মপদ্ধতি, নির্বাচনসংক্রান্ত আইনকানুন, বিধিবিধান, কীভাবে ভোটগ্রহণ হয়ে থাকবে, ভোটাররা কীভাবে ভোট দিতে পারবেন, প্রতিদ্বন্দ্বী ভোটাররা ভোট দিতে কী কী সুযোগ-সুবিধা পাবেন, যাঁরা নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকবেন বা বিদেশে যাঁরা ভোটার আছেন, তাদের ভোট কীভাবে নেওয়া যাবে, অর্থাৎ পোস্টাল ব্যালট—এসব বিষয়ে তাঁরা অবহিত হতে চেয়েছেন।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘প্রশ্ন ব্যাখ্যা নয়, এটি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা। তাঁরা কিছু জানতে চেয়েছেন, আমরা উত্তর দিলে আবার তাঁরা সেখান থেকে অন্য কোনো পয়েন্ট জানতে চেয়েছেন।’
রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, এজাতীয় কোনো প্রশ্ন তাঁরা করেননি। তাঁদের কাজ হচ্ছে বাংলাদেশের নির্বাচন পদ্ধতিটা কী, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।’
আপনাদের সক্ষমতা বা চ্যালেঞ্জের জায়গাগুলো সম্পর্কে তাঁরা জানতে চেয়েছেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওনারা এ বিষয়ে কিছুই জানতে চাননি। জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশের ভোটাররা কীভাবে ভোট দিতে যাবেন, ভোট কীভাবে নেওয়া হবে, ভোটটা স্বচ্ছ করতে গেলে নির্বাচনী পদ্ধতি যেগুলো আছে, নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসারের কাজ কী—এসব বিষয় তাঁরা অবহিত হতে চেয়েছেন।’
এদিকে কমনওয়েলথের প্রতিনিধিদলের প্রধান লিনফোর্ড এন্ড্রুস বলেছেন, ‘আমরা মূলত নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট মিশনের অংশ হিসেবে আমরা এসেছি। যে কোনো সদস্য দেশেই কমনওয়েলথ ভোট পর্যবেক্ষক পাঠানোর আগে প্রাক-নির্বাচন পরিস্থিতি মূল্যায়ন প্রতিনিধি পাঠায়। কমনওয়েলথ পর্যবেক্ষক পাঠালে কতটুকু সহায়তা দিতে পারবে, তা নিয়ে ভালো আলোচনা হয়েছে।’
বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ে কোনো পরামর্শ দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা গতকাল বাংলাদেশে এসেছি। এটা আমাদের প্রথম বৈঠক ছিল। কাজেই এখনই মতামত দেওয়াটা ঠিক হবে না।’
কমিশনকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে বেশ ভালো আলোচনা হয়েছে। কতটা প্রস্তুতি হয়েছে তা জানতে পেরেছি। সামনের দিকে তাকিয়ে আছি, আমাদের অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা হবে। ২২ নভেম্বর আমাদের চলে যাওয়ার কথা। তারপর কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেলের কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেব।’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। এ সময় ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘১ হাজার ৪০০ মানুষকে হত্যার দায়ে শেখ হাসিনার ১ হাজার ৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড
৮ মিনিট আগেবাস্তবায়ন আদেশের বিষয়বস্তু সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না বলে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির এমন সিদ্ধান্তকে ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
২ ঘণ্টা আগেবাণিজ্য-সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য দেশে বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে প্রস্তাব ও আইনের খসড়া পাঠানোর পর আইন মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ করছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশা করছেন, বাণিজ্যিক আদালত গঠন করে আইন মন্ত্রণালয় শিগগির প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
১৪ ঘণ্টা আগেচূড়ান্ত হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫। এখন সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাক্ষর করাটাই শুধু বাকি। কিন্তু এই পর্যায়ে এসে শেষ সময়ের কাজটুকু সমাধা হওয়া নিয়েই দেখা দেয় গুরুতর সংকট। সংকট সমাধানের উপায় খুঁজতে গতকাল বুধবার দলগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সভাপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের...
১৪ ঘণ্টা আগে