নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভবিষ্যতে খোলা মাঠে ভোট গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ। আজ রোববার (২ মার্চ) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জাতীয় ভোটার দিবসের আলোচনা সভায় এ প্রস্তাব তুলে ধরে সবার সহযোগিতা চান তিনি।
সভায় নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ বলেন, ‘আমি চাই আমাদের ভোটটা হোক ট্রান্সপারেন্ট। যদি আমরা বদ্ধ ঘরে ভোট অনুষ্ঠান করি, তাহলে কি সেটা স্বচ্ছ হবে? নিশ্চয়ই হবে না, তাই আমি চাই আমাদের নির্বাচনটা হোক খোলা মাঠে। আপনারা কি আমাকে সমর্থন করেন? নির্বাচন তো হয় সাধারণত স্কুল-কলেজের এই ধরনের মাঠে, তারও একটা পাকা বাউন্ডারি থাকে, তার ভেতরের যে মাঠ, সেই মাঠে আমি সেটা করতে চাই, কি করা যাবে নাকি এটাকে পাগলামি মনে হয়? তাহলে আমরা কেন সেটা করছি না, সেটা কি করতে পারব না।?
তরুণ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে খোলা মাঠে নির্বাচন বিষয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তরুণ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আমরা এ কথা বলেছিলাম যে আমরা এমন স্বচ্ছ করতে চাই, তারা বলল যে, ‘‘না ম্যাডাম এটা করা যাবে না’’, ছিনতাইকারী নিয়ে যাবে, আমরা আগেই ছিনতাইকারীকে দিয়ে দিলাম, কেন আমরা ছিনতাইকারীকে দেব, আমরা আছি না, আমরা পারব না আটকাতে, যদি আমরা মাঠে রশি দিয়ে বাউন্ডারি করি, তাহলে সেই বাউন্ডারির ভেতর কেউ কি ঢুকবে, আমরা যখন ব্যাংকে যাই সেখানে তো সরু সুতা দিয়ে লাইন করে দেয় আমরা কি সেখানে থাকি না, সেটা আমরা মানি না, তাহলে সেখানে কেন মানব না, আমরাই-বা কেন সেটা করব না, আপনারাই-বা কেন সেটা সহযোগিতা করবেন না, যদি সহযোগিতা করেন তাহলে আমরা খোলা মাঠে আয়োজন করব।’
খোলা মাঠে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, ‘সংস্কারের এই প্রক্রিয়াকে প্রথমে পাগলামি মনে হতে পারে। নাথিং ইজ ইমপসিবল বলে একটা কথা আছে, আমরাও সেটি দেখিয়ে দিতে চাই, আমাদের এই কমিশনও দেখিয়ে দিতে চাই, এই ক্ষেত্রে আপনারা সবাই আমাদের সহযোগিতা করবেন।’
এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘খোলা মাঠে নির্বাচন হতেই পারে। স্বচ্ছতা থাকা ভালো। তবে প্র্যাকটিক্যাল কি না এটি ভাববার বিষয় আছে।’
আব্দুর রহমানেল মাছউদ আরও বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে কেউ হয়তো বলবেন—সকল দলের অংশগ্রহণ হলেই সেটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়। আমি যদি এক লাইন বাড়িয়ে বলি, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই হলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের অন্যতম প্রধান নিয়ামক। ভোটারদের মতামতের তখনই প্রতিফলন হবে যদি সঠিকভাবে ভোট দিতে পারে।’
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে তার দায় কেউ না কেউ নেবেন। যদি বিগত নির্বাচনগুলো ভালো না হয়ে থাকে এর দায় নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। কেউ এর দায় এড়াতে পারেন না।
ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আরও বলেন, ‘আমাদের ভাবতে হবে আমরা কঠিন পরীক্ষা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা ভেঙে যাব, কিন্তু মচকাবো না। তবে নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে ভালো নির্বাচন করা সম্ভব নয়।’
ভোটার দিবস উদ্বোধনকালে সিইসি জানান, দেশে বর্তমানে মোট ভোটার ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৬১ হাজার ৬১৫, নারী ৬ কোটি ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬৬৫ এবং ৯৯৪ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
ইসি সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জুলাই আন্দোলনে আহত ১৩ জনের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দেন সিইসি।
সভায় আরও জানানো হয়, চলমান হালনাগাদ কার্যক্রম শেষে ৩০ জুনের মধ্যে আরও একটি সাময়িক ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। সেটি সমন্বয় করে পরে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানানো হয়।
ভবিষ্যতে খোলা মাঠে ভোট গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ। আজ রোববার (২ মার্চ) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জাতীয় ভোটার দিবসের আলোচনা সভায় এ প্রস্তাব তুলে ধরে সবার সহযোগিতা চান তিনি।
সভায় নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ বলেন, ‘আমি চাই আমাদের ভোটটা হোক ট্রান্সপারেন্ট। যদি আমরা বদ্ধ ঘরে ভোট অনুষ্ঠান করি, তাহলে কি সেটা স্বচ্ছ হবে? নিশ্চয়ই হবে না, তাই আমি চাই আমাদের নির্বাচনটা হোক খোলা মাঠে। আপনারা কি আমাকে সমর্থন করেন? নির্বাচন তো হয় সাধারণত স্কুল-কলেজের এই ধরনের মাঠে, তারও একটা পাকা বাউন্ডারি থাকে, তার ভেতরের যে মাঠ, সেই মাঠে আমি সেটা করতে চাই, কি করা যাবে নাকি এটাকে পাগলামি মনে হয়? তাহলে আমরা কেন সেটা করছি না, সেটা কি করতে পারব না।?
তরুণ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে খোলা মাঠে নির্বাচন বিষয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তরুণ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আমরা এ কথা বলেছিলাম যে আমরা এমন স্বচ্ছ করতে চাই, তারা বলল যে, ‘‘না ম্যাডাম এটা করা যাবে না’’, ছিনতাইকারী নিয়ে যাবে, আমরা আগেই ছিনতাইকারীকে দিয়ে দিলাম, কেন আমরা ছিনতাইকারীকে দেব, আমরা আছি না, আমরা পারব না আটকাতে, যদি আমরা মাঠে রশি দিয়ে বাউন্ডারি করি, তাহলে সেই বাউন্ডারির ভেতর কেউ কি ঢুকবে, আমরা যখন ব্যাংকে যাই সেখানে তো সরু সুতা দিয়ে লাইন করে দেয় আমরা কি সেখানে থাকি না, সেটা আমরা মানি না, তাহলে সেখানে কেন মানব না, আমরাই-বা কেন সেটা করব না, আপনারাই-বা কেন সেটা সহযোগিতা করবেন না, যদি সহযোগিতা করেন তাহলে আমরা খোলা মাঠে আয়োজন করব।’
খোলা মাঠে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, ‘সংস্কারের এই প্রক্রিয়াকে প্রথমে পাগলামি মনে হতে পারে। নাথিং ইজ ইমপসিবল বলে একটা কথা আছে, আমরাও সেটি দেখিয়ে দিতে চাই, আমাদের এই কমিশনও দেখিয়ে দিতে চাই, এই ক্ষেত্রে আপনারা সবাই আমাদের সহযোগিতা করবেন।’
এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘খোলা মাঠে নির্বাচন হতেই পারে। স্বচ্ছতা থাকা ভালো। তবে প্র্যাকটিক্যাল কি না এটি ভাববার বিষয় আছে।’
আব্দুর রহমানেল মাছউদ আরও বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে কেউ হয়তো বলবেন—সকল দলের অংশগ্রহণ হলেই সেটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়। আমি যদি এক লাইন বাড়িয়ে বলি, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই হলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের অন্যতম প্রধান নিয়ামক। ভোটারদের মতামতের তখনই প্রতিফলন হবে যদি সঠিকভাবে ভোট দিতে পারে।’
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে তার দায় কেউ না কেউ নেবেন। যদি বিগত নির্বাচনগুলো ভালো না হয়ে থাকে এর দায় নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। কেউ এর দায় এড়াতে পারেন না।
ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আরও বলেন, ‘আমাদের ভাবতে হবে আমরা কঠিন পরীক্ষা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা ভেঙে যাব, কিন্তু মচকাবো না। তবে নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে ভালো নির্বাচন করা সম্ভব নয়।’
ভোটার দিবস উদ্বোধনকালে সিইসি জানান, দেশে বর্তমানে মোট ভোটার ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৬১ হাজার ৬১৫, নারী ৬ কোটি ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬৬৫ এবং ৯৯৪ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
ইসি সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জুলাই আন্দোলনে আহত ১৩ জনের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দেন সিইসি।
সভায় আরও জানানো হয়, চলমান হালনাগাদ কার্যক্রম শেষে ৩০ জুনের মধ্যে আরও একটি সাময়িক ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। সেটি সমন্বয় করে পরে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানানো হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভবিষ্যতে খোলা মাঠে ভোট গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ। আজ রোববার (২ মার্চ) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জাতীয় ভোটার দিবসের আলোচনা সভায় এ প্রস্তাব তুলে ধরে সবার সহযোগিতা চান তিনি।
সভায় নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ বলেন, ‘আমি চাই আমাদের ভোটটা হোক ট্রান্সপারেন্ট। যদি আমরা বদ্ধ ঘরে ভোট অনুষ্ঠান করি, তাহলে কি সেটা স্বচ্ছ হবে? নিশ্চয়ই হবে না, তাই আমি চাই আমাদের নির্বাচনটা হোক খোলা মাঠে। আপনারা কি আমাকে সমর্থন করেন? নির্বাচন তো হয় সাধারণত স্কুল-কলেজের এই ধরনের মাঠে, তারও একটা পাকা বাউন্ডারি থাকে, তার ভেতরের যে মাঠ, সেই মাঠে আমি সেটা করতে চাই, কি করা যাবে নাকি এটাকে পাগলামি মনে হয়? তাহলে আমরা কেন সেটা করছি না, সেটা কি করতে পারব না।?
তরুণ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে খোলা মাঠে নির্বাচন বিষয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তরুণ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আমরা এ কথা বলেছিলাম যে আমরা এমন স্বচ্ছ করতে চাই, তারা বলল যে, ‘‘না ম্যাডাম এটা করা যাবে না’’, ছিনতাইকারী নিয়ে যাবে, আমরা আগেই ছিনতাইকারীকে দিয়ে দিলাম, কেন আমরা ছিনতাইকারীকে দেব, আমরা আছি না, আমরা পারব না আটকাতে, যদি আমরা মাঠে রশি দিয়ে বাউন্ডারি করি, তাহলে সেই বাউন্ডারির ভেতর কেউ কি ঢুকবে, আমরা যখন ব্যাংকে যাই সেখানে তো সরু সুতা দিয়ে লাইন করে দেয় আমরা কি সেখানে থাকি না, সেটা আমরা মানি না, তাহলে সেখানে কেন মানব না, আমরাই-বা কেন সেটা করব না, আপনারাই-বা কেন সেটা সহযোগিতা করবেন না, যদি সহযোগিতা করেন তাহলে আমরা খোলা মাঠে আয়োজন করব।’
খোলা মাঠে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, ‘সংস্কারের এই প্রক্রিয়াকে প্রথমে পাগলামি মনে হতে পারে। নাথিং ইজ ইমপসিবল বলে একটা কথা আছে, আমরাও সেটি দেখিয়ে দিতে চাই, আমাদের এই কমিশনও দেখিয়ে দিতে চাই, এই ক্ষেত্রে আপনারা সবাই আমাদের সহযোগিতা করবেন।’
এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘খোলা মাঠে নির্বাচন হতেই পারে। স্বচ্ছতা থাকা ভালো। তবে প্র্যাকটিক্যাল কি না এটি ভাববার বিষয় আছে।’
আব্দুর রহমানেল মাছউদ আরও বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে কেউ হয়তো বলবেন—সকল দলের অংশগ্রহণ হলেই সেটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়। আমি যদি এক লাইন বাড়িয়ে বলি, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই হলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের অন্যতম প্রধান নিয়ামক। ভোটারদের মতামতের তখনই প্রতিফলন হবে যদি সঠিকভাবে ভোট দিতে পারে।’
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে তার দায় কেউ না কেউ নেবেন। যদি বিগত নির্বাচনগুলো ভালো না হয়ে থাকে এর দায় নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। কেউ এর দায় এড়াতে পারেন না।
ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আরও বলেন, ‘আমাদের ভাবতে হবে আমরা কঠিন পরীক্ষা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা ভেঙে যাব, কিন্তু মচকাবো না। তবে নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে ভালো নির্বাচন করা সম্ভব নয়।’
ভোটার দিবস উদ্বোধনকালে সিইসি জানান, দেশে বর্তমানে মোট ভোটার ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৬১ হাজার ৬১৫, নারী ৬ কোটি ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬৬৫ এবং ৯৯৪ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
ইসি সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জুলাই আন্দোলনে আহত ১৩ জনের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দেন সিইসি।
সভায় আরও জানানো হয়, চলমান হালনাগাদ কার্যক্রম শেষে ৩০ জুনের মধ্যে আরও একটি সাময়িক ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। সেটি সমন্বয় করে পরে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানানো হয়।
ভবিষ্যতে খোলা মাঠে ভোট গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ। আজ রোববার (২ মার্চ) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জাতীয় ভোটার দিবসের আলোচনা সভায় এ প্রস্তাব তুলে ধরে সবার সহযোগিতা চান তিনি।
সভায় নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ বলেন, ‘আমি চাই আমাদের ভোটটা হোক ট্রান্সপারেন্ট। যদি আমরা বদ্ধ ঘরে ভোট অনুষ্ঠান করি, তাহলে কি সেটা স্বচ্ছ হবে? নিশ্চয়ই হবে না, তাই আমি চাই আমাদের নির্বাচনটা হোক খোলা মাঠে। আপনারা কি আমাকে সমর্থন করেন? নির্বাচন তো হয় সাধারণত স্কুল-কলেজের এই ধরনের মাঠে, তারও একটা পাকা বাউন্ডারি থাকে, তার ভেতরের যে মাঠ, সেই মাঠে আমি সেটা করতে চাই, কি করা যাবে নাকি এটাকে পাগলামি মনে হয়? তাহলে আমরা কেন সেটা করছি না, সেটা কি করতে পারব না।?
তরুণ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে খোলা মাঠে নির্বাচন বিষয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তরুণ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আমরা এ কথা বলেছিলাম যে আমরা এমন স্বচ্ছ করতে চাই, তারা বলল যে, ‘‘না ম্যাডাম এটা করা যাবে না’’, ছিনতাইকারী নিয়ে যাবে, আমরা আগেই ছিনতাইকারীকে দিয়ে দিলাম, কেন আমরা ছিনতাইকারীকে দেব, আমরা আছি না, আমরা পারব না আটকাতে, যদি আমরা মাঠে রশি দিয়ে বাউন্ডারি করি, তাহলে সেই বাউন্ডারির ভেতর কেউ কি ঢুকবে, আমরা যখন ব্যাংকে যাই সেখানে তো সরু সুতা দিয়ে লাইন করে দেয় আমরা কি সেখানে থাকি না, সেটা আমরা মানি না, তাহলে সেখানে কেন মানব না, আমরাই-বা কেন সেটা করব না, আপনারাই-বা কেন সেটা সহযোগিতা করবেন না, যদি সহযোগিতা করেন তাহলে আমরা খোলা মাঠে আয়োজন করব।’
খোলা মাঠে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, ‘সংস্কারের এই প্রক্রিয়াকে প্রথমে পাগলামি মনে হতে পারে। নাথিং ইজ ইমপসিবল বলে একটা কথা আছে, আমরাও সেটি দেখিয়ে দিতে চাই, আমাদের এই কমিশনও দেখিয়ে দিতে চাই, এই ক্ষেত্রে আপনারা সবাই আমাদের সহযোগিতা করবেন।’
এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘খোলা মাঠে নির্বাচন হতেই পারে। স্বচ্ছতা থাকা ভালো। তবে প্র্যাকটিক্যাল কি না এটি ভাববার বিষয় আছে।’
আব্দুর রহমানেল মাছউদ আরও বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে কেউ হয়তো বলবেন—সকল দলের অংশগ্রহণ হলেই সেটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়। আমি যদি এক লাইন বাড়িয়ে বলি, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই হলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের অন্যতম প্রধান নিয়ামক। ভোটারদের মতামতের তখনই প্রতিফলন হবে যদি সঠিকভাবে ভোট দিতে পারে।’
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে তার দায় কেউ না কেউ নেবেন। যদি বিগত নির্বাচনগুলো ভালো না হয়ে থাকে এর দায় নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। কেউ এর দায় এড়াতে পারেন না।
ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আরও বলেন, ‘আমাদের ভাবতে হবে আমরা কঠিন পরীক্ষা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা ভেঙে যাব, কিন্তু মচকাবো না। তবে নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে ভালো নির্বাচন করা সম্ভব নয়।’
ভোটার দিবস উদ্বোধনকালে সিইসি জানান, দেশে বর্তমানে মোট ভোটার ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৬১ হাজার ৬১৫, নারী ৬ কোটি ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬৬৫ এবং ৯৯৪ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
ইসি সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জুলাই আন্দোলনে আহত ১৩ জনের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দেন সিইসি।
সভায় আরও জানানো হয়, চলমান হালনাগাদ কার্যক্রম শেষে ৩০ জুনের মধ্যে আরও একটি সাময়িক ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। সেটি সমন্বয় করে পরে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানানো হয়।
গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে তৈরি হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ। এই আদেশের ধারা-উপধারায় কী কী থাকবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আদেশের একটি খসড়া নিয়ে গতকাল বুধবার বিশেষজ্ঞদের কমিশন সদস্যদের বৈঠক হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ, গণভোটের সময়, প্রশাসন দলীয়করণসহ কয়েকটি বিষয়ে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে দেশের বড় দুই দল বিএনপি, জামায়াত এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল এনসিপি। নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান উপদেষ্টার কাছে নিজেদের দাবিদাওয়া জানিয়েছে দল তিনটি।
১০ ঘণ্টা আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর)। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ নাগরিকের পক্ষ থেকে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া তত্ত্বাবধায়ক...
১২ ঘণ্টা আগেএমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোয়নের বিধানসংবলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোকছেদুর রহমানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে তৈরি হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ। এই আদেশের ধারা-উপধারায় কী কী থাকবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আদেশের একটি খসড়া নিয়ে গতকাল বুধবার বিশেষজ্ঞদের কমিশন সদস্যদের বৈঠক হয়েছে। তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এই বৈঠকে আদেশের ড্রাফট তৈরি করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আবারও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করবে কমিশন।
গতকালের বৈঠকে উপস্থিত এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আদেশটা কী রকম হবে তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কারণ সেখানে তো অনেক খুঁটিনাটি আছে, ধারা-উপধারায় কী থাকবে, সেগুলো এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আশা করছি, পরবর্তী বৈঠকে আদেশটি চূড়ান্ত করতে পারব।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বৃহস্পতিবার সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করার চেষ্টা করব।’
সূত্র জানায়, গতকালের আলোচনায় এটি মোটামুটি ঠিক হয়েছে, সনদ বাস্তবায়ন আদেশের মূল ভিত্তি হবে গণ-অভ্যুত্থান। প্রাথমিক খসড়া অনুযায়ী সনদ বাস্তবায়নে প্রথমে একটি আদেশ জারি করা হবে। সেটার অধীনে গণভোট নিয়ে হবে একটি অধ্যাদেশ। তার ভিত্তিতে হবে গণভোট। গণভোট করার জন্য আলাদা একটি অধ্যাদেশ করতে হবে। সেখানে বলা থাকতে পারে ‘বিশেষ গণভোট’ করার জন্য একটি অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। তবে অধ্যাদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট। আগামী সংসদ দ্বৈত ভূমিকা পালন করবে।
ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, গতকালের আলোচনায় একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, আগামী সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দেওয়া হবে। সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হবে। সংসদ সদস্যরা একই সঙ্গে সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু সংসদ নির্বাচন হবে কিসের ভিত্তিতে? কারণ বিদ্যমান সংবিধানে বলা আছে, মেয়াদের আগে সংসদ ভেঙে গেলে ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। ইতিমধ্যে সে সময়সীমা পার হয়ে গেছে। কিন্তু এ বিষয়ে সুপারিশ করার এখতিয়ার ঐকমত্য কমিশনের আছে কি না। এটি নিয়ে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ ছাড়া সংস্কার পরিষদের কাজ কী হবে, সেটাও উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। এটি নিয়ে প্রশ্ন এলেও আলোচনা এগোয়নি।
সূত্রে জানা গেছে, আগামী সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা তথা সংবিধান সংস্কার পরিষদের ৯ মাস, অর্থাৎ ২৭০ দিনের সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার চিন্তা করছে কমিশন। নির্বাচনের পর গঠিত সংসদ এই ২৭০ দিনের মধ্যেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। এরপর সংসদ তার স্বাভাবিক আইন প্রণয়ন কার্যক্রমে ফিরে যাবে। কমিশনের মতে, তারা এমন একটি প্রস্তাব দিতে চায়, যার মাধ্যমে আগামী নির্বাচিত সরকার এই দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে না পারে।
গণভোটের প্রশ্ন কী হবে, সেটা নিয়েও সিদ্ধান্ত গতকালের বৈঠকে হয়নি বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। এক বিশেষজ্ঞ বলেন, গণভোটের প্রশ্ন নিয়ে আরও আলাপ-আলোচনা করতে হবে। অন্যদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশে সনদ থাকা আপত্তিগুলোর (নোট অব ডিসেন্ট) কোন প্রক্রিয়ায় সমাধান হবে, সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
গতকাল কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি সম্পর্কিত সুপারিশ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে গতকাল সভা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সভায় সনদ বাস্তবায়নের বিভিন্ন সুপারিশ নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রাপ্ত পরামর্শ নিয়েও সুদীর্ঘ আলোচনা হয়। এসব বিষয়ে কমিশন বৃহস্পতিবার সকালে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে, আবারও বেলা ২টায় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কমিশন।
জাতীয় সংসদের কমিশন কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন এবং ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। এ ছাড়া জাতীয় ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে তৈরি হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ। এই আদেশের ধারা-উপধারায় কী কী থাকবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আদেশের একটি খসড়া নিয়ে গতকাল বুধবার বিশেষজ্ঞদের কমিশন সদস্যদের বৈঠক হয়েছে। তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এই বৈঠকে আদেশের ড্রাফট তৈরি করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আবারও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করবে কমিশন।
গতকালের বৈঠকে উপস্থিত এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আদেশটা কী রকম হবে তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কারণ সেখানে তো অনেক খুঁটিনাটি আছে, ধারা-উপধারায় কী থাকবে, সেগুলো এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আশা করছি, পরবর্তী বৈঠকে আদেশটি চূড়ান্ত করতে পারব।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বৃহস্পতিবার সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করার চেষ্টা করব।’
সূত্র জানায়, গতকালের আলোচনায় এটি মোটামুটি ঠিক হয়েছে, সনদ বাস্তবায়ন আদেশের মূল ভিত্তি হবে গণ-অভ্যুত্থান। প্রাথমিক খসড়া অনুযায়ী সনদ বাস্তবায়নে প্রথমে একটি আদেশ জারি করা হবে। সেটার অধীনে গণভোট নিয়ে হবে একটি অধ্যাদেশ। তার ভিত্তিতে হবে গণভোট। গণভোট করার জন্য আলাদা একটি অধ্যাদেশ করতে হবে। সেখানে বলা থাকতে পারে ‘বিশেষ গণভোট’ করার জন্য একটি অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। তবে অধ্যাদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট। আগামী সংসদ দ্বৈত ভূমিকা পালন করবে।
ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, গতকালের আলোচনায় একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, আগামী সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দেওয়া হবে। সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হবে। সংসদ সদস্যরা একই সঙ্গে সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু সংসদ নির্বাচন হবে কিসের ভিত্তিতে? কারণ বিদ্যমান সংবিধানে বলা আছে, মেয়াদের আগে সংসদ ভেঙে গেলে ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। ইতিমধ্যে সে সময়সীমা পার হয়ে গেছে। কিন্তু এ বিষয়ে সুপারিশ করার এখতিয়ার ঐকমত্য কমিশনের আছে কি না। এটি নিয়ে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ ছাড়া সংস্কার পরিষদের কাজ কী হবে, সেটাও উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। এটি নিয়ে প্রশ্ন এলেও আলোচনা এগোয়নি।
সূত্রে জানা গেছে, আগামী সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা তথা সংবিধান সংস্কার পরিষদের ৯ মাস, অর্থাৎ ২৭০ দিনের সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার চিন্তা করছে কমিশন। নির্বাচনের পর গঠিত সংসদ এই ২৭০ দিনের মধ্যেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। এরপর সংসদ তার স্বাভাবিক আইন প্রণয়ন কার্যক্রমে ফিরে যাবে। কমিশনের মতে, তারা এমন একটি প্রস্তাব দিতে চায়, যার মাধ্যমে আগামী নির্বাচিত সরকার এই দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে না পারে।
গণভোটের প্রশ্ন কী হবে, সেটা নিয়েও সিদ্ধান্ত গতকালের বৈঠকে হয়নি বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। এক বিশেষজ্ঞ বলেন, গণভোটের প্রশ্ন নিয়ে আরও আলাপ-আলোচনা করতে হবে। অন্যদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশে সনদ থাকা আপত্তিগুলোর (নোট অব ডিসেন্ট) কোন প্রক্রিয়ায় সমাধান হবে, সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
গতকাল কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি সম্পর্কিত সুপারিশ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে গতকাল সভা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সভায় সনদ বাস্তবায়নের বিভিন্ন সুপারিশ নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রাপ্ত পরামর্শ নিয়েও সুদীর্ঘ আলোচনা হয়। এসব বিষয়ে কমিশন বৃহস্পতিবার সকালে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে, আবারও বেলা ২টায় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কমিশন।
জাতীয় সংসদের কমিশন কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন এবং ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। এ ছাড়া জাতীয় ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ভবিষ্যতে খোলা মাঠে ভোট গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ। আজ রোববার (২ মার্চ) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জাতীয় ভোটার দিবসের আলোচনা সভায় এ প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেন তিনি।
০২ মার্চ ২০২৫জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ, গণভোটের সময়, প্রশাসন দলীয়করণসহ কয়েকটি বিষয়ে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে দেশের বড় দুই দল বিএনপি, জামায়াত এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল এনসিপি। নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান উপদেষ্টার কাছে নিজেদের দাবিদাওয়া জানিয়েছে দল তিনটি।
১০ ঘণ্টা আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর)। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ নাগরিকের পক্ষ থেকে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া তত্ত্বাবধায়ক...
১২ ঘণ্টা আগেএমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোয়নের বিধানসংবলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোকছেদুর রহমানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ, গণভোটের সময়, প্রশাসন দলীয়করণসহ কয়েকটি বিষয়ে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে দেশের বড় দুই দল বিএনপি, জামায়াত এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল এনসিপি। নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান উপদেষ্টার কাছে নিজেদের দাবিদাওয়া জানিয়েছে দল তিনটি। এসব দাবি পূরণে ভারসাম্য রেখে কীভাবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা হবে, তা নিয়ে চাপে পড়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে সম্প্রতি চরম মতভিন্নতা দেখা দেয় দলগুলোর মধ্যে। এ কারণে সনদে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেয়নি এনসিপি। এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও সংলাপ শুরু করেছে সরকার। যদিও বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলতেই রাজনৈতিক দলগুলো প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার জন্য যা যা দরকার, প্রধান উপদেষ্টা তা করবেন। কিছু বিষয়ে দলগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থান নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে গত মঙ্গলবার বিএনপি এবং গতকাল বুধবার এনসিপি ও জামায়াতের নেতারা বৈঠক করেছেন। বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে কাজ করার দাবি জানায় বিএনপি। নির্বাচনকালে প্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার কথাও বলেছে দলটি।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর কারও নাম উল্লেখ না করে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছে, তাদের দুরভিসন্ধি রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করাসহ বেশ কিছু বিষয়ে কথা বলেন বিএনপির নেতারা। সরকারের মধ্যে যদি কোনো দলীয় লোক থেকে থাকেন, তাঁদের অপসারণেরও দাবি জানায় দলটি।
জুলাই আন্দোলনের ছাত্র নেতৃত্বের প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং মো. মাহফুজ আলম। বিএনপি এই দুজন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছিল। এ বিষয়ে নাহিদ বলেছেন, আসিফ ও মাহফুজ কোনো দলের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে নেই। তাঁরা গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে রয়েছেন।
বর্তমান সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে করতে হলে উপদেষ্টা পরিষদের আকার ছোট করতে হবে। উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হলে শুধু দুজন ছাত্র উপদেষ্টা নয়, অন্য যেসব উপদেষ্টার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তাঁদের নামও গতকাল প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছে এনসিপি।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য আছে। বাস্তবায়নের উপায় দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পাঁচ দিনের সংলাপেও সমাধান আসেনি। এর মধ্যে ঐকমত্য কমিশন এই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেবে। যার নাম হতে পারে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ। তবে বিএনপি এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে জামায়াত ও এনসিপি চায় প্রধান উপদেষ্টা এই সনদ জারি করুক।
জাতীয় নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে গণভোটের কথা বলে আসছে বিএনপি। গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন এক দিনে করা নিয়ে বিএনপি জটিলতা তৈরির চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি জানিয়েছেন, নভেম্বরের শেষে গণভোট হতে পারে। গণভোট হলে জনগণের সিদ্ধান্ত নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন, সচিবালয়, পুলিশ প্রশাসনে ৭০-৮০ শতাংশ কর্মকর্তা একটি দলের অনুগত বলেও দাবি করেছেন তাহের। বিএনপিও প্রশাসন দলীয়করণের অভিযোগ তুলে প্রধান উপদেষ্টার কাছে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দাবি জানিয়েছে। এনিসিপিও এ বিষয়ে কথা বলেছে।
সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ দেওয়ার পর বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। সে ক্ষেত্রে দলগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে আর আলোচনা না-ও হতে পারে।
সরকার মনে করছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দৃশ্যমান রাজনৈতিক মতানৈক্য থাকলেও তাদের মধ্যে ভেতরে ভেতরে একধরনের যোগাযোগ রয়েছে, এটি বেশ ইতিবাচক।
বিএনপি ও এনসিপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে ভিন্ন অবস্থানে থাকলেও বিষয়টি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকায় এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেনি জামায়াত। তবে অন্তর্বর্তী সরকার আদালতের রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবে বলে মত দিয়েছে জামায়াত।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর নাহিদ জানিয়েছেন, শাপলা প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি। অন্যদিকে দলটিকে শাপলা প্রতীক দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এনসিপি ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছে। এটি নতুন কোনো সংকট তৈরি করবে কি না, তা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে আলোচনা রয়েছে।
দলগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থানে ভোটে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বুধরার রাতে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভোটে কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ তারা (দলগুলো) নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলাপ করতে এসেছিল। প্রধান উপদেষ্টা তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। উনি তাদের আশ্বাস দিয়েছেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার জন্য যা যা দরকার তিনি সেটা করবেন। দলগুলোর সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টা দৃঢ়ভাবে বলছেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উৎসবমুখর হবে। তার জন্য যতটুকু দরকার, সেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। নির্বাচনে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত ও এনসিপি নেতাদের বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, এনসিপি ও জামায়াত নেতারা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি, গণভোট এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের রোডম্যাপ নিয়েও আলোচনা করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা উভয় দলকে আশ্বস্ত করে বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করার স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ, গণভোটের সময়, প্রশাসন দলীয়করণসহ কয়েকটি বিষয়ে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে দেশের বড় দুই দল বিএনপি, জামায়াত এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল এনসিপি। নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান উপদেষ্টার কাছে নিজেদের দাবিদাওয়া জানিয়েছে দল তিনটি। এসব দাবি পূরণে ভারসাম্য রেখে কীভাবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা হবে, তা নিয়ে চাপে পড়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে সম্প্রতি চরম মতভিন্নতা দেখা দেয় দলগুলোর মধ্যে। এ কারণে সনদে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেয়নি এনসিপি। এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও সংলাপ শুরু করেছে সরকার। যদিও বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলতেই রাজনৈতিক দলগুলো প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার জন্য যা যা দরকার, প্রধান উপদেষ্টা তা করবেন। কিছু বিষয়ে দলগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থান নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে গত মঙ্গলবার বিএনপি এবং গতকাল বুধবার এনসিপি ও জামায়াতের নেতারা বৈঠক করেছেন। বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে কাজ করার দাবি জানায় বিএনপি। নির্বাচনকালে প্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার কথাও বলেছে দলটি।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর কারও নাম উল্লেখ না করে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছে, তাদের দুরভিসন্ধি রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করাসহ বেশ কিছু বিষয়ে কথা বলেন বিএনপির নেতারা। সরকারের মধ্যে যদি কোনো দলীয় লোক থেকে থাকেন, তাঁদের অপসারণেরও দাবি জানায় দলটি।
জুলাই আন্দোলনের ছাত্র নেতৃত্বের প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং মো. মাহফুজ আলম। বিএনপি এই দুজন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছিল। এ বিষয়ে নাহিদ বলেছেন, আসিফ ও মাহফুজ কোনো দলের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে নেই। তাঁরা গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে রয়েছেন।
বর্তমান সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে করতে হলে উপদেষ্টা পরিষদের আকার ছোট করতে হবে। উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হলে শুধু দুজন ছাত্র উপদেষ্টা নয়, অন্য যেসব উপদেষ্টার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তাঁদের নামও গতকাল প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছে এনসিপি।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য আছে। বাস্তবায়নের উপায় দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পাঁচ দিনের সংলাপেও সমাধান আসেনি। এর মধ্যে ঐকমত্য কমিশন এই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেবে। যার নাম হতে পারে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ। তবে বিএনপি এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে জামায়াত ও এনসিপি চায় প্রধান উপদেষ্টা এই সনদ জারি করুক।
জাতীয় নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে গণভোটের কথা বলে আসছে বিএনপি। গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন এক দিনে করা নিয়ে বিএনপি জটিলতা তৈরির চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি জানিয়েছেন, নভেম্বরের শেষে গণভোট হতে পারে। গণভোট হলে জনগণের সিদ্ধান্ত নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন, সচিবালয়, পুলিশ প্রশাসনে ৭০-৮০ শতাংশ কর্মকর্তা একটি দলের অনুগত বলেও দাবি করেছেন তাহের। বিএনপিও প্রশাসন দলীয়করণের অভিযোগ তুলে প্রধান উপদেষ্টার কাছে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দাবি জানিয়েছে। এনিসিপিও এ বিষয়ে কথা বলেছে।
সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ দেওয়ার পর বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। সে ক্ষেত্রে দলগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে আর আলোচনা না-ও হতে পারে।
সরকার মনে করছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দৃশ্যমান রাজনৈতিক মতানৈক্য থাকলেও তাদের মধ্যে ভেতরে ভেতরে একধরনের যোগাযোগ রয়েছে, এটি বেশ ইতিবাচক।
বিএনপি ও এনসিপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে ভিন্ন অবস্থানে থাকলেও বিষয়টি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকায় এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেনি জামায়াত। তবে অন্তর্বর্তী সরকার আদালতের রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবে বলে মত দিয়েছে জামায়াত।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর নাহিদ জানিয়েছেন, শাপলা প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি। অন্যদিকে দলটিকে শাপলা প্রতীক দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এনসিপি ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছে। এটি নতুন কোনো সংকট তৈরি করবে কি না, তা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে আলোচনা রয়েছে।
দলগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থানে ভোটে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বুধরার রাতে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভোটে কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ তারা (দলগুলো) নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলাপ করতে এসেছিল। প্রধান উপদেষ্টা তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। উনি তাদের আশ্বাস দিয়েছেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার জন্য যা যা দরকার তিনি সেটা করবেন। দলগুলোর সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টা দৃঢ়ভাবে বলছেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উৎসবমুখর হবে। তার জন্য যতটুকু দরকার, সেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। নির্বাচনে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত ও এনসিপি নেতাদের বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, এনসিপি ও জামায়াত নেতারা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি, গণভোট এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের রোডম্যাপ নিয়েও আলোচনা করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা উভয় দলকে আশ্বস্ত করে বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করার স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
ভবিষ্যতে খোলা মাঠে ভোট গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ। আজ রোববার (২ মার্চ) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জাতীয় ভোটার দিবসের আলোচনা সভায় এ প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেন তিনি।
০২ মার্চ ২০২৫গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে তৈরি হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ। এই আদেশের ধারা-উপধারায় কী কী থাকবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আদেশের একটি খসড়া নিয়ে গতকাল বুধবার বিশেষজ্ঞদের কমিশন সদস্যদের বৈঠক হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর)। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ নাগরিকের পক্ষ থেকে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া তত্ত্বাবধায়ক...
১২ ঘণ্টা আগেএমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোয়নের বিধানসংবলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোকছেদুর রহমানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার
১৪ ঘণ্টা আগেআপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর)। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ নাগরিকের পক্ষ থেকে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে ১৪তম জাতীয় নির্বাচন থেকে তা কার্যকর করার আবেদন জানান।
শুনানি শেষে ড. শরীফ ভূঁইয়া আদালতে সাংবাদিকদের বলেন, বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এক রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন, তাতে নানা ত্রুটি রয়েছে। তিনি যুক্তি দেন, বিচারপতিরা রায় দিতে গিয়ে সাংবিধানিক সীমা অতিক্রম করেছেন, এমনকি সংসদ ও নির্বাহী বিভাগের এখতিয়ারভুক্ত বিষয়েও সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এর ফলে তাঁরা বিচারিক ক্ষমতার বাইরে গিয়েছিলেন, যা রায়টির একটি মৌলিক ত্রুটি।
শরীফ ভূঁইয়া আরও বলেন, অনেকে মনে করেন, ২০০৬–০৮ সালের রাজনৈতিক সংকট ও সেনাসমর্থিত সরকারের উত্থান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যর্থতা। কিন্তু এটি সঠিক নয়। ওই সংকট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার ত্রুটির কারণে নয়, বরং তৎকালীন রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক বিধান না মেনে নিজেকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কারণে সৃষ্টি হয়েছিল। সংবিধান লঙ্ঘনের ফলে সেই সংকটের জন্ম হয়।
এ সময় আদালতে প্রশ্ন ওঠে—তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল হলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর এর প্রভাব পড়বে কি না। জবাবে শরীফ ভূঁইয়া বলেন, বর্তমান সরকার একটি ভিন্ন সাংবিধানিক বাস্তবতায় গঠিত—এটি সংবিধানের লিখিত অনুচ্ছেদের অধীনে নয়, বরং বিপ্লবপরবর্তী জন-আকাঙ্ক্ষা ও রাষ্ট্রীয় শূন্যতা থেকে উদ্ভূত। জনগণ এই সরকারকে তিনটি ম্যান্ডেট দিয়েছেন—দেশ পরিচালনা, সংস্কার বাস্তবায়ন ও নির্বাচন আয়োজনের পর নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরলেও বর্তমান সরকারের মেয়াদ বা দায়িত্বে কোনো পরিবর্তন আসবে না।
আদালতে আরও একটি প্রশ্ন ওঠে—যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে আসে, তাহলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে কি একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে?
ড. শরীফ ভূঁইয়া বলেন, না, সেটা সম্ভব নয়। কারণ, ত্রয়োদশ সংশোধনীর অধীনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিধান অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে সরকার গঠন করতে হয়। বর্তমান সংসদ এক বছরের বেশি আগে বিলুপ্ত হয়েছে, তাই সেই সাংবিধানিক ‘ট্রিগারিং’ সময়সীমা পেরিয়ে গেছে। ফলে ত্রয়োদশ সংশোধনী পুনরুজ্জীবিত হলেও এখনই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা সম্ভব নয়। এটি কেবল পরবর্তী সংসদ ভেঙে গেলে কার্যকর হতে পারে।
শরীফ ভূঁইয়া আরও বলেন, বিচারপতি খায়রুল হকের রায় যদি আপিল বিভাগ বাতিল করেন, তবে ত্রয়োদশ সংশোধনী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানের অংশ হিসেবে পুনরুজ্জীবিত হবে—এ জন্য নতুন কোনো আইন করতে সংসদের প্রয়োজন হবে না। এটি বাংলাদেশের প্রচলিত আইনব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠিত একটি নীতি।
আদালত গাইডলাইন দিতে পারে কি না—এ প্রশ্নে শরীফ ভূঁইয়া বলেন, আদালত রায়ে উল্লেখ করতে পারেন যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারই আগামী নির্বাচন আয়োজন করবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা কার্যকর হবে তার পরের অর্থাৎ চতুর্দশ জাতীয় নির্বাচনে। তবে নির্দেশনা না দিলেও সংবিধানের ৫৮(সি) ধারার বিধান অনুযায়ী এখনই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা সম্ভব নয়।
শরীফ ভূঁইয়া শেষ বক্তব্যে বলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের দেওয়া দায়িত্ব অনুযায়ী আগামী নির্বাচন সম্পন্ন করবে। সংবিধানের কাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে এখন কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের সুযোগ নেই।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর)। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ নাগরিকের পক্ষ থেকে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে ১৪তম জাতীয় নির্বাচন থেকে তা কার্যকর করার আবেদন জানান।
শুনানি শেষে ড. শরীফ ভূঁইয়া আদালতে সাংবাদিকদের বলেন, বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এক রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন, তাতে নানা ত্রুটি রয়েছে। তিনি যুক্তি দেন, বিচারপতিরা রায় দিতে গিয়ে সাংবিধানিক সীমা অতিক্রম করেছেন, এমনকি সংসদ ও নির্বাহী বিভাগের এখতিয়ারভুক্ত বিষয়েও সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এর ফলে তাঁরা বিচারিক ক্ষমতার বাইরে গিয়েছিলেন, যা রায়টির একটি মৌলিক ত্রুটি।
শরীফ ভূঁইয়া আরও বলেন, অনেকে মনে করেন, ২০০৬–০৮ সালের রাজনৈতিক সংকট ও সেনাসমর্থিত সরকারের উত্থান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যর্থতা। কিন্তু এটি সঠিক নয়। ওই সংকট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার ত্রুটির কারণে নয়, বরং তৎকালীন রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক বিধান না মেনে নিজেকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কারণে সৃষ্টি হয়েছিল। সংবিধান লঙ্ঘনের ফলে সেই সংকটের জন্ম হয়।
এ সময় আদালতে প্রশ্ন ওঠে—তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল হলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর এর প্রভাব পড়বে কি না। জবাবে শরীফ ভূঁইয়া বলেন, বর্তমান সরকার একটি ভিন্ন সাংবিধানিক বাস্তবতায় গঠিত—এটি সংবিধানের লিখিত অনুচ্ছেদের অধীনে নয়, বরং বিপ্লবপরবর্তী জন-আকাঙ্ক্ষা ও রাষ্ট্রীয় শূন্যতা থেকে উদ্ভূত। জনগণ এই সরকারকে তিনটি ম্যান্ডেট দিয়েছেন—দেশ পরিচালনা, সংস্কার বাস্তবায়ন ও নির্বাচন আয়োজনের পর নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরলেও বর্তমান সরকারের মেয়াদ বা দায়িত্বে কোনো পরিবর্তন আসবে না।
আদালতে আরও একটি প্রশ্ন ওঠে—যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে আসে, তাহলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে কি একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে?
ড. শরীফ ভূঁইয়া বলেন, না, সেটা সম্ভব নয়। কারণ, ত্রয়োদশ সংশোধনীর অধীনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিধান অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে সরকার গঠন করতে হয়। বর্তমান সংসদ এক বছরের বেশি আগে বিলুপ্ত হয়েছে, তাই সেই সাংবিধানিক ‘ট্রিগারিং’ সময়সীমা পেরিয়ে গেছে। ফলে ত্রয়োদশ সংশোধনী পুনরুজ্জীবিত হলেও এখনই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা সম্ভব নয়। এটি কেবল পরবর্তী সংসদ ভেঙে গেলে কার্যকর হতে পারে।
শরীফ ভূঁইয়া আরও বলেন, বিচারপতি খায়রুল হকের রায় যদি আপিল বিভাগ বাতিল করেন, তবে ত্রয়োদশ সংশোধনী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানের অংশ হিসেবে পুনরুজ্জীবিত হবে—এ জন্য নতুন কোনো আইন করতে সংসদের প্রয়োজন হবে না। এটি বাংলাদেশের প্রচলিত আইনব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠিত একটি নীতি।
আদালত গাইডলাইন দিতে পারে কি না—এ প্রশ্নে শরীফ ভূঁইয়া বলেন, আদালত রায়ে উল্লেখ করতে পারেন যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারই আগামী নির্বাচন আয়োজন করবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা কার্যকর হবে তার পরের অর্থাৎ চতুর্দশ জাতীয় নির্বাচনে। তবে নির্দেশনা না দিলেও সংবিধানের ৫৮(সি) ধারার বিধান অনুযায়ী এখনই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা সম্ভব নয়।
শরীফ ভূঁইয়া শেষ বক্তব্যে বলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের দেওয়া দায়িত্ব অনুযায়ী আগামী নির্বাচন সম্পন্ন করবে। সংবিধানের কাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে এখন কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের সুযোগ নেই।
ভবিষ্যতে খোলা মাঠে ভোট গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ। আজ রোববার (২ মার্চ) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জাতীয় ভোটার দিবসের আলোচনা সভায় এ প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেন তিনি।
০২ মার্চ ২০২৫গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে তৈরি হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ। এই আদেশের ধারা-উপধারায় কী কী থাকবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আদেশের একটি খসড়া নিয়ে গতকাল বুধবার বিশেষজ্ঞদের কমিশন সদস্যদের বৈঠক হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ, গণভোটের সময়, প্রশাসন দলীয়করণসহ কয়েকটি বিষয়ে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে দেশের বড় দুই দল বিএনপি, জামায়াত এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল এনসিপি। নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান উপদেষ্টার কাছে নিজেদের দাবিদাওয়া জানিয়েছে দল তিনটি।
১০ ঘণ্টা আগেএমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোয়নের বিধানসংবলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোকছেদুর রহমানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোয়নের বিধানসংবলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোকছেদুর রহমানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসানের বেঞ্চ দুই মাসের জন্য প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এস এম জাহাঙ্গীর আলম ও রুহুল কাইয়ুম।
এস এম জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা ২০২৪ সংশোধন করে সভাপতি পদ শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছিল। তার আলোকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নতুন কমিটি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালত ওই প্রজ্ঞাপন দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। একই সঙ্গে আদালত রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, এ বিধান কেন অসাংবিধানিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না।
শুনানি শেষে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের মনোনয়নের বিধানটি বৈষম্যমূলক। এ কারণেই আদালত প্রজ্ঞাপনটির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন।
গত সেপ্টেম্বর জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া অন্য কেউ হতে পারবেন না। নবম গ্রেড বা তার ওপরের পদে কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সভাপতির প্রার্থীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা সমমান হতে হবে। নবম গ্রেডের নিচে নয় এমন সরকারি কর্মকর্তা, পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয় এমন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সভাপতি হতে পারবেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তা (নবম গ্রেডের নিচে নয়) বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়) মনোয়নের বিধানসংবলিত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোকছেদুর রহমানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসানের বেঞ্চ দুই মাসের জন্য প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এস এম জাহাঙ্গীর আলম ও রুহুল কাইয়ুম।
এস এম জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা ২০২৪ সংশোধন করে সভাপতি পদ শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছিল। তার আলোকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নতুন কমিটি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালত ওই প্রজ্ঞাপন দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। একই সঙ্গে আদালত রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, এ বিধান কেন অসাংবিধানিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না।
শুনানি শেষে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের মনোনয়নের বিধানটি বৈষম্যমূলক। এ কারণেই আদালত প্রজ্ঞাপনটির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন।
গত সেপ্টেম্বর জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া অন্য কেউ হতে পারবেন না। নবম গ্রেড বা তার ওপরের পদে কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সভাপতির প্রার্থীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা সমমান হতে হবে। নবম গ্রেডের নিচে নয় এমন সরকারি কর্মকর্তা, পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয় এমন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সভাপতি হতে পারবেন।
ভবিষ্যতে খোলা মাঠে ভোট গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ। আজ রোববার (২ মার্চ) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জাতীয় ভোটার দিবসের আলোচনা সভায় এ প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেন তিনি।
০২ মার্চ ২০২৫গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে তৈরি হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ। এই আদেশের ধারা-উপধারায় কী কী থাকবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আদেশের একটি খসড়া নিয়ে গতকাল বুধবার বিশেষজ্ঞদের কমিশন সদস্যদের বৈঠক হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ, গণভোটের সময়, প্রশাসন দলীয়করণসহ কয়েকটি বিষয়ে বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে দেশের বড় দুই দল বিএনপি, জামায়াত এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল এনসিপি। নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান উপদেষ্টার কাছে নিজেদের দাবিদাওয়া জানিয়েছে দল তিনটি।
১০ ঘণ্টা আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর)। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ নাগরিকের পক্ষ থেকে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া তত্ত্বাবধায়ক...
১২ ঘণ্টা আগে