প্রতিনিধি, জাবি
বাংলাদেশ প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) এর সদস্য আহসান হাবীব। অভিযোগ সমূহের মধ্যে রয়েছে পিএইচডি জালিয়াতি, অর্থ লোপাট, অফিশিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট ভঙ্গ, ঘুষ প্রদান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি’তে অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন আহসান হাবীব।
আহসান হাবীব লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের খুশি রাখতে বিএলআরআই মহাপরিচালক আবদুল জলিলের নির্দেশে নিয়মিতভাবে গবেষণা প্রাণীর উৎপাদিত ডিম, দুধ, মুরগি মন্ত্রণালয়ে প্রচুর পরিমাণে পাঠানো হয়। এমনকি ছুটির দিনে তাঁরা বিএলআরআইতে ভ্রমণে আসলে বিরাট ভূরিভোজের আয়োজন করা হয় এবং এ সকল অর্থের জোগান দেওয়া হয় প্রাণীর খাদ্য বাজেট থেকে। ছুটির দিনে কর্মকর্তাদের মাছ ধরার শখও মেটানো হয় প্রাণীর খাদ্য বাজেট থেকে।’
বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রী অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আহসান হাবীব আরও বলেন, ‘অতীতে তিনি (আবদুল জলিল) ছাগল ও ভেড়া বিভাগের বিভাগীয় প্রধান থাকাকালে অবৈধভাবে ছাগল বিক্রয় করে সেগুলোকে মৃত্যু দেখিয়ে অর্থ লোপাট করেছেন। যার কারণে ছাগলের মৃত্যুহার শতকরা ৩০ শতাংশের ওপর এবং নিয়মানুযায়ী সেগুলোর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নেই। শুদ্ধাচারের পুরস্কার প্রদানের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী বাছাই কমিটির আহ্বায়ক থাকাকালে নিজেই পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। বিএলআরআই এর মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও তিনি এর ২টি পুকুর লিজ নিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালক থাকাকালীন অনেক অনিয়ম ও অর্থ লোপাট করেছেন। প্রকল্পের গবেষণায় নামমাত্র অর্থ খরচ করে বেনামে শ্রমিক বিল করে লাখ লাখ টাকা লোপাট করেছেন।’
এর আগে গত ২২ আগস্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বরাবর বিএলআরআই এর মহাপরিচালক আবদুল জলিলের নামে পিএইচডি জালিয়াতির অভিযোগ করেন আহসান হাবীব।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘জাবি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মফিজুল কবিরের তত্ত্বাবধানে ২০১৫ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন আবদুল জলিল। তাঁকে ‘Characterization of Black Bengal Goat’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভের (থিসিস) জন্য এ ডিগ্রি দেওয়া হয়। কিন্তু উক্ত অভিসন্দর্ভটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিএসসি শিক্ষার্থীর থিসিস থেকে হুবহু নকল করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর নাম আজিজুর রহমান। তিনি ‘Molecular Characterization of Black Bengal Goat and Jamunapari Goat Breeds by RAPD Markers’ শীর্ষক থিসিস সম্পন্ন করেন। পরে সেটি ‘American Journal of Animal and Veterinary science’ এ ২০০৬ সালের ভলিউম-১ এ প্রকাশিত হয়। আবদুল জলিল এ চুরির মাধ্যমে স্বনামধন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা এবং গবেষণার মান ক্ষুণ্ন করারও চেষ্টা করেছেন।’
এ ব্যাপারে পিএইচডি তত্ত্বাবধায়ক প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মফিজুল কবিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ দিকে ‘American Journal of Animal and Veterinary science’ এর ওয়েবসাইটে ‘Molecular Characterization of Black Bengal Goat and Jamunapari Goat Breeds by RAPD Markers’ শীর্ষক গবেষণাপত্রের লেখক হিসেবে আবদুল জলিলসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ রয়েছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এর মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল জলিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আহসান হাবীব আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ করেছে তার সবগুলোই অসত্য। সে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে কারণ আমি তাঁর অবৈধ আবদার রাখতে পারিনি। সে বিএলআরআই-এ ডেইরি উন্নয়ন গবেষণা প্রকল্পের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ছিলেন। ইতিমধ্যে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু সে তাঁর কার্যকাল বৃদ্ধি করতে চায়। যেটা অবৈধ। ফলে আমি তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করিনি। তাই ক্ষোভের বশীভূত হয়ে সে এসব অভিযোগ এনেছে আমার বিরুদ্ধে।’
তিনি বলেন, ‘আমি কোন পিএইচডি জালিয়াতি করিনি। একটি বিশ্ববিদ্যালয় বুঝেশুনেই আমাকে ডিগ্রি দিয়েছে। আর উচ্চপদস্থ কোন কর্মকর্তার বন্ধু হলে যে আমি এই পদের যোগ্যতা হারিয়েছি এমন কোন বিধি নেই। আমি শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।’
বাংলাদেশ প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) এর সদস্য আহসান হাবীব। অভিযোগ সমূহের মধ্যে রয়েছে পিএইচডি জালিয়াতি, অর্থ লোপাট, অফিশিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট ভঙ্গ, ঘুষ প্রদান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি’তে অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন আহসান হাবীব।
আহসান হাবীব লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের খুশি রাখতে বিএলআরআই মহাপরিচালক আবদুল জলিলের নির্দেশে নিয়মিতভাবে গবেষণা প্রাণীর উৎপাদিত ডিম, দুধ, মুরগি মন্ত্রণালয়ে প্রচুর পরিমাণে পাঠানো হয়। এমনকি ছুটির দিনে তাঁরা বিএলআরআইতে ভ্রমণে আসলে বিরাট ভূরিভোজের আয়োজন করা হয় এবং এ সকল অর্থের জোগান দেওয়া হয় প্রাণীর খাদ্য বাজেট থেকে। ছুটির দিনে কর্মকর্তাদের মাছ ধরার শখও মেটানো হয় প্রাণীর খাদ্য বাজেট থেকে।’
বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রী অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আহসান হাবীব আরও বলেন, ‘অতীতে তিনি (আবদুল জলিল) ছাগল ও ভেড়া বিভাগের বিভাগীয় প্রধান থাকাকালে অবৈধভাবে ছাগল বিক্রয় করে সেগুলোকে মৃত্যু দেখিয়ে অর্থ লোপাট করেছেন। যার কারণে ছাগলের মৃত্যুহার শতকরা ৩০ শতাংশের ওপর এবং নিয়মানুযায়ী সেগুলোর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নেই। শুদ্ধাচারের পুরস্কার প্রদানের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী বাছাই কমিটির আহ্বায়ক থাকাকালে নিজেই পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। বিএলআরআই এর মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও তিনি এর ২টি পুকুর লিজ নিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালক থাকাকালীন অনেক অনিয়ম ও অর্থ লোপাট করেছেন। প্রকল্পের গবেষণায় নামমাত্র অর্থ খরচ করে বেনামে শ্রমিক বিল করে লাখ লাখ টাকা লোপাট করেছেন।’
এর আগে গত ২২ আগস্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বরাবর বিএলআরআই এর মহাপরিচালক আবদুল জলিলের নামে পিএইচডি জালিয়াতির অভিযোগ করেন আহসান হাবীব।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘জাবি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মফিজুল কবিরের তত্ত্বাবধানে ২০১৫ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন আবদুল জলিল। তাঁকে ‘Characterization of Black Bengal Goat’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভের (থিসিস) জন্য এ ডিগ্রি দেওয়া হয়। কিন্তু উক্ত অভিসন্দর্ভটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিএসসি শিক্ষার্থীর থিসিস থেকে হুবহু নকল করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর নাম আজিজুর রহমান। তিনি ‘Molecular Characterization of Black Bengal Goat and Jamunapari Goat Breeds by RAPD Markers’ শীর্ষক থিসিস সম্পন্ন করেন। পরে সেটি ‘American Journal of Animal and Veterinary science’ এ ২০০৬ সালের ভলিউম-১ এ প্রকাশিত হয়। আবদুল জলিল এ চুরির মাধ্যমে স্বনামধন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা এবং গবেষণার মান ক্ষুণ্ন করারও চেষ্টা করেছেন।’
এ ব্যাপারে পিএইচডি তত্ত্বাবধায়ক প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মফিজুল কবিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ দিকে ‘American Journal of Animal and Veterinary science’ এর ওয়েবসাইটে ‘Molecular Characterization of Black Bengal Goat and Jamunapari Goat Breeds by RAPD Markers’ শীর্ষক গবেষণাপত্রের লেখক হিসেবে আবদুল জলিলসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ রয়েছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এর মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল জলিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আহসান হাবীব আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ করেছে তার সবগুলোই অসত্য। সে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে কারণ আমি তাঁর অবৈধ আবদার রাখতে পারিনি। সে বিএলআরআই-এ ডেইরি উন্নয়ন গবেষণা প্রকল্পের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ছিলেন। ইতিমধ্যে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু সে তাঁর কার্যকাল বৃদ্ধি করতে চায়। যেটা অবৈধ। ফলে আমি তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করিনি। তাই ক্ষোভের বশীভূত হয়ে সে এসব অভিযোগ এনেছে আমার বিরুদ্ধে।’
তিনি বলেন, ‘আমি কোন পিএইচডি জালিয়াতি করিনি। একটি বিশ্ববিদ্যালয় বুঝেশুনেই আমাকে ডিগ্রি দিয়েছে। আর উচ্চপদস্থ কোন কর্মকর্তার বন্ধু হলে যে আমি এই পদের যোগ্যতা হারিয়েছি এমন কোন বিধি নেই। আমি শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।’
প্রতিনিধি, জাবি
বাংলাদেশ প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) এর সদস্য আহসান হাবীব। অভিযোগ সমূহের মধ্যে রয়েছে পিএইচডি জালিয়াতি, অর্থ লোপাট, অফিশিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট ভঙ্গ, ঘুষ প্রদান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি’তে অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন আহসান হাবীব।
আহসান হাবীব লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের খুশি রাখতে বিএলআরআই মহাপরিচালক আবদুল জলিলের নির্দেশে নিয়মিতভাবে গবেষণা প্রাণীর উৎপাদিত ডিম, দুধ, মুরগি মন্ত্রণালয়ে প্রচুর পরিমাণে পাঠানো হয়। এমনকি ছুটির দিনে তাঁরা বিএলআরআইতে ভ্রমণে আসলে বিরাট ভূরিভোজের আয়োজন করা হয় এবং এ সকল অর্থের জোগান দেওয়া হয় প্রাণীর খাদ্য বাজেট থেকে। ছুটির দিনে কর্মকর্তাদের মাছ ধরার শখও মেটানো হয় প্রাণীর খাদ্য বাজেট থেকে।’
বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রী অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আহসান হাবীব আরও বলেন, ‘অতীতে তিনি (আবদুল জলিল) ছাগল ও ভেড়া বিভাগের বিভাগীয় প্রধান থাকাকালে অবৈধভাবে ছাগল বিক্রয় করে সেগুলোকে মৃত্যু দেখিয়ে অর্থ লোপাট করেছেন। যার কারণে ছাগলের মৃত্যুহার শতকরা ৩০ শতাংশের ওপর এবং নিয়মানুযায়ী সেগুলোর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নেই। শুদ্ধাচারের পুরস্কার প্রদানের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী বাছাই কমিটির আহ্বায়ক থাকাকালে নিজেই পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। বিএলআরআই এর মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও তিনি এর ২টি পুকুর লিজ নিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালক থাকাকালীন অনেক অনিয়ম ও অর্থ লোপাট করেছেন। প্রকল্পের গবেষণায় নামমাত্র অর্থ খরচ করে বেনামে শ্রমিক বিল করে লাখ লাখ টাকা লোপাট করেছেন।’
এর আগে গত ২২ আগস্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বরাবর বিএলআরআই এর মহাপরিচালক আবদুল জলিলের নামে পিএইচডি জালিয়াতির অভিযোগ করেন আহসান হাবীব।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘জাবি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মফিজুল কবিরের তত্ত্বাবধানে ২০১৫ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন আবদুল জলিল। তাঁকে ‘Characterization of Black Bengal Goat’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভের (থিসিস) জন্য এ ডিগ্রি দেওয়া হয়। কিন্তু উক্ত অভিসন্দর্ভটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিএসসি শিক্ষার্থীর থিসিস থেকে হুবহু নকল করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর নাম আজিজুর রহমান। তিনি ‘Molecular Characterization of Black Bengal Goat and Jamunapari Goat Breeds by RAPD Markers’ শীর্ষক থিসিস সম্পন্ন করেন। পরে সেটি ‘American Journal of Animal and Veterinary science’ এ ২০০৬ সালের ভলিউম-১ এ প্রকাশিত হয়। আবদুল জলিল এ চুরির মাধ্যমে স্বনামধন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা এবং গবেষণার মান ক্ষুণ্ন করারও চেষ্টা করেছেন।’
এ ব্যাপারে পিএইচডি তত্ত্বাবধায়ক প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মফিজুল কবিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ দিকে ‘American Journal of Animal and Veterinary science’ এর ওয়েবসাইটে ‘Molecular Characterization of Black Bengal Goat and Jamunapari Goat Breeds by RAPD Markers’ শীর্ষক গবেষণাপত্রের লেখক হিসেবে আবদুল জলিলসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ রয়েছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এর মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল জলিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আহসান হাবীব আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ করেছে তার সবগুলোই অসত্য। সে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে কারণ আমি তাঁর অবৈধ আবদার রাখতে পারিনি। সে বিএলআরআই-এ ডেইরি উন্নয়ন গবেষণা প্রকল্পের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ছিলেন। ইতিমধ্যে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু সে তাঁর কার্যকাল বৃদ্ধি করতে চায়। যেটা অবৈধ। ফলে আমি তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করিনি। তাই ক্ষোভের বশীভূত হয়ে সে এসব অভিযোগ এনেছে আমার বিরুদ্ধে।’
তিনি বলেন, ‘আমি কোন পিএইচডি জালিয়াতি করিনি। একটি বিশ্ববিদ্যালয় বুঝেশুনেই আমাকে ডিগ্রি দিয়েছে। আর উচ্চপদস্থ কোন কর্মকর্তার বন্ধু হলে যে আমি এই পদের যোগ্যতা হারিয়েছি এমন কোন বিধি নেই। আমি শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।’
বাংলাদেশ প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) এর সদস্য আহসান হাবীব। অভিযোগ সমূহের মধ্যে রয়েছে পিএইচডি জালিয়াতি, অর্থ লোপাট, অফিশিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট ভঙ্গ, ঘুষ প্রদান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি’তে অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন আহসান হাবীব।
আহসান হাবীব লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের খুশি রাখতে বিএলআরআই মহাপরিচালক আবদুল জলিলের নির্দেশে নিয়মিতভাবে গবেষণা প্রাণীর উৎপাদিত ডিম, দুধ, মুরগি মন্ত্রণালয়ে প্রচুর পরিমাণে পাঠানো হয়। এমনকি ছুটির দিনে তাঁরা বিএলআরআইতে ভ্রমণে আসলে বিরাট ভূরিভোজের আয়োজন করা হয় এবং এ সকল অর্থের জোগান দেওয়া হয় প্রাণীর খাদ্য বাজেট থেকে। ছুটির দিনে কর্মকর্তাদের মাছ ধরার শখও মেটানো হয় প্রাণীর খাদ্য বাজেট থেকে।’
বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রী অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আহসান হাবীব আরও বলেন, ‘অতীতে তিনি (আবদুল জলিল) ছাগল ও ভেড়া বিভাগের বিভাগীয় প্রধান থাকাকালে অবৈধভাবে ছাগল বিক্রয় করে সেগুলোকে মৃত্যু দেখিয়ে অর্থ লোপাট করেছেন। যার কারণে ছাগলের মৃত্যুহার শতকরা ৩০ শতাংশের ওপর এবং নিয়মানুযায়ী সেগুলোর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নেই। শুদ্ধাচারের পুরস্কার প্রদানের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী বাছাই কমিটির আহ্বায়ক থাকাকালে নিজেই পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। বিএলআরআই এর মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও তিনি এর ২টি পুকুর লিজ নিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালক থাকাকালীন অনেক অনিয়ম ও অর্থ লোপাট করেছেন। প্রকল্পের গবেষণায় নামমাত্র অর্থ খরচ করে বেনামে শ্রমিক বিল করে লাখ লাখ টাকা লোপাট করেছেন।’
এর আগে গত ২২ আগস্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বরাবর বিএলআরআই এর মহাপরিচালক আবদুল জলিলের নামে পিএইচডি জালিয়াতির অভিযোগ করেন আহসান হাবীব।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘জাবি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মফিজুল কবিরের তত্ত্বাবধানে ২০১৫ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন আবদুল জলিল। তাঁকে ‘Characterization of Black Bengal Goat’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভের (থিসিস) জন্য এ ডিগ্রি দেওয়া হয়। কিন্তু উক্ত অভিসন্দর্ভটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিএসসি শিক্ষার্থীর থিসিস থেকে হুবহু নকল করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর নাম আজিজুর রহমান। তিনি ‘Molecular Characterization of Black Bengal Goat and Jamunapari Goat Breeds by RAPD Markers’ শীর্ষক থিসিস সম্পন্ন করেন। পরে সেটি ‘American Journal of Animal and Veterinary science’ এ ২০০৬ সালের ভলিউম-১ এ প্রকাশিত হয়। আবদুল জলিল এ চুরির মাধ্যমে স্বনামধন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা এবং গবেষণার মান ক্ষুণ্ন করারও চেষ্টা করেছেন।’
এ ব্যাপারে পিএইচডি তত্ত্বাবধায়ক প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মফিজুল কবিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ দিকে ‘American Journal of Animal and Veterinary science’ এর ওয়েবসাইটে ‘Molecular Characterization of Black Bengal Goat and Jamunapari Goat Breeds by RAPD Markers’ শীর্ষক গবেষণাপত্রের লেখক হিসেবে আবদুল জলিলসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ রয়েছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এর মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল জলিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আহসান হাবীব আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ করেছে তার সবগুলোই অসত্য। সে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে কারণ আমি তাঁর অবৈধ আবদার রাখতে পারিনি। সে বিএলআরআই-এ ডেইরি উন্নয়ন গবেষণা প্রকল্পের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ছিলেন। ইতিমধ্যে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু সে তাঁর কার্যকাল বৃদ্ধি করতে চায়। যেটা অবৈধ। ফলে আমি তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করিনি। তাই ক্ষোভের বশীভূত হয়ে সে এসব অভিযোগ এনেছে আমার বিরুদ্ধে।’
তিনি বলেন, ‘আমি কোন পিএইচডি জালিয়াতি করিনি। একটি বিশ্ববিদ্যালয় বুঝেশুনেই আমাকে ডিগ্রি দিয়েছে। আর উচ্চপদস্থ কোন কর্মকর্তার বন্ধু হলে যে আমি এই পদের যোগ্যতা হারিয়েছি এমন কোন বিধি নেই। আমি শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।’
আসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ
১ ঘণ্টা আগেঅ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন
২ ঘণ্টা আগেগত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা...
৩ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় এ কথা বলেন তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, সবকিছু অকাট্যভাবে প্রমাণ করা হয়েছে। পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এগুলো অকাট্য হিসেবে প্রমাণিত হবে। যাঁদের এখানে আসামি করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা হয়নি। উল্টো কদিন আগে সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে। তবে সেনাবাহিনী সে ফাঁদে পা দেয়নি।
আইনের প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটি বিশেষ আইন। এটাকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে সংবিধান দ্বারা। আন্তর্জাতিক আদালতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই আইন সংশোধন করা হয়েছে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যতে কোনো শাসক যদি জনগণকে হত্যা করার চেষ্টা করে; এই বিচার তাঁদের জন্য প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ছাড়া এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলায় আজকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এ ছাড়া শেষ দিনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে যাননি। তাঁকে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। আর সাবেক আইজিপি নিজে বাঁচার জন্য অন্যের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছেন। তাঁর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।’
আমির হোসেন মনে করেন, ন্যায়বিচার হলে আসামিরা খালাস পাবেন।
আরও খবর পড়ুন:
আসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় এ কথা বলেন তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, সবকিছু অকাট্যভাবে প্রমাণ করা হয়েছে। পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এগুলো অকাট্য হিসেবে প্রমাণিত হবে। যাঁদের এখানে আসামি করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা হয়নি। উল্টো কদিন আগে সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে। তবে সেনাবাহিনী সে ফাঁদে পা দেয়নি।
আইনের প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটি বিশেষ আইন। এটাকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে সংবিধান দ্বারা। আন্তর্জাতিক আদালতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই আইন সংশোধন করা হয়েছে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যতে কোনো শাসক যদি জনগণকে হত্যা করার চেষ্টা করে; এই বিচার তাঁদের জন্য প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ছাড়া এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলায় আজকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এ ছাড়া শেষ দিনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে যাননি। তাঁকে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। আর সাবেক আইজিপি নিজে বাঁচার জন্য অন্যের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছেন। তাঁর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।’
আমির হোসেন মনে করেন, ন্যায়বিচার হলে আসামিরা খালাস পাবেন।
আরও খবর পড়ুন:
বাংলাদেশ প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) এর সদস্য আহসান হাবীব। অভিযোগ সমূহের মধ্যে রয়েছে পিএইচডি জালিয়াতি, অর্থ লোপাট, অফিশিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট ভঙ্গ, ঘুষ প্রদান।
২৬ আগস্ট ২০২১অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন
২ ঘণ্টা আগেগত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা...
৩ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘এই আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা না হলে তাদের হাতে বাংলাদেশের নিরপরাধ মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে, পাঁচ বছরের শিশু মারা যাবে, আনাসরা মারা যাবে, পানি বিতরণ করতে গিয়ে মুগ্ধ মারা যাবে, বুক চিতিয়ে আবার রাজপথে দাঁড়িয়ে আবু সাঈদরা মারা যাবে। আমরা যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে না পারি, এই দুজনের বিচার যদি ব্যাহত হয়, এই দুজনের যদি শাস্তি না হয়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ভীরু-কাপুরুষের উপমা হয়ে রয়ে যাবে। সে কারণে আমরা মনে করি, আমরা যা উপস্থাপন করেছি, তা সন্দেহাতীত।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তি উপস্থাপনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়া এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনকালে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন। এই আসামিদের যদি শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে তাদের হাতে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন হবে।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ন্যায়বিচারের সাক্ষী হতে এসেছি। ১ হাজার ৪০০ লোক মারা গেছে। ৩০ হাজার পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। রাষ্ট্রপক্ষ দেখিয়েছে—কে নির্দেশ দিয়েছে, কাকে দিয়েছে, কে পালন করেছে, কীভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। এই খুনের পর গোটা জাতি জেগে উঠেছে। অপরাধীরা পালিয়ে গেছে। তারা বিচারকাজ প্রতিহত করতে নানা রকম নির্দেশনা দিচ্ছে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, প্রসিকিউশন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। যে সাক্ষ্যপ্রমাণ এসেছে, তা যেকোনো দেশে, যেকোনো আদালতে উপস্থাপন করলে আসামিদের সাজা ছাড়া বিকল্প কিছু হবে না।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের উদাহরণ এ সময় তুলে ধরেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
তিনি বলেন, ‘এটা দিবালোকের ন্যায় সত্য, এখানে গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে। এখানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। কারা ঘটিয়েছে, কীভাবে ঘটিয়েছে, তা আমরা প্রমাণ করেছি। আমরা মনে করি, এই আদালতে যদি আসামিদের শাস্তি না হয়, তাহলে এ দেশের খুন হওয়া মানুষ, পঙ্গুত্ব বরণ করা মানুষ, এই রাষ্ট্র অবিচারের শিকার হবে। আমরা দাঁড়িয়েছি ইতিহাসের দায় পরিশোধ করার জন্য। আপনারা ন্যায়বিচার করলে গোটা বিশ্ব দেখবে—এই দেশে ন্যায়বিচার হয়।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘এই আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা না হলে তাদের হাতে বাংলাদেশের নিরপরাধ মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে, পাঁচ বছরের শিশু মারা যাবে, আনাসরা মারা যাবে, পানি বিতরণ করতে গিয়ে মুগ্ধ মারা যাবে, বুক চিতিয়ে আবার রাজপথে দাঁড়িয়ে আবু সাঈদরা মারা যাবে। আমরা যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে না পারি, এই দুজনের বিচার যদি ব্যাহত হয়, এই দুজনের যদি শাস্তি না হয়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ভীরু-কাপুরুষের উপমা হয়ে রয়ে যাবে। সে কারণে আমরা মনে করি, আমরা যা উপস্থাপন করেছি, তা সন্দেহাতীত।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তি উপস্থাপনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়া এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনকালে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন। এই আসামিদের যদি শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে তাদের হাতে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন হবে।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ন্যায়বিচারের সাক্ষী হতে এসেছি। ১ হাজার ৪০০ লোক মারা গেছে। ৩০ হাজার পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। রাষ্ট্রপক্ষ দেখিয়েছে—কে নির্দেশ দিয়েছে, কাকে দিয়েছে, কে পালন করেছে, কীভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। এই খুনের পর গোটা জাতি জেগে উঠেছে। অপরাধীরা পালিয়ে গেছে। তারা বিচারকাজ প্রতিহত করতে নানা রকম নির্দেশনা দিচ্ছে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, প্রসিকিউশন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। যে সাক্ষ্যপ্রমাণ এসেছে, তা যেকোনো দেশে, যেকোনো আদালতে উপস্থাপন করলে আসামিদের সাজা ছাড়া বিকল্প কিছু হবে না।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের উদাহরণ এ সময় তুলে ধরেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
তিনি বলেন, ‘এটা দিবালোকের ন্যায় সত্য, এখানে গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে। এখানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। কারা ঘটিয়েছে, কীভাবে ঘটিয়েছে, তা আমরা প্রমাণ করেছি। আমরা মনে করি, এই আদালতে যদি আসামিদের শাস্তি না হয়, তাহলে এ দেশের খুন হওয়া মানুষ, পঙ্গুত্ব বরণ করা মানুষ, এই রাষ্ট্র অবিচারের শিকার হবে। আমরা দাঁড়িয়েছি ইতিহাসের দায় পরিশোধ করার জন্য। আপনারা ন্যায়বিচার করলে গোটা বিশ্ব দেখবে—এই দেশে ন্যায়বিচার হয়।’
বাংলাদেশ প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) এর সদস্য আহসান হাবীব। অভিযোগ সমূহের মধ্যে রয়েছে পিএইচডি জালিয়াতি, অর্থ লোপাট, অফিশিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট ভঙ্গ, ঘুষ প্রদান।
২৬ আগস্ট ২০২১আসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ
১ ঘণ্টা আগেগত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা...
৩ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগ ব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে থালাবাটি নিয়ে যমুনা অভিমুখে ভুখা মিছিল করেছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা। যমুনায় পৌঁছার আগেই অবশ্য তাঁদের মিছিল শাহবাগ মোড়ে আটকে দেওয়া হয়। .
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। যমুনার দিকে অগ্রসর হলে শাহবাগ মোড়ে পুলিশ তা আটকে দেয়। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা পরে শাহবাগ থানার সামনে বিক্ষোভ করলে পুলিশ সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেয়।
গত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতি লেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবে, এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে ।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগ ব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে থালাবাটি নিয়ে যমুনা অভিমুখে ভুখা মিছিল করেছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা। যমুনায় পৌঁছার আগেই অবশ্য তাঁদের মিছিল শাহবাগ মোড়ে আটকে দেওয়া হয়। .
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। যমুনার দিকে অগ্রসর হলে শাহবাগ মোড়ে পুলিশ তা আটকে দেয়। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা পরে শাহবাগ থানার সামনে বিক্ষোভ করলে পুলিশ সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেয়।
গত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতি লেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবে, এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে ।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।
বাংলাদেশ প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) এর সদস্য আহসান হাবীব। অভিযোগ সমূহের মধ্যে রয়েছে পিএইচডি জালিয়াতি, অর্থ লোপাট, অফিশিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট ভঙ্গ, ঘুষ প্রদান।
২৬ আগস্ট ২০২১আসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ
১ ঘণ্টা আগেঅ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন
২ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
৫ ঘণ্টা আগেমানবতাবিরোধী অপরাধ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টায় বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন।
আজ আসামিদের সাজা চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষে শেষবারের মতো যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের খালাস চেয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন তাঁদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে তিনি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শেষে রায়ের দিন জানাতে পারেন আদালত। অথবা পরেও জানানো হতে পারেন।
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টায় বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন।
আজ আসামিদের সাজা চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষে শেষবারের মতো যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের খালাস চেয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন তাঁদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে তিনি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শেষে রায়ের দিন জানাতে পারেন আদালত। অথবা পরেও জানানো হতে পারেন।
বাংলাদেশ প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) এর সদস্য আহসান হাবীব। অভিযোগ সমূহের মধ্যে রয়েছে পিএইচডি জালিয়াতি, অর্থ লোপাট, অফিশিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট ভঙ্গ, ঘুষ প্রদান।
২৬ আগস্ট ২০২১আসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ
১ ঘণ্টা আগেঅ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন
২ ঘণ্টা আগেগত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা...
৩ ঘণ্টা আগে