নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার নামে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলায় শেখ হাসিনাকে ৫ বছর, শেখ রেহানাকে ৭ বছর ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিককে (টিউলিপ সিদ্দিক) ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এই রায় ঘোষণা করেন।
এ ছাড়া এই মামলায় সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনকে।
এক মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং গৃহায়ন ও গণতন্ত্র মন্ত্রণালয়ের যারা প্লট বরাদ্দে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন তাদের ১২ জনকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি টিউলিপ সিদ্দিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও শেখ রেহানাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
খালাস দেওয়া হয়েছে যাদের তাঁরা হলেন—গৃহায়ন ও গণপুর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন-২) মো. অলিউল্লাহ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যানের মো. আনিছুর রহমান মিঞা পিএএ, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন) মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), সাবেক পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) মাজহারুল ইসলাম এবং সাবেক উপ-পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) নায়েব আলী শরীফ।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৫ নভেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়। আজ বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে রায় ঘোষণা শুরু হয়। আদালত রায়ের সংক্ষিপ্ত অংশ পড়ে শোনান। রায় ঘোষণার সময় কারাগারে থাকা একমাত্র আসামি রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে আদালতে হাজির করা হয়।
শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য সব আসামি পলাতক রয়েছেন। আদালত সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ৩১ জুলাই আদালত এ মামলায় শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
গত ১২,১৩ ও ১৪ জানুয়ারি দুর্নীতির দমন কমিশন দুদক শেখ হাসিনা, তাঁর পরিবারের সদস্য ও অন্যদের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা দায়ের করে। এরমধ্যে তিনটি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে গত ২৭ নভেম্বর। তিন মামলায় শেখ হাসিনাকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুই মামলায় পৃথকভাবে শেখ হাসিনার ছেলে জয়কে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও মেয়ে পুতুলকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও রাজউকের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত দায়িত্বে থাকা অন্যান্যদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
গত ২৫ মার্চ ছয় মামলায় আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে দুদক।
শেখ রেহানার প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নং রাস্তার একটি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মামলায় আরো অভিযোগ করা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সর্বোচ্চ পদাধিকারী ও পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে বহাল থেকে তার ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে, অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রকল্পের বরাদ্দ বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত গণ কর্মচারিদের বা রাজউক কর্মচারিদের প্রভাবিত করে শেখ রেহানাকে প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন। শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর মাকে প্লট বরাদ্দে বিশেষ ক্ষমতা বলে প্রত্যক্ষ প্রভাব খাটিয়েছেন। অন্যদিকে রাজউকের প্রকল্প বরাদ্দ বিষয়ক কর্মচারিরা নিজেরা লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন।

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার নামে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলায় শেখ হাসিনাকে ৫ বছর, শেখ রেহানাকে ৭ বছর ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিককে (টিউলিপ সিদ্দিক) ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এই রায় ঘোষণা করেন।
এ ছাড়া এই মামলায় সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনকে।
এক মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং গৃহায়ন ও গণতন্ত্র মন্ত্রণালয়ের যারা প্লট বরাদ্দে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন তাদের ১২ জনকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি টিউলিপ সিদ্দিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও শেখ রেহানাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
খালাস দেওয়া হয়েছে যাদের তাঁরা হলেন—গৃহায়ন ও গণপুর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন-২) মো. অলিউল্লাহ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যানের মো. আনিছুর রহমান মিঞা পিএএ, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন) মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), সাবেক পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) মাজহারুল ইসলাম এবং সাবেক উপ-পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) নায়েব আলী শরীফ।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৫ নভেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়। আজ বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে রায় ঘোষণা শুরু হয়। আদালত রায়ের সংক্ষিপ্ত অংশ পড়ে শোনান। রায় ঘোষণার সময় কারাগারে থাকা একমাত্র আসামি রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে আদালতে হাজির করা হয়।
শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য সব আসামি পলাতক রয়েছেন। আদালত সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ৩১ জুলাই আদালত এ মামলায় শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
গত ১২,১৩ ও ১৪ জানুয়ারি দুর্নীতির দমন কমিশন দুদক শেখ হাসিনা, তাঁর পরিবারের সদস্য ও অন্যদের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা দায়ের করে। এরমধ্যে তিনটি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে গত ২৭ নভেম্বর। তিন মামলায় শেখ হাসিনাকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুই মামলায় পৃথকভাবে শেখ হাসিনার ছেলে জয়কে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও মেয়ে পুতুলকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও রাজউকের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত দায়িত্বে থাকা অন্যান্যদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
গত ২৫ মার্চ ছয় মামলায় আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে দুদক।
শেখ রেহানার প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নং রাস্তার একটি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মামলায় আরো অভিযোগ করা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সর্বোচ্চ পদাধিকারী ও পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে বহাল থেকে তার ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে, অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রকল্পের বরাদ্দ বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত গণ কর্মচারিদের বা রাজউক কর্মচারিদের প্রভাবিত করে শেখ রেহানাকে প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন। শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর মাকে প্লট বরাদ্দে বিশেষ ক্ষমতা বলে প্রত্যক্ষ প্রভাব খাটিয়েছেন। অন্যদিকে রাজউকের প্রকল্প বরাদ্দ বিষয়ক কর্মচারিরা নিজেরা লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার নামে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলায় শেখ হাসিনাকে ৫ বছর, শেখ রেহানাকে ৭ বছর ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিককে (টিউলিপ সিদ্দিক) ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এই রায় ঘোষণা করেন।
এ ছাড়া এই মামলায় সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনকে।
এক মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং গৃহায়ন ও গণতন্ত্র মন্ত্রণালয়ের যারা প্লট বরাদ্দে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন তাদের ১২ জনকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি টিউলিপ সিদ্দিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও শেখ রেহানাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
খালাস দেওয়া হয়েছে যাদের তাঁরা হলেন—গৃহায়ন ও গণপুর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন-২) মো. অলিউল্লাহ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যানের মো. আনিছুর রহমান মিঞা পিএএ, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন) মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), সাবেক পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) মাজহারুল ইসলাম এবং সাবেক উপ-পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) নায়েব আলী শরীফ।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৫ নভেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়। আজ বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে রায় ঘোষণা শুরু হয়। আদালত রায়ের সংক্ষিপ্ত অংশ পড়ে শোনান। রায় ঘোষণার সময় কারাগারে থাকা একমাত্র আসামি রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে আদালতে হাজির করা হয়।
শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য সব আসামি পলাতক রয়েছেন। আদালত সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ৩১ জুলাই আদালত এ মামলায় শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
গত ১২,১৩ ও ১৪ জানুয়ারি দুর্নীতির দমন কমিশন দুদক শেখ হাসিনা, তাঁর পরিবারের সদস্য ও অন্যদের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা দায়ের করে। এরমধ্যে তিনটি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে গত ২৭ নভেম্বর। তিন মামলায় শেখ হাসিনাকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুই মামলায় পৃথকভাবে শেখ হাসিনার ছেলে জয়কে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও মেয়ে পুতুলকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও রাজউকের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত দায়িত্বে থাকা অন্যান্যদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
গত ২৫ মার্চ ছয় মামলায় আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে দুদক।
শেখ রেহানার প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নং রাস্তার একটি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মামলায় আরো অভিযোগ করা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সর্বোচ্চ পদাধিকারী ও পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে বহাল থেকে তার ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে, অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রকল্পের বরাদ্দ বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত গণ কর্মচারিদের বা রাজউক কর্মচারিদের প্রভাবিত করে শেখ রেহানাকে প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন। শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর মাকে প্লট বরাদ্দে বিশেষ ক্ষমতা বলে প্রত্যক্ষ প্রভাব খাটিয়েছেন। অন্যদিকে রাজউকের প্রকল্প বরাদ্দ বিষয়ক কর্মচারিরা নিজেরা লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন।

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার নামে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলায় শেখ হাসিনাকে ৫ বছর, শেখ রেহানাকে ৭ বছর ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিককে (টিউলিপ সিদ্দিক) ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এই রায় ঘোষণা করেন।
এ ছাড়া এই মামলায় সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনকে।
এক মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং গৃহায়ন ও গণতন্ত্র মন্ত্রণালয়ের যারা প্লট বরাদ্দে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন তাদের ১২ জনকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি টিউলিপ সিদ্দিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও শেখ রেহানাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
খালাস দেওয়া হয়েছে যাদের তাঁরা হলেন—গৃহায়ন ও গণপুর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন-২) মো. অলিউল্লাহ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যানের মো. আনিছুর রহমান মিঞা পিএএ, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন) মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), সাবেক পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) মাজহারুল ইসলাম এবং সাবেক উপ-পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) নায়েব আলী শরীফ।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৫ নভেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়। আজ বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে রায় ঘোষণা শুরু হয়। আদালত রায়ের সংক্ষিপ্ত অংশ পড়ে শোনান। রায় ঘোষণার সময় কারাগারে থাকা একমাত্র আসামি রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে আদালতে হাজির করা হয়।
শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য সব আসামি পলাতক রয়েছেন। আদালত সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ৩১ জুলাই আদালত এ মামলায় শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
গত ১২,১৩ ও ১৪ জানুয়ারি দুর্নীতির দমন কমিশন দুদক শেখ হাসিনা, তাঁর পরিবারের সদস্য ও অন্যদের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা দায়ের করে। এরমধ্যে তিনটি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে গত ২৭ নভেম্বর। তিন মামলায় শেখ হাসিনাকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুই মামলায় পৃথকভাবে শেখ হাসিনার ছেলে জয়কে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও মেয়ে পুতুলকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও রাজউকের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত দায়িত্বে থাকা অন্যান্যদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
গত ২৫ মার্চ ছয় মামলায় আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে দুদক।
শেখ রেহানার প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নং রাস্তার একটি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মামলায় আরো অভিযোগ করা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সর্বোচ্চ পদাধিকারী ও পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে বহাল থেকে তার ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে, অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রকল্পের বরাদ্দ বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত গণ কর্মচারিদের বা রাজউক কর্মচারিদের প্রভাবিত করে শেখ রেহানাকে প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন। শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর মাকে প্লট বরাদ্দে বিশেষ ক্ষমতা বলে প্রত্যক্ষ প্রভাব খাটিয়েছেন। অন্যদিকে রাজউকের প্রকল্প বরাদ্দ বিষয়ক কর্মচারিরা নিজেরা লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন।

এ মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার একটি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
দেশের মানুষ যেসব রোগে ভুগছে সেই তালিকায় সবার ওপরে আছে উচ্চ রক্তচাপ। প্রতি ১ হাজার মানুষের মধ্যে ৭৮ দশমিক ২৮ জন এই রোগে আক্রান্ত। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপে উঠে এসেছে এই তথ্য।
১২ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করতে সব ধরনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক দিনে দুই ভোট আয়োজনে সময় বাঁচাতে ভোটকেন্দ্র বা বুথ না বাড়িয়ে গোপন কক্ষ বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এ জন্য একটি বুথে দুটি গোপন কক্
১২ ঘণ্টা আগে
২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহে হত্যাযজ্ঞের ‘প্রধান সমন্বয়কের’ ভূমিকা পালন করেছিলেন তৎকালীন সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস। ওই হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ (সবুজ সংকেত) ছিল বলে কমিশন
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও টিউলিপ সিদ্দিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দায়ের মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ সোমবার। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করবেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২৫ যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়।
এ মামলায় অন্য যাঁরা আসামি তাঁরা হলেন—সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন-২) মো. অলিউল্লাহ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যানের মো. আনিছুর রহমান মিঞা পিএএ, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন) মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), সাবেক পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) মাজহারুল ইসলাম, সাবেক উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) নায়েব আলী শরীফ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন।
গত ৩১ জুলাই আদালত এ মামলায় শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
গত ১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি দুর্নীতির দমন কমিশন (দুদক) শেখ হাসিনা, তাঁর পরিবারের সদস্য ও অন্যদের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা দায়ের করে। এর মধ্যে তিনটি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে গত ২৭ নভেম্বর। তিন মামলায় শেখ হাসিনাকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্য দুই মামলায় পৃথকভাবে শেখ হাসিনার ছেলে জয়কে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং মেয়ে পুতুলকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও রাজউকের প্লট বরাদ্দ-সংক্রান্ত দায়িত্বে থাকা অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
গত ২৫ মার্চ ছয় মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
এ মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার একটি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সর্বোচ্চ পদাধিকারী ও পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে বহাল থেকে তার ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে, অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রকল্পের বরাদ্দ-বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত গণকর্মচারীদের বা রাজউক কর্মচারীদের প্রভাবিত করে শেখ রেহানাকে প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন। শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর মাকে প্লট বরাদ্দে বিশেষ ক্ষমতা বলে প্রত্যক্ষ প্রভাব খাটিয়েছেন। অন্যদিকে রাজউকের প্রকল্প বরাদ্দ-বিষয়ক কর্মচারীরা নিজেরা লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ম-বহির্ভূতভাবে প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন।
হাসিনার সঙ্গে আজমির ও রাদওয়ানের মামলা
একই আদালতে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অন্য দুটি মামলা বিচারাধীন। আজ সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। এর একটি হচ্ছে শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের প্লট বরাদ্দ-সংক্রান্ত এবং অন্যটি হচ্ছে শেখ রেহানার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের প্লট বরাদ্দ-সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলা।
রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আজ ১ ডিসেম্বর দিন ধার্য রয়েছে। আর আজমির মুজিবের মামলা সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও টিউলিপ সিদ্দিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দায়ের মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ সোমবার। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করবেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২৫ যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়।
এ মামলায় অন্য যাঁরা আসামি তাঁরা হলেন—সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন-২) মো. অলিউল্লাহ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যানের মো. আনিছুর রহমান মিঞা পিএএ, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন) মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), সাবেক পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) মাজহারুল ইসলাম, সাবেক উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) নায়েব আলী শরীফ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন।
গত ৩১ জুলাই আদালত এ মামলায় শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
গত ১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি দুর্নীতির দমন কমিশন (দুদক) শেখ হাসিনা, তাঁর পরিবারের সদস্য ও অন্যদের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা দায়ের করে। এর মধ্যে তিনটি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে গত ২৭ নভেম্বর। তিন মামলায় শেখ হাসিনাকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্য দুই মামলায় পৃথকভাবে শেখ হাসিনার ছেলে জয়কে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং মেয়ে পুতুলকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও রাজউকের প্লট বরাদ্দ-সংক্রান্ত দায়িত্বে থাকা অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
গত ২৫ মার্চ ছয় মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
এ মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার একটি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সর্বোচ্চ পদাধিকারী ও পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে বহাল থেকে তার ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে, অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রকল্পের বরাদ্দ-বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত গণকর্মচারীদের বা রাজউক কর্মচারীদের প্রভাবিত করে শেখ রেহানাকে প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন। শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর মাকে প্লট বরাদ্দে বিশেষ ক্ষমতা বলে প্রত্যক্ষ প্রভাব খাটিয়েছেন। অন্যদিকে রাজউকের প্রকল্প বরাদ্দ-বিষয়ক কর্মচারীরা নিজেরা লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ম-বহির্ভূতভাবে প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন।
হাসিনার সঙ্গে আজমির ও রাদওয়ানের মামলা
একই আদালতে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অন্য দুটি মামলা বিচারাধীন। আজ সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। এর একটি হচ্ছে শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের প্লট বরাদ্দ-সংক্রান্ত এবং অন্যটি হচ্ছে শেখ রেহানার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের প্লট বরাদ্দ-সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলা।
রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আজ ১ ডিসেম্বর দিন ধার্য রয়েছে। আর আজমির মুজিবের মামলা সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার নামে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলায় শেখ হাসিনাকে ৫ বছর, শেখ রেহানাকে ৭ বছর ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিককে (টিউলিপ সিদ্দিক) ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের মানুষ যেসব রোগে ভুগছে সেই তালিকায় সবার ওপরে আছে উচ্চ রক্তচাপ। প্রতি ১ হাজার মানুষের মধ্যে ৭৮ দশমিক ২৮ জন এই রোগে আক্রান্ত। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপে উঠে এসেছে এই তথ্য।
১২ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করতে সব ধরনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক দিনে দুই ভোট আয়োজনে সময় বাঁচাতে ভোটকেন্দ্র বা বুথ না বাড়িয়ে গোপন কক্ষ বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এ জন্য একটি বুথে দুটি গোপন কক্
১২ ঘণ্টা আগে
২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহে হত্যাযজ্ঞের ‘প্রধান সমন্বয়কের’ ভূমিকা পালন করেছিলেন তৎকালীন সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস। ওই হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ (সবুজ সংকেত) ছিল বলে কমিশন
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের মানুষ যেসব রোগে ভুগছে সেই তালিকায় সবার ওপরে আছে উচ্চ রক্তচাপ। প্রতি ১ হাজার মানুষের মধ্যে ৭৮ দশমিক ২৮ জন এই রোগে আক্রান্ত। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপে উঠে এসেছে এই তথ্য।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনে গতকাল রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়। বিবিএস জানায়, ‘হেলথ অ্যান্ড মরবিডিটি স্ট্যাটাস সার্ভে’ নামের এই জরিপ চালানো হয় গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে। সারা দেশে ৪৭ হাজার ৪০টি খানা (পরিবার) এবং ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৮৬ মানুষের ওপর জরিপ চালানো হয়।
ফলাফলে দেখা যায়, জরিপের আগের ৯০ দিনে প্রতি ১ হাজার মানুষের মধ্যে ৩৩২ জন বা ৩৩ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো রোগে ভুগেছেন। ১০টি রোগের তালিকার শীর্ষে ছিল উচ্চ রক্তচাপ। এরপর যথাক্রমে ১ হাজার মানুষের মধ্যে পেপটিক আলসার (৬৩ দশমিক ৭৯ জন), ডায়াবেটিস (৪৩ দশমিক ১৫ জন ), বাত বা আর্থ্রাইটিস (৩৯ দশমিক ৭৫ জন), চর্মরোগ (৩৭ দশমিক ২৩ জন), হৃদ্রোগ (৩১ দশমিক ৩২ জন), হাঁপানি (৩০ দশমিক ৯৪ জন), অস্টিওপরোসিস (২২ দশমিক ৩০ জন), হেপাটাইটিস (২২ দশমিক ৩০ জন) এবং ডায়রিয়ায় (১৫ দশমিক ৮৯ জন) ভোগেন।
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, দেশে সন্তান জন্মদানে অস্ত্রোপচারের (সিজারিয়ান) হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। এখন মোট প্রসবের ৪৯ শতাংশই হচ্ছে অস্ত্রোপচারে। এতে খরচের পরিমাণ স্বাভাবিক প্রসবের তুলনায় পাঁচ গুণের বেশি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হজুর আলী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
দেশের পরিবারকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ, রোগব্যাধি ও দৈনন্দিন জীবনযাপনের অভ্যাসে বড় পরিবর্তনের একটি চিত্র উঠে এসেছে সর্বশেষ জাতীয় জরিপে। পরিবারে সদস্যসংখ্যা কমছে, তবু গড় পরিবারপ্রধান এখনো পুরুষই।
জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, দেশে গড়ে একটি পরিবারে সদস্য সংখ্যা ৪ দশমিক ০৩ জন। গ্রামে পরিবার তুলনামূলক বড়, শহরে ছোট। ৮৯ শতাংশ মানুষ নিজের বাড়িতে থাকে, ভাড়াটিয়া মাত্র ৯ শতাংশ। পরিবারপ্রধানের ৮৩ শতাংশই পুরুষ, নারীপ্রধান পরিবারের হার ১৭ শতাংশ এবং গ্রামেই নারীপ্রধান পরিবারের হার তুলনামূলক বেশি।
জরিপে দেখা যায়, মশা প্রতিরোধে ৯৭ শতাংশ মানুষ এখনো মশারি ব্যবহার করে। মশা মারার ইলেকট্রিক ব্যাট বা ম্যাট শহরে গ্রামের তুলনায় ছয়গুণ বেশি ব্যবহৃত হয়। রিফিলার ব্যবহার করেন প্রতি ১০০ জনে ৭৩ জন।
জরিপ মতে, সবচেয়ে বেশি চিকিৎসা নেওয়া হয় ওষুধের দোকান বা ডিসপেনসারি থেকে–৫১ শতাংশ। সরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিতে যায় মাত্র ১১ শতাংশ মানুষ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ২০ শতাংশ। চিকিৎসা নিতে গড়ে খরচ ২ হাজার ৪৮৭ টাকা, শহরে এ ব্যয় বেশি।
স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া নিয়েও ভোগান্তি রয়েছে; প্রতি পাঁচজনে একজনকে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে যেতে ১০ কিলোমিটার বা তার বেশি পথ পাড়ি দিতে হয়। মাত্র ০.৫ শতাংশ পরিবার জেলা হাসপাতালের এক কিলোমিটারের মধ্যে বসবাস করে।
জরিপে দেখা যায়, ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর ২৬.৭ শতাংশ তামাক ব্যবহার করে। পুরুষের হার ৩৭.৯ শতাংশ, নারীর ১৬.৫ শতাংশ এবং নারীদের মধ্যে এ হার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। দেশে টয়লেট ব্যবহারের পর হাতে সাবান ব্যবহার করেন মাত্র ৬৫ শতাংশ মানুষ। তবে শহরে এ হার তুলনামূলক বেশি।

দেশের মানুষ যেসব রোগে ভুগছে সেই তালিকায় সবার ওপরে আছে উচ্চ রক্তচাপ। প্রতি ১ হাজার মানুষের মধ্যে ৭৮ দশমিক ২৮ জন এই রোগে আক্রান্ত। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপে উঠে এসেছে এই তথ্য।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনে গতকাল রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়। বিবিএস জানায়, ‘হেলথ অ্যান্ড মরবিডিটি স্ট্যাটাস সার্ভে’ নামের এই জরিপ চালানো হয় গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে। সারা দেশে ৪৭ হাজার ৪০টি খানা (পরিবার) এবং ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৮৬ মানুষের ওপর জরিপ চালানো হয়।
ফলাফলে দেখা যায়, জরিপের আগের ৯০ দিনে প্রতি ১ হাজার মানুষের মধ্যে ৩৩২ জন বা ৩৩ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো রোগে ভুগেছেন। ১০টি রোগের তালিকার শীর্ষে ছিল উচ্চ রক্তচাপ। এরপর যথাক্রমে ১ হাজার মানুষের মধ্যে পেপটিক আলসার (৬৩ দশমিক ৭৯ জন), ডায়াবেটিস (৪৩ দশমিক ১৫ জন ), বাত বা আর্থ্রাইটিস (৩৯ দশমিক ৭৫ জন), চর্মরোগ (৩৭ দশমিক ২৩ জন), হৃদ্রোগ (৩১ দশমিক ৩২ জন), হাঁপানি (৩০ দশমিক ৯৪ জন), অস্টিওপরোসিস (২২ দশমিক ৩০ জন), হেপাটাইটিস (২২ দশমিক ৩০ জন) এবং ডায়রিয়ায় (১৫ দশমিক ৮৯ জন) ভোগেন।
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, দেশে সন্তান জন্মদানে অস্ত্রোপচারের (সিজারিয়ান) হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। এখন মোট প্রসবের ৪৯ শতাংশই হচ্ছে অস্ত্রোপচারে। এতে খরচের পরিমাণ স্বাভাবিক প্রসবের তুলনায় পাঁচ গুণের বেশি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হজুর আলী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
দেশের পরিবারকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ, রোগব্যাধি ও দৈনন্দিন জীবনযাপনের অভ্যাসে বড় পরিবর্তনের একটি চিত্র উঠে এসেছে সর্বশেষ জাতীয় জরিপে। পরিবারে সদস্যসংখ্যা কমছে, তবু গড় পরিবারপ্রধান এখনো পুরুষই।
জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, দেশে গড়ে একটি পরিবারে সদস্য সংখ্যা ৪ দশমিক ০৩ জন। গ্রামে পরিবার তুলনামূলক বড়, শহরে ছোট। ৮৯ শতাংশ মানুষ নিজের বাড়িতে থাকে, ভাড়াটিয়া মাত্র ৯ শতাংশ। পরিবারপ্রধানের ৮৩ শতাংশই পুরুষ, নারীপ্রধান পরিবারের হার ১৭ শতাংশ এবং গ্রামেই নারীপ্রধান পরিবারের হার তুলনামূলক বেশি।
জরিপে দেখা যায়, মশা প্রতিরোধে ৯৭ শতাংশ মানুষ এখনো মশারি ব্যবহার করে। মশা মারার ইলেকট্রিক ব্যাট বা ম্যাট শহরে গ্রামের তুলনায় ছয়গুণ বেশি ব্যবহৃত হয়। রিফিলার ব্যবহার করেন প্রতি ১০০ জনে ৭৩ জন।
জরিপ মতে, সবচেয়ে বেশি চিকিৎসা নেওয়া হয় ওষুধের দোকান বা ডিসপেনসারি থেকে–৫১ শতাংশ। সরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিতে যায় মাত্র ১১ শতাংশ মানুষ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ২০ শতাংশ। চিকিৎসা নিতে গড়ে খরচ ২ হাজার ৪৮৭ টাকা, শহরে এ ব্যয় বেশি।
স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া নিয়েও ভোগান্তি রয়েছে; প্রতি পাঁচজনে একজনকে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে যেতে ১০ কিলোমিটার বা তার বেশি পথ পাড়ি দিতে হয়। মাত্র ০.৫ শতাংশ পরিবার জেলা হাসপাতালের এক কিলোমিটারের মধ্যে বসবাস করে।
জরিপে দেখা যায়, ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর ২৬.৭ শতাংশ তামাক ব্যবহার করে। পুরুষের হার ৩৭.৯ শতাংশ, নারীর ১৬.৫ শতাংশ এবং নারীদের মধ্যে এ হার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। দেশে টয়লেট ব্যবহারের পর হাতে সাবান ব্যবহার করেন মাত্র ৬৫ শতাংশ মানুষ। তবে শহরে এ হার তুলনামূলক বেশি।

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার নামে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলায় শেখ হাসিনাকে ৫ বছর, শেখ রেহানাকে ৭ বছর ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিককে (টিউলিপ সিদ্দিক) ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
এ মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার একটি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করতে সব ধরনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক দিনে দুই ভোট আয়োজনে সময় বাঁচাতে ভোটকেন্দ্র বা বুথ না বাড়িয়ে গোপন কক্ষ বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এ জন্য একটি বুথে দুটি গোপন কক্
১২ ঘণ্টা আগে
২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহে হত্যাযজ্ঞের ‘প্রধান সমন্বয়কের’ ভূমিকা পালন করেছিলেন তৎকালীন সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস। ওই হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ (সবুজ সংকেত) ছিল বলে কমিশন
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করতে সব ধরনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক দিনে দুই ভোট আয়োজনে সময় বাঁচাতে ভোটকেন্দ্র বা বুথ না বাড়িয়ে গোপন কক্ষ বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এ জন্য একটি বুথে দুটি গোপন কক্ষ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গতকাল রোববার আন্তমন্ত্রণালয় সভা করে ইসি। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ, ঋণখেলাপি-সংক্রান্ত তথ্য ব্যবস্থাপনা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল প্রস্তুত, আগাম পোস্টার-ব্যানার অপসারণসহ অন্তত ২২টি ইস্যু নিয়ে সভায় সচিবদের সঙ্গে আলোচনা হয়।
সূত্র জানায়, সভায় অংশ নেওয়া সবাই ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রায় সবাই সংসদ ও গণভোটের বিষয়ে জনগণকে অবহিত করতে প্রচার-প্রচারণায় জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, কোনো কর্মকর্তার প্রতি ইসির কোনো পর্যবেক্ষণ থাকলে তা আমলে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঋণখেলাপিরা যাতে ভোটে অংশ নিতে না পারেন, এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের অবহিত করেন ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ। মাঠ প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় জোরদার করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, একটি ভোটকক্ষে দুটি গোপন কক্ষ (স্ট্যাম্পিং বুথ) রাখার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে ভোট দেওয়ার সময় কমে এবং ভোটারদের প্রবাহ বজায় থাকে। ভোটের মহড়ার প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে—ভোটকেন্দ্র বাড়ানোর প্রয়োজন নাও হতে পারে, তবে প্রতিটি বুথে গোপন কক্ষ বাড়ানো লাগতে পারে।
সাধারণত একটি ভোটকক্ষে ব্যালটে সিল মারার জন্য একটিই গোপন কক্ষ থাকে। দুটি কক্ষ করলে আইনের ব্যত্যয় হবে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘এতে আইনগত কোনো বাধা দেখছি না।’
নির্বাচন, গণভোট ও বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার—এ তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করেই পুরো প্রস্তুতি-পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে উল্লেখ করে ইসি সচিব বলেন, যে বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে গণভোটের প্রচারণা, প্রবাসীদের ভোট দিতে নিবন্ধন, নির্বাচন পরিচালনাবিধি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার রোধ এবং ভোটারদের সচেতন করতে সংবেদনশীলতা বাড়ানো।
ভোটের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আতিথ্য গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা কঠোর করা হবে; এ জন্য তাঁদের ভাতা ও আর্থিক সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, পাশাপাশি রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং কর্মকর্তার ভূমিকা কী থাকবে এবং তাঁদের নিয়ন্ত্রণও করা হবে।
দেশের ব্যালট পেপার সরকারি প্রেসে এবং প্রবাসী ভোটের ব্যালট—সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা প্রেসে ছাপানোর প্রস্তুতি চলছে। মাঠপর্যায়ে মাইকিং, স্থানীয় প্রচারণা ও টিভি কভারেজ বাড়ানোর অনুরোধও করেন ইসি সচিব। তিনি জানান, চূড়ান্ত সময়-পর্যালোচনা ও ভোটের তারিখ ঘোষণার পরই মূল কাজ বেগবান হবে। নতুন চ্যালেঞ্জ এলে পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হবে।
নির্বাচন-সংক্রান্ত তথ্য বা কোনো অভিযোগ এলে তা সমন্বয় করতে ফোকাল পয়েন্ট করার কথা চিন্তা করা হয়েছে। সেখান থাকবে ইসি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। প্রয়োজনে আইসিটি বা আরও কোনো মন্ত্রণালয়কে যুক্ত করা হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভাগ ও কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করতে সব ধরনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক দিনে দুই ভোট আয়োজনে সময় বাঁচাতে ভোটকেন্দ্র বা বুথ না বাড়িয়ে গোপন কক্ষ বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এ জন্য একটি বুথে দুটি গোপন কক্ষ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গতকাল রোববার আন্তমন্ত্রণালয় সভা করে ইসি। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ, ঋণখেলাপি-সংক্রান্ত তথ্য ব্যবস্থাপনা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল প্রস্তুত, আগাম পোস্টার-ব্যানার অপসারণসহ অন্তত ২২টি ইস্যু নিয়ে সভায় সচিবদের সঙ্গে আলোচনা হয়।
সূত্র জানায়, সভায় অংশ নেওয়া সবাই ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রায় সবাই সংসদ ও গণভোটের বিষয়ে জনগণকে অবহিত করতে প্রচার-প্রচারণায় জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, কোনো কর্মকর্তার প্রতি ইসির কোনো পর্যবেক্ষণ থাকলে তা আমলে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঋণখেলাপিরা যাতে ভোটে অংশ নিতে না পারেন, এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের অবহিত করেন ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ। মাঠ প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় জোরদার করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, একটি ভোটকক্ষে দুটি গোপন কক্ষ (স্ট্যাম্পিং বুথ) রাখার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে ভোট দেওয়ার সময় কমে এবং ভোটারদের প্রবাহ বজায় থাকে। ভোটের মহড়ার প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে—ভোটকেন্দ্র বাড়ানোর প্রয়োজন নাও হতে পারে, তবে প্রতিটি বুথে গোপন কক্ষ বাড়ানো লাগতে পারে।
সাধারণত একটি ভোটকক্ষে ব্যালটে সিল মারার জন্য একটিই গোপন কক্ষ থাকে। দুটি কক্ষ করলে আইনের ব্যত্যয় হবে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘এতে আইনগত কোনো বাধা দেখছি না।’
নির্বাচন, গণভোট ও বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার—এ তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করেই পুরো প্রস্তুতি-পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে উল্লেখ করে ইসি সচিব বলেন, যে বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে গণভোটের প্রচারণা, প্রবাসীদের ভোট দিতে নিবন্ধন, নির্বাচন পরিচালনাবিধি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার রোধ এবং ভোটারদের সচেতন করতে সংবেদনশীলতা বাড়ানো।
ভোটের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আতিথ্য গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা কঠোর করা হবে; এ জন্য তাঁদের ভাতা ও আর্থিক সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, পাশাপাশি রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং কর্মকর্তার ভূমিকা কী থাকবে এবং তাঁদের নিয়ন্ত্রণও করা হবে।
দেশের ব্যালট পেপার সরকারি প্রেসে এবং প্রবাসী ভোটের ব্যালট—সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা প্রেসে ছাপানোর প্রস্তুতি চলছে। মাঠপর্যায়ে মাইকিং, স্থানীয় প্রচারণা ও টিভি কভারেজ বাড়ানোর অনুরোধও করেন ইসি সচিব। তিনি জানান, চূড়ান্ত সময়-পর্যালোচনা ও ভোটের তারিখ ঘোষণার পরই মূল কাজ বেগবান হবে। নতুন চ্যালেঞ্জ এলে পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হবে।
নির্বাচন-সংক্রান্ত তথ্য বা কোনো অভিযোগ এলে তা সমন্বয় করতে ফোকাল পয়েন্ট করার কথা চিন্তা করা হয়েছে। সেখান থাকবে ইসি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। প্রয়োজনে আইসিটি বা আরও কোনো মন্ত্রণালয়কে যুক্ত করা হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভাগ ও কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার নামে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলায় শেখ হাসিনাকে ৫ বছর, শেখ রেহানাকে ৭ বছর ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিককে (টিউলিপ সিদ্দিক) ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
এ মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার একটি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
দেশের মানুষ যেসব রোগে ভুগছে সেই তালিকায় সবার ওপরে আছে উচ্চ রক্তচাপ। প্রতি ১ হাজার মানুষের মধ্যে ৭৮ দশমিক ২৮ জন এই রোগে আক্রান্ত। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপে উঠে এসেছে এই তথ্য।
১২ ঘণ্টা আগে
২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহে হত্যাযজ্ঞের ‘প্রধান সমন্বয়কের’ ভূমিকা পালন করেছিলেন তৎকালীন সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস। ওই হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ (সবুজ সংকেত) ছিল বলে কমিশন
১৫ ঘণ্টা আগেবিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহে হত্যাযজ্ঞের ‘প্রধান সমন্বয়কের’ ভূমিকা পালন করেছিলেন তৎকালীন সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস। ওই হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ (সবুজ সংকেত) ছিল বলে কমিশন অনুসন্ধানে পেয়েছে। প্রতিবেদনে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ) কিছু অংশের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
তদন্ত কমিশনের এই প্রতিবেদন গতকাল রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তাঁর কাছে প্রতিবেদনটি তুলে দেন তদন্ত কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান ও কমিশনের অন্য সদস্যরা। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদনের মূল বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
তদন্ত কমিশনের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার বলেন, ঘটনার বাহ্যিক ও প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে কমিশন বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে। তাঁদের তদন্তে উঠে এসেছে, তৎকালীন সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস (পরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র) হত্যাযজ্ঞের প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেছিলেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের ২০-২৫ জন মিছিল নিয়ে পিলখানায় প্রবেশ করে এবং বের হওয়ার সময় তাদের সংখ্যা বেড়ে ২০০–তে দাঁড়ায়। প্রতিবেদনে ওই ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মীর সম্পৃক্ততা ও সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।
কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার পেছনে তৎকালীন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ছিল এবং এই ব্যর্থতার দায় তৎকালীন সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে সেনাপ্রধান পর্যন্ত বিস্তৃত। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতার কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
কমিশনের প্রধান ফজলুর রহমান বলেন, ১৬ বছর আগের এই ঘটনার বহু প্রমাণ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তদন্ত ছিল কঠিন। তবু তাঁরা পেশাদারত্ব বজায় রেখে সাক্ষ্য, পূর্ববর্তী তদন্ত প্রতিবেদন এবং উপাদান সংগ্রহ করেছেন। তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে জনমনে থাকা অনেক প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধান করা হয়েছে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিলে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পুনঃ তদন্তের দাবি ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে সরকার।
তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হত্যাকাণ্ডে বহিঃশক্তির সম্পৃক্ততা এবং তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের কিছু অংশের সংশ্লিষ্টতার শক্ত প্রমাণ কমিশন পেয়েছে। ঘটনার সময় কিছু গণমাধ্যমের অপেশাদার আচরণও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তদন্ত কমিশন ভবিষ্যতে সশস্ত্র বাহিনীগুলোর মধ্যে এমন ঘটনা ঠেকাতে এবং ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বেশ কিছু সুপারিশ করেছে।
প্রতিবেদন গ্রহণের পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কমিশনের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাতি দীর্ঘদিন ধরে অন্ধকারে ছিল। সত্য উদ্ঘাটনে আপনাদের ভূমিকা জাতি স্মরণে রাখবে।’
মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে এই কমিশনের অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. সাইদুর রহমান (বীর প্রতীক), মুন্সী আলাউদ্দিন আল আজাদ, এম আকবর আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মো. শরীফুল ইসলাম এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহনেওয়াজ খান চন্দন।
এ সময় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি উপস্থিত ছিলেন।

২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহে হত্যাযজ্ঞের ‘প্রধান সমন্বয়কের’ ভূমিকা পালন করেছিলেন তৎকালীন সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস। ওই হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ (সবুজ সংকেত) ছিল বলে কমিশন অনুসন্ধানে পেয়েছে। প্রতিবেদনে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ) কিছু অংশের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
তদন্ত কমিশনের এই প্রতিবেদন গতকাল রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তাঁর কাছে প্রতিবেদনটি তুলে দেন তদন্ত কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান ও কমিশনের অন্য সদস্যরা। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদনের মূল বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
তদন্ত কমিশনের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার বলেন, ঘটনার বাহ্যিক ও প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে কমিশন বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে। তাঁদের তদন্তে উঠে এসেছে, তৎকালীন সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস (পরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র) হত্যাযজ্ঞের প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেছিলেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের ২০-২৫ জন মিছিল নিয়ে পিলখানায় প্রবেশ করে এবং বের হওয়ার সময় তাদের সংখ্যা বেড়ে ২০০–তে দাঁড়ায়। প্রতিবেদনে ওই ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মীর সম্পৃক্ততা ও সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।
কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার পেছনে তৎকালীন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ছিল এবং এই ব্যর্থতার দায় তৎকালীন সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে সেনাপ্রধান পর্যন্ত বিস্তৃত। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতার কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
কমিশনের প্রধান ফজলুর রহমান বলেন, ১৬ বছর আগের এই ঘটনার বহু প্রমাণ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তদন্ত ছিল কঠিন। তবু তাঁরা পেশাদারত্ব বজায় রেখে সাক্ষ্য, পূর্ববর্তী তদন্ত প্রতিবেদন এবং উপাদান সংগ্রহ করেছেন। তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে জনমনে থাকা অনেক প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধান করা হয়েছে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিলে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পুনঃ তদন্তের দাবি ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে সরকার।
তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হত্যাকাণ্ডে বহিঃশক্তির সম্পৃক্ততা এবং তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের কিছু অংশের সংশ্লিষ্টতার শক্ত প্রমাণ কমিশন পেয়েছে। ঘটনার সময় কিছু গণমাধ্যমের অপেশাদার আচরণও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তদন্ত কমিশন ভবিষ্যতে সশস্ত্র বাহিনীগুলোর মধ্যে এমন ঘটনা ঠেকাতে এবং ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বেশ কিছু সুপারিশ করেছে।
প্রতিবেদন গ্রহণের পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কমিশনের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাতি দীর্ঘদিন ধরে অন্ধকারে ছিল। সত্য উদ্ঘাটনে আপনাদের ভূমিকা জাতি স্মরণে রাখবে।’
মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে এই কমিশনের অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. সাইদুর রহমান (বীর প্রতীক), মুন্সী আলাউদ্দিন আল আজাদ, এম আকবর আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মো. শরীফুল ইসলাম এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহনেওয়াজ খান চন্দন।
এ সময় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি উপস্থিত ছিলেন।

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার নামে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলায় শেখ হাসিনাকে ৫ বছর, শেখ রেহানাকে ৭ বছর ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিককে (টিউলিপ সিদ্দিক) ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
এ মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার একটি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
দেশের মানুষ যেসব রোগে ভুগছে সেই তালিকায় সবার ওপরে আছে উচ্চ রক্তচাপ। প্রতি ১ হাজার মানুষের মধ্যে ৭৮ দশমিক ২৮ জন এই রোগে আক্রান্ত। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপে উঠে এসেছে এই তথ্য।
১২ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করতে সব ধরনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক দিনে দুই ভোট আয়োজনে সময় বাঁচাতে ভোটকেন্দ্র বা বুথ না বাড়িয়ে গোপন কক্ষ বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এ জন্য একটি বুথে দুটি গোপন কক্
১২ ঘণ্টা আগে