নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে কয়েক দিন ধরে চলছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং হচ্ছে গড়ে ৮-১০ ঘণ্টা। নিয়ন্ত্রিত লোডশেডিং করা হচ্ছে ঢাকায়ও। রাজধানীর কোনো কোনো এলাকাসহ বাইরের বিভিন্ন স্থানে দিনে ৬ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের অভিযোগ পাওয়া যায়। রাজধানীর মণিপুরীপাড়ার এক বাসিন্দা জানান, গতকাল বুধবার সকাল থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে তাঁদের এলাকায় দুই দফায় ২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। মগবাজার এলাকার এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, তাঁদের ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের সম্মুখীন হতে হয়।
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী দেশের ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার তথ্যমতে, দিনে লোডশেডিং ২ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে। দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) সোমবার লোডশেডিং করেছে ৮৬৬ মেগাওয়াট। গতকাল লোডশেডিং ১ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং হয়েছে খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহের গ্রাম এলাকায়।
ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) ও ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ৩ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং করতে হয়েছে।
তৈরি পোশাকশিল্পসহ বাংলাদেশের শিল্পকারখানাগুলো এখন দিনে ৮-১০ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা বিদ্যুতের সঙ্গে গ্যাসের সংকটেও আছি। সাব-কন্ট্রাকটিং কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। আর বড় কারখানাগুলো সক্ষমতার অর্ধেকের বেশি উৎপাদন করতে পারছে না।’ বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘আমরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ পেতে গ্যাসের ১৭৮ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি মেনে নিয়েছিলাম। শর্ত ছিল, আমাদের নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস-বিদ্যুৎ দেবে। কিন্তু আমরা এখন ঠিকমতো গ্যাস, বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। আমাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এখন লাভের চেয়ে লোকসান কত কমাতে পারি, সেই চিন্তায় আছি।’
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গতকাল দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সৈয়দপুরে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ছিল ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতেও সারা দেশের তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকছে। অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুল হামিদ আজকের পত্রিকাকে জানান, আরও দুই থেকে তিন দিন তাপমাত্রা এমন থাকবে। জুনের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিকে বা দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ এলে তাপপ্রবাহ কমতে পারে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্রে জানা যায়, গতকাল সারা দেশে ২ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং করতে হয়েছে।
পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) এস এম ওয়াজেদ আলী সরদার বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে সমস্যায় আছি। গরম বাড়ার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এখন একটু লোডশেডিং করতে হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে।’
দেশে মোট ১৫৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা ২৩ হাজার ৩৭০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে একাংশ বন্ধ থাকে জ্বালানির অভাবে। রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও কিছু বন্ধ রাখতে হয়।
ডলারের সংকট থাকায় সরকার গ্যাস, কয়লা ও জ্বালানি তেল আমদানি নিরবচ্ছিন্ন করতে পারছে না। গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর উৎপাদনক্ষমতা ১১ হাজার ৩৯ মেগাওয়াট। গড়ে উৎপাদন করা হয়েছে ৬ হাজার ২২১ মেগাওয়াট। পিডিবি জানিয়েছে, চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ করতে না পারায় অলস পড়ে আছে বিদ্যুৎকেন্দ্র। সুখবর নেই ফার্নেস অয়েল ও ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেও। উৎপাদন সক্ষমতা ৭ হাজার মেগাওয়াটের বেশি থাকলেও উৎপাদন করা হচ্ছে ২ হাজার ২২৬ মেগাওয়াট।
পিডিবি আরও জানায়, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিটও চলছে অর্ধেকের কম সক্ষমতায়। গতকাল রামপালে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় ৩২৪ মেগাওয়াট। এর মধ্যে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রা।
ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. কাওসার আমীর আলী বলেন, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেলে লোডশেডিং আরও বাড়বে। তখন হয়তো ঢাকায় ৪-৫ ঘণ্টাও লোডশেডিং হবে।
দেশে কয়েক দিন ধরে চলছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং হচ্ছে গড়ে ৮-১০ ঘণ্টা। নিয়ন্ত্রিত লোডশেডিং করা হচ্ছে ঢাকায়ও। রাজধানীর কোনো কোনো এলাকাসহ বাইরের বিভিন্ন স্থানে দিনে ৬ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের অভিযোগ পাওয়া যায়। রাজধানীর মণিপুরীপাড়ার এক বাসিন্দা জানান, গতকাল বুধবার সকাল থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে তাঁদের এলাকায় দুই দফায় ২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। মগবাজার এলাকার এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, তাঁদের ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের সম্মুখীন হতে হয়।
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী দেশের ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার তথ্যমতে, দিনে লোডশেডিং ২ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে। দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) সোমবার লোডশেডিং করেছে ৮৬৬ মেগাওয়াট। গতকাল লোডশেডিং ১ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং হয়েছে খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহের গ্রাম এলাকায়।
ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) ও ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ৩ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং করতে হয়েছে।
তৈরি পোশাকশিল্পসহ বাংলাদেশের শিল্পকারখানাগুলো এখন দিনে ৮-১০ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা বিদ্যুতের সঙ্গে গ্যাসের সংকটেও আছি। সাব-কন্ট্রাকটিং কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। আর বড় কারখানাগুলো সক্ষমতার অর্ধেকের বেশি উৎপাদন করতে পারছে না।’ বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘আমরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ পেতে গ্যাসের ১৭৮ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি মেনে নিয়েছিলাম। শর্ত ছিল, আমাদের নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস-বিদ্যুৎ দেবে। কিন্তু আমরা এখন ঠিকমতো গ্যাস, বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। আমাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এখন লাভের চেয়ে লোকসান কত কমাতে পারি, সেই চিন্তায় আছি।’
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গতকাল দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সৈয়দপুরে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ছিল ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতেও সারা দেশের তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকছে। অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুল হামিদ আজকের পত্রিকাকে জানান, আরও দুই থেকে তিন দিন তাপমাত্রা এমন থাকবে। জুনের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিকে বা দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ এলে তাপপ্রবাহ কমতে পারে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্রে জানা যায়, গতকাল সারা দেশে ২ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং করতে হয়েছে।
পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) এস এম ওয়াজেদ আলী সরদার বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে সমস্যায় আছি। গরম বাড়ার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এখন একটু লোডশেডিং করতে হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে।’
দেশে মোট ১৫৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা ২৩ হাজার ৩৭০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে একাংশ বন্ধ থাকে জ্বালানির অভাবে। রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও কিছু বন্ধ রাখতে হয়।
ডলারের সংকট থাকায় সরকার গ্যাস, কয়লা ও জ্বালানি তেল আমদানি নিরবচ্ছিন্ন করতে পারছে না। গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর উৎপাদনক্ষমতা ১১ হাজার ৩৯ মেগাওয়াট। গড়ে উৎপাদন করা হয়েছে ৬ হাজার ২২১ মেগাওয়াট। পিডিবি জানিয়েছে, চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ করতে না পারায় অলস পড়ে আছে বিদ্যুৎকেন্দ্র। সুখবর নেই ফার্নেস অয়েল ও ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেও। উৎপাদন সক্ষমতা ৭ হাজার মেগাওয়াটের বেশি থাকলেও উৎপাদন করা হচ্ছে ২ হাজার ২২৬ মেগাওয়াট।
পিডিবি আরও জানায়, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিটও চলছে অর্ধেকের কম সক্ষমতায়। গতকাল রামপালে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় ৩২৪ মেগাওয়াট। এর মধ্যে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রা।
ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. কাওসার আমীর আলী বলেন, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেলে লোডশেডিং আরও বাড়বে। তখন হয়তো ঢাকায় ৪-৫ ঘণ্টাও লোডশেডিং হবে।
গতকাল শুক্রবার ছিল ছুটির দিন। তাই রাজধানীর বাংলাবাজারের সৃজনশীল প্রকাশনীগুলো বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু পরদিন থেকে বইমেলার শুরু; এ কারণে প্রকাশকদের ব্যস্ততার শেষ নেই। পিকআপ ও ভ্যানে ওঠানো হচ্ছে নতুন বই। ছাপা, বাঁধাইয়ের কর্মী, শ্রমিক সবাই ব্যস্ত প্রথম দিনে নতুন বই পাঠকের সামনে তুলে ধরার কাজে। গতকাল রাতভ
৬ ঘণ্টা আগেজ্বালানি তেলের দাম লিটারে এক টাকা বেড়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ১ টাকা বেড়ে ১০৫ টাকা, কেরোসিন ১০৪ টাকা থেকে ১০৫ টাকা এবং অকটেন ১২৬ টাকা ও পেট্রল ১২২ টাকায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে...
১১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রতিবেদনের বাস্তবতার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই; এটি শুধুই একটি বলিউডি রোমান্টিক কমেডি। আজ শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস ফেসবুকে তাদের ভেরিফায়েড..
১১ ঘণ্টা আগেমজুরি বৈষম্য দূরীকরণ, চাকরির সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিজেদের অধিকার আদায় করতে শুধু সংস্কার কমিশনের সুপারিশ যথেষ্ট নয়, বরং আন্দোলন–সংগ্রামও চালিয়ে যেতে হবে—এমনটাই বলেছেন খোদ সরকারের শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ।
১৩ ঘণ্টা আগে