ঢাবি প্রতিনিধি
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ ও অন্যান্য নেতা কর্মীদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবী সমিতির অফিসে মারধর ও হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সংগঠনটি নেতা-কর্মীরা। আজ রাত ৮ টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয় থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শাহবাগ এসে শেষ হয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এবং সংহতি বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল।
সমাপনী বক্তব্যে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন- হামলার সঙ্গে জড়িত ফ্যাসিবাদের দোসর ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মফিজুর রহমান বাবুলকে অনতিবিলম্বে আইনজীবী সমিতি থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
বাবুলসহ যারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত এদের প্রত্যেকের আইনজীবী সনদ বাতিল এবং প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে।
গত ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী বাকশালীদের দ্বারা সংগঠিত প্রত্যেকটি হামলা-গুম-খুনের বিচার নিশ্চিত করে খুনি হাসিনাসহ পরাজিত ফ্যাসিবাদিদের সকলকে দেশে ফিরিয়ে এনে অনতিবিলম্বে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।’
আখতার হোসেন বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন খুলনা রেলস্টেশনের ডিসপ্লেতে ভেসে উঠেছে ‘ছাত্রলীগ ভয়ংকর রূপে ফিরে আসবে’।
আমাদের ওপর দীর্ঘদিন নিষ্পেষণকারী, গণহত্যাকারী ও নিষদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে প্রকাশ্যে এসে ফুল দিয়ে গেছে।
গত কয়েকদিনে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের আমাদের দুইজন সহযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমাদের আতাউল্লাহ ভাইয়ের ওপর হামলা হয়েছে। এভাবে পতিত ফ্যাসিবাদি বাকশালীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে এবং দেশ ও জনতাবিরোধী নানা ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা করছে।
এদের প্রত্যেকটি কর্মকাণ্ডের দায়ভার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিতে হবে।’
সমাবেশে সারজিস আলম বলেন, ‘খুনি ও ফ্যাসিবাদি শেখ হাসিনার দোসররা এখনো নানাভাবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী ব্যক্তিদের ওপর হামলা করছে। কিন্তু প্রশাসনের তরফ থেকে নির্বিকার ভূমিকা দেখা যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জিজ্ঞেস করতে চাই- কীভাবে অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে আদালতের মতো একটি পবিত্র প্রাঙ্গণে একটি রুমে আটকিয়ে আমার ভাইয়ের ওপর এমন নির্মম হামলা হলো?
আপনারা যদি এই হামলার ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হন, তবে আপনাদের মুখে লেগে থাকা চুনকালি আর মুছতে পারবেন না। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আপনাদের গণবিরোধী এবং গণবিধ্বংসী অবস্থান জনতার মনে গভীর আস্থার সংকট তৈরি করেছে। জনতাকে আশ্বস্ত করতে চাইলে, এই ঘটনায় জড়িতদের অতিদ্রুত গ্রেপ্তার করুন।’
সংহতি বক্তব্যে আরিফ সোহেল বলেন- ‘আগস্টের পর পরাজিত ফ্যাসিবাদী ও গণহত্যাকারী শক্তি বারবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। আমাদের অনেক সহযোদ্ধা আগস্টের পরও এখনো হামলার শিকার হচ্ছে, হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তির দোসরদের আইনের আওতায় আনতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আপনারা যদি এভাবে পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হন, তাদেরকে বিচারের সম্মুখীন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে ছাত্র-জনতার কাছে আসুন। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই গণহত্যাকারীদের প্রতিহত করবো।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ ও অন্যান্য নেতা কর্মীদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবী সমিতির অফিসে মারধর ও হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সংগঠনটি নেতা-কর্মীরা। আজ রাত ৮ টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয় থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শাহবাগ এসে শেষ হয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এবং সংহতি বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল।
সমাপনী বক্তব্যে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন- হামলার সঙ্গে জড়িত ফ্যাসিবাদের দোসর ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মফিজুর রহমান বাবুলকে অনতিবিলম্বে আইনজীবী সমিতি থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
বাবুলসহ যারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত এদের প্রত্যেকের আইনজীবী সনদ বাতিল এবং প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে।
গত ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী বাকশালীদের দ্বারা সংগঠিত প্রত্যেকটি হামলা-গুম-খুনের বিচার নিশ্চিত করে খুনি হাসিনাসহ পরাজিত ফ্যাসিবাদিদের সকলকে দেশে ফিরিয়ে এনে অনতিবিলম্বে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।’
আখতার হোসেন বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন খুলনা রেলস্টেশনের ডিসপ্লেতে ভেসে উঠেছে ‘ছাত্রলীগ ভয়ংকর রূপে ফিরে আসবে’।
আমাদের ওপর দীর্ঘদিন নিষ্পেষণকারী, গণহত্যাকারী ও নিষদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে প্রকাশ্যে এসে ফুল দিয়ে গেছে।
গত কয়েকদিনে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের আমাদের দুইজন সহযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমাদের আতাউল্লাহ ভাইয়ের ওপর হামলা হয়েছে। এভাবে পতিত ফ্যাসিবাদি বাকশালীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে এবং দেশ ও জনতাবিরোধী নানা ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা করছে।
এদের প্রত্যেকটি কর্মকাণ্ডের দায়ভার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিতে হবে।’
সমাবেশে সারজিস আলম বলেন, ‘খুনি ও ফ্যাসিবাদি শেখ হাসিনার দোসররা এখনো নানাভাবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী ব্যক্তিদের ওপর হামলা করছে। কিন্তু প্রশাসনের তরফ থেকে নির্বিকার ভূমিকা দেখা যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জিজ্ঞেস করতে চাই- কীভাবে অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে আদালতের মতো একটি পবিত্র প্রাঙ্গণে একটি রুমে আটকিয়ে আমার ভাইয়ের ওপর এমন নির্মম হামলা হলো?
আপনারা যদি এই হামলার ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হন, তবে আপনাদের মুখে লেগে থাকা চুনকালি আর মুছতে পারবেন না। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আপনাদের গণবিরোধী এবং গণবিধ্বংসী অবস্থান জনতার মনে গভীর আস্থার সংকট তৈরি করেছে। জনতাকে আশ্বস্ত করতে চাইলে, এই ঘটনায় জড়িতদের অতিদ্রুত গ্রেপ্তার করুন।’
সংহতি বক্তব্যে আরিফ সোহেল বলেন- ‘আগস্টের পর পরাজিত ফ্যাসিবাদী ও গণহত্যাকারী শক্তি বারবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। আমাদের অনেক সহযোদ্ধা আগস্টের পরও এখনো হামলার শিকার হচ্ছে, হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তির দোসরদের আইনের আওতায় আনতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আপনারা যদি এভাবে পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হন, তাদেরকে বিচারের সম্মুখীন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে ছাত্র-জনতার কাছে আসুন। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই গণহত্যাকারীদের প্রতিহত করবো।’
জরুরি অবস্থা ঘোষণাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার রোধে নতুন বিধান তৈরিতে একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। আজ রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১২তম দিনে ঐকমত্যে পৌঁছায় দলগুলো...
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘কিছু মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদে উপনীত হতে হবে। সেটার লক্ষ্য ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে, যেকোনো প্রক্রিয়ায়। বড়জোড় ৩১ জুলাইয়ে যেতে পারি। আমরা চেষ্টা করছি, জুলাই মাসের মধ্যে যেভাবে হোক একটি যৌক্তিক জায়গায় আসা।
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো ফুঁসে উঠেছিল। পরে সেই বিক্ষোভে সাধারণ মানুষও শামিল হয়। পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। এবার পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় আবারও ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে পুরো দেশ।
১২ ঘণ্টা আগেক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুলিশের প্রতাপশালী দুই ডজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বিনা অনুমতিতে দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় চাকরি হারাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে ঢাকা রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ...
১৩ ঘণ্টা আগে