যমুনা লাইফ ইনস্যুরেন্স
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
যমুনা লাইফ ইনস্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে আরেক মেয়াদে নিয়োগের জন্য বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কাছে আবেদন করেছেন কামরুল হাসান খন্দকার। আবেদনের সঙ্গে তিনি যুক্ত করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সুপারিশপত্র। তবে এ সুপারিশপত্রের স্বাক্ষরটি জাল বলে জানিয়েছে উপদেষ্টার দপ্তর। এ সূত্রে অতীতে কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে বিমার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এবং শিক্ষাগত সনদ জালের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে এসেছে।
বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ আইডিআরএর পরিচালক (উপসচিব) সালেহীন তানভীর গাজী আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, যমুনা লাইফের সিইও হিসেবে অনুমোদনের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মহোদয়ের স্বাক্ষরিত একটি সুপারিশ জমা দিয়েছেন কামরুল হাসান। বিষয়টি নিয়ে বুধবার (আজ ১ জানুয়ারি) আইডিআরএর চেয়ারম্যান ও চার সদস্য বৈঠক করবেন।
কামরুল হাসান খন্দকার এই মুহূর্তে যমুনা লাইফ ইনস্যুরেন্সের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন প্রয়োজন। তাঁর প্রথম দফার আবেদন নামঞ্জুর করেছে আইডিআরএ। এরপর দ্বিতীয় দফায় গত ২৪ ডিসেম্বর উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সুপারিশসহ আবেদন করেন।
উপদেষ্টার সুপারিশের বিষয়টি সঠিক কি না জানতে চাইলে ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অফিসার মুহম্মদ জসীম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ সুপারিশ জাল। উপদেষ্টা মহোদয় তাঁর সব ডিওতে বাংলায় স্বাক্ষর দেন। এখানে ইংরেজিতে করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ জাল। এ বিষয়ে সবাই সতর্ক থাকবেন বলে প্রত্যাশা করছি।’
আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কামরুল হাসান খন্দকার কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দায়িত্ব পালনের সময় কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রাহকের বিমার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ থাকার প্রমাণ পেয়েছে আইডিআরএ। তাই কর্তৃপক্ষের সাবেক পর্ষদ তাঁর আবেদন নামঞ্জুর করে।
পুনঃ নিয়োগের চিঠিতে কামরুল হাসান বলেন, তিনি ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সিইও হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর কাজে সন্তুষ্ট হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে পুনঃ নিয়োগের জন্য পর্ষদ থেকে ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর আবেদন করা হয়। তিনি এতে দাবি করেন, বিভিন্ন ‘অযৌক্তিক ও মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হয়’ এমন ইস্যু তৈরি করে কৌশলে তাঁর পুনঃ নিয়োগ অনুমোদন করা হয়নি।
আইডিআরএর তথ্যমতে, শিক্ষাসনদ ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় গত ১৯ মার্চ কামরুল হাসান খন্দকারের নিয়োগ নবায়নের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হলে দীর্ঘ শুনানি শেষে গত ২ জুন সেই রিভিউ আবেদনও নামঞ্জুর করে আইডিআরএ।
আইডিআরএ জানিয়েছে, কামরুল হাসান খন্দকার সংশোধিত প্রবিধানমালা অনুযায়ী তাঁর বিদেশি এমবিএ ডিগ্রির মানের সমতাকরণ করেননি। এ ছাড়া পরবর্তী সময়ে দাখিল করা ইবাইস ইউনিভার্সিটির দুটি সনদপত্রের বৈধতার বিষয়েও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে পারেননি। এ দুটি কারণে নিয়োগ নবায়নের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট চিঠিতে উল্লেখ করে আইডিআরএ।
নিয়োগ নবায়নের প্রথম আবেদনে কামরুল হাসানের শিক্ষাগত যোগ্যতায় উল্লেখ করা হয়, তিনি ভারতের উত্তর প্রদেশের ডিমড ইউনিভার্সিটি থেকে ২০০২ সালে দূরশিক্ষণে এমবিএ পাস করেছেন। ওই আবেদনের পর আইডিআরএকে পাঠানো চিঠিতে কামরুল হাসান ইবাইস ইউনিভার্সিটির দুটি সনদ দাখিল করে সেগুলো তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতায় যুক্ত করার অনুরোধ জানান। ইবাইস ইউনিভার্সিটির ওই সনদপত্র অনুসারে কামরুল হাসান খন্দকার ২০১৯ সালে বিএসএস এবং ২০২১ সালে এমবিএ পাস করেছেন। এরপর আইডিআরএ কর্তৃপক্ষ কামরুল হাসানের বিদেশি এমবিএ ডিগ্রির মানের সমতাকরণ এবং ইবাইস ইউনিভার্সিটির সনদপত্র দুটির বৈধতার বিষয়ে ইউজিসির প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে বলে। তবে কামরুল হাসান এর কোনোটিই করতে পারেননি।
এ ছাড়া ২০২২ সালে যমুনা লাইফের ৯৩ জন গ্রাহকের ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছিল কামরুল হাসানসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। আইডিআরএর চালানো তদন্তে আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়। অভিযুক্ত চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রাহকেরা একাধিক মামলা করেছেন।
যমুনা লাইফ ইনস্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে আরেক মেয়াদে নিয়োগের জন্য বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কাছে আবেদন করেছেন কামরুল হাসান খন্দকার। আবেদনের সঙ্গে তিনি যুক্ত করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সুপারিশপত্র। তবে এ সুপারিশপত্রের স্বাক্ষরটি জাল বলে জানিয়েছে উপদেষ্টার দপ্তর। এ সূত্রে অতীতে কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে বিমার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এবং শিক্ষাগত সনদ জালের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে এসেছে।
বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ আইডিআরএর পরিচালক (উপসচিব) সালেহীন তানভীর গাজী আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, যমুনা লাইফের সিইও হিসেবে অনুমোদনের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মহোদয়ের স্বাক্ষরিত একটি সুপারিশ জমা দিয়েছেন কামরুল হাসান। বিষয়টি নিয়ে বুধবার (আজ ১ জানুয়ারি) আইডিআরএর চেয়ারম্যান ও চার সদস্য বৈঠক করবেন।
কামরুল হাসান খন্দকার এই মুহূর্তে যমুনা লাইফ ইনস্যুরেন্সের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন প্রয়োজন। তাঁর প্রথম দফার আবেদন নামঞ্জুর করেছে আইডিআরএ। এরপর দ্বিতীয় দফায় গত ২৪ ডিসেম্বর উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সুপারিশসহ আবেদন করেন।
উপদেষ্টার সুপারিশের বিষয়টি সঠিক কি না জানতে চাইলে ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অফিসার মুহম্মদ জসীম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ সুপারিশ জাল। উপদেষ্টা মহোদয় তাঁর সব ডিওতে বাংলায় স্বাক্ষর দেন। এখানে ইংরেজিতে করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ জাল। এ বিষয়ে সবাই সতর্ক থাকবেন বলে প্রত্যাশা করছি।’
আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কামরুল হাসান খন্দকার কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দায়িত্ব পালনের সময় কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রাহকের বিমার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ থাকার প্রমাণ পেয়েছে আইডিআরএ। তাই কর্তৃপক্ষের সাবেক পর্ষদ তাঁর আবেদন নামঞ্জুর করে।
পুনঃ নিয়োগের চিঠিতে কামরুল হাসান বলেন, তিনি ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সিইও হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর কাজে সন্তুষ্ট হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে পুনঃ নিয়োগের জন্য পর্ষদ থেকে ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর আবেদন করা হয়। তিনি এতে দাবি করেন, বিভিন্ন ‘অযৌক্তিক ও মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হয়’ এমন ইস্যু তৈরি করে কৌশলে তাঁর পুনঃ নিয়োগ অনুমোদন করা হয়নি।
আইডিআরএর তথ্যমতে, শিক্ষাসনদ ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় গত ১৯ মার্চ কামরুল হাসান খন্দকারের নিয়োগ নবায়নের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হলে দীর্ঘ শুনানি শেষে গত ২ জুন সেই রিভিউ আবেদনও নামঞ্জুর করে আইডিআরএ।
আইডিআরএ জানিয়েছে, কামরুল হাসান খন্দকার সংশোধিত প্রবিধানমালা অনুযায়ী তাঁর বিদেশি এমবিএ ডিগ্রির মানের সমতাকরণ করেননি। এ ছাড়া পরবর্তী সময়ে দাখিল করা ইবাইস ইউনিভার্সিটির দুটি সনদপত্রের বৈধতার বিষয়েও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে পারেননি। এ দুটি কারণে নিয়োগ নবায়নের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট চিঠিতে উল্লেখ করে আইডিআরএ।
নিয়োগ নবায়নের প্রথম আবেদনে কামরুল হাসানের শিক্ষাগত যোগ্যতায় উল্লেখ করা হয়, তিনি ভারতের উত্তর প্রদেশের ডিমড ইউনিভার্সিটি থেকে ২০০২ সালে দূরশিক্ষণে এমবিএ পাস করেছেন। ওই আবেদনের পর আইডিআরএকে পাঠানো চিঠিতে কামরুল হাসান ইবাইস ইউনিভার্সিটির দুটি সনদ দাখিল করে সেগুলো তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতায় যুক্ত করার অনুরোধ জানান। ইবাইস ইউনিভার্সিটির ওই সনদপত্র অনুসারে কামরুল হাসান খন্দকার ২০১৯ সালে বিএসএস এবং ২০২১ সালে এমবিএ পাস করেছেন। এরপর আইডিআরএ কর্তৃপক্ষ কামরুল হাসানের বিদেশি এমবিএ ডিগ্রির মানের সমতাকরণ এবং ইবাইস ইউনিভার্সিটির সনদপত্র দুটির বৈধতার বিষয়ে ইউজিসির প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে বলে। তবে কামরুল হাসান এর কোনোটিই করতে পারেননি।
এ ছাড়া ২০২২ সালে যমুনা লাইফের ৯৩ জন গ্রাহকের ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছিল কামরুল হাসানসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। আইডিআরএর চালানো তদন্তে আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়। অভিযুক্ত চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রাহকেরা একাধিক মামলা করেছেন।
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় ধরনের ব্যর্থতা দেখিয়েছে বলে মনে করে রাজনৈতিক দলের নেতারা। মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে বহু শিক্ষার্থী হতাহতের ঘটনায় মঙ্গলবার দিনভর রাজধানীতে বিক্ষোভ ছিল।
৫ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হওয়ার আগমুহূর্তেও কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন যুদ্ধবিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর। কন্ট্রোল রুমকে তিনি বলেছিলেন, ‘বিমান ভাসছে না...মনে হচ্ছে নিচে পড়ছে।’
৭ ঘণ্টা আগেবিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ ৪টি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় আধঘণ্টার বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক রাত সাড়ে ৯টার পর শেষ হয়।
৯ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অর্থসহায়তা চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। সেটিকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠলে আজ মঙ্গলবার দুপুরে পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়
১০ ঘণ্টা আগে