নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের বিদ্যমান সড়ক পরিবহন আইন পরিবহনব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিয়েছে। তাতে সড়ক ব্যবহারকারীদের আচরণগত ঝুঁকির বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা নেই। এতে সড়ক নিরাপত্তায় জাতিসংঘ ঘোষিত একাধিক বিষয় উপেক্ষিত রয়েছে। রয়েছে সীমাবদ্ধতাও। এ অবস্থায় পৃথক সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাঁরা বলছেন, দেশে মানুষ নিহত ও আহত হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ সড়ক দুর্ঘটনা, যা অর্থনীতি ও স্বাস্থ্য খাতে বিশাল চাপ সৃষ্টি করে চলেছে।
বিআরটিএয়ের হিসাব মতে, প্রতিবছর দেশে গড়ে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। ১০ হাজারের বেশি বিভিন্ন মাত্রায় আহত হয় এবং পঙ্গুত্ববরণ করে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি (আনুমানিক ৩১ হাজার ৫৭৮ জন)। এই সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
সড়ক নিরাপত্তার জন্য সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ ‘পরিপূর্ণ’ নয় বলে মনে করেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের ভাইস চেয়ারম্যান লিটন এরশাদ।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইনের শিরোনামটি ভুল বলে মনে করি। যা হওয়া উচিত সড়ক পরিবহন ও সড়ক নিরাপত্তা আইন। সেটা হলে সড়ক নিরাপত্তার সব বিষয় আইনে আনা যেত। কিন্তু সড়ক পরিবহন আইন হওয়ায় সব বিষয় থাকলেও ব্যাখ্যার জায়গাতে অসম্পূর্ণতা থাকে।’
জাতিসংঘের ‘সেকেন্ড ডিক্যাড অব অ্যাকশন ফর রোড সেফটি ২০২১-২০৩০’ সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পাঁচটি মূল স্তম্ভ নির্ধারণ করেছে—নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো, নিরাপদ মোটরযান, নিরাপদ সড়ক ব্যবহারকারী এবং দুর্ঘটনা-পরবর্তী কার্যকর ব্যবস্থা।
বাংলাদেশের বর্তমান আইন ও বিধিমালা এ কাঠামোর সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। উন্নত দেশগুলোর মতো কঠোর গতিসীমা পর্যবেক্ষণ, প্রযুক্তি-নির্ভর মনিটরিং, আন্তর্জাতিক মানের সুরক্ষা সরঞ্জাম এবং দুর্ঘটনা-পরবর্তী জরুরি সেবা এখনো বাংলাদেশে যথাযথভাবে কার্যকর হয়নি। সড়ক পরিবহন আইনে ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক ব্যবহারকারী, যেমন—পথচারী, সাইক্লিস্ট, শিশু এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুরক্ষার বিষয়টি উপেক্ষিত হয়েছে।
যথাযথ মানদণ্ড অনুসরণ করে রোড ক্র্যাশের তদন্ত করা এবং রেকর্ড সংরক্ষণ করার বিষয়ে আইনি কাঠামোতে কোনো বিধান রাখা হয়নি বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
নতুন আইনে স্পিড ক্যামেরা, পয়েন্টভিত্তিক লাইসেন্স সিস্টেম, বাধ্যতামূলক বিমা ও পথচারী সুরক্ষা বিধানের পাশাপাশি পাবলিক ট্রান্সপোর্ট মালিক ও অপারেটরদের ড্রাইভার নির্বাচনে আইনগত দায়িত্ব দেওয়ার কথা গুরুত্ব দিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
সড়ক পরিবহন আইনটি পরিবহন-সংক্রান্ত আইন হওয়ায় সড়কে নিরাপত্তার বিষয়টি তেমনভাবে সংযুক্ত হয়নি বলে মনে করেন গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ড. মো. শরিফুল আলম। এ জন্য সড়ক নিরাপত্তা আইনে এ বিষয়ে বিস্তৃত বক্তব্য থাকবে।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেখানে পথচারী, ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ, বৃদ্ধ, নারী-শিশু, প্রতিবন্ধীদের নিরাপত্তা থাকবে সবার ওপরে। একই সঙ্গে চালকদের নিরাপত্তার বিষয়টিও থাকবে। কারণ, আমাদের সংস্কৃতি হচ্ছে সবকিছুতে চালকদের দোষারোপ করি, শাস্তি দেওয়ার জোর দাবি জানাই। সড়ক দুর্ঘটনায় লক্কড়ঝক্কড় গাড়ির মালিকদের দায়-দায়িত্ব নেই? একই সঙ্গে ত্রুটিপূর্ণ সড়ক ব্যবস্থার জন্যও তো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। রাস্তায় খানাখন্দের জন্য তো সড়কের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে।’
এ ক্ষেত্রে সড়ক নিরাপত্তা আইন হলে সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন এ বিশেষজ্ঞ। একই সঙ্গে বর্তমান সড়ক পরিবহন ত্রুটি হতে মুক্ত হতে পারব।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রণালয়ের সড়ক নিরাপত্তা শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব শরণ কুমার বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে আইন তৈরির বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। বলার মতো কিছুই হয়নি।’
দেশের বিদ্যমান সড়ক পরিবহন আইন পরিবহনব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিয়েছে। তাতে সড়ক ব্যবহারকারীদের আচরণগত ঝুঁকির বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা নেই। এতে সড়ক নিরাপত্তায় জাতিসংঘ ঘোষিত একাধিক বিষয় উপেক্ষিত রয়েছে। রয়েছে সীমাবদ্ধতাও। এ অবস্থায় পৃথক সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাঁরা বলছেন, দেশে মানুষ নিহত ও আহত হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ সড়ক দুর্ঘটনা, যা অর্থনীতি ও স্বাস্থ্য খাতে বিশাল চাপ সৃষ্টি করে চলেছে।
বিআরটিএয়ের হিসাব মতে, প্রতিবছর দেশে গড়ে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। ১০ হাজারের বেশি বিভিন্ন মাত্রায় আহত হয় এবং পঙ্গুত্ববরণ করে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি (আনুমানিক ৩১ হাজার ৫৭৮ জন)। এই সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
সড়ক নিরাপত্তার জন্য সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ ‘পরিপূর্ণ’ নয় বলে মনে করেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের ভাইস চেয়ারম্যান লিটন এরশাদ।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইনের শিরোনামটি ভুল বলে মনে করি। যা হওয়া উচিত সড়ক পরিবহন ও সড়ক নিরাপত্তা আইন। সেটা হলে সড়ক নিরাপত্তার সব বিষয় আইনে আনা যেত। কিন্তু সড়ক পরিবহন আইন হওয়ায় সব বিষয় থাকলেও ব্যাখ্যার জায়গাতে অসম্পূর্ণতা থাকে।’
জাতিসংঘের ‘সেকেন্ড ডিক্যাড অব অ্যাকশন ফর রোড সেফটি ২০২১-২০৩০’ সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পাঁচটি মূল স্তম্ভ নির্ধারণ করেছে—নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো, নিরাপদ মোটরযান, নিরাপদ সড়ক ব্যবহারকারী এবং দুর্ঘটনা-পরবর্তী কার্যকর ব্যবস্থা।
বাংলাদেশের বর্তমান আইন ও বিধিমালা এ কাঠামোর সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। উন্নত দেশগুলোর মতো কঠোর গতিসীমা পর্যবেক্ষণ, প্রযুক্তি-নির্ভর মনিটরিং, আন্তর্জাতিক মানের সুরক্ষা সরঞ্জাম এবং দুর্ঘটনা-পরবর্তী জরুরি সেবা এখনো বাংলাদেশে যথাযথভাবে কার্যকর হয়নি। সড়ক পরিবহন আইনে ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক ব্যবহারকারী, যেমন—পথচারী, সাইক্লিস্ট, শিশু এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুরক্ষার বিষয়টি উপেক্ষিত হয়েছে।
যথাযথ মানদণ্ড অনুসরণ করে রোড ক্র্যাশের তদন্ত করা এবং রেকর্ড সংরক্ষণ করার বিষয়ে আইনি কাঠামোতে কোনো বিধান রাখা হয়নি বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
নতুন আইনে স্পিড ক্যামেরা, পয়েন্টভিত্তিক লাইসেন্স সিস্টেম, বাধ্যতামূলক বিমা ও পথচারী সুরক্ষা বিধানের পাশাপাশি পাবলিক ট্রান্সপোর্ট মালিক ও অপারেটরদের ড্রাইভার নির্বাচনে আইনগত দায়িত্ব দেওয়ার কথা গুরুত্ব দিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
সড়ক পরিবহন আইনটি পরিবহন-সংক্রান্ত আইন হওয়ায় সড়কে নিরাপত্তার বিষয়টি তেমনভাবে সংযুক্ত হয়নি বলে মনে করেন গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ড. মো. শরিফুল আলম। এ জন্য সড়ক নিরাপত্তা আইনে এ বিষয়ে বিস্তৃত বক্তব্য থাকবে।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেখানে পথচারী, ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ, বৃদ্ধ, নারী-শিশু, প্রতিবন্ধীদের নিরাপত্তা থাকবে সবার ওপরে। একই সঙ্গে চালকদের নিরাপত্তার বিষয়টিও থাকবে। কারণ, আমাদের সংস্কৃতি হচ্ছে সবকিছুতে চালকদের দোষারোপ করি, শাস্তি দেওয়ার জোর দাবি জানাই। সড়ক দুর্ঘটনায় লক্কড়ঝক্কড় গাড়ির মালিকদের দায়-দায়িত্ব নেই? একই সঙ্গে ত্রুটিপূর্ণ সড়ক ব্যবস্থার জন্যও তো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। রাস্তায় খানাখন্দের জন্য তো সড়কের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে।’
এ ক্ষেত্রে সড়ক নিরাপত্তা আইন হলে সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন এ বিশেষজ্ঞ। একই সঙ্গে বর্তমান সড়ক পরিবহন ত্রুটি হতে মুক্ত হতে পারব।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রণালয়ের সড়ক নিরাপত্তা শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব শরণ কুমার বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে আইন তৈরির বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। বলার মতো কিছুই হয়নি।’
সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, ‘নির্বাচনের পথে যদি অতিরিক্ত সহিংসতা হয়, তাহলে নির্বাচন ভঙ্গুর হয়ে যাবে।’
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনের লক্ষ্যে ধর্ম, লিঙ্গ ও জাতিগত বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে।
১২ ঘণ্টা আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমানকে আদালত থেকে কারাগারে ফেরত নেওয়ার সময় অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশের এক এসআই ও ১০ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) পুলিশের এক অফিস আদেশের মাধ্যমে তাঁদের বরখাস্ত করা হয়।
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কখনোই প্রাইভেট খাতের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মতো বিষয় নয়, এগুলো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হওয়া উচিত। জাতীয় উন্নয়নের পথে এগোতে চাইলে জনগণকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে...
১৭ ঘণ্টা আগে