ঢাবি প্রতিনিধি
হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী কোটা পুনর্বহালের পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য একটি বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার আয়োজনের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। এতে বিগত পাঁচ বছরে কোটা ব্যবস্থার সুবিধা না থাকায় যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁরা যথাযথ সুযোগ পাবেন বলে মনে করেন তিনি।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন বিচারপতি মানিক।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে স্বাধীনবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্রের কারণে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটা ব্যবস্থা বাতিল হয়। এতে গত পাঁচ বছরে দেশের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা নিয়োগসহ বহু নিয়োগে কোটা ব্যবস্থা অনুসরণ করা হয়নি। বর্তমানে হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী কোটা পুনর্বহালের পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য একটি বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার আয়োজনের প্রয়োজন, যাতে পাঁচ বছরে যাঁরা রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁরা যথাযথ সুযোগ প্রাপ্ত হন।
বিচারপতি মানিকের আশা, স্বাধীন বিচার বিভাগ সাংবিধানিক অধিকার ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপহার মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখবেন।
তিনি বলেন, চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বৈষম্য তৈরি করে না, বরং বৈষম্য দূর করে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাজার হাজার সন্তান এখনো বেকার। অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা এখনো অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িঘর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। ১৯৭৫–৯৬ সাল দীর্ঘ ২১ বছর মুক্তিযোদ্ধা কোটার কোনো বাস্তবায়ন হয়নি।
বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের জন্য কোট সংরক্ষণের যৌক্তিকতা তুলে দলে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর নেমে আসে দুর্বিষহ অত্যাচার। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্রের কারণে এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধারা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাঁদের সন্তানদের তেমন পড়াশোনা করাতে পারেননি। অর্থনৈতিক দৈন্যদশা, যুদ্ধ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ, পালিয়ে বেড়ানো—সব মিলিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ২১ বছর কোনো সুবিধা পাননি। এমনকি ৯ মাস যুদ্ধের ক্ষতি এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২১ বছরে বীর মুক্তিযোদ্ধারা যে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন, তা আজও কাটিয়ে উঠতে পারেননি।
মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালসহ সাত দফা দাবি তুলে ধরে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। দাবিগুলো হলো:
১. ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল, সংরক্ষণ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন।
২. কোটা বাতিল আন্দোলনের নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তিকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে ছাত্রত্ব বাতিলসহ বিশেষ ট্রাইব্যুনালে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি হলোকাস্ট ডিনায়াল অ্যাক্টের মতো নতুন আইন প্রণয়ন করা।
৩. রাজাকারদের নামের তালিকা প্রকাশ করে দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের নোটিশ বোর্ডে তালিকা প্রদর্শনপূর্বক নাগরিকত্ব বাতিলসহ এদের বংশধরদের চিহ্নিত করে চাকরিচ্যুত করার পাশাপাশি সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা।
৪. সরকারি নিয়োগে বৈষম্যমূলক ‘মেধা’ শব্দ পরিবর্তন করে সাধারণ শব্দ সংযোজনপূর্বক সাধারণ প্রার্থী নামকরণ করে সব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা।
৫. সারা দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর হামলা, মামলা, হত্যা, নির্যাতন ও কটূক্তি স্থায়ীভাবে প্রতিরোধ করার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন।
৬. ২০১৮ সালে কোটা বাতিল আন্দোলনের নামে পুলিশের ওপর নগ্ন সন্ত্রাসী হামলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
৭. বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের অধিকার আদায়ের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা।
সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন, শহীদদের সন্তান প্রজন্ম ’৭১–এর সভাপতি আজিজুর রহমান, ঢাবি শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি সনেট মাহমুদ প্রমুখ।
হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী কোটা পুনর্বহালের পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য একটি বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার আয়োজনের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। এতে বিগত পাঁচ বছরে কোটা ব্যবস্থার সুবিধা না থাকায় যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁরা যথাযথ সুযোগ পাবেন বলে মনে করেন তিনি।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন বিচারপতি মানিক।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে স্বাধীনবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্রের কারণে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটা ব্যবস্থা বাতিল হয়। এতে গত পাঁচ বছরে দেশের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা নিয়োগসহ বহু নিয়োগে কোটা ব্যবস্থা অনুসরণ করা হয়নি। বর্তমানে হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী কোটা পুনর্বহালের পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য একটি বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার আয়োজনের প্রয়োজন, যাতে পাঁচ বছরে যাঁরা রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁরা যথাযথ সুযোগ প্রাপ্ত হন।
বিচারপতি মানিকের আশা, স্বাধীন বিচার বিভাগ সাংবিধানিক অধিকার ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপহার মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখবেন।
তিনি বলেন, চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বৈষম্য তৈরি করে না, বরং বৈষম্য দূর করে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাজার হাজার সন্তান এখনো বেকার। অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা এখনো অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িঘর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। ১৯৭৫–৯৬ সাল দীর্ঘ ২১ বছর মুক্তিযোদ্ধা কোটার কোনো বাস্তবায়ন হয়নি।
বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের জন্য কোট সংরক্ষণের যৌক্তিকতা তুলে দলে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর নেমে আসে দুর্বিষহ অত্যাচার। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্রের কারণে এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধারা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাঁদের সন্তানদের তেমন পড়াশোনা করাতে পারেননি। অর্থনৈতিক দৈন্যদশা, যুদ্ধ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ, পালিয়ে বেড়ানো—সব মিলিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ২১ বছর কোনো সুবিধা পাননি। এমনকি ৯ মাস যুদ্ধের ক্ষতি এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২১ বছরে বীর মুক্তিযোদ্ধারা যে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন, তা আজও কাটিয়ে উঠতে পারেননি।
মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালসহ সাত দফা দাবি তুলে ধরে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। দাবিগুলো হলো:
১. ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল, সংরক্ষণ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন।
২. কোটা বাতিল আন্দোলনের নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তিকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে ছাত্রত্ব বাতিলসহ বিশেষ ট্রাইব্যুনালে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি হলোকাস্ট ডিনায়াল অ্যাক্টের মতো নতুন আইন প্রণয়ন করা।
৩. রাজাকারদের নামের তালিকা প্রকাশ করে দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের নোটিশ বোর্ডে তালিকা প্রদর্শনপূর্বক নাগরিকত্ব বাতিলসহ এদের বংশধরদের চিহ্নিত করে চাকরিচ্যুত করার পাশাপাশি সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা।
৪. সরকারি নিয়োগে বৈষম্যমূলক ‘মেধা’ শব্দ পরিবর্তন করে সাধারণ শব্দ সংযোজনপূর্বক সাধারণ প্রার্থী নামকরণ করে সব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা।
৫. সারা দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর হামলা, মামলা, হত্যা, নির্যাতন ও কটূক্তি স্থায়ীভাবে প্রতিরোধ করার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন।
৬. ২০১৮ সালে কোটা বাতিল আন্দোলনের নামে পুলিশের ওপর নগ্ন সন্ত্রাসী হামলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
৭. বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের অধিকার আদায়ের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা।
সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন, শহীদদের সন্তান প্রজন্ম ’৭১–এর সভাপতি আজিজুর রহমান, ঢাবি শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি সনেট মাহমুদ প্রমুখ।
শেখ হাসিনাসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) লক বা অবরুদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর ফলে তাঁদের এনআইডি যাচাই করে সেবা নেওয়ার পথ রুদ্ধ হলো। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
১৫ মিনিট আগেরাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে পাঁচটি কমিশনের একটি শ্রমবিষয়ক সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে। আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন...
১ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৬ জনকে গুলি করে হত্যার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে। মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেহাসপাতালগুলোর সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য সচিব, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট অন্য সদস্যদের সমন্বয়ে একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকবে এবং প্রতিটি হাসপাতালের জন্য পৃথক স্থানীয় যৌথ ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকবে। এই ব্যবস্থাপনা কমিটির গঠন ও কার্যপরিধি সরকার..
৩ ঘণ্টা আগে