নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভবিষ্যতে খোলা মাঠে ভোট গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ। আজ রোববার (২ মার্চ) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জাতীয় ভোটার দিবসের আলোচনা সভায় এ প্রস্তাব তুলে ধরে সবার সহযোগিতা চান তিনি।
সভায় নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ বলেন, ‘আমি চাই আমাদের ভোটটা হোক ট্রান্সপারেন্ট। যদি আমরা বদ্ধ ঘরে ভোট অনুষ্ঠান করি, তাহলে কি সেটা স্বচ্ছ হবে? নিশ্চয়ই হবে না, তাই আমি চাই আমাদের নির্বাচনটা হোক খোলা মাঠে। আপনারা কি আমাকে সমর্থন করেন? নির্বাচন তো হয় সাধারণত স্কুল-কলেজের এই ধরনের মাঠে, তারও একটা পাকা বাউন্ডারি থাকে, তার ভেতরের যে মাঠ, সেই মাঠে আমি সেটা করতে চাই, কি করা যাবে নাকি এটাকে পাগলামি মনে হয়? তাহলে আমরা কেন সেটা করছি না, সেটা কি করতে পারব না।?
তরুণ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে খোলা মাঠে নির্বাচন বিষয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তরুণ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আমরা এ কথা বলেছিলাম যে আমরা এমন স্বচ্ছ করতে চাই, তারা বলল যে, ‘‘না ম্যাডাম এটা করা যাবে না’’, ছিনতাইকারী নিয়ে যাবে, আমরা আগেই ছিনতাইকারীকে দিয়ে দিলাম, কেন আমরা ছিনতাইকারীকে দেব, আমরা আছি না, আমরা পারব না আটকাতে, যদি আমরা মাঠে রশি দিয়ে বাউন্ডারি করি, তাহলে সেই বাউন্ডারির ভেতর কেউ কি ঢুকবে, আমরা যখন ব্যাংকে যাই সেখানে তো সরু সুতা দিয়ে লাইন করে দেয় আমরা কি সেখানে থাকি না, সেটা আমরা মানি না, তাহলে সেখানে কেন মানব না, আমরাই-বা কেন সেটা করব না, আপনারাই-বা কেন সেটা সহযোগিতা করবেন না, যদি সহযোগিতা করেন তাহলে আমরা খোলা মাঠে আয়োজন করব।’
খোলা মাঠে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, ‘সংস্কারের এই প্রক্রিয়াকে প্রথমে পাগলামি মনে হতে পারে। নাথিং ইজ ইমপসিবল বলে একটা কথা আছে, আমরাও সেটি দেখিয়ে দিতে চাই, আমাদের এই কমিশনও দেখিয়ে দিতে চাই, এই ক্ষেত্রে আপনারা সবাই আমাদের সহযোগিতা করবেন।’
এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘খোলা মাঠে নির্বাচন হতেই পারে। স্বচ্ছতা থাকা ভালো। তবে প্র্যাকটিক্যাল কি না এটি ভাববার বিষয় আছে।’
আব্দুর রহমানেল মাছউদ আরও বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে কেউ হয়তো বলবেন—সকল দলের অংশগ্রহণ হলেই সেটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়। আমি যদি এক লাইন বাড়িয়ে বলি, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই হলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের অন্যতম প্রধান নিয়ামক। ভোটারদের মতামতের তখনই প্রতিফলন হবে যদি সঠিকভাবে ভোট দিতে পারে।’
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে তার দায় কেউ না কেউ নেবেন। যদি বিগত নির্বাচনগুলো ভালো না হয়ে থাকে এর দায় নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। কেউ এর দায় এড়াতে পারেন না।
ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আরও বলেন, ‘আমাদের ভাবতে হবে আমরা কঠিন পরীক্ষা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা ভেঙে যাব, কিন্তু মচকাবো না। তবে নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে ভালো নির্বাচন করা সম্ভব নয়।’
ভোটার দিবস উদ্বোধনকালে সিইসি জানান, দেশে বর্তমানে মোট ভোটার ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৬১ হাজার ৬১৫, নারী ৬ কোটি ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬৬৫ এবং ৯৯৪ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
ইসি সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জুলাই আন্দোলনে আহত ১৩ জনের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দেন সিইসি।
সভায় আরও জানানো হয়, চলমান হালনাগাদ কার্যক্রম শেষে ৩০ জুনের মধ্যে আরও একটি সাময়িক ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। সেটি সমন্বয় করে পরে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানানো হয়।
ভবিষ্যতে খোলা মাঠে ভোট গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ। আজ রোববার (২ মার্চ) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জাতীয় ভোটার দিবসের আলোচনা সভায় এ প্রস্তাব তুলে ধরে সবার সহযোগিতা চান তিনি।
সভায় নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ বলেন, ‘আমি চাই আমাদের ভোটটা হোক ট্রান্সপারেন্ট। যদি আমরা বদ্ধ ঘরে ভোট অনুষ্ঠান করি, তাহলে কি সেটা স্বচ্ছ হবে? নিশ্চয়ই হবে না, তাই আমি চাই আমাদের নির্বাচনটা হোক খোলা মাঠে। আপনারা কি আমাকে সমর্থন করেন? নির্বাচন তো হয় সাধারণত স্কুল-কলেজের এই ধরনের মাঠে, তারও একটা পাকা বাউন্ডারি থাকে, তার ভেতরের যে মাঠ, সেই মাঠে আমি সেটা করতে চাই, কি করা যাবে নাকি এটাকে পাগলামি মনে হয়? তাহলে আমরা কেন সেটা করছি না, সেটা কি করতে পারব না।?
তরুণ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে খোলা মাঠে নির্বাচন বিষয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তরুণ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আমরা এ কথা বলেছিলাম যে আমরা এমন স্বচ্ছ করতে চাই, তারা বলল যে, ‘‘না ম্যাডাম এটা করা যাবে না’’, ছিনতাইকারী নিয়ে যাবে, আমরা আগেই ছিনতাইকারীকে দিয়ে দিলাম, কেন আমরা ছিনতাইকারীকে দেব, আমরা আছি না, আমরা পারব না আটকাতে, যদি আমরা মাঠে রশি দিয়ে বাউন্ডারি করি, তাহলে সেই বাউন্ডারির ভেতর কেউ কি ঢুকবে, আমরা যখন ব্যাংকে যাই সেখানে তো সরু সুতা দিয়ে লাইন করে দেয় আমরা কি সেখানে থাকি না, সেটা আমরা মানি না, তাহলে সেখানে কেন মানব না, আমরাই-বা কেন সেটা করব না, আপনারাই-বা কেন সেটা সহযোগিতা করবেন না, যদি সহযোগিতা করেন তাহলে আমরা খোলা মাঠে আয়োজন করব।’
খোলা মাঠে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, ‘সংস্কারের এই প্রক্রিয়াকে প্রথমে পাগলামি মনে হতে পারে। নাথিং ইজ ইমপসিবল বলে একটা কথা আছে, আমরাও সেটি দেখিয়ে দিতে চাই, আমাদের এই কমিশনও দেখিয়ে দিতে চাই, এই ক্ষেত্রে আপনারা সবাই আমাদের সহযোগিতা করবেন।’
এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘খোলা মাঠে নির্বাচন হতেই পারে। স্বচ্ছতা থাকা ভালো। তবে প্র্যাকটিক্যাল কি না এটি ভাববার বিষয় আছে।’
আব্দুর রহমানেল মাছউদ আরও বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে কেউ হয়তো বলবেন—সকল দলের অংশগ্রহণ হলেই সেটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়। আমি যদি এক লাইন বাড়িয়ে বলি, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই হলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের অন্যতম প্রধান নিয়ামক। ভোটারদের মতামতের তখনই প্রতিফলন হবে যদি সঠিকভাবে ভোট দিতে পারে।’
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে তার দায় কেউ না কেউ নেবেন। যদি বিগত নির্বাচনগুলো ভালো না হয়ে থাকে এর দায় নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। কেউ এর দায় এড়াতে পারেন না।
ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আরও বলেন, ‘আমাদের ভাবতে হবে আমরা কঠিন পরীক্ষা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা ভেঙে যাব, কিন্তু মচকাবো না। তবে নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে ভালো নির্বাচন করা সম্ভব নয়।’
ভোটার দিবস উদ্বোধনকালে সিইসি জানান, দেশে বর্তমানে মোট ভোটার ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৬১ হাজার ৬১৫, নারী ৬ কোটি ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬৬৫ এবং ৯৯৪ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
ইসি সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জুলাই আন্দোলনে আহত ১৩ জনের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দেন সিইসি।
সভায় আরও জানানো হয়, চলমান হালনাগাদ কার্যক্রম শেষে ৩০ জুনের মধ্যে আরও একটি সাময়িক ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। সেটি সমন্বয় করে পরে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানানো হয়।
আগামী ৫ দিন পর্যন্ত গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি সমতল বাড়তে পারে, তবে বিপদসীমার নীচ দিয়ে তা প্রবাহিত হতে পারে। আজ শনিবার গঙ্গা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে ও পদ্মা নদীর পানি সমতল বাড়ছে ।
২৩ মিনিট আগেছবিতে দেখা যায়, সেনাপ্রধান ও তাঁর স্ত্রী সারাহনাজ কমলিকা রহমানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও বঙ্গবভনের কর্মকর্তারা। তাঁরা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সেনাপ্রধান রাষ্ট্রপতির সঙ্গে করমর্দন ও উষ্ণ আলিঙ্গন করেন।
১ ঘণ্টা আগেস্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) তাঁর মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারকে করিডোর দেওয়ার খবরটি ‘চিলে কান নিয়ে যাওয়ার গল্প’ বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। গতকাল শুক্রবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
৪ ঘণ্টা আগে