Ajker Patrika

শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ১০ জুলাই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৫, ১৪: ৩১
শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে ১০ জুলাই আদেশের দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদেশের জন্য এ দিন ঠিক করে দেন।

আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। পলাতক শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। আর সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ। শুনানির সময় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

আজকের শুনানিতে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে নির্দোষ দাবি করে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন জানান। তিনি বলেন, তাঁর আসামিদের এই মামলার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এর আগে ১ জুলাই অভিযোগ গঠনের আবেদন জানান চিফ প্রসিকিউটর। ওই দিন তিনি শুনানিতে বলেন, তৎকালীন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিভিন্ন বাহিনী ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের সশস্ত্র ক্যাডারদের আক্রমণে আন্দোলনে আহত চিকিৎসা গ্রহণে বাধা প্রদান করে। চিকিৎসা সহায়তা বাধাগ্রস্ত করার জন্য অ্যাম্বুলেন্স আটকে দেওয়া, হাসপাতাল এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভকারীদের তথ্য সংগ্রহ করা, রোগীদের চিকিৎসা না দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় এবং চিকিৎসা প্রদানকারী কর্মীদের ভয় দেখানোর হয়। ডিজিএফআই, এনএসআইসহ গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো হাসপাতালগুলোতে অভিযান চালিয়ে মেডিকেল রেকর্ড জব্দ করে এবং চিকিৎসা প্রদানকারী কর্মীদের মিথ্যা রিপোর্ট তৈরি করতে বা চিকিৎসা প্রদানে অস্বীকার করতে চাপ দেয়। চিকিৎসাসেবা ব্যাহত করার ফলে আহতদের জখম গুরুতর আকার ধারণ করে এবং অনেক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বিভীষিকাময় দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার পতনের দিনে যখন লাখো জনতা “মার্চ টু ঢাকা” আন্দোলনের মাধ্যমে রাস্তায় নেমে আসে, তখন সরকারের দমন-পীড়নের নিষ্ঠুরতা চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছায়। সকাল থেকেই সেনাবাহিনী জানত শেখ হাসিনার শাসনের অবসান ঘটেছে। কিন্তু হাসিনার অনুগত পুলিশ বাহিনীর কিছু সদস্য প্রাণপণে গণবিপ্লব রুখে দেওয়ার চেষ্টা করে। শহরের বিভিন্ন প্রবেশপথে ও কেন্দ্রস্থলে পুলিশের আর্মড ইউনিট ও আনসার সদস্যরা ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে প্রাণঘাতী রাইফেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বদলির আদেশ ছিঁড়ে বরখাস্ত হলেন এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা

দরপত্র ছাড়াই জুলাই স্মৃতি জাদুঘরের কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান, এরা কারা

ট্রাকে করে ৪৩ হাজার পৃষ্ঠার নথি ইসিতে জমা দিয়েও নিবন্ধন পেল না এনসিপি

বিধি লঙ্ঘন করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হলেন এনসিপি নেতা

বিমানবন্দর থেকেই ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত