
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো ফুঁসে উঠেছিল। পরে সেই বিক্ষোভে সাধারণ মানুষও শামিল হয়। পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। এবার পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় আবারও ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে পুরো দেশ। জড়িতদের দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। সমাবেশ থেকে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদও জানানো হয়েছে।
রাজধানীতে বিক্ষোভ
রাজধানীর শাহবাগ মোড় থেকে গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় মশাল মিছিল বের করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্য হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় বৈষম্যবিরোধী নেতা- কর্মীরা ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’; ‘আমার সোনার বাংলায়, চাঁদাবাজের ঠাঁই নাই’; ‘যে হাত চাঁদা তোলে, সেই হাত ভেঙে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশীদ বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ রকমের অবনতি ঘটেছে। মনে হয়, এখানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বদলে কোনো সংস্কৃতি উপদেষ্টা দায়িত্ব পালন করছেন। কোথাও অপরাধ ঘটলে দুই দিন পরও আমরা তার ভিডিও দেখছি, অথচ গণমাধ্যমে তা দেখা যাচ্ছে না।’
তিনি দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সারা দেশে শুদ্ধি অভিযান চালানোর কথা থাকলেও তা হয়নি। আমরা বলি, যদি আপনারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারেন, তাহলে দায়িত্ব ছেড়ে দিন। ছাত্র-জনতা আর অপেক্ষা করবে না।’
এর আগে দুপুরে বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি এবং ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীরা পৃথক কর্মসূচি পালন করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘চাঁদাবাজির কারণে মিটফোর্ড এলাকায় যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা পাথর দিয়ে পিটিয়ে মানুষ মেরেছে। দল দায় না নিয়ে কেবল বহিষ্কারে সীমাবদ্ধ থেকেছে। এটি পরিকল্পিত দলীয় হত্যাকাণ্ড।’ আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘তারেক রহমানকে বলব, দেশে ফিরে এসে নিজের দলকে সামলান, পরিবর্তনের রাজনীতি করুন।’
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। একই সময়ে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাইফুল্লাহ সাকিব বলেন, ‘বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে তৈরি হওয়া সহাবস্থানের পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা এই সহিংসতার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’
ঢাকার বাইরে যত বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সময় সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের কঠোর সমালোচনা করে দলটিকে সতর্ক করেন। গতকাল দুপুরে শহরের চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন তাঁরা।
ফরিদপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ ছাত্র-জনতা। গতকাল মিছিল শেষে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে হুঁশিয়ারি জানান।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা গতকাল দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিকেলে নগরীর শহীদ ফিরোজ-জাহাঙ্গীর চত্বরে প্ল্যাটফর্ম ময়মনসিংহের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। এর আগে ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মিছিল শেষে সমাবেশ করেন। সেখানে শিক্ষার্থীরা দেশব্যাপী চলমান খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
টাঙ্গাইলেও বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এদিকে মধুপুরে শিল্প ও বণিক সমিতি এবং শান্তিকামী জনতার ব্যানারে পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা গত শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখান শিক্ষার্থীরা। তুলে ধরেন পাঁচ দফা দাবি। গতকাল দুপুরে ‘মাগুরা জেলার সকল ছাত্র-জনতা’ ব্যানারে মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে শহরের ভায়না মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নওগাঁ শহরে সংগ্রামী ছাত্র-জনতা ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিল করেন তাঁরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা তানজিম বিন বারীর নেতৃত্বে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সামনে সকালে সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনগণের ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘আমরা জুলুম, খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলন করেছি। যারা আওয়ামী লীগের মতো আবার চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ করছে, তাদেরও একই পরিণতি হবে।’
এদিকে নিহত ব্যবসায়ী সোহাগের নিজ জেলা বরগুনায় গতকাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে। দুপুরে বরগুনা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচি থেকে খুনিদের দৃস্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বরগুনা প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম। বরগুনা প্রেসক্লাব সভাপতি সোহেল হাফিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মুফতি মিজানুর রহমান কাসেমী, জেলা মহিলা পরিষদের সভানেত্রী নাজমা বেগম, জেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল, বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সালেহ, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের জেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর কবীর মৃধা প্রমুখ।
এদিকে তৌহিদি জনতার আয়োজনে বরিশালের মুলাদীতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি এফ এম মাইনুল ইসলাম, উপজেলা খেলাফত মজলিশের সভাপতি হাফেজ মো. শহীদুল ইসলাম প্রমুখ। ঝালকাঠিতে ছাত্র-জনতার উদ্যোগে দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল। ভোলায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ইসলামী যুব আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা।
সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা গতকাল বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। পরে মুক্তির সোপানে সমাবেশ হয়। রাজশাহীতে শুক্রবার রাতে এবং গতকাল পৃথক বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। শুক্রবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা ১১টার দিকে একদল শিক্ষার্থী নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এ ছাড়া দুপুরে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে মিছিল বের করা হয়।
নাটোরে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। এদিকে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে সাধারণ ছাত্র-জনতার ব্যানারে দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। সমাবেশে বক্তারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, বিচারহীনতা এবং কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কঠোর সমালোচনা করেন। এমনকি প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দেন। সমাবেশে বক্তৃতা করেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড জিল্লুর রহমান ভিটু, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের জেলা সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড তসলিম উর রহমান প্রমুখ।
‘যুবদলের এক গুণ, পাথর মেরে করে খুন’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কুড়িগ্রামের শিক্ষার্থীরা। পরে সমাবেশে বক্তৃতা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ নাহিদ।
রংপুর দুপুরে সাধারণ বিপ্লবী শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল শেষে শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর আগের শুক্রবার রাতে রংপুর নগরীতে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর মেডিকেল কলেজ ও কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো ফুঁসে উঠেছিল। পরে সেই বিক্ষোভে সাধারণ মানুষও শামিল হয়। পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। এবার পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় আবারও ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে পুরো দেশ। জড়িতদের দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। সমাবেশ থেকে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদও জানানো হয়েছে।
রাজধানীতে বিক্ষোভ
রাজধানীর শাহবাগ মোড় থেকে গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় মশাল মিছিল বের করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্য হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় বৈষম্যবিরোধী নেতা- কর্মীরা ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’; ‘আমার সোনার বাংলায়, চাঁদাবাজের ঠাঁই নাই’; ‘যে হাত চাঁদা তোলে, সেই হাত ভেঙে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশীদ বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ রকমের অবনতি ঘটেছে। মনে হয়, এখানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বদলে কোনো সংস্কৃতি উপদেষ্টা দায়িত্ব পালন করছেন। কোথাও অপরাধ ঘটলে দুই দিন পরও আমরা তার ভিডিও দেখছি, অথচ গণমাধ্যমে তা দেখা যাচ্ছে না।’
তিনি দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সারা দেশে শুদ্ধি অভিযান চালানোর কথা থাকলেও তা হয়নি। আমরা বলি, যদি আপনারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারেন, তাহলে দায়িত্ব ছেড়ে দিন। ছাত্র-জনতা আর অপেক্ষা করবে না।’
এর আগে দুপুরে বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি এবং ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীরা পৃথক কর্মসূচি পালন করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘চাঁদাবাজির কারণে মিটফোর্ড এলাকায় যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা পাথর দিয়ে পিটিয়ে মানুষ মেরেছে। দল দায় না নিয়ে কেবল বহিষ্কারে সীমাবদ্ধ থেকেছে। এটি পরিকল্পিত দলীয় হত্যাকাণ্ড।’ আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘তারেক রহমানকে বলব, দেশে ফিরে এসে নিজের দলকে সামলান, পরিবর্তনের রাজনীতি করুন।’
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। একই সময়ে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাইফুল্লাহ সাকিব বলেন, ‘বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে তৈরি হওয়া সহাবস্থানের পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা এই সহিংসতার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’
ঢাকার বাইরে যত বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সময় সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের কঠোর সমালোচনা করে দলটিকে সতর্ক করেন। গতকাল দুপুরে শহরের চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন তাঁরা।
ফরিদপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ ছাত্র-জনতা। গতকাল মিছিল শেষে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে হুঁশিয়ারি জানান।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা গতকাল দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিকেলে নগরীর শহীদ ফিরোজ-জাহাঙ্গীর চত্বরে প্ল্যাটফর্ম ময়মনসিংহের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। এর আগে ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মিছিল শেষে সমাবেশ করেন। সেখানে শিক্ষার্থীরা দেশব্যাপী চলমান খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
টাঙ্গাইলেও বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এদিকে মধুপুরে শিল্প ও বণিক সমিতি এবং শান্তিকামী জনতার ব্যানারে পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা গত শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখান শিক্ষার্থীরা। তুলে ধরেন পাঁচ দফা দাবি। গতকাল দুপুরে ‘মাগুরা জেলার সকল ছাত্র-জনতা’ ব্যানারে মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে শহরের ভায়না মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নওগাঁ শহরে সংগ্রামী ছাত্র-জনতা ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিল করেন তাঁরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা তানজিম বিন বারীর নেতৃত্বে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সামনে সকালে সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনগণের ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘আমরা জুলুম, খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলন করেছি। যারা আওয়ামী লীগের মতো আবার চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ করছে, তাদেরও একই পরিণতি হবে।’
এদিকে নিহত ব্যবসায়ী সোহাগের নিজ জেলা বরগুনায় গতকাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে। দুপুরে বরগুনা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচি থেকে খুনিদের দৃস্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বরগুনা প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম। বরগুনা প্রেসক্লাব সভাপতি সোহেল হাফিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মুফতি মিজানুর রহমান কাসেমী, জেলা মহিলা পরিষদের সভানেত্রী নাজমা বেগম, জেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল, বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সালেহ, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের জেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর কবীর মৃধা প্রমুখ।
এদিকে তৌহিদি জনতার আয়োজনে বরিশালের মুলাদীতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি এফ এম মাইনুল ইসলাম, উপজেলা খেলাফত মজলিশের সভাপতি হাফেজ মো. শহীদুল ইসলাম প্রমুখ। ঝালকাঠিতে ছাত্র-জনতার উদ্যোগে দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল। ভোলায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ইসলামী যুব আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা।
সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা গতকাল বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। পরে মুক্তির সোপানে সমাবেশ হয়। রাজশাহীতে শুক্রবার রাতে এবং গতকাল পৃথক বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। শুক্রবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা ১১টার দিকে একদল শিক্ষার্থী নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এ ছাড়া দুপুরে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে মিছিল বের করা হয়।
নাটোরে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। এদিকে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে সাধারণ ছাত্র-জনতার ব্যানারে দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। সমাবেশে বক্তারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, বিচারহীনতা এবং কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কঠোর সমালোচনা করেন। এমনকি প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দেন। সমাবেশে বক্তৃতা করেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড জিল্লুর রহমান ভিটু, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের জেলা সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড তসলিম উর রহমান প্রমুখ।
‘যুবদলের এক গুণ, পাথর মেরে করে খুন’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কুড়িগ্রামের শিক্ষার্থীরা। পরে সমাবেশে বক্তৃতা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ নাহিদ।
রংপুর দুপুরে সাধারণ বিপ্লবী শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল শেষে শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর আগের শুক্রবার রাতে রংপুর নগরীতে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর মেডিকেল কলেজ ও কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো ফুঁসে উঠেছিল। পরে সেই বিক্ষোভে সাধারণ মানুষও শামিল হয়। পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। এবার পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় আবারও ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে পুরো দেশ। জড়িতদের দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। সমাবেশ থেকে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদও জানানো হয়েছে।
রাজধানীতে বিক্ষোভ
রাজধানীর শাহবাগ মোড় থেকে গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় মশাল মিছিল বের করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্য হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় বৈষম্যবিরোধী নেতা- কর্মীরা ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’; ‘আমার সোনার বাংলায়, চাঁদাবাজের ঠাঁই নাই’; ‘যে হাত চাঁদা তোলে, সেই হাত ভেঙে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশীদ বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ রকমের অবনতি ঘটেছে। মনে হয়, এখানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বদলে কোনো সংস্কৃতি উপদেষ্টা দায়িত্ব পালন করছেন। কোথাও অপরাধ ঘটলে দুই দিন পরও আমরা তার ভিডিও দেখছি, অথচ গণমাধ্যমে তা দেখা যাচ্ছে না।’
তিনি দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সারা দেশে শুদ্ধি অভিযান চালানোর কথা থাকলেও তা হয়নি। আমরা বলি, যদি আপনারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারেন, তাহলে দায়িত্ব ছেড়ে দিন। ছাত্র-জনতা আর অপেক্ষা করবে না।’
এর আগে দুপুরে বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি এবং ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীরা পৃথক কর্মসূচি পালন করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘চাঁদাবাজির কারণে মিটফোর্ড এলাকায় যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা পাথর দিয়ে পিটিয়ে মানুষ মেরেছে। দল দায় না নিয়ে কেবল বহিষ্কারে সীমাবদ্ধ থেকেছে। এটি পরিকল্পিত দলীয় হত্যাকাণ্ড।’ আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘তারেক রহমানকে বলব, দেশে ফিরে এসে নিজের দলকে সামলান, পরিবর্তনের রাজনীতি করুন।’
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। একই সময়ে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাইফুল্লাহ সাকিব বলেন, ‘বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে তৈরি হওয়া সহাবস্থানের পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা এই সহিংসতার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’
ঢাকার বাইরে যত বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সময় সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের কঠোর সমালোচনা করে দলটিকে সতর্ক করেন। গতকাল দুপুরে শহরের চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন তাঁরা।
ফরিদপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ ছাত্র-জনতা। গতকাল মিছিল শেষে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে হুঁশিয়ারি জানান।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা গতকাল দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিকেলে নগরীর শহীদ ফিরোজ-জাহাঙ্গীর চত্বরে প্ল্যাটফর্ম ময়মনসিংহের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। এর আগে ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মিছিল শেষে সমাবেশ করেন। সেখানে শিক্ষার্থীরা দেশব্যাপী চলমান খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
টাঙ্গাইলেও বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এদিকে মধুপুরে শিল্প ও বণিক সমিতি এবং শান্তিকামী জনতার ব্যানারে পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা গত শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখান শিক্ষার্থীরা। তুলে ধরেন পাঁচ দফা দাবি। গতকাল দুপুরে ‘মাগুরা জেলার সকল ছাত্র-জনতা’ ব্যানারে মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে শহরের ভায়না মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নওগাঁ শহরে সংগ্রামী ছাত্র-জনতা ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিল করেন তাঁরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা তানজিম বিন বারীর নেতৃত্বে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সামনে সকালে সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনগণের ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘আমরা জুলুম, খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলন করেছি। যারা আওয়ামী লীগের মতো আবার চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ করছে, তাদেরও একই পরিণতি হবে।’
এদিকে নিহত ব্যবসায়ী সোহাগের নিজ জেলা বরগুনায় গতকাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে। দুপুরে বরগুনা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচি থেকে খুনিদের দৃস্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বরগুনা প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম। বরগুনা প্রেসক্লাব সভাপতি সোহেল হাফিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মুফতি মিজানুর রহমান কাসেমী, জেলা মহিলা পরিষদের সভানেত্রী নাজমা বেগম, জেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল, বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সালেহ, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের জেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর কবীর মৃধা প্রমুখ।
এদিকে তৌহিদি জনতার আয়োজনে বরিশালের মুলাদীতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি এফ এম মাইনুল ইসলাম, উপজেলা খেলাফত মজলিশের সভাপতি হাফেজ মো. শহীদুল ইসলাম প্রমুখ। ঝালকাঠিতে ছাত্র-জনতার উদ্যোগে দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল। ভোলায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ইসলামী যুব আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা।
সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা গতকাল বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। পরে মুক্তির সোপানে সমাবেশ হয়। রাজশাহীতে শুক্রবার রাতে এবং গতকাল পৃথক বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। শুক্রবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা ১১টার দিকে একদল শিক্ষার্থী নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এ ছাড়া দুপুরে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে মিছিল বের করা হয়।
নাটোরে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। এদিকে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে সাধারণ ছাত্র-জনতার ব্যানারে দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। সমাবেশে বক্তারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, বিচারহীনতা এবং কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কঠোর সমালোচনা করেন। এমনকি প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দেন। সমাবেশে বক্তৃতা করেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড জিল্লুর রহমান ভিটু, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের জেলা সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড তসলিম উর রহমান প্রমুখ।
‘যুবদলের এক গুণ, পাথর মেরে করে খুন’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কুড়িগ্রামের শিক্ষার্থীরা। পরে সমাবেশে বক্তৃতা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ নাহিদ।
রংপুর দুপুরে সাধারণ বিপ্লবী শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল শেষে শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর আগের শুক্রবার রাতে রংপুর নগরীতে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর মেডিকেল কলেজ ও কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো ফুঁসে উঠেছিল। পরে সেই বিক্ষোভে সাধারণ মানুষও শামিল হয়। পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। এবার পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় আবারও ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে পুরো দেশ। জড়িতদের দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। সমাবেশ থেকে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদও জানানো হয়েছে।
রাজধানীতে বিক্ষোভ
রাজধানীর শাহবাগ মোড় থেকে গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় মশাল মিছিল বের করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্য হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় বৈষম্যবিরোধী নেতা- কর্মীরা ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’; ‘আমার সোনার বাংলায়, চাঁদাবাজের ঠাঁই নাই’; ‘যে হাত চাঁদা তোলে, সেই হাত ভেঙে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশীদ বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ রকমের অবনতি ঘটেছে। মনে হয়, এখানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বদলে কোনো সংস্কৃতি উপদেষ্টা দায়িত্ব পালন করছেন। কোথাও অপরাধ ঘটলে দুই দিন পরও আমরা তার ভিডিও দেখছি, অথচ গণমাধ্যমে তা দেখা যাচ্ছে না।’
তিনি দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সারা দেশে শুদ্ধি অভিযান চালানোর কথা থাকলেও তা হয়নি। আমরা বলি, যদি আপনারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারেন, তাহলে দায়িত্ব ছেড়ে দিন। ছাত্র-জনতা আর অপেক্ষা করবে না।’
এর আগে দুপুরে বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি এবং ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীরা পৃথক কর্মসূচি পালন করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘চাঁদাবাজির কারণে মিটফোর্ড এলাকায় যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা পাথর দিয়ে পিটিয়ে মানুষ মেরেছে। দল দায় না নিয়ে কেবল বহিষ্কারে সীমাবদ্ধ থেকেছে। এটি পরিকল্পিত দলীয় হত্যাকাণ্ড।’ আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘তারেক রহমানকে বলব, দেশে ফিরে এসে নিজের দলকে সামলান, পরিবর্তনের রাজনীতি করুন।’
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। একই সময়ে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাইফুল্লাহ সাকিব বলেন, ‘বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে তৈরি হওয়া সহাবস্থানের পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা এই সহিংসতার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’
ঢাকার বাইরে যত বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সময় সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের কঠোর সমালোচনা করে দলটিকে সতর্ক করেন। গতকাল দুপুরে শহরের চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন তাঁরা।
ফরিদপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ ছাত্র-জনতা। গতকাল মিছিল শেষে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে হুঁশিয়ারি জানান।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা গতকাল দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিকেলে নগরীর শহীদ ফিরোজ-জাহাঙ্গীর চত্বরে প্ল্যাটফর্ম ময়মনসিংহের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। এর আগে ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মিছিল শেষে সমাবেশ করেন। সেখানে শিক্ষার্থীরা দেশব্যাপী চলমান খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
টাঙ্গাইলেও বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এদিকে মধুপুরে শিল্প ও বণিক সমিতি এবং শান্তিকামী জনতার ব্যানারে পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা গত শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখান শিক্ষার্থীরা। তুলে ধরেন পাঁচ দফা দাবি। গতকাল দুপুরে ‘মাগুরা জেলার সকল ছাত্র-জনতা’ ব্যানারে মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে শহরের ভায়না মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নওগাঁ শহরে সংগ্রামী ছাত্র-জনতা ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিল করেন তাঁরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা তানজিম বিন বারীর নেতৃত্বে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সামনে সকালে সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনগণের ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘আমরা জুলুম, খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলন করেছি। যারা আওয়ামী লীগের মতো আবার চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ করছে, তাদেরও একই পরিণতি হবে।’
এদিকে নিহত ব্যবসায়ী সোহাগের নিজ জেলা বরগুনায় গতকাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে। দুপুরে বরগুনা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচি থেকে খুনিদের দৃস্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বরগুনা প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম। বরগুনা প্রেসক্লাব সভাপতি সোহেল হাফিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মুফতি মিজানুর রহমান কাসেমী, জেলা মহিলা পরিষদের সভানেত্রী নাজমা বেগম, জেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল, বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সালেহ, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের জেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর কবীর মৃধা প্রমুখ।
এদিকে তৌহিদি জনতার আয়োজনে বরিশালের মুলাদীতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি এফ এম মাইনুল ইসলাম, উপজেলা খেলাফত মজলিশের সভাপতি হাফেজ মো. শহীদুল ইসলাম প্রমুখ। ঝালকাঠিতে ছাত্র-জনতার উদ্যোগে দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল। ভোলায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ইসলামী যুব আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা।
সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা গতকাল বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। পরে মুক্তির সোপানে সমাবেশ হয়। রাজশাহীতে শুক্রবার রাতে এবং গতকাল পৃথক বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। শুক্রবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা ১১টার দিকে একদল শিক্ষার্থী নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এ ছাড়া দুপুরে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে মিছিল বের করা হয়।
নাটোরে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। এদিকে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে সাধারণ ছাত্র-জনতার ব্যানারে দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। সমাবেশে বক্তারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, বিচারহীনতা এবং কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কঠোর সমালোচনা করেন। এমনকি প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দেন। সমাবেশে বক্তৃতা করেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড জিল্লুর রহমান ভিটু, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের জেলা সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড তসলিম উর রহমান প্রমুখ।
‘যুবদলের এক গুণ, পাথর মেরে করে খুন’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কুড়িগ্রামের শিক্ষার্থীরা। পরে সমাবেশে বক্তৃতা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ নাহিদ।
রংপুর দুপুরে সাধারণ বিপ্লবী শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল শেষে শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর আগের শুক্রবার রাতে রংপুর নগরীতে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর মেডিকেল কলেজ ও কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করা ও আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশ
১৬ মিনিট আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
২ ঘণ্টা আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যেন বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তাঁরা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাঁদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।
আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারের মাধ্যমে প্রতিবেশি দেশের কাছে এসব অনুরোধ জানানো হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করা ও আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে তাঁর এবং ভারতে পলাতক তাঁর সাঙ্গ-পাঙ্গদের এ সকল ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল পুলিশ সরবরাহ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখ সারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ এরই মধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য হামলার দিন রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এরই মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে এরই মধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যেন বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তাঁরা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাঁদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।
আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারের মাধ্যমে প্রতিবেশি দেশের কাছে এসব অনুরোধ জানানো হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করা ও আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে তাঁর এবং ভারতে পলাতক তাঁর সাঙ্গ-পাঙ্গদের এ সকল ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল পুলিশ সরবরাহ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখ সারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ এরই মধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য হামলার দিন রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এরই মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে এরই মধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো ফুঁসে উঠেছিল। পরে সেই বিক্ষোভে সাধারণ মানুষও শামিল হয়। পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। এবার পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় আবারও ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে পুরো দেশ।
১৩ জুলাই ২০২৫
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
২ ঘণ্টা আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২১ ডিসেম্বর।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
মামলার ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন ১০ সেনা কর্মকর্তা।
তাঁরা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।
আসামিদের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষা-বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন পলাতক রয়েছেন।
র্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন।
পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জন ব্যক্তিকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২১ ডিসেম্বর।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
মামলার ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন ১০ সেনা কর্মকর্তা।
তাঁরা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।
আসামিদের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষা-বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন পলাতক রয়েছেন।
র্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন।
পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জন ব্যক্তিকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো ফুঁসে উঠেছিল। পরে সেই বিক্ষোভে সাধারণ মানুষও শামিল হয়। পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। এবার পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় আবারও ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে পুরো দেশ।
১৩ জুলাই ২০২৫
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করা ও আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশ
১৬ মিনিট আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
২ ঘণ্টা আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন ইসির সিনিয়র সচিব।
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
এর আগে গতকাল শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইসির নিজস্ব তিন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের সব অফিস ও কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
গত শুক্রবার বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করছে ইসি।

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন ইসির সিনিয়র সচিব।
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
এর আগে গতকাল শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইসির নিজস্ব তিন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের সব অফিস ও কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
গত শুক্রবার বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করছে ইসি।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো ফুঁসে উঠেছিল। পরে সেই বিক্ষোভে সাধারণ মানুষও শামিল হয়। পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। এবার পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় আবারও ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে পুরো দেশ।
১৩ জুলাই ২০২৫
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করা ও আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশ
১৬ মিনিট আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
১ ঘণ্টা আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কর্তৃক এই নৃশংস ড্রোন হামলাটি পরিচালিত হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলায় কর্তব্যরত ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ হন। শহীদদের আত্মত্যাগ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে।
ড্রোন হামলায় শহীদ হয়েছেন ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী। তাঁরা হলেন নাটোরের কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা (এএসসি), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম (বীর), রাজবাড়ীর সৈনিক শামীম রেজা (বীর), কুড়িগ্রামের সৈনিক শান্ত মন্ডল (বীর), কিশোরগঞ্জের মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং গাইবান্ধার লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া।
হামলায় আহত হয়েছেন আটজন শান্তিরক্ষী। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়ার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (পিএসসি, অর্ডন্যান্স), দিনাজপুরের সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (বীর), ঢাকার কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (সিগন্যালস), বরগুনার ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম (ইএমই), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (বীর), রংপুরের সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার (ইঞ্জিনিয়ারিং), মানিকগঞ্জের সৈনিক চুমকি আক্তার (অর্ডন্যান্স) এবং নোয়াখালীর সৈনিক মো. মানাজির আহসান (বীর)।
আহত শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে সৈনিক মো. মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত তাঁর সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। অপর সাত আহত শান্তিরক্ষীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানান্তরিত সকলেই বর্তমানে শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে এবং আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কর্তৃক এই নৃশংস ড্রোন হামলাটি পরিচালিত হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলায় কর্তব্যরত ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ হন। শহীদদের আত্মত্যাগ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে।
ড্রোন হামলায় শহীদ হয়েছেন ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী। তাঁরা হলেন নাটোরের কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা (এএসসি), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম (বীর), রাজবাড়ীর সৈনিক শামীম রেজা (বীর), কুড়িগ্রামের সৈনিক শান্ত মন্ডল (বীর), কিশোরগঞ্জের মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং গাইবান্ধার লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া।
হামলায় আহত হয়েছেন আটজন শান্তিরক্ষী। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়ার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (পিএসসি, অর্ডন্যান্স), দিনাজপুরের সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (বীর), ঢাকার কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (সিগন্যালস), বরগুনার ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম (ইএমই), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (বীর), রংপুরের সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার (ইঞ্জিনিয়ারিং), মানিকগঞ্জের সৈনিক চুমকি আক্তার (অর্ডন্যান্স) এবং নোয়াখালীর সৈনিক মো. মানাজির আহসান (বীর)।
আহত শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে সৈনিক মো. মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত তাঁর সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। অপর সাত আহত শান্তিরক্ষীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানান্তরিত সকলেই বর্তমানে শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে এবং আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো ফুঁসে উঠেছিল। পরে সেই বিক্ষোভে সাধারণ মানুষও শামিল হয়। পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। এবার পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় আবারও ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে পুরো দেশ।
১৩ জুলাই ২০২৫
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করা ও আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশ
১৬ মিনিট আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
১ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
২ ঘণ্টা আগে